আহমাদ মাযহার
পঞ্চাশের দশকের মাঝামাঝি সময়ে জীবনানন্দ দাশের যখন জীবনাবসান ঘটে সেই সময়ে তাঁর নামটি উচ্চারিত হলে লাজুক-স্বভাব, স্বল্পবাক, অন্তর্মুখি, স্বল্পপ্রজ একজন কবির অবয়ব যে কোনও আধুনিকতা-মনস্ক বাঙালি কবিতাপ্রেমীর চোখের সামনে ভেসে উঠত। তখনও পর্যন্ত তার কবিতা যথেষ্টভাবে বহুলপঠিত হয়ে ওঠেনি। সাহিত্য-সমালােচনা বা প্রবন্ধ জাতীয় দু-চারটি রচনা হয়তাে কারও কারও নজরে এসে থাকতে পারে; কিন্তু কথাসাহিত্যিক জীবনানন্দ দাশ তখনও সম্পূর্ণ অনাবিষ্কৃত। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পরের প্রায় পঞ্চাশ বছর অতিক্রান্ত হবার পর তাঁর সৃষ্টি সমগ্রের দিকে তাকালে তাঁকে আর স্বল্পপ্রজ বলা যাবে না। বরং এত বিপুল সৃষ্টি-সম্ভার তিনি কীভাবে অপ্রকাশিত এবং অন্তরালবর্তী করে রেখে দিয়েছিলেন তা ভেবে আমাদের মনে এখন বিস্ময় জাগে। তাঁর কথাসাহিত্যিক সত্তার পরিচয় আবিস্কৃত হবার পর কেমন ছিল তাঁর গল্প-উপন্যাসের জগত তা নিয়ে স্বভাবতই অনেকের মনে কৌতূহল জন্মেছে। জীবনানন্দ দাশ (১৮৯৯-১৯৫৪), সুধীন্দ্রনাথ দত্ত (১৯০১-১৯৬০), অমিয় চক্রবর্তী (১৯০১-১৯৮৭), বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪), বিষ্ণু দে (১৯০৯-১৯৮২) প্রমুখ কবি বাংলা কবিতার ক্ষেত্রে যে নবীন চেতনার বিশ্ব সৃষ্টি করেছিলেন তার বিপ্রতীপে কথাসাহিত্যের ভুবন সৃষ্টি করেছিলেন জগদীশ গুপ্ত (১৮৮৬-১৯৫৭),বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০), তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৮-১৯৭১), প্রেমেন্দ্র মিত্র (১৯০৪-১৯৮৮),অন্নদাশংকর রায় (১৯০৪-২০০২), সতীনাথ ভাদুড়ী (১৯০৬-১৯৬৫), মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬) প্রমুখ। কবি হিসাবে জীবনানন্দ দাশের কণ্ঠস্বরের স্বাতন্ত্র্য যতটা স্পষ্ট, অনুভূতিময় এবং সফল তার সঙ্গে কি তাঁর গল্প-উপন্যাসের স্বাতন্ত্র্য বা সাফল্য তুলনীয়? যাকে কখনোই কবি ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি এমন একজন সফল কবিকে কেনই বা গল্পকার বা ঔপন্যাসিকের ভূমিকায় এমন প্রবলভাবে অবতীর্ণ হতে হয়েছিল? আর এত বিপুল পরিমাণে গল্প-উপন্যাস লেখা সত্ত্বেও কেনই বা সেগুলাে প্রকাশে তিনি এতটা অনীহ ছিলেন? একি নিছকই প্রকাশের অনীহা নাকি এইসব সৃষ্টির সাফল্য সম্পর্কে তাঁর মনে কোনও সংশয় ক্রিয়া করছিল? কবিতার ক্ষেত্রে এমন ঊন সাফল্যের কারণেই জীবনানন্দ দাশের কথাসাহিত্য পাঠ করতে গেলে এই প্রশ্ন আমাদের মনে না জেগে পারে না।
জীবনচিত্র রচনায় কথাসাহিত্যিকের অবলম্বন ভাষা। জীবনানন্দ দাশের গল্প-উপন্যাস পাঠ করতে গেলে আমরা তাঁর যে ভাষা ভঙ্গির মুখােমুখি হই তা কিন্তু আমাদের বিস্মিত করে না। আরও পরিষ্কার করে হয়তাে বলা যায় যে তাঁর ভাষাকে আগন্তুক বলে মনে হয় না। কারণ তাঁর কবিতা আমাদের চেতনা জগতকে আগেই অধিকার করে রেখেছে বলে তাঁর কবিতার ভাষাভঙ্গি আমাদের পরিচিত। কিন্তু গল্প-উপন্যাসে যে জীবনকে তিনি চিত্রিত করেছেন তা কিন্তু আমাদের বিস্মিত করে এবং ভাবায়। এ কোন জীবনকে তুলে ধরেছেন জীবনানন্দ? নিঃসন্দেহে জীবনানন্দের গল্প-উপন্যাসে যে পাত্র-পাত্রীদের উপস্থিতি ঘটেছে তারা সবাই তাঁরই সমকালের সূক্ষ্ম চেতনাসম্পন্ন ও অনুভূতিময় মানুষ! একটু মনােযােগের সঙ্গে তাঁর