spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদবই নিয়েরক মনু'র 'বাশনার ফিকির'

লিখেছেন : আমান আবদুহু

রক মনু’র ‘বাশনার ফিকির’

আমান আবদুহু

টিএলডিআর [পুরা লেখা পড়ার সময় না থাকলে সংক্ষেপে মূলকথা] – আপনার যদি বাংলা গল্প পড়ার ঝোঁক থাকে তাহলে আপনার ব্রেইন অর্গাজম হইতে পারে। আমার হইছে। 

ডিসক্লেইমার — বইটা আমাকে লেখক উপহার দিয়েছেন। কিন্তু এই প্রাপ্তি আমাকে প্রভাবিত করে নাই। প্রথমে নিয়ত ছিলো অন্য বুক রিভিউগুলোর মতোই সত্যি কথা লিখবো এবং দেখবো তিনি আমাকে অন্য অনেকের মতো আনফ্রেন্ড করেন কি না। পুরোটা পড়ার পর লিখতাম। কিন্তু পাঁচটার মধ্যে প্রথম গল্পটা পড়ে লিখে ফেললাম। সত্যি কথাই লিখলাম। তবে ঘটনা একটু বদলে গেছে। 

রক মনু‘র লেখা আমি ফেইসবুকে পড়ি। এইসব লেখা রাজনীতি ও সমাজ নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি ও বিশ্লেষণ। কিছু ঘটনায় বেশ কয়েকবার চমকিত হইছি। যুদ্ধ করতে গেলে আপনার তরবারি যদি অনেক বেশি ধারালো হয় তাহলে বর্ম অথবা ঢালের যে জায়গার উপর সাধারণ তলোয়ার দিয়ে মারলে কাজ হবে না জানতেন, এই তলোয়ার দিয়ে আপনি সে জায়গাতেও ঘা দেয়ার আত্ববিশ্বাস রাখবেন। কারণ আপনি অভিজ্ঞ হইলে জানেন, টুলস এবং মিস্ত্রি দুইটাই সমান গুরুত্বপূর্ণ। রক মনুর সেই ধার আছে। অনেক ঘটনাকে তিনি যেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এক্সপ্লোর করেন, বেশিরভাগ মানুষ সেই জায়গাতে যাওয়ার কথা চিন্তা করেনা। এইরকম কয়েকটা অভিজ্ঞতার পর তার গল্পের বই ‘বাশনার ফিকির’ পড়া শুরু করার সময় স্বাভাবিকভাবেই আমার হাই এক্সপেক্টেশন ছিলো। হতাশ হইনাই আলহামদুলিল্লাহ। বহুদিন পর গল্প পড়ার আনন্দ পাইছি। 

এই লেখকের ব্যাপারে আমার আগের আপত্তি ছিলো তার নিজস্ব বানান রীতি। কারণ মনে হইছে অনেকে তার লেখাগুলো পড়বেই না, অথবা হালকাভাবে নিবে। যদিও তার ব্যাখ্যার সাথে একমত। তথাপি দেখলাম তিনি অনড় রইছেন। যদি তাই থাকেন তাহলে তা আমি এপ্রিশিয়েট করি। একটা কজ বা বৃহত্তর উদ্দেশ্য থাকলে মানুষের ভোগান্তি মূল্যবান হয়। বানান নিয়া তার এই একগুয়েমিকে এখন আমার কাছে মনে হয় সব প্রতিকূলতার মধ্যেই কবি ফররুখের সটান আলিফ হয়ে দাঁড়ায়া থাকার মতো। তার বইয়ের গল্পটা পড়ার পর মনে হচ্ছে চাইলে আমিও এইটা ফলো করতে পারি। তবে সেই লার্নিং কার্ভের ভেতর দিয়া যাবো না, কারণ সাহিত্য আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলেও মূল বিষয় না। সমাজ গুরুত্বপূর্ণ, সেই খানে রক মনু’র এই চেষ্টাকে উপযুক্ত কারণেই সহমর্মী হিসেবে নিছি। 

‘বাশনার ফিকির’ বইটা হলো পাঁচটা গল্পের বই। আমি কেবলমাত্র প্রথম গল্পটা পড়ছি, যার নাম – দোস্তি। কিন্তু একটা পড়েই এতো অধৈর্য্য হয়ে উঠছি যে মনে হলো এইটার প্রতিক্রিয়াটা সবার সাথে শেয়ার করে ফেলি। সপ্তাহের প্রথম দিনে আজকে কাজ শুরু করার পর সকালে এইটা পড়লাম। আজকে পুরাটা পড়া সম্ভব না কারণ আজকে রাতের মধ্যে একটা কাজ জমা দিতে হবে যার ইনভয়েস বা বিল জমা দিবো কাল সকালে। এবং তাহলেই পরশু মজুরী পাবো। পরশু আমার বাসা ভাড়া দেয়ার দিন। সুতরাং আজকে নিরুপায়। কিন্তু আমি জানি এ বইটা আমি আগামীকালকের মধ্যে পুরাটা পড়ে শেষ করে ফেলবো ইনশাআল্লাহ। 

