পেইন্টিং সমগ্র
[পিনাকী ভট্টাচার্য, আপনার কাছে ঋণ স্বীকার পূর্বক–]
..…
১.
চিত্রকলার নতুন-নতুন ভাষ্যের মতো
আমার হাতেও তৈরী হচ্ছে
কবিতার নতুন টেক্সট
আমার হাতে ভেঙে যাচ্ছে পুরনো ফর্ম
কিউবিস্টদের মতো আমিও নীরিক্ষায় বিশ্বাসী
জর্জ ব্র্যাক বা পিকাসোর মতো আমিও
বিমূর্ত ভাবে মূর্ত করতে চাই
যা-যা দেখি তাই
আমি খেলি রঙ নিয়ে। শব্দ নিয়ে। মন নিয়ে।
আমার পরেই শুরু হয়
সহজ কবিতা
২.
মাতিসের হারিয়ে যাওয়া সেই মানুষটি
[ ও! হ্যাপীনেস ইন লাইফ ]
আমি ফিরিয়ে আনতে চাই
আমার কবিতায়, ছবিতায়, চিন্তায়
মডার্ণিজমের নামে তোমার-আমার মাঝের যে গ্যাপ
যে দূরত্ব,দৌরাত্ম্য, সংশয়
তা ঘুচিয়ে দিতে চাই।
আমাকে ফোবিস্ট বা ইম্প্রেশনিস্ট
যে নামেই ডাকো, ঘৃণা করো
আমার আপত্তি নাই।
৩.
আমিও যদি গগ্যা’র ছবি’র মতো বলতে পারতাম
নেভারমোর, আর কখনো নয়
আমিও যদি যেতে পারতাম তাহিতি
আমিও যিদি আঁকতে পারতাম তাহিতি’র নিজস্ব রঙ ও ঢঙ
আমিও যদি র্যাভেন হতে পারতাম
উড়ে গিয়ে যদি বসতে পারতাম, এথেনার মাথায়
আমিও যদি সত্য কথা বলতে পারতাম
আমিও যদি এনলাইটেন হতেম
হতেম তোমার বালিশের নিচের উজ্জ্বল আলো…
আমার হাতে পৃথিবী হতো
অধিক নিরাপদ ও শান্ত
৪.
ভ্যান গগে’র স্টারি নাইট দেখতে-দেখতে
কেমন উন্মাদ হয়ে যাচ্ছি
হয়ে যাচ্ছি অকারণ আনমনা, উদাসীন
গগে’র মতো আমার কোন বাইপোলার ডিসঅর্ডার
আছে কি-না জানা নেই
তবে, আমিও তীব্র রঙ, আলো ও উল্লাস পছন্দ করি
আমিও দেখি রাত আলোয় গভীরতা, সমৃদ্ধতা
আমিও আমার কাজে হতে চাই পথ প্রদর্শক
গগে’র ছবির মতো।
৫.
এদুয়ার মানে’র ‘লাঞ্চন অন দ্যা গ্রাসের’
কোন মানে থাক বা না থাক
ইম্প্রেশনিস্টদের মতো আমিও এঁকে যাবো
নানাবিধ প্যাস্টোরাল ছবি ও কবিতা
এমিলি জোলা’র মতো কারো কোন কমেন্ট্রি, ক্রিটিক
থাকলেও কে করে তার তোয়াক্কা!
তুমি মানে আদার, পৃথিবী আমার। দেখার
আলাদা আঙ্গিকে। ঢঙে।
তোমাকে দেখতে-দেখতেই আমি
প্রবেশ করছি মডার্ণিস্টদের জগতে। প্রকাশ
করছি নিজেকে। আলাদা করেও।
৬.
সেজানের মতো আমি বেদার্স আঁকতে পারবো না
আঁকতে পারবো না এ কালের দেখা অসংখ্য ন্যুডিটি
আমার যুগ যে রেঁনেসা’র যুগ নয়!
