ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ
নদীর গতি প্রকৃতির মতই মানুষের জীবন। ঋতুর পরিবর্তনের ভঙ্গিতে এ জীবনে আসে শীত-বসন্ত, জীবন সেতারায় বেঁজে ওঠে নানা ঢঙয়ের সুর। ছন্দহীন জীবনের বেসুরাতালেও উপভোগের সাথে সাথে উপলব্ধির গান উচ্চারিত হয় বসন্তের কোকিল কিংবা ঝোপ-ঝাড়ে আচমকা গেয়ে ওঠা কোন অচেনা পাখির মতো। এ ডাকের সাথে সাথে কেউ কেউ চিনে ফেলে গানের পাখিটিকে। আর কেউ বা বেখেয়ালে সেই পথ মারিয়ে এগিয়ে যায়। চেনা সুরের অচেনা পাখিকে হৃদয় খাঁচায় বন্দি করে উপলব্ধির শিকলে কাছে টেনে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলেন সৃজনশীল লেখকগণ। কথাসাহিত্যিক ও কবি-ছাড়াকারগণই এ যাত্রায় নাবিকের ভুমিকায় নিজেকে চিত্রিত করেন। আবহমান বাংলার চিরচেনা পল্লী জীবনের ভাঁজে ভাঁজে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে হাজার কবির ভিড়ে স্বকীয় সুরের ঢেউয়ে ছলাৎ ছলাৎ দ্যোৎনায় বিজয়ী কান্ডারীর স্থায়ী আসন তৈরি করেছেন পল্লীকবি জসীমউদদীন (১৯০৩-১৯৭৩)। রাখাল বাঁশিয়াল থেকে শীর্ষ বুদ্ধিজীবীর হৃদয়ে তিনি মাটির মমতা ছড়িয়ে দিয়েছেন অবলীলায়। জীবন ছন্দের সুরে সুরে বেজে উঠে তাঁর বাঁশির মমতাময়ী হৃদয়কাড়া সুর। তাইতো তিনি অমর, সকলের ভালবাসায় অবিস্মৃত কবিপুরুষ।
কবি জসীমউদদীন জীবনকে উপলব্ধি করেছেন জীবনের অস্থিমজ্জায় অনুসন্ধানী ডুবুরীর বেশে। হৃদয়কে আত্মস্থ করেছেন হৃদয় জমিনে আদর্শ চাষীর মতো চাষবাস করে। সমাজের অবহেলিত মানুষকে বিশ্লেষণ করেছেন নিজের জীবনের গাণিতিক ছন্দে। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলা ভাষাভাষী গ্রামীণ মানুষকে হৃদয়ের আয়নায় চিত্রিত করে আপনার সাথে একাকার করেছেন। তাদের হাসি-কান্না, দুঃখ-বেদনা, সুখ-সাচ্ছন্দ, আনন্দ-বিনোদন সব কিছুর ব্যারোমিটারে নিজেকে জড়িয়ে নিয়েছেন তিনি। তাইতো তাঁর কাব্যভাষা, উপমা এমনকি কাহিনীর পাত্র-পাত্রীকে পর্যন্ত খুঁজে নিয়েছেন গ্রাম-গঞ্জ, মাঠ–ঘাট এবং সবুজের সমারোহ থেকে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ছাড়াও কুমুদরঞ্জন মল্লিক, যতীন্দ্রমোহন বাগচী, কালিদাস রায়, করুনানিধান বন্দ্যোপাধ্যায়, সাবিত্রী প্রসন্ন চট্টোপাধ্যায়, কিংবা গোলাম মোস্তফা, সৈয়দ শাহাদাত হোসেন, ফররুখ আহমদ, এমনকি জীবনানন্দ দাশও গ্রামীণ পথে নিজেদের মতো করে হেঁটেছেন। তবে জসীমউদ্দীন গ্রামীণ জীবন বোধকে চিত্রিত করেছেন একান্তই গ্রামীণ ঢঙে, গ্রামীণ পরিবেশকে তিনি জীবনের সাথে একান্ত করে নিয়ে কলমের ভাষায় ছবি এঁকেছেন দক্ষ শিল্পীর মত। সঞ্জয় ভট্টাচার্য যথার্থই বলেছেন, ‘নজরুল ইসলামের পর জসীমউদদীনের আর্বিভাব যেন গায়কের পর চিত্র শিল্পীর অভ্যূদয়।’ এ শিল্পীত কারুকাজ এক চক্ষু হরিনের মত নয়। তিনি ছবি এঁকেছেন কাজী নজরুল ইসলামের মতোই জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের সমান তালে। একই ক্যানভাসে। এ প্রসঙ্গে কবি কালিদাশ রায় বলেন, ‘যতীন্দ্রনাথ ও কুমুদরঞ্জন বঙ্গের পল্লী প্রকৃতিকে দেখিয়েছেন হিন্দু চোখে, শ্রীমান জসীমউদদীন তাহাকে বাঙ্গালীর চোখে দেখিয়েছেন অর্থ্যাৎ হিন্দু-মুসলিম উভয়ের।’ সত্যিকার অর্থেই তিনি কাজী নজরুল ইসলামের মতোই ইসলামী আদর্শের উদারতার ছোঁয়ায় সাম্প্রদায়িক গন্ডি ভেদ করে মানবতার গান গাইতে সক্ষম হয়েছেন।
কবি জসীমউদ্দীন ছিলেন ভীষণ রকম আবেগ প্রবণ শিশু মনের সরল মানুষ। লোক সাহিত্যের প্রতি তাঁর ঝোঁক ছিল অসাধারণ। প্রবাদ প্রবচন, লোককথা, যাত্রাগান, গাঁথার প্যাচালি, কবিয়ালের আসর প্রভৃতির প্রতি তিনি নিজেকে বিলীন করে দিতে চাইতেন। ‘যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখ তাই’ গ্রামীণ সংস্কৃতির সম্মানে তিনি এভাবেই খুঁজে বেড়িয়েছেন মানুষের জীবন ঘনিষ্ঠ আবহ। এমন আগ্রহের কারণেই তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালেই ড. দীনেশ চন্দ্র সেন তাঁকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতুনলাহিড়ী সহকারী গবেষক রূপে লোকসাহিত্য সংগ্রহায়ক নিযুক্ত করেছিলেন। ফরিদপুর জেলার ‘গোবিন্দপুর’ গ্রামের জন্ম নিয়ে কলকাতা পর্যন্ত গোটা বাংলার পল্লী কুঠিরকে চষে বেড়িয়েছেন শেকড়ের সন্ধানে। তাঁর জীবন আচরণও পল্লীর সাথে সাদৃশ্য করে ফেলেছিলেন। রাজধানীর পুরাণ ঢাকায় বসবাস করেও তিনি পল্লী প্রকৃতিকে ভুলে যাননি মুহুর্তের জন্য। বেশভূষা, চলাচল এমনকি নিজ বাড়িটাও গরু ছাগল ও গাছ গাছালিতে গ্রামীণ ঢঙ্গে সাজিয়ে রেখেছিলেন তিনি।
পল্লী জীবন চিত্রের গতিময়তা ও বাক মোহনাকে বিশ্লেষণ করেই জসীমউদদীন কাব্যের চিত্রকল্প নির্মাণ করেছেন। প্রকৃতি, প্রেম, আনন্দ-বেদনা, দুঃখ-দারিদ্র, সৌন্দর্য-ধর্মানুভূতি, বিপ্লব-সংগ্রাম সব কিছুরই চিত্রকল্প নির্মাণে তিনি ভীষণভাবে সফল হয়েছিলেন। রাখাল ছেলে কবিতায় তিনি প্রকৃতিকে চিত্রিত করেছেন এভাবে-
সরসে বালা নুইয়ে গলা হলদে হাওয়ার সুখে
মটর বোনের ঘোমটা খুলে চুম দিয়ে যায় মুখে।
ঝাউয়ের ঝাড়ে বাজায় বাঁশি পউষ-পাগল বুড়ী-
আমরা সেথা চষতে লাঙ্গল মুর্শীদা-গান জুড়ি।
ধান কাটার মৌসুমে এক গ্রামের মানুষ কাজের সন্ধানে অন্য গ্রামে যায়। ফসল কাটা শেষ করে পারিশ্রমিক নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে। যে সময়টা সে অবস্থান করে এ সময়ে সে যে শুধু ধানই কাটেনি মনও কেটে নেয় অনেক সময়। তাইতো কবির পল্লী প্রেমের স্বার্থক চিত্ররূপ
আমার দেশে ধান কাটতে মন কাটিয়া গেলে
ধানের দামই নিয়ে গেলে মনের দামটা ফেলে।
(বৈদেশী বন্ধু)
কিংবা
ওপারে গোকুল এপারে মথুরা মাঝে যমুনার জল
নীল নয়নেও তোর ব্যথা বুঝি বয়ে যায় অবিরল।
(তরুণ কিশোর)
