প্রচ্ছদকবিতানির্বাচিত ২৫ কবিতা : সাজ্জাদ বিপ্লব

নির্বাচিত ২৫ কবিতা : সাজ্জাদ বিপ্লব

১. কবি

আমি ছাড়া পৃথিবীতে আর কোনো কবি নেই

নবী নেই যেমন

তেমন।

এখন

এ মূহুর্তে, এ মর্ত্যে–বলো কে আছে কবি

আমি ছাড়া?

কে লিখছে তোমার রূপ ও রসের বর্ণনা, কথা–

পরম্পরা ?

কবি আমি।

দামী না অ-দামী

সে তর্ক থাক–

যাক চাল-চুলো রসাতলে।

ক্রেডিট কার্ড বা কালেকশন কোম্পানির কল ও কোলাহল ভুলে

আমি গাই তোমার মহিমা।

মাহিমা চৌধুরী বা মাধুরী দীক্ষিত কিম্বা কিম কারদাশিয়ান এর নগ্ন ঝড় 

পারেনি

পর ও পথভ্রষ্ট করতে।

মরতে-মরতে আমি বেঁচে গেছি তোমার দয়ায়।

হায়, 

দয়ালু দাতা আমারি

করি তোমার গুণগান

অপরূপ রূপের আঁধার

তুমি সুমহান।

২. নস্টালজিয়া

হারিয়ে ফেলেছি কলম সেই কতকাল আগে

হারায়নি কলমের ধার

পার হয়ে আজ আটলান্টিক 

আটলান্টায় মন থাকে না আর

মা’র কথা মনে পরে, হররোজ কথা হয় স্কাইপে

তাইপে-টোকিয়ো-লণ্ডন-বাফেলো-বোস্টন-সিয়াটল…

কী অটল-অবিচল এই বিশ্ব–

নি:স্ব শুধু আমি।

দামী বিল গেটস-বাফেট কিম্বা হেলু স্লিম

নীল ছবির সানি ও কিম

হিম হয়ে আসে

আশে পাশে

ঘাসের পাপোসে

আপোসে

যেতে

প্রাণ থাকে তেতে। 

৩. স্ট্যাচু অফ লিবার্টি

দাঁড়িয়ে আছে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি।

আমাদের স্বাধীনতার অন্ধ স্তম্ভ 

দম্ভ কাঁধে নিয়ে।

সামনে ধুলিস্যাৎ টুইনটাওয়ার

পেছনে জিরো আওয়ার।

বিজয় মশাল তার এক হাতে

অন্য হাতে জ্ঞানের আলো।

সে আলোয় তাড়িয়ে কালো

জ্বালো নিজেরা, জ্বলো বিশ্ব জুড়ে।

পুড়ে দাও জ্ঞানের নগর ইরাক কিম্বা

প্যালেস্টাইন–

উই ডোন্ট মাইণ্ড।

উই ডিডন’ট সে ‘উই আর ব্লাইণ্ড’।

আমরা দ্খলদার ইহুদীদের বসত গড়তে দেখিনি।

মরতে দেখিনি কোনো শিশু ও যীশু

বেথেলহেমে।

যা আছে আমাদের এল্মে

তাহা-ই সত্য ও ন্যায়।

অন্যায় ও পথভ্রষ্ট বাঁকী সবকিছু।

আমরা সাদা-কালো দেখি না 

মানি না উচু-নীচু।

৪. ছন্দ অথবা অন্ধের কথা

ছন্দের কথা থাক তবে, এসো–

অন্ধের কথা বলি… 

কোন এক অন্ধকার রাতে

হাতরাতে-হাতরাতে

বন্ধ ঘরে এসে

হেসে ও ভালোবেসে 

সে বল্লো আমায়–

‘তোমায় দেখি’।

একি!