গল্প-উপন্যাস পাঠ করলে অনুভব করা যায় যে সেগুলাে গভীরভাবে আত্মজৈবনিক। তা সত্ত্বেও বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, তাঁর সৃষ্ট চরিত্রগুলাে সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার স্বাতন্ত্র্য নিয়ে যতটা সাংকেতিক ততটাই আবার দৈনন্দিন জীবনানুষঙ্গেও স্পষ্ট। জীবনযাপনের খুঁটিনাটি ব্যাপারগুলােকে তিনি যেভাবে তুলে এনেছেন তা কথাসাহিত্যিকসুলভ গুণ। সুতরাং কবির লেখা কথাসাহিত্য বলে যে জীবনানন্দীয় কথাসাহিত্যকে অনুকম্পা করে নম্বর দিতে হবে তা নয়। কথাসাহিত্যিকের কাছে স্বভাবতই যে-সব বৈশিষ্ট্য কাঙ্ক্ষিত তা আছে বলেই জীবনানন্দ দাশের গল্প-উপন্যাসকে আলাদা একটা মূল্য দিতে হবে। প্রসঙ্গত জীবনানন্দের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘মাল্যবানে’র কথা এবং এ-যাবৎ প্রকাশিত শেষতম উপন্যাস ‘কল্যাণী’র দৃষ্টান্ত টানা যেতে পারে। ‘মাল্যবান’ উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র মাল্যবান একজন সুক্ষ্ম অনুভূতিময় মানুষ। তার পর্যবেক্ষণ থেকে জীবনের অনেক ক্ষুদ্র, আপাতঃদৃষ্টিতে খুব সাদামাটা বিষয়ও এড়াতে পারে না। মাল্যবানের স্ত্রী উৎপলা আধুনিকতার বিকারে বিস্রস্ত এক নারী। বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে মাল্যবানের বিপরীতে তার অবস্থান। তিক্ততা ও বিরক্তি উৎপাদনকারী এই নারীর দ্বারা সূক্ষ্ম অনুভূতিময় মাল্যবান কেবল লাঞ্ছিত হয়। সংকীর্ণতা ও স্বার্থপরতার প্রতিভূ সে। পক্ষান্তরে ‘কল্যাণী’ উপন্যাসে একই ধরনের পুরুষ চরিত্র চন্দ্রমােহন। ‘মাল্যবান’ উপন্যাসের পুরুষ চরিত্র মাল্যবান এবং কল্যাণী উপন্যাসের নারী চরিত্র কল্যাণীর অবস্থান একই সমতলে; উভয়েই অনুভূতিময় মানুষ। মাল্যবান ও কল্যাণীর সঙ্গে উৎপলা ও চন্দ্রমােহনের বৈপরীত্যের মধ্য দিয়ে জীবনের সূক্ষ্ম ও স্থূল উভধর্মী চেতনা বাঙ্ময় হয়ে উঠেছে। জীবনানন্দ দাশ তাঁর কথাসাহিত্যের পরিমণ্ডলে এভাবেই জীবনকে দেখেন। এই রকম জীবনদৃষ্টিকে তাে আধুনিক কথাসাহিত্যিক সুলভ জীবনদৃষ্টিই বলতে হয়। এই দৃষ্টিভঙ্গি নিঃসন্দেহে স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত এবং বাংলা কথাসাহিত্যে অদৃষ্টপূর্ব। এই দুই উপন্যাসের ক্ষেত্রে এ-কথা যেমন তেমনি তাঁর অন্যান্য গল্প-উপন্যাসের বেলায়ও সত্য যে বাঙালি জীবনের দৈনন্দিনতা তাঁর কলমে স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে ধরা দেয়। জীবনানন্দ দাশের গল্প-উপন্যাসের চরিত্রেরা খুব স্পষ্টভাবেই তাদের সামাজিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে স্পন্দমান। তবে তা সত্ত্বেও তারা যেন সম্পন্ন ও স্বতন্ত্র এক ভুবনের বাসিন্দা; অর্থাৎ কবি জীবনানন্দ যেমন স্বতন্ত্র এক জগতের পরিমণ্ডলে স্পন্দিত তেমনিভাবে কথাসাহিত্যিক জীবনানন্দও এক নতুন অদ্ভুত পৃথিবীর স্রষ্টা। এই দিক থেকে তাঁর কবি ও কথাসাহিত্যিক সত্তার মধ্যে মিল রয়েছে। জীবনানন্দ দাশের কবিতায় আমরা যেমন রহস্যদ্যোতক বাক্যের হরহামেশা আবির্ভাব দেখি তেমনটা তাঁর উপন্যাসে বা ছােটগল্পেও রয়েছে প্রচুর। অর্থাৎ তাঁর কবিত্বের রঙ এইসব ক্ষেত্রে গদ্যের রঙকে অতিক্রম করে ভেসে ভেসে উঠেছে। তবে একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে অনুভব করা যাবে যে এইসব ক্ষেত্রেও