দোস্তি গল্পটা পড়তে গিয়ে কৈশোরে ফিরে গেছিলাম। তারাশংকরের লেখা পড়লে একটা ব্যতিক্রমী অনুভূতি হতো। অপরিচিত গ্রাম বাংলাকে কাছ থেকে দেখার অনুভূতি। তবে তখন আপনি বহিরাগত আগন্তুক হিসেবে থাকতেন। দোস্তি গল্পটা পড়তে গিয়ে দেখলাম আমি ইনসাইডার হয়ে গেছি। মুর্শিদাবাদ থেকে হিজরত করে আসা মনে মনে শিয়া বংশোদ্ভুত ও বাইরে বাঙালি প্রোটাগনিস্ট সোবহান মীর, যার নাম লেখকের ভাষায় ছোবাহান মিরা, তার জীবনের নানা ঘটনার সাথে যেন তার পাশাপাশি চলতে শুরু করছিলাম। গল্পটা শেষ করার পর যেন ব্রহ্মপুত্রের এক চরে বসে মাছ দিয়ে গরম ভাত খাচ্ছিলাম। নাক দিয়ে পোড়া খড়ের গন্ধও পাচ্ছিলাম। গফরগাঁওয়ের ধলা গ্রামের যে মানুষটাকে চিনতাম জানতাম, দিনে কৃষিকাজ করতো এবং মাসে একবার দুইবার রাতে পার্টটাইম ডাকাতি করতো, তাকে বহুদিন পর মনে পড়লো। আগে তাকে দেখেছিলাম আউটসাইডার হিসেবে, এখন কল্পনায় যেন মনে হইলো ঐটা কি আমার অন্য কোন জীবন ছিলো! এইটা একটা আচ্ছন্ন করার মতো বর্ণনা। সত্যি সত্যি এক কাপ কফি খেতে হলো গল্পটা পড়া শেষে এখন, মাথা পরিস্কার করার জন্য। 

তারপর ফেইসবুকের জন্য আরেকবার ভাবতে গিয়ে রক মনুর গদ্যের বিষয়টায় কয়েকটা অভিজ্ঞতা স্মরণ হলো। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, আতা সরকার বা সুচিত্রা ভট্টাচার্য এইরকম অনেক লেখকের গদ্য পড়ে সর্বভূক পাঠক হিসেবে আমার এইরকম তৃপ্তি লাগতো। কিন্তু ঘটনার ভেতরে ঢুকে যাওয়ার মতো এমন মনে হয়েছিলো শাহেদ আলীর লেখা [মুহাম্মদ আসাদের ইংলিশও পড়েছি, ভাষান্তরে শাহেদ আলীর অবদান এতোই বেশি যে অনুবাদ বলতে মন চায় না] ‘মক্কার পথ’ পড়ে। তখন মনে মনে আরব বদু হয়ে গেছিলাম, আজকে কল্পনায় পায়রা নদীর কিনারে ছোট্ট একটা গ্রামের পলিটিশিয়ান মোড়ল হয়ে গেলাম। পাঠক হিসেবে এটা সুখের অভিজ্ঞতা।

বইটাতে মোট পাঁচটা গল্প আছে, সবগুলো পড়ার পর মুগ্ধতা কমে নাই। 

অনেকদিন আগে একজন আমাকে প্রশ্ন করেছিলো, ফিকশন বই পড়ে লাভ কি? তখন উত্তর দিতে পারি নাই। তবে ফিকশন পড়া বন্ধও করি নাই। কারণ লাভ ক্ষতি হিসাব করে কাজ করার স্বভাব আমার নাই। থাকলে হয়তো ভালো হতো। যাইহোক, বহু বছর পরে এসে এর উত্তর পাইছি। নানা রকম লাভ আছে। একটা হলো, কল্পনা শক্তি মজবুত হয়। যেইটা জীবনের নানা কাজেকামে লাগে। এইটা একটা স্কিলও বটে। ফিকশন পড়ে আপনি অন্য মানুষদের জীবনে ঘুরে আসতে পারবেন। সেইরকম লেখক হইলে এবং আপনি সেইরকম পাঠক হইলে ঐসব জীবনে ঢুকেও যেতে পারেন। আমি সেইরকম পাঠক কি না জানিনা, মানুষ কখনো নিজেকে নিজে পুরোপুরি বিচার করতে পারেনা। কিন্তু আমার মনে হইছে রক মনু সেইরকম লেখক। 