আমিও মানুষ আঁকি
ডিকন্সট্রাক্ট করি মানুষের মন, শরীর নয়
আমিও যাত্রা করি এনলাইটমেন্টের পথে-প্রান্তরে
আমারও প্রবেশ অসংখ্য জটিলতায়
প্রকাশ সহজতায়
আমার আকাশও নীল হয়ে ঝুঁকে আছে আমারি দিকে
রাগী চোখে।
আমিও এ সব থোড়াই কেয়ার করি।
৭.
তিন্তোরেত্তোর মতো আমি ত্রিকালদর্শী
বেল্লিনি- তিশানের মতোও
আমিও রাঙাই পৃথিবীর সমস্ত দেয়াল
ভেনিসের মতোই সুন্দরী করে
আমি জানি বর্তমানের কদর্যতা
অতীতের অর্থময়তা
ভবিষ্যতের আশাবাদ
আমার পেইন্টিঙেও উঁকি দেয়
নতুন প্রজন্ম।
৮.
রেনোয়ার মতো আমিও সুখ এবং আনন্দ আঁকতে চাই
তুলে আনতে চাই আলোও
ফিরিয়ে আনতে চাই পিরামিড। আমার পছন্দের ত্রিভুজ।
অন্ধকার আমার না পছন্দ। তোমার মতো।
জানি, জীবনের দুই পীঠ। যেমন মুদ্রার।
আমি ভেদ করতে চাই সমস্ত দু:খকে। ভাগও করতে চাই।
ভোগও করতে চাই। পছন্দ মতো। প্রসিদ্ধ মতো।
বুর্জোয়াদের কোন প্রতিনিধি আমার বাঁধা হতে পারবে না।
৯.
জর্জেনের কী যে অর্জন আমরা জানি না
আমরা জানি, আমাদের এগিয়ে যাওয়া মানেই
এনলাইটমেন্ট। প্রগতি। আলোর সন্ধান।
মডার্ণিজমকে এফোঁড়ওফোঁড় করে দিয়ে
আমরা এগিয়ে চলি প্রাচীন সভ্যতা ধরে।
পেছনে গ্রীক দর্শন, সামনে অন্ধকার ইউরোপ
মাঝখানে আলোকিত নিশ্চুপ আরব
আমার মতোই দ্বিধাহীন। সংকল্পবদ্ধ ও দৃঢ়।
১০.
পুহেভিল্লের ক্লিফে দাঁড়িয়ে, তুমি-আমি
অলস হাওয়ায় উড়ছে তোমার চুল, প্রকৃতি
মনে পড়ে যাচ্ছে ক্লদ মনে’র কথা, শিল্প-বিপ্লবের ঝাপট
আমাদের অবকাশ যাপনের প্রস্তুতি ও প্রস্তাবনা
কাঁচা রঙ। রঙের প্রলেপ। কাঁচা মন।
কাঁচা আমাদের প্রেম।
আমরা ইম্প্রেশনিস্টদের তুলির আঁচড়ে
অমর হয়ে আছি।
১১.
কাঠ খোদাইয়ে আমি তোমার মুখ আঁকতে পারছি না
এনগ্রেভিঙেও অসম্ভব মনে হচ্ছে
ডিউরর বা বেল্লিনি কি পারতেন আমার চেয়ে সুক্ষ্ম, আন্তরিক আঁচড় দিতে তুলিতে!
আমি তো জন্ম পেইন্টার, বিমূর্ত শিল্পী।
কত অজানা ধরে রাখছি
কত যুগ পেরিয়ে এলাম।
গুটেনবার্গ তৈরীর আগে
আমি জন্ম দিয়েছি ছাপাখানা, আমার
মনের মেশিনে।
কত অক্ষর, কত ছবি, কত বর্ণনা
কত-কত সংবাদ আমি প্রকাশ করেছি
কত সভ্যতা কত অসভ্যতা কত রটনা
আমার উদরে জন্মে।
কত ব্যথা কত কথা
উড়ছে আমার স্বপ্নে।
আমি না থাকলেও আমার
স্বপ্নরা বেঁচে থাকবে।
১২.