অবাক কাণ্ড

প্রকাণ্ড ও প্রচণ্ড রেগে 

বললাম, যাও ভেগে।

তারপর…

বাঁধলাম ঘর

তারে নিয়ে–

সে এখন দেখে আরো বেশী

অন্তর দিয়ে।

৫. ওষ্ঠো দিবস

আজ হোক ওষ্ঠো দিবস

গেয়ে উঠুক ঠোঁট তার জয়ধ্বনি 

কী বশ করেছি তারে জানাক সে

জনে- জনে

মনে-মনে ছিলো যত কথা

আর যত করেছি ব্যক্ত

ত্যক্ত হয়ে

যাক ক্ষয়ে আজ পাহাড় ও পাথর

কাতর আমি ভয়ে ও জয়ে।

প্রভু, তোমার সনে দেখা হলে

এই পাপীর ঠোঁট না যেন খোলে।

৬. কবিতা 

সে আমায় জ্বালায় ও জিজ্ঞাসে

কবিতা কী?

বলি, সে তো সত্য-সত্য শব্দ ও ছন্দের খেলা

মেলা ও মেলবন্ধন চিত্র ও কল্পনার

গল্প না, খানিকটা গল্পের মাধুরী মেশানো তাতে

তত্ত্ব ও তথ্যের নেই বাড়াবাড়ি 

ভাড়া বাড়ি নেই দৃশ্য ও দৃশ্য কল্পের

অল্পের জন্য বেঁচে যাওয়া

হাওয়া ও ধুলা থেকে।

তেতে ওঠে মাটি ও মাঠ

ঘাট প্রান্তর

অন্তর

অবশেষে…

ওঠে সে

হেসে

কবি ও কবিতা ভালোবেসে।

৭. কে আছো

কে আছো দূরে কে আছো কাছে

গাছে, পর্বত ও পাহাড়ে?

আহা রে!

করো ক্ষত -বিক্ষত

তবু

নত পাবে না আমারে।

আমার-ই মতো আমি থাকি। চলি পথ।

মত ও মত পার্থক্যের করি কেয়ার থোড়াই 

গোড়ায় গোয়ার গোবিন্দ 

রবীন্দ্র-নজরুল-জয়নুল করি পালন

লালন রিদয় জুড়ে

খুঁড়ে তুলে আনি প্রত্ন পাহাড়পুর-পুণ্ড্রনগর-ময়নামতি

অতি পুরাতন মুদ্রা আমার

কামার-কুমার-জেলে ও জলদস্যু আমার রক্ত

শক্ত ও শাক্ত আমার প্রতিবেশী

ক্ষতি বেশী এরা কক্ষনো করেনি, করবে না

জানা এ বর্ণনা।

তবু, যদি তুমি করতে চাও

নিহত আমায়

পাবে তৈরী 

বৈরী ও বৈরীতা না যেন থামায়, তোমায়।

৮. একজন কবি

কে বলে খুলবে না দ্বোর?

