spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদকবিতাগুচ্ছ কবিতা : সিদ্দিক প্রামাণিক

গুচ্ছ কবিতা : সিদ্দিক প্রামাণিক

শীত রাতে

ধরো, কনকনে শীতে
তোমার জানালা খোলা
কী যে হলো তোমার! এ–
রাতে নিজের ভেতর
ডুবে যাচ্ছো খোলামেলা।

দরজায় টোকা নাই
মানে কেউ আসছে না।
শিশিরের আনাগোনা
আর পাতা ঝরা ছাড়া।

তুমি ভাবছো–তোমার
মতো ওই চাঁদটাও
বড় একা। যদি কেউ
না-ই আসে ক্ষতি নাই।
ভালোবেসে কাছে থাক,
শুধু সেই শূর্পণখা।


ক্ষুধা

মর্নিং ওয়াকে বের হলে একটা ডিসপারেট
ক্ষুধা এসে গলা চেপে ধরে।
ছিনতাইয়ের স্টাইলে অন্যজন
পিস্তল তাক করে মাথা বরাবর।
আরও কয়েকজন ক্ষুধা এসে
তুলে নিয়ে চলে যায় গোপন আস্তানায়।

তাদের গিন্নিরাও চৌকস, সমান ভয়ংকর।
চাকু দিয়ে ফালি ফালি কেটে
সাজিয়ে রাখে তরমুজের মতো।
পরিমান অনুযায়ী লবন ছিটিয়ে
আমাকেই
নাস্তার টেবিলে পরিবেশন করে চমৎকার


সমালোচক

একজন সমালোচক প্রায়ই আমার কবিতা
পড়ে বলেন–
ঠিক আছে, সবই ঠিক আছে।
শুধু
তোমার কবিতা থেকে
মৃত আর পচা কুকুরের গন্ধ পাই নাকে!

আমি সেই মৃত আর পচা
কুকুরের গন্ধ খুঁজতে খুঁজতে দেখি—
স্লেজে চড়ে
কোথাও চলে যাচ্ছেন তিনি।
তাকে টেনে টেনে নিয়ে যাচ্ছে—
আমার কবিতা থেকে উঠে আসা
তার দেখা
সেইসব মৃত আর পচা একচক্ষু কুকুরের দল


একদিন

কাটাতাঁরের সীমান্তে প্রায়ই
বাংলাদশেীদের হত্যা করে বিএসএফ।
আমাদের জলসীমায় এসে আমাদের জেলেদের
গুলি করে, ধরে নিয়ে যায় মায়ানমার।
আমরা চুপ করে থাকি
থাকতে থাকতে দেখি– সৌদি আরবে রেপ হচ্ছে
আমাদের বোন, গৃহর্কমী মা।
অনুমতি ছাড়াই আমাদের ঘররে ভেতর
যখন-তখন ঢুকে পড়ছে আমেরিকা

একদনি আমরাও পাল্টা গুলি করবো,
একটা খুন হলে তিনটা খুন করে ফেলে রাখবো–
ফেলানীর মতো
তারপর ঢুকে যাব আমেরিকার ঘরে
দরজা বন্ধ করে দেখিয়ে দেব–
তোমাদের এটমের চেয়ে
আমাদের শিশ্নটা কতোটা চৌকস, আর লক্ষ্যভদেী


নিবেদিতা সেন

পিংপং বল আর আপনার শরীর
নিয়ে খেলতে থাকা লোকটাকে
আপনি হাজবন্ডে বলে মান্য করেন।

কোথাও যাওয়ার আগে
চাবিটা গচ্ছিত রাখার মতো
আপনার চড়ুই চড়ুই মনটা আমার কাছে রেখে
চাকুরীতে চলে যান রোজ

ফিরে এলে আমিও ফিরিয়ে দিই সব
আপনার ঘরে এখন ইঁদুর,
বিবিসির সাথে ঢুকে পড়ে মহামান্য বাইডেন।
চায়ের পেয়ালা হাতে হাসতে হাসতে
বেসামাল
কিছুটা উছলে পড়ে আপনার শরীর

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