মডার্ণিজম ঝড় হয়ে আছড়ে পড়বে পৃথিবীর উপর
আমাদের সবার উপর
এটি কনসটেবল এর মতো
আমরা কেউ ভাবিনি
আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাবে
শিল্প-বিপ্লবের নামে, আলো
আসবে অন্ধকার, নিকষ কালো
আমরা বাস্তবে নয়, স্মৃতিতে ফিরিয়ে আনি
আমাদের স্বপ্ন, সুখ, রঙিন বিশ্বাস
১৩.
ইম্প্রেশনিস্টদের বাষ্পের ধোঁয়া এসে মিশে যাচ্ছে
আমার মন, মননে
আমি প্রবেশ করছি
দুষ্প্রবেশ্য তোমার ভিতর
শুধু ধোঁয়া আর ধোঁয়া
ধোঁয়াশা বললেও ভুল বলা হয় না
কিম্বা কুহেলিকা
পুরোটাই প্রহেলিকাময়
এক অনন্ত ধাঁ-ধাঁ-র মধ্যে
এক যুগ।
১৪.
আমি কিসসু বুঝি না
না পেইন্টিং না মডার্ণিজম না তোমাকে
রবীন্দ্রনাথকেও বুঝি না
আমি আমাকেই কি একটু বুঝি?
১৫.
মনে করো, তোমার সঙ্গে আমার
বার্সেলোনায় দেখার সেই মূহুর্তের কথা
যেখানে পিকাসো হাঁটতেন
পাগলের মতো
খুঁজতেন তার আঁকা জীবন্ত ফিগার
নির্বাচিতা নারী।
টেবিলে ছড়ানো ফল। তোমার সলাজ্জ্য আহ্বান
আমি যা পেয়েছি
কোন নাবিক বা মেডিক্যাল স্টুডেন্ট
তার সন্ধান কোনদিন পায়নি।
পাবেও না।
১৬.
দুশ্যাম্পের কথা মনে নেই
মনে নেই দাদাইজমের কথাও
পিকাসোর কথাও কি মনে পড়ে?
এই প্রতিবুদ্ধিতার কালে
কিম্বা তোমার কথা, আমার কথা
মোনালিসারও কথা
কারো কথাই মনে নেই। মনে পড়েও না।
কোথাও কোন শিল্প নেই। শিল্পীও নেই।
কপট তুলিতে আঁকা
মুখ ও মুখোশ ছাড়া।
১৭.
আমাকে তোমার যতোই মন্দ লাগুক
কিম্বা তোমাকে আমার যতো ভালোই লাগুক
আমরা কেউ কাউকে প্রকাশ করি না
আমাদের অবদমন ইচ্ছে গুলো
অসচেতন স্বপ্নগুলো দালি’র পেইন্টিং হয়ে
ঝুলে আছে সুররিয়ালিস্টিক আকাশে
১৮.
তুমি-ই কি সেই প্রাগৈতিহাসিক ফার্টিলিটি দেবী
আমার মেরিলিন মনরো?
বহুতল বিশিষ্ট অবচেতন রানী। নারী।
ধরা দিচ্ছো এবস্ট্রাক্ট ফর্মে।
যার সন্ধান ফ্রয়েড কিম্বা কার্ল ইয়াঙের জানা নেই।
কুনিঙের মতো আমিও প্রাইমাল আঁকছি
ধরে রাখছি বর্বর আধুনিক সমাজের
এ অনাধুনিক শব্দ চিত্র।
১৯.