খুলে দিয়ে আশি লক্ষ ভোর–

দাঁড়িয়ে আছেন একজন কবি

এই বাংলাদেশে।

বীর বেশে।

সামনে তার রেলিং ধরা নদী

থুতথুড়ে বুড়ি, বুড়ি গংগা

গোংগাতে গোংগাতে যা এখন মৃত প্রায় 

ঘুড়ি ওড়ে না  আর আহসান মঞ্জিলের আকাশে

হোসেনী দালান হয়তো চালান হয়েছে অনেক আগে বাংলা লিংক দামে

নামে মাত্র টিকে আছে বাংলা ও বাংলাদেশ এই করপোরেট কালে

মাথায় পলাশীর শেষ সূর্য 

সিরাজউদ্দোউলার অনুপস্থিতিতে যা–

তিনি ধারন করে আছেন ।

হা, নীড়ে ফিরে আমি বলতে চাই

তিনি-ই এখন বাংলার স্বাধীন নবাব

একজন

শিকদার, আবদুল হাই।

৯. হে আল্লাহ

হে আল্লাহ, হে আশ্রয়দাতা

হে, রিজিকের মালিক, হে প্রভু

আমরা তো সামান্য পাখি, তবু

পাড়ি দেই কত দূর, অজানায়

আমাদের পথ তুমি সহজ করে দাও

সোজা করে দাও

চাও, যদি পরীক্ষা আরো

নিতে তুমি পারো

আমরা তো, ইব্রাহিম, মুসা, হারুণ, ঈসা ও মুহাম্মদের পথ চিনি

এবং সে পথ সত্য ও সঠিক বলে মানি।

আমাদের যতো পাপ-তাপ, গ্লানি

তুমি দূর করো।

আমাদের আগামী 

তোমার নূরে নূর করো

ফাবি আইয়ে আলা…

আমরা তোমার কোন অবদানকেই 

অস্বীকার করিনি

১০. বোকা মানুষের কবিতা

দেখো, এ প্রতিকূলে সবাই চলতে পারে না

সাহস করে না, আমার মতোন

অনুকূলে গা ভাসিয়ে নিশ্চিত থাকাতে

তাদের আনন্দ। তাদের যোগ্যতা।

পা চাটতেই তারা বেশী স্বাচ্ছন্দ্য।

তাদের মন্দ ভাগ্য নেই। তারা অসুখে নেই। 

সুখী-সুখী ভাব তাদের চেহারা জুড়ে। 

তাদের বেশভূষায় সুখের চুমকি দানা চকচক করে। 

কচকচ করে তারা খায়-ও দামী কাটা চামচে।

খচখচ করে আমার চোখে তা বিঁধে যায়। 

রাগে-ক্ষোভে আমি ফেটে পড়ি বেকুবের মতো।

বলো, পৃথিবীতে আমার চেয়ে বোকা কে আছে?

বাক্সবন্দী করে যে নিজের জন্য দুঃখ কিনে আনে!

১১. স্মৃতি

স্মৃতি ফিরে-ফিরে আসে

আসে বসন্ত ও শীত

ছবির মতো পেরিয়ে যাই

গ্রাম, নগর, শহর, বন্দর, প্রতিচ্ছবি 

পেরিয়ে যাই নিজেকে

পড়ে থাকে ছায়া

১২. লিটল ম্যাগাজিন

লিটল ম্যাগাজিন আমার প্রাণ

আমি লিটল ম্যাগাজিনের সন্তান।

চলি কাল থেকে কালান্তর

জানি না কে আপন কে-বা পর

ঘর নাই যে নিজের

বসত আজ বিশ্ব চরাচর

আদি পিতার হাতেই প্রথম প্রচ্ছদ আমার

কবি ও কবিতার আদি পুরুষও তিনি

তারে আজ চিনি বা না-চিনি

পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা আঁকা তার গল্প ও ছবি

কী করে ভুলি–

আজো ভুলিনি আদি মাতা কবি হাওয়া

হাওয়ায়-হাওয়ায় ছড়িয়ে পড়া 

শুদ্ধতার ঘ্রাণ ও গান

কলতান।

যদি না থাকে মানে

বাজে কি প্রাণে?

টানে একান্তে দু’জনে কুজনে

১৩. আমি অথবা অকবিতা

কবিতা

কিছুই না

আমি যা উচ্চারণ করি 

তা-ই কবিতা।

আমার স্বপ্ন 

কবিতা।

আমার আশা

কবিতা।

আমার জীবন-যাপন

কবিতা। 

তোমরা কবিতা দেখতে

বা বুঝতে চাইলে–

আমায় 

দেখে নিও।

১৪. বিশ্বাসের ভূগোল

হারিয়ে বন্ধু যাইনি আমি–

একাকী রয়েছি দাঁড়িয়ে।

সব কিছু ছাড়িয়ে–

যাবো  আজ।

লাজ-লজ্জা সীমাহীন।

সংকীর্ণ সীমানায়

বলো আমায় কী মানায়?

হাতের আঙ্গুলে দেখো পুরো 

বিশ্ব হাঁটে।

বিশ্বের হাটে আমি হাঁটি একা

ও একাকী।

আসবে সে একা কি?

খুলেছি প্লে স্টোর, ফেসবুক, গুগল

আমাদের বিশ্বাসের ভূগোল।

১৫. কেউ নেই কিছু নেই

আজো কেউ নেই, কিছু নেই, এই দিনে।

সব কিছু হারিয়ে গেছে! কিম্বা লুকিয়ে আছে–

যেমন দিনের তারারা লুকিয়ে থাকে রাতের গভীরে

আমার অন্তরে তুমি, তোমার হৃদয়ে আমি

মিশে আছি এক হয়ে।

১৬. ধীর

আমি কেমন, এখনো, প্রচারণায় পিছিয়ে আছি!