বাকি চারটা গল্পের মধ্যে দুইটা ঐতিহাসিক জনরার গল্প। নসীম হিজাজী যে টাইপের উপন্যাস লেখেন আর কি। এই জনরার গল্প-উপন্যাসগুলো ঐতিহাসিক সত্যতার দিক থেকে নিন্দনীয়, কারণ লেখক চাইলেই যা ইচ্ছা তা ইতিহাস বানাইতে পারেন কারণ এইটা ফিকশন। কিন্তু আবার অন্য দিক দিয়ে, বাস্তবতার সাথে কল্পনা মিশিয়ে অতীত পড়তে আনন্দকরও বটে। এইটা সম্ভবত নেশাখোরদের কাছে বিড়ি সিগারেট যেমন, তেমন। জিনিসটা ভালো না, আবার ভালোও। একটা গল্প আছে আহমদ ছফার উপর। আহমদ ছফা পথশিশুদেরকে নিয়ে রমনা পার্কে পড়াইতেন, সেই ঘটনা শুনেছি। তেমন একজন শিশুর জীবনের গল্প। আরেকটা হলো গত শতকের কলকাতার বাঙ্গু-হিন্দু রেনেসাঁর সময়ের গল্প। এই সময়টার প্রতি আমার একটা ফ্যাসিনেশন আছে, সুনীলের ‘সেই সময়’ যতবার পড়ি, ক্লান্তি আসে না। সুতরাং ভালো লাগাটা স্বাভাবিক। 

বাকি দুইটার মাঝে একটা ঢাকার এক নারীর গল্প। নারীবাদিদের কাছে এই গল্পটা ভালো লাগবে। মনু সাহেব বর্তমানের বদলাইতে থাকা সময়ে নারীর এম্পাওয়ারমেন্ট দেখাইছেন, পুরুষটাকে লিচু বানিয়ে। একদম টেমপ্লেটের গল্প। এখানে যৌনতার বিবরণ ভালো লাগছে : কিছু কিছু বাস্তব ঘটনা আছে একদম র বা কাঁচা টাইপের। এইসব ঘটনা আসলেই ঘটে। কিন্তু মোটের উপর গল্পটা অবাস্তব মনে হইছে। কল্পিত। এইরকম অবস্থায় সাধারণত মেয়েরা সহ্য করে যায়। 

বাকী শেষ গল্পটা খুবই ইন্টারেস্টিং। এইটাও হালকা নারীবাদি, তবে মূলত থ্রিলার বলা যায়। আবারও চিটিং এর শিকার স্ত্রী, তবে এইবার স্ত্রী বিরাট মাসুদ রানা পরিকল্পনা করে থাইল্যান্ডে একশন করতে যাওয়া জামাইকে অপারেশন করে বিচি কেটে দেয়ার কাজ করে। ফলে জামাইটা খুনসা বা হচিমিন হয়ে যায়। এই গল্প আছে জানতে পারলে ফেইসবুকের সিপাহসালার এলজিটিভি সরোয়ার লেখক রক মনুকে পশ্চিমা ষড়যন্ত্রের ক্রীড়নক ঘোষণা করবে। এ বই পড়া হারাম। 

একটা জায়গায় আমার হাসি আসছে। আহমদ ছফার গল্পটাতে গল্পের মূল চরিত্র ঐ ছেলেটা এক জায়গায় গল্প উপন্যাসের বই পড়তেছিলো। সে বইয়ের বর্ণনায় বুঝা গেছে রক মনু নিজেকেই বর্ণনা করতেছেন। এইটা একটু শস্তা টাইপের বাচ্চাসুলভ কাজ হইছে। 

রক মনুর গল্পগুলোর একটা বৈশিষ্ট্য হলো টুইস্ট। যে কোন গল্প পড়তে পড়তে পাঠকের মনের মধ্যে একটা আবছা অনুমান তৈরি হয় ভবিষ্যত ঘটনা সম্পর্কে। রক মনুর গল্পগুলোতে সেই অনুমান শেষে গিয়ে প্রায়শ একটা ধাক্কা খায়। এইটা লেখক হিসেবে উনার শক্তি। জাল দিয়ে মাছ ধরার মতো। ধীরে ধীরে উনি জাল গুটায়া আনেন, শেষে দেখা যায় যেই মাছ আপনি চিন্তা করেননাই সেইটা একদিকে লুকায়া আছে।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