পোলকের মতো আমাকেও প্রকৃতিতে
পাবে না। আমি নিজেই প্রকৃতি। ন্যাচার।
ন্যাচারাল। ছন্দে মাতাল। ছন্দ প্রেমিক।
কেভ যুগের মতো হাতের নেগেটিভ ছাপ
আমার কবিতায় মুদ্রিত। আমিও ফিরিয়ে আনি
প্রকৃতির ছন্দ। প্রাকৃতিক জীবন ও মন
আমার লেখায়। আঁকায়। চলায়।
এবস্ট্রাক্ট শিল্প বা কবিতা বুঝতে চাইলে
আগে বুঝতে হবে আমাকে
২০.
মডার্ণ পেইন্টিঙের জনক পল সেজানের মতোই
আমি এক পথ প্রদর্শক। একটি যুগের স্রষ্টা।
আমিও ব্যর্থ। গৃহত্যাগী এবং জেদী।
পোস্ট ইম্প্রেশনিস্টদের মতো আমিও
দেখাতে চাই অতিরিক্ত অনেক কিছু
ছবির বাহিরে ছবি। ছবির ভিতরে ছবি।
আপেলের অনেক রূপ। তোমার মতো।
ভাঙতে চাই যাবতীয় প্রচল ফর্ম।
আমাকে তুমি ইমেজিস্ট ভাবতে পারো।
তোমার কবিতাগুলো ভিন্নরকম। এর চেয়ে বেশি কিছু কি বলার আছে? হ্যা, আছে। শেষ কবিতার শেষ লাইনটি সিগনিফিকেন্ট। তুমি নিজেকে ইমেজিস্ট ভাবতে চাইছো। ইমেজই তো কবিতা ডালপালা তার ফল ফসলাদি।
তোমার এ সব কবিতায় ইমেজের পরিমান বেশি । ইমেজারির পরিমান কম। ইমেজ হ্চ্ছে স্থিরচিত্রের মতো। যে সব পশ্চিম শিল্পীদের নাম ও তাদের কর্মের বর্ণনা লিখেছো তা সেই সব শিল্প বিপ্লবের বিশাল ইতিহাস ধারণ করেছে। যা মূলত মিথ মিথিক্যাল পরিপ্রেক্ষিত। সেগুলো তোমার চিন্তার জগতের বর্ণাঢ্য আঙিনা, তা তোমার মনোচৈতনিক বিপ্লবের ঘানি টানবে, কিন্তু যে আলো বা এনলাইটেনমেন্ট ধরতে চাও তা পশ্চিমাদের একমুখি যাত্রা। জ্ঞানের শঙ্খমালা তো ছড়িয়ে আছে প্ৃথিবীর দশদিকে, সেই পথ তো আমরা চিনি না।
সেই সব অনালোকিত আলোকমালার সন্ধান করতে হবে আমাদের।
তোমার কবিতা ভালো চিন্তার খোরাক। পাঠককে অনেক দিগন্তে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
ভালো থাকে।
তোমার কথা মনে পড়ে যখন আল মাহমুদ আমার অফিসে আসতেন, তুমি ছিলে ছায়াসঙ্গী।
মাহবুব হাসান তখনও তুমি আসোনি। মনে আছে।
অসাধারণ! এমনই নতুন ভাষা, নতুন অঙ্গিকার চাই কাব্যে। এটাই একবিংশ শতকের কবিতার বৈশিষ্ট্য, যেখানে নতুনত্ব আর অভিনবত্বের পরশ থাকবে সকল পদে, ঠিক যেভাবে কুড়িটা কবিতা শুরু হয়েছে এক নতুন অঙ্গিকারে- “আমার হাতেও তৈরী হচ্ছে, কবিতার নতুন টেক্সট, আমার হাতে ভেঙে যাচ্ছে পুরনো ফর্ম”। এক নিঃশ্বাসে পড়ার মতো কুড়িটা কবিতা যেন এক সুতোয় বাধা, দুনিয়ার যতো আঁকা কবিতার ছবি তাকে নিয়ে নতুন জগতের ছবি আঁকার প্রয়াস, সাথে আছে কবিতা-জীবন-জগতের দর্শন! “বুর্জোয়াদের কোন প্রতিনিধি আমার বাঁধা হতে পারবে না। পেছনে গ্রীক দর্শন, সামনে অন্ধকার ইউরোপ। আগে বুঝতে হবে আমাকে”।
এমন কবিতাই পারবে নতুন করে লিখতে যেমন রবীন্দ্র বলয়কে অস্বীকার করে কবি আল মাহমুদ লিখেছেন সীমাহীন স্পর্ধায়-
“ঐ দাড়িঅলা সন্তের ছবি আমার ঘরে টাঙ্গিয়েছে আমারই ছেলেমেয়েরা!