সবাই যেখানে, যখন, উঠে যাচ্ছে, ঠিকঠাক তড়তড় করে, সময় মতোন–

শুধু আমি সেখানে পেছনে পড়া

ঈশপের সেই সে কচ্ছপ, যেন–

যার লক্ষ্য স্থির। কিন্তু ধীর।

আমি ধীর লয়ে চলায় বিশ্বাসী। ক্রমাগত–

তোমার দিকেই হাঁটছি। ধীর গতিতে

১৭. এই দিন 

এই দিনটি ঘুরে-ফিরে আসছে–

কিন্তু কোন স্মৃতি নেই।

নেই কোন চিহ্ন ও ছায়া। বা ভীতি।

কোথাও কি সত্যি কেউ নেই? কিছু নেই?

থাকেই না! 

হয়তো থাকে। কিম্বা না।

আমরা শুধু দাগ আঁকি, মনের ক্যালেন্ডার জুড়ে

লাল-নীল, ইচ্ছে মতো।

১৮. নার্সিসাস

নিজেকে ছাড়া কাউকে যে ভালোবাসি না

নিজেকে ছাড়া কাউকে চিনিও না

চেনা যায়? 

নিজে যখন নিজের কাছেই ফিরে আসি

নিজেকে দেখি উল্টে ও পাল্টে

ঘুরে-ফিরে। ঘরে ফিরে–

তবু, নিজেকে পাই না।

মনে হয় আমি যেন অন্য কেউ

অচেনা-অজানা এক যুবক পুরুষ

বসত করছি এক সঙ্গে

ভিন্ন-ভিন্ন আঙ্গিকে। আদলে। চেহারায়।

কখনো-কখনো যার, কোন-কোন মুখ 

চকিতে একটু দেখা যায়

১৯. আশা 

কখনো আশা ছাড়তে নেই

নেই নিরাশ হতেও–

আশা ও ভরসার অপর নাম জীবন।

মুদ্রার দু’পীঠ।

উল্টে -পাল্টে দেখাতেই আনন্দ…

২০. রঙিন

আজ রবিবার। আমাদের নিঃশর্ত ভালোবাসা দিন।

এ দিনে, আমরা যে রঙিন।

রঙ আমাদের দেহে। মনে।

পৃথিবীর সর্ব কোণে।

আমরা রঙিন। তাই পৃথিবী রঙিন।

২১. কবিত না লিখলে 

কবিতা না লিখলে

কি হয়?

কবিতা না লিখলে

কিচ্ছু হয় না।

তবে–

কবিতা না লিখেও

ঘুম থেকে উঠে এককাপ কড়া করে

চা খাওয়া যেতে পারে।

কিম্বা আলসেমি করে টি.ভি-তে

নিউজ দেখা অথবা ফেসবুকে ঢুঁ মারা যায়

বউয়ের ঝাড়ি থেকে বাঁচতে

অফিসগামী হওয়া যায় সকাল-সকাল

ভাগ্য যদি ভালো থাকে

কর্মস্থলে ঠিকঠাক মতো পৌঁছানোও

কোন ব্যাপার না।

কবিতা না লিখলে–

বাড়ি ফিরে বউয়ের আঁচলে ঢোকা

কিম্বা না ফিরে আড্ডাবাজিতে মেতে ওঠা যায়

বাচ্চাকাচ্চা থাকলে

একটু সময় কাটানো যেতে পারে

বা সংসার নিয়ে

গৃহকর্তীর সাথে সামান্য থেকে

বৃহদাকারে ঝগড়াঝাঁটি হতে পারে নিমেশেই

আর যদি স্ত্রৈণ হোন বা হই

সব মেনে নিয়ে সংসারে টিকে থাকা যায় চুপচাপ।

কবিতা না লিখলে

এভাবে–

আস্ত একটা সাদামাটা দিন থেকে

সারাটি জীবন কাটিয়ে দেয়া যায় চোখ বন্ধ করে।

কিন্তু

কবিতা না লিখল–

কারো কারো

রতি সুখেও শান্তি মেলে না।

২২. একটি গার্হস্থ্য কবিতা

দেখো, আমি এখনো চিনি ছাড়া চা খাই

(কেননা, আমরা চা পান করাকে এখনো খাওয়া বলি)

