চোখ
বৃষ্টিতে আকাশ ডুবে যাচ্ছে–
এমন দুপুর নষ্ট কোরো না
এসো ঘন হয়ে বসি।
পরবর্তী লেখা নিয়ে কথা বলি–
তোমার কবিতা ভীষণ সুন্দর।
যেন মায়াময় কুহকের ডাক–
বন্য ব্ল্যাকহোল
নীরব সবুজ,
তামাটে রঙের পুরোনো এক গুহা–
যেখান থেকে আর ফেরা যায় না।
বৃষ্টির ফোঁটার সঙ্গে ঝরে পড়ছে–
তুমুল অন্ধকার
আমার চোখ বন্ধ
চোখের ভেতর ভেজা আকাশ–
তোমার কবিতায় ভাসছে।
আমি তোমার নাম ধরে ডাকছি–
তোমার চোখের কাছে যাবো।
দেখা
ওঠো–
তোমার চোখের দিকে তাকাও
দ্যাখো, চোখের মণি।
ওঠো–
চা খাও, রোদের মতো
জ্বলে ওঠো পৃথক বৃক্ষ।
পাতার সবুজ বুকে
তোমার নাম লিখে রাখো।
আমার চোখ ভালো হলে দেখবো।
তাকিয়ে দেখো
নিদারুণ এই জল
চোখের ভিতরে–
ক্ষয়ের বিস্তার;
মৃত্যু!
হলুদ পাথর– সুন্দর অভয়
কাছে এসে বসো,
ছুঁয়ে দেখো আঙুলে জড়ানো
আদিম সাম্যবাদ
ক্রন্দন এবং শ্রবণ।
অথচ–
কান্নার চেয়ে সুন্দর সত্য আর কিছু নেই
পতনের পূর্বে এই ভেসে থাকা–
অসম্ভব এই সুন্দর
আমি পদ্মের মতো কাঁদছি, কোথাও কিছু বলছি না
চোখের ভিতর
আমার দিকে তাকাও–
দেখো, আমার চুল অনেক লম্বা হয়েছে।
দেখো, জেগে আছি।
একদিন এসো–
আমাকে না জানিয়ে এসো
চুলগুলো বেঁধে দিয়ো।
দেরি কোরো না, পৃথিবীর বয়েস প্রায় শেষ
ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছি চোখের ভিতর
সময়ের শাদা মেঘের ভিতর
হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের চোখ।
তাপ থেকে নেমে এসো–
জানালা খুলে রেখেছি
রাতের রঙিন আলোয়
পথ চিনে চিনে
তুমি চলে এসো–
আমি চুল খুলে বসে আছি
চুলগুলো বেঁধে দিয়ে যাও।
ডাহুক
ভিজে ডাল থেকে–
উড়ে এসে
পাখিটি কিছু বলুক।
বৃষ্টি আর বাতাসে ভর করে
একটি ‘নিকট’ আমাকে ছুঁয়ে থাকুক।
এতোটা অপেক্ষার জন্যে
যে থাকে সেই তো আমার।
সেই তো ডাহুক
সে আমার রুহ্ …!
সুন্দর।
ভালোবাসার কবিতা।