আহা, তারা কি করে জানবে ঐ ছবি আমার কাছে
অনাদায়ী খাজনার সর্বশেষ নোটিশের কথাই বার বার মনে পড়িয়ে দ্যায়”।
সাজ্জাদ বিপ্লব আমাদেরকে এমন কবিতারই উদ্ধত-অবিনীত ছবি দেখাচ্ছে এ আশা রাখছি।
এই কবিতাটা পেইন্টিং নামক ডিসিপ্লিনের সব প্রশাখা সমেত দাঁড়ানো এক বৃক্ষের মতো। এর নিচে বিশ্রাম নিতে আসা পথিক রীতিমতো অস্থির হতে বাধ্য। কারণ কবি এখানে খুব ইন্টেনশনালি চিত্রকলায় উঠে আসা মানব জাতির নানা অগ্রগতি, ঐতিহাসিক ও উল্লেখযোগ্য নানা ফেনোমেনাকে ডিল করতে চেয়েছেন।
এছাড়া ”তুমিই কি সেই প্রাগৈতিহাসিক ফার্টিলিটি অবচেতন রানী?” ব’লে বোধ করি তারুণ্যের শক্তিকে ইতিহাসের স্রষ্টা হবার আহ্বান জানিয়েছেন। এমনকি পাঠককে ‘বহুরুপী’ ব’লে তার সুপ্ত সম্ভাবনার প্রতি দিক নির্দেশ করা হয়েছে।
কবি সাজ্জাদ বিপ্লব নিজেও তার ব্যক্তি, সমাজ ও বৈশ্বিক জীবনে সৃজনশীলতার নানা শাখায় প্রস্ফূটিত হইতে চান। তবে স্বকীয়তার স্ববিরোধিতা ক’রে তার রাবীন্দ্রিক শব্দচয়ন ‘হতেম’, ফ্রয়েডীয় সাইকো-এনালিটিক্সের ভুল উচ্চারণ/প্রয়োগ ‘অবদমন’ শব্দটি কবিতার দুর্বলতা প্রকাশ করে। কদাচিত এও মনে হয় – উনি কবিতার সুরে গান গাইতে এসে জ্ঞানের নানা শাখার বাদ্য বাজিয়ে শিক্ষকতার মতো ঝুঁকি নিচ্ছেন কিনা কে জানে! তবে তারোধিক দুর্বলতা হলো – এনলাইটেনমেন্টকে কবির শুধুই ”বালিশের নিচের উজ্জ্বল আলো” জ্ঞান করা। কারণ বালিশের নিচের এই পদার্থে কেবল গণতন্ত্র নেই, আধুনিকায়নের নামে গণহত্যা এবং ফ্যাশিজমটাও ঘাপটি মেরে থাকে।
তারপরও তার জ্ঞানের সব উৎকর্ষতাকে নিজ আদর্শের রঙে অ্যাকোমোডেট করার এবং সেগুলোকে ছাপিয়ে নতুন একটা ছবি আঁকার প্রবণতা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এ কবিতাকে ‘২০ মিনিটে উত্তরাধুনিক বিশ্বভ্রমণ’ বলা যায়।