তিনি গদ্যভাষায় যে উপলব্ধিকে উন্মোচিত করেন তা যথার্থই কথাসাহিত্যিকোচিত। কবি হিসাবে তিনি যেমন ‘চিত্ররূপময়’ কথাসাহিত্যিক হিসাবেও তিনি তা-ই। ব্যক্তির আত্মনিমজ্জমানতা কবির পক্ষে স্বাভাবিক ব্যাপার; গল্পকার বা ঔপন্যাসিকের কাছে ব্যক্তি অন্বিষ্ট হয় ব্যক্তির সঙ্গে ব্যক্তির সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে। কবিতায় মূর্ত হওয়া ব্যক্তির আত্মনিমজ্জমানতার মধ্যে তিনি যে এক সম্পন্ন ভুবনের স্রষ্টা হওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি কথাসাহিত্য সৃষ্টিতে এমন গভীরভাবে নিমগ্ন হয়েছিলেন এ প্রশ্নের উত্তর আমরা যদি তাঁর কথাসাহিত্যের ভুবনে অন্বেষণ করি তাহলে দেখতে পাই যে কবিতার মধ্য দিয়ে তিনি যে জীবনভাষ্য আমাদের সামনে হাজির করেন তার মধ্যে তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ প্রকাশ করতে পারছিলেন না বা প্রকাশ করে তৃপ্ত হতে পারছিলেন না। ফলে কথাসাহিত্যের পথ তাঁকে খুঁজে নিতে হয়েছিল।
কথাসাহিত্য হিসাবে জীবনানন্দ দাশ যা-কিছু সৃষ্টি করেছেন তা প্রচলিত অর্থে গল্প বা উপন্যাস হিসাবে কতদূর সার্থকতা অর্জন করেছে তা বিচার-সাপেক্ষ। কারণ গত দেড় দুইশত বছর ধরে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার উপন্যাস বা ছােটগল্পের সম্পন্ন রূপ কী তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। সে-কারণে জীবনানন্দ দাশের লেখা ছােটগল্প বা উপন্যাসগুলােকে প্রচলিত অর্থে ছােটগল্প বা উপন্যাস হিসাবে হয়তাে খুব সহজে স্বীকার করা হবে না। অবশ্য সাহিত্য বা শিল্প পদবাচ্য কোনও সৃষ্টিকর্ম সর্বদাই নতুন স্বাদ পেলে তার পক্ষে-বিপক্ষে দীর্ঘ বাদানুবাদের মধ্য দিয়ে নিষ্কাশিত হয়ে উঠেছে। সেই অর্থে জীবনানন্দ দাশও এক সময় হয়তাে গৃহীত হবেন ঔপন্যাসিক বা ছােটগল্পকার হিসাবে। হয়তো তাঁকে সে স্থান দেয়া হবে শেষ পর্যন্ত ব্যতিক্রম হিসাবেই। কিন্তু আমরা যদি রক্ষণশীল মানদণ্ডে জীবনানন্দ দাশের কথাসাহিত্যকে বিচার না করে মুক্ত দৃষ্টিতেও বিচার করি তাহলেও কি বলতে পারব যে জীবনানন্দ দাশ ঔপন্যাসিক বা ছােটগল্পকার হিসাবে তাঁর সমকালীন প্রধান আধুনিক লেখক যথা এই রচনার প্রথমে উল্লিখিতদের সমতুল্য সফল লেখক? আমার ধারণা সামগ্রিক দৃষ্টিকোণ থেকে পূর্বোক্ত লেখকদের কথাসাহিত্যের পাশাপাশি জীবনানন্দের কথাসাহিত্যকে রাখলে লক্ষ করা যাবে যে কথাসাহিত্যিক হিসাবে তাঁর মধ্যে অনেক স্বাতন্ত্র্য এবং গুরুত্ব থাকা সত্ত্বেও শৈল্পিক সিদ্ধির দিক থেকে তিনি পূর্বোক্ত সমকালীনদের সমতুল্য নন। তাছাড়া উপন্যাস সম্পর্কে দু তিনটি প্রবন্ধে জীবনানন্দ যে ভাবনার স্বাক্ষর রেখেছেন সে আলােকেও তিনি কতটা সফল হয়েছিলেন তাও বিবেচনা করে দেখা যায়। উপন্যাস সম্পর্কে একটি ইংরেজি প্রবন্ধে তিনি লিখেছেন:
Nor can a novel hope to become outstanding or even significant in proportion to the quantity of important human experience that it hooks in. It is not the extent of experience that will tend to make a novel great, but the requisite vision and intellect of the novelist even though his experience is almost restricted and the material at his command scarcely anything more than diversified autobiography.