পথিক মোস্তফা on সাক্ষাৎকার : নয়ন আহমেদ
সৈয়দ আহমদ শামীম on বাংলা বসন্ত : তাজ ইসলাম
Jhuma chatterjee ঝুমা চট্টোপাধ্যায়। নিউ দিল্লি on গোলাপ গোলাপ
তাজ ইসলাম on রক্তাক্ত স্বদেশ
আবু বকর সিদ্দিক on আত্মজীবনীর চেয়ে বেশি কিছু
ঝুমা চট্টোপাধ্যায়। নিউ দিল্লি। on জন্মদিনের কবিতা : সাজ্জাদ বিপ্লব
দিশারী মুখোপাধ্যায় on গুচ্ছ কবিতা : গোলাম রসুল
দিশারী মুখোপাধ্যায় on নির্বাচিত ১০ কবিতা : কামরুজ্জামান
তাজ ইসলাম on Menifesto of the Inevitable Revolution
কাজী জহিরুল ইসলাম on দীর্ঘ কবিতা : তাজ ইসলাম
দীপশিখা পোদ্দার on গুচ্ছ কবিতা : কাজল সেন
সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব on গুচ্ছ কবিতা : তাজ ইসলাম
নয়ন আহমেদ on রবীন্দ্রনাথ
নয়ন আহমেদ on কিবরিয়া স্যার
বায়েজিদ চাষা on গুচ্ছ কবিতা : অরুণ পাঠক
আবু আফজাল সালেহ on দীর্ঘ কবিতা : অভিবাসীর গান
কাজী জহিরুল ইসলাম on রবীন্দ্রনাথ
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on গুচ্ছ কবিতা : হাফিজ রশিদ খান
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on অক্ষয় কীর্তি
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on অক্ষয় কীর্তি
নয়ন আহমেদ on আমার সময়
মোঃবজলুর রহমান বিশ্বাস on গুচ্ছ কবিতা : দিলরুবা নীলা
তৈমুর খান on অক্ষয় কীর্তি
তৈমুর খান on অক্ষয় কীর্তি
তৈমুর খান on অক্ষয় কীর্তি
কাজী জহিরুল ইসলাম on অক্ষয় কীর্তি
Quazi Islam on শুরুর কথা
আবু হেনা আবদুল আউয়াল, কবি ও লেখক। on আমিনুল ইসলামের কবিতায় বৈশ্বিক ভাবনা
ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম, নওগাঁ সরকারি কলেজ নওগাঁ। on আমিনুল ইসলামের কবিতায় বৈশ্বিক ভাবনা
নয়ন আহমেদ on ঈদের কবিতা
নয়ন আহমেদ on ফেলে আসা ঈদ স্মৃতি
নয়ন আহমেদ on ঈদের কবিতা
পথিক মোস্তফা on ঈদের কবিতা
পথিক মোস্তফা on স্মৃতির ঈদ
পথিক মোস্তফা on ঈদ স্মৃতি
Sarida khatun on ঈদ স্মৃতি
নয়ন আহমেদ on ঈদ স্মৃতি
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on দীর্ঘ কবিতা : আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ
পথিক মোস্তফা on শৈশবের ঈদ : একটি স্মৃতি
পথিক মোস্তফা on স্মৃতির ঈদ
নয়ন আহমেদ on স্মৃতির ঈদ
নয়ন আহমেদ on আমার ঈদ
নয়ন আহমেদ on ঈদের আনন্দ
শাদমান শাহিদ on শৈশবের ঈদ উৎসব
নয়ন আহমেদ on শৈশবের ঈদ উৎসব
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on সাম্প্রতিক কবিতা : নয়ন আহমেদ
মুস্তফা জুয়েল on আমি আর আমার গাযালি
কাজী জহিরুল ইসলাম on গুচ্ছ কবিতা : মুর্শিদ-উল-আলম
মোহাম্মদ মাহিনুর আলম (মাহিন আলম) on অপদার্থবিদ্যা
সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব on দেশপ্রেমের ১০ কবিতা : সাজ্জাদ বিপ্লব
কাজী জহিরুল ইসলাম on বিশ্ববিচরণশীল কবিমানুষ
কাজী জহিরুল ইসলাম on বিশ্ববিচরণশীল কবিমানুষ
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on নির্বাচিত ২৫ কবিতা : সাজ্জাদ বিপ্লব
মোহাম্মদ মাহিনুর আলম (মাহিন আলম) on প্রিয়াংকা
প্রত্যয় হামিদ on শাহীন খন্দকার এর কবিতা
মহিবুর রহিম on প্রেম ও প্যারিস
খসরু পারভেজ on কাব্যজীবনকথা
মোঃ শামসুল হক (এস,এইচ,নীর) on সুমন সৈকত এর কবিতা
এম. আবু বকর সিদ্দিক on রেদওয়ানুল হক এর কবিতা