সকালে উঠে কাজেও যাই

তোমাকে স্টেশনে পৌঁছে দেই

বাচ্চাদের স্কুল বাসে

এ-ই আমার প্রাত্যহিকতা, আনুসাঙ্গিকতা, বিলাসিতা

বাঁধাধরা জীবনযাপন।

তুমি আছো তাই, চিনি ছাড়াই চা।

২৩. প্রশান্তি

আমার কোনো কালে কোনো কিছু ছিলো না

আজো নেই। ভবিষ্যতে কি থাকবে, তা জানি না।

আমি ভাবীকাল নিয়ে চিন্তিত নই। পরকাল নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা নেই। 

চিন্তাহীন ভারমুক্ত এক ভাবুক মানুষ আমি। 

আমার মাথায় জ্বলজ্বল করে অদেখা প্রশান্তি।

২৪. স্মৃতি

ফিরে আসছে সকল স্মৃতি

কিছু মুছে যায় না। যায়নি। তোমার। আমার।

হয়তো বিবর্ণা। কিছুটা রঙিন।

ঝুলে আছে দেওয়াল জুড়ে–ভুলগুলো সাদাকালো।

আমাদের।

২৫. নতুন বর্ষে 

আজ, বছরের শেষ দিন।

আমার যে ভেসে যাওয়ার কথা, কবিতায়-কবিতায়

আনন্দে উৎফুল্ল থাকার কথা।

নতুন কোন উপমা আবিষ্কারে, অলঙ্কার প্রয়োগে, অহঙ্কার ধারণ করে।

আসছে দিনে, আমার ঘর ভরে যাওয়ার কথা

অজস্র সন্তানাদিতে।

কথামালায় মুখরিত হওয়ার কথা লিভিং রুম।

পিনপতন নীরবতায় আমার কোন সায় নেই

বন্ধ্যাত্বে আমার বিশ্বাসও নেই।

আমি আমোদী। আহ্লাদী।

আমার এ মন জুড়ে প্রেম। দেহ জুড়ে ভালোবাসা। 

আমি, পুরোটা রঙিন। ঝকঝকে। অমলিন।

আমার জন্যই প্রতিটি নতুন বর্ষে 

দেখো, সূর্য ওঠে।

​​

​​

​​

​​

আরও পড়তে পারেন

5 COMMENTS

  1. চমৎকার আয়োজন। বোধ ও মননকে জাগ্রত করে তুলবার জন্য শব্দের ঝঙ্কার আর ছন্দের তালে মুখরিত হৃদয়কানন। শুভেচ্ছা নিরন্তর।

  2. ব্যাক্তিত্ব বোধের, অনুভূতির অসাধারণ প্রকাশ এই কবিতাগুলো।

  3. এগুলো সহজ ভাষার কিন্তু গভীর ইশারার কবিতা। সাথে জিয়োপোয়েটিক্স ও স্বদেশের স্মৃতির আয়নায় নিজেকেও যেন দেখা হয়ে গেলো। তোমার এতোগুলো কবিতা একসাথে পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য বাংলা রিভিউকে ধন্যবাদ।

  4. সাজ্জাদ বিপ্লবের কবিতায় অসাধারণ একটা গতি আছে যা ধাক্কা দিয়ে দিয়ে সামনের দিকে নিয়ে যায়। পড়া শুরু করলে শেষ না করে থামা যায় না। এ-এক অন্যরকম ছন্দের ক্ষিপ্রতা। অন্তাদি-অনুপ্রাসের কারণের প্রথম দিকের কবিতাগুলোতে এই গতি তৈরি করেছে। বিষয়বস্তুর পারম্পর্য অপরিকল্পিত, স্বতঃস্ফূর্ত, এটিও আমার ভালো লেগেছে। নানান জায়গা থেকে রঙ এনে একটি পূর্ণাঙ্গ চিত্র নির্মাণের দক্ষতা আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

