spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদগদ্যফেলে আসা ঈদ স্মৃতি

লিখেছেন : তাজ ইসলাম

ফেলে আসা ঈদ স্মৃতি


তাজ ইসলাম

ঈদ আসলে আনন্দ হত। আমরা আনন্দিত হতাম কাগজের টুপিতে। ঈদের দিনের জন্য আনা হত কাগজের টুপি। চাঁদ রাতেই সে টুপি মাথায় দিয়ে পাড়া মাতাতাম। চাঁদ রাতে ঘরে ঘরে মা চাচীরা চুলোর কিনারে ব্যস্ত থাকতেন। আন্দেসা,ডুবা,পাক্ষন, মশলা পিঠা ছিল ঈদের প্রধান আয়োজন। নকশি পিঠাকে পাক্ষন বলা হয়।আমার দাদা নানা আপন দু ভাই। দাদারা সাত ভাই।আমার মা বাবা আপন চাচাতো ভাইবোন। বড় মামার তখন এক ছেলে,এক মেয়ে। আমি আমার মায়ের একমাত্র সন্তান। মা মামী পালা করে পিঠা বানাতেন। রোজা ঈদে পিঠার পরিমান বেশি হত। কুরবানী ঈদে তুলনা মূলক কম বানাত।
একবার আমরা গরম গরম পিঠা খাচ্ছি।পিঠার কামড়ে আমার মামাতো বোনের দাঁত পড়ে গেছে।আমি দৌড়ে মা মামিকে খবর জানালাম।আমার কথা শুনে তারা হাসছেন। পড়া দাঁত ইঁদুরের গর্তে দিতে বললেন। এদিকে তার দাঁত থুথুর সাথে হারিয়ে গেছে। তার আর দাঁত উঠবে না বলে আমরা ভয় দেখিয়ে মজা করেছি।

রোজা ঈদে পিঠা বানানোর পর্ব শেষ হত উনত্রিশ রোজায়।উনত্রিশ রোজাকে চাঁদ রাত ধরে সবাই পিঠা বানানো শেষ করে ফেলত। তখনতো এখনকার মতো সহজে জানাজানির এতো আয়োজন ছিল না। রোজা ত্রিশে হলে গৃহিণীদের একটু মন খারাপ হত। যারা বানায়নি তারা আবার খুশি হত।বাড়তি দিনে তারাও পিঠা পর্ব শেষ করে নিতেন।

হাতে কাটা সোয়াই পিটাও বানানো হত।বাজারি সেমাইতো ছিলই।ঈদে পোলাও ছিল অন্যতম আকর্ষণ। পোলাওয়ের সাথে কোর্মা নামে সুস্বাদু আইটেম ছিল,যা এখন আর চোখে পড়ে না।
আমাদের এলাকার বহু মানুষ ঢাকায় কর্মরত ছিলেন। এখনো আছে।ঈদের আগে তাদের গ্রামে ফেরা উৎসবকে আরও প্রানবন্ত করে তুলতো। কেউ বাড়ি এলে ছোটরা দৌড়ে তাদের ঘরে ভিড় জমাতাম।প্রত্যেকেই বাড়ির ছোটদের জন্য আলাদা খাবার নিয়ে যেত। বিস্কুট বা চকলেট ছিল এসব খাবারের তালিকায়। প্যাকেট খুলে হাতে হাতে একটা চকলেট বা দুতিনটা বিস্কুট দিয়ে দিত।কী যে খুশি হতাম। আমরা পয়সা জমাতাম।
দশ পয়সা,পাঁচ পয়সা,চার আনা,আটানা পয়সায় আমাদের সঞ্চয় বৃদ্ধি পেত। পরিমান কারও পাঁচ টাকা,কারও দশ টাকা হত।নিজেদের সঞ্চয় আর ঈদের দিনে পাওয়া ঈদি দিয়ে সারাদিন মজা খেতাম। কেউ কেউ খেলনাও কিনতো।

ঈদের দিন গ্রামে গরু জবাই হত। জবাইকৃত গরুর গোশত এলাকার স্বচ্ছল মানুষেরা ভাগা হিসেবে নিয়ে আসত।যতদূর মনে পড়ে একশ টাকায় আড়াই সের গোশত হত।কখনো কখনো সোয়া দুই সেরও হত।সোয়া দুই সের হলে সমালোচনা করত দাম বেশি হয়েছে বলে। এই মূল্যে বিক্রি করে যে কয়জনে গরু কিনেছে তারা প্রত্যেকে এক ভাগা ফ্রি নিত। এটাই ছিল তাদের লাভ।

আমাদের ঈদগাহ ছিল জয়কা প্রাইমারি স্কুল মাঠে।বড়রা মাঠে নামাজে দাঁড়ালে ছোটরা স্কুলের বারান্দায় দৌড়াদৌড়ি করতাম।মাঠ সংলগ্ন পুকুরে অযু করতো মুসুল্লিরা। ঘাট আঘাটে নেমে অযু করতো। আমার বন্ধু মজিবুরদের বাড়ির টিউবওয়েলে অযুর জন্য ভিড় করতো মুসুল্লিরা।তখন আমরা