হৃদয় ছোয়া উপমা উৎপ্রেক্ষা, সমাসোক্তি, অনুপ্রাস, প্রতীক ও রূপকল্পের বৈচিত্রময়তাই মুলত আধুনিক কবিতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কবি জসীমউদদীন তাঁর কাব্যের ছত্রে ছত্রে এসবের ব্যবহার করেছেন অসাধারণ দক্ষতার সাথে। তাঁর সৌন্দর্য চেতনা ও উপমার গাণিতিক প্রয়োগ কাব্যভাষাকে জীবন্ত করে রেখেছে। তাই তিনি গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি থেকে কবিতার গল্প নির্মাণ করলেও তাঁর ভাষার প্রয়োগ কৌশল গ্রামীণ আধুনিকতার মননশীল পাঠককে যেমন মুগ্ধ করে তেমনি গ্রামীণ জনগণকে মাটির গন্ধে প্রেমময় করে রাখে। এ দক্ষতার শিল্পী হিসেবে শুধু জসীমউদদীনকেই মানায়।
কাঁচা ধানের পাতার মত কচিমুখের মায়া
তার সাথে কে মাখিয়ে দেছে নবীন তৃণের ছায়া।
জালি লাউয়ের ডগার মত বাহু দুখান সরু,
গা-খানি তার শাওন মাসের যেমন তমাল তরু।
(নকশী কাঁথার মাঠ)
কিংবা
লাল মোরগের পাখার মতো ওড়ে তাহার শাড়ি
ভোরের হাওয়ায় যায় যেন গো প্রভাতী মেঘ নাড়ি।
(নকশী কাঁথার মাঠ)
এছাড়াও ফুল তোলা মেঘ, দুধের নবনী মেঘে, বিজলীর লতা, পাখীরা দোলাবে ছায়া, সবুজে হলুদে সোহাগ দোলায়ে, বকের মেয়েরা, দূর দেশীয়া মেঘ কনেরা, জল-শাপলা পরী, লাল নটেশাক মেলিছে রঙ্গের ঢেউ, কলমী ফুলের নোলক দেব, ও অঙ্গ বেয়ে ঝরিবে সজল সোনা, আমার দুনিয়া রঙিন করিব তোমারে মেহেদী করি। এমন সব অসাধারণ প্রেমময় সৌন্দর্য মন্ডিত পংক্তি রচনা করে যেমন অলংকারময় জীবন চিত্রিত করেছেন, তেমনি জসীমউদদীন ধমীর্য় চেতনা-বোধকেও জীবন্ত তুলির টানে চিত্রিত করেছেন অবলিলায়।
হাত জোড় করে দোয়া মাঙ-দাদু, ‘আয় খোদা দয়াময়,
আমার দাদীর তরেতে যেন গো ভেস্ত নাজেল হয়।
(কবর)
কিংবা
আড়ঙের দিনের পুতুল কিনিতে পয়সা জোটেনি তাই
বলেছে আমরা মুসলমানের আড়ঙ দেখিতে নাই
(পল্লী জননী)
কবিতা শব্দের খেলা হলেও জসীমউদদীন শব্দ হিসেবি ছিলেন না। কবিতার একই পংক্তিতে সাধু চলিত মিশ্রন লক্ষনীয়, যেমন- কেঁদে ভাসাইত বুক, ঘুরিয়া ফিরিতে ভেবে হইতাম সারা, মুখে তাহার জড়িয়ে গেছে, বাঁশ কাটিতে যেয়ে প্রভৃতি; কিংবা অবলিলায় প্রথাগত কাব্যিক শব্দের ব্যবহার করেছেন, যেমন অবিরল, নারে, হিয়া, বাটে, উচ্ছাস, পানে, বালা, লাগি, তরে, বহিছে, সেথা, তাহে, দেখি, করিছে, ঘোটিছে, একাকিয়া, আখর প্রভৃতি। অন্যদিকে মুসলিম সংস্কৃতির সাথে গ্রন্থিত শব্দমালাও ব্যবহার করেছেন স্বাভাবিকতার ঢঙে। কলমা, আলী, ইস্রাফিল, বেগান, আরশ, নওসা, কাফন, গোর, বুনিয়াদী, মজিদ (মসজিদ), আজান, মোনাজাত, ভেস্ত, জাহান্নাম, দরগা, ফজর, নেকী-বদী, জেয়ারত, গোরস্থান, শবে বরাত, ঈদ, খোদার আরশ, কেতাব, শাদী প্রভৃতি। আঞ্চলিক শব্দ ব্যবহারেও তাঁর পরমঙ্গতার দৃষ্টান্ত রয়েছে। সপ, বু-জী, হাউস, সোনারু, কান্দন, পাও, পালান, কাউয়ার ঠুট্টী, ছাও, পোলা, ডোলের বেছন, পাগল, কইজা-ফ্যাসাদ, কাটাল, সিকা, বগীলা প্রভৃতি।
শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে জসীমউদদীন কোন চাতুর্যতা কিংবা জোর জবরদস্তী করেননি। গ্রামীণ জীবনের চিত্রকে অংকিত করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট পরিবেশ ও কবিতার গল্প নির্মণের প্রয়োজনেই তিনি এসব শব্দকে অতি সহজ সরল ভাবেই প্রয়োগ করেছেন। মূলত শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে তিনি বাছ বিচার করেননি। তাইতো সাহিত্য সমালোচক তিতাস চৌধুরী বলেন, “জসীমউদদীনের কাব্যশরীর নির্মাণের জন্য শব্দ চয়নের ক্ষেত্রে কোন শুচিবায়ু ছিলনা। চলিত, দেশি-বিদেশী, লোকজ প্রভৃতি শব্দকেও তিনি কাব্যে অপূর্ব দক্ষতার সঙ্গে প্রয়োগ করেছেন। জসীমউদদীনের সহজ শব্দচয়ন কাব্যকে সমৃদ্ধ করেছে। তার বিচিত্র উপমা ও চিত্রকল্পের নতুনত্ব এবং ভাষা ব্যবহার কৌশল আমাদেরকে একদিকে যেমন একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দিয়েছে, তেমনি অন্যদিকে জাগিয়ে তুলেছে আমাদের চিরন্তন আগ্রহ ও কৌতুহল”। প্রকৃত পক্ষে জসীমউদদীনের কবিতার শরীর নির্মিত হয়েছে সাধু রীতিতে, সেই সাথে কবিতার ভাঁজে ভাঁজে সাজিয়ে রেখেছেন তৎসম ও তদ্ভব শব্দের ফুলকুলি।
গণমানুষের হৃদয়ের কথাগুলি কবিতার ফুল হিসেবে ফুটে তোলাই কবি জসীমউদদীনের কৃতিত্ব। গ্রাম বাংলার বিশ্বাস, রীতি-নীতি এবং জীবন পরিক্রমার শিরা উপশিরায় সফল পরিব্রাজকের নাম জসীমউদদীন। বিখ্যাত চেক লোকবিজ্ঞানী দুসান জাবেতিল জসীমউদদীনের সাহিত্য সর্ম্পকে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কবির পায়ের কাছে তিনি বসে ছিলেন, যার নাম জনসাধারণ। আমার বিশ্বাস, সেখান থেকে তিনি তাঁর নক্শী কাঁথার মাঠ, সোজন বদিয়ার ঘাট, সকিনা ইত্যাদি বইগুলির বাহিরের রূপ পেয়েছেন।’ কবির প্রকৃতি প্রেমের অপরূপ নমুনা বর্নণা করেছেন বাংলা সাহিত্যের আরেক নক্ষত্র আহম্দ ছফা। তিনি বলেন, আমি তাঁর (জসীমউদদীনের) দিকে না তাকিয়ে বাগানে ঢুকে বললাম ‘কবি সাহেব জলপানতো করলাম এখন আপনার বাগান থেকে কিছু ফুল নেই? তিনি ফুল নেয়ার কথা শুনে আমার দিকে বড় বড় চোখে তাকিয়ে বললেন, আমরা ফুলকে পুজা করি, ছিঁড়িনে। আমি বললাম, কবি সাহেব ফুলের ব্যাপারে আমার একটা আলাদা থিওরি আছে। আমরা গাছ লাগাই, জল দেই, সার দেই, ফুলের বাবার সাধ্য নেই যে না ফুটে। একথা বলে আমি একটা একটা করে বাগানের সবকটা ফুল ছিঁড়ে চাদরে ভরে নিয়েছিলাম। কবি সাহেব অবাক বিহব্বল দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন। কোন কথা বললেন না। আমি যখন ফুল নিয়ে চলে আসছি, তাঁর দিকে তাকিয়ে দেখি সারা চোখ পানিতে ভরে গেছে। আরো একটা নতুন পরিচয় পেলাম। ইনি হলেন কবি জসীমউদদীন। ফুলের শোকে যিনি শিশুর মতো কাঁদতে পারেন। তাঁর কাব্য লোকে ভালবাসবে না কেন?’ সত্যিকার অর্থে জসীম উদ্দীন শুধু কলমের ডগায় নয়, গ্রাম বাংলার ভালবাসাকে সাজিয়ে নিয়েছিলেন গোটা অঙ্গে-ভিতরে বাইরে। তাইতো তিনি পল্লী বাংলার অমর কবি, জীবন ছন্দের সুরেলা বাঁশি।