নিজের উপযুক্ত উপন্যাস বিবেচনার কতটুকু প্রতিফলন তিনি ঘটাতে পেরেছিলেন? আমরা যারা পঞ্চাশ বছর পরে তাঁর লেখা পড়ছি তারা নিঃসন্দেহে তাঁর সমকালীন সঞ্চারী আবহ থেকে মুক্ত। আমরাও কি বলতে পারছি যে জীবনানন্দের উপন্যাসে তাঁর নিজস্ব উপন্যাস বিবেচনার সম্পন্ন প্রতিফলন ঘটেছে? আমার মনে হয় যে তাঁর নিজের মনেও এ নিয়ে গভীর সংশয় ছিল বলেই তিনি সেগুলাে কখনও প্রকাশের জন্য দেন নি।
জীবনানন্দের উপন্যাসের উপযুক্ত সীমাবদ্ধতাকে মেনে নিয়েও বলতে হয় যে তিনি যদি নিজের উপন্যাস বিবেচনার অনুসারী রচনা হিসাবে তাঁর লেখা উপন্যাসগুলাে সার্থক হয়েছে কি হয় নি এই বিচারের অপেক্ষায় থাকার কারণে বা কবিসুলভ কোনাে রহস্যময় কারণে সেগুলােকে অপ্রকাশিত রেখে না দিতেন তাহলে হয়তাে বাংলা উপন্যাসের ভূগােল খানিকটা বদলে যেত। কারণ পঞ্চাশের দশকের শুরুর দিক থেকে জীবনানন্দ দাশ কবি হিসাবে যেমন পাঠকপ্রিয় হয়েছিলেন তেমনিভাবে কথাসাহিত্যিক হিসাবেও পাঠকপ্রিয় হয়ে উঠতে পারতেন হয়তাে তাহলে তাঁর উপন্যাস বা ছােটগল্পের ধারায় তরুণতর লেখকেরা কেউ কেউ এগিয়ে আসতেন। বাংলা উপন্যাস বা ছােটগল্পের ক্ষেত্রে হয়তাে সংযােজিত হত requisite vision এবং intellect-এর একটি ভিন্ন ধারা। জীবনানন্দ দাশের উত্তরপ্রজন্মের লেখকদের মধ্যে একটা উল্লেখযােগ্য অংশ experience এর চেয়ে intellect কে প্রাধান্য দিয়েছেন বলেই এই সম্ভাবনার কথা আমাদের মনে আসে। তাদের কারও কারও মধ্যে requisite vision বা কল্পনা-প্রতিভার পরিচয়ও পাওয়া যায়। হয়তাে অদূর ভবিষ্যতে এই ধারাতেই রচিত হবে কোনো মহৎ উপন্যাস যার অপেক্ষায় ছিলেন জীবনানন্দ দাশ। বর্তমান রচনায় জীবনানন্দের উপন্যাস ভাবনার আলােকেই তাঁর সমগ্র কথাসাহিত্যকে বিবেচনা করা হয়েছে। কারণ ছােটগল্প সম্পর্কেও তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি এর থেকে খুব ভিন্ন ছিল বলে মনে হয় না। অন্তত জীবনানন্দের এ যাবৎ প্রকাশিত ছােটগল্পগুলাে পাঠ করলেই এর পক্ষে সমর্থন পাওয়া যাবে।
১৯৯৯