সৈয়দ আহমদ শামীম on বাংলা বসন্ত : তাজ ইসলাম
Jhuma chatterjee ঝুমা চট্টোপাধ্যায়। নিউ দিল্লি on গোলাপ গোলাপ
তাজ ইসলাম on রক্তাক্ত স্বদেশ
আবু বকর সিদ্দিক on আত্মজীবনীর চেয়ে বেশি কিছু
ঝুমা চট্টোপাধ্যায়। নিউ দিল্লি। on জন্মদিনের কবিতা : সাজ্জাদ বিপ্লব
দিশারী মুখোপাধ্যায় on গুচ্ছ কবিতা : গোলাম রসুল
দিশারী মুখোপাধ্যায় on নির্বাচিত ১০ কবিতা : কামরুজ্জামান
তাজ ইসলাম on Menifesto of the Inevitable Revolution
কাজী জহিরুল ইসলাম on দীর্ঘ কবিতা : তাজ ইসলাম
দীপশিখা পোদ্দার on গুচ্ছ কবিতা : কাজল সেন
সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব on গুচ্ছ কবিতা : তাজ ইসলাম
নয়ন আহমেদ on রবীন্দ্রনাথ
নয়ন আহমেদ on কিবরিয়া স্যার
বায়েজিদ চাষা on গুচ্ছ কবিতা : অরুণ পাঠক
আবু আফজাল সালেহ on দীর্ঘ কবিতা : অভিবাসীর গান
কাজী জহিরুল ইসলাম on রবীন্দ্রনাথ
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on গুচ্ছ কবিতা : হাফিজ রশিদ খান
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on অক্ষয় কীর্তি
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on অক্ষয় কীর্তি
নয়ন আহমেদ on আমার সময়
মোঃবজলুর রহমান বিশ্বাস on গুচ্ছ কবিতা : দিলরুবা নীলা
তৈমুর খান on অক্ষয় কীর্তি
তৈমুর খান on অক্ষয় কীর্তি
তৈমুর খান on অক্ষয় কীর্তি
কাজী জহিরুল ইসলাম on অক্ষয় কীর্তি
Quazi Islam on শুরুর কথা
আবু হেনা আবদুল আউয়াল, কবি ও লেখক। on আমিনুল ইসলামের কবিতায় বৈশ্বিক ভাবনা
ড. মোহাম্মদ শামসুল আলম, নওগাঁ সরকারি কলেজ নওগাঁ। on আমিনুল ইসলামের কবিতায় বৈশ্বিক ভাবনা
নয়ন আহমেদ on ঈদের কবিতা
নয়ন আহমেদ on ফেলে আসা ঈদ স্মৃতি
নয়ন আহমেদ on ঈদের কবিতা
পথিক মোস্তফা on ঈদের কবিতা
পথিক মোস্তফা on স্মৃতির ঈদ
পথিক মোস্তফা on ঈদ স্মৃতি
Sarida khatun on ঈদ স্মৃতি
নয়ন আহমেদ on ঈদ স্মৃতি
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on দীর্ঘ কবিতা : আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ
পথিক মোস্তফা on শৈশবের ঈদ : একটি স্মৃতি
পথিক মোস্তফা on স্মৃতির ঈদ
নয়ন আহমেদ on স্মৃতির ঈদ
নয়ন আহমেদ on আমার ঈদ
নয়ন আহমেদ on ঈদের আনন্দ
শাদমান শাহিদ on শৈশবের ঈদ উৎসব
নয়ন আহমেদ on শৈশবের ঈদ উৎসব
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on সাম্প্রতিক কবিতা : নয়ন আহমেদ
মুস্তফা জুয়েল on আমি আর আমার গাযালি
কাজী জহিরুল ইসলাম on গুচ্ছ কবিতা : মুর্শিদ-উল-আলম
মোহাম্মদ মাহিনুর আলম (মাহিন আলম) on অপদার্থবিদ্যা
সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব on দেশপ্রেমের ১০ কবিতা : সাজ্জাদ বিপ্লব
কাজী জহিরুল ইসলাম on বিশ্ববিচরণশীল কবিমানুষ
কাজী জহিরুল ইসলাম on বিশ্ববিচরণশীল কবিমানুষ
আবু সাঈদ ওবায়দুল্লাহ on নির্বাচিত ২৫ কবিতা : সাজ্জাদ বিপ্লব
মোহাম্মদ মাহিনুর আলম (মাহিন আলম) on প্রিয়াংকা
প্রত্যয় হামিদ on শাহীন খন্দকার এর কবিতা
মহিবুর রহিম on প্রেম ও প্যারিস
খসরু পারভেজ on কাব্যজীবনকথা
মোঃ শামসুল হক (এস,এইচ,নীর) on সুমন সৈকত এর কবিতা
এম. আবু বকর সিদ্দিক on রেদওয়ানুল হক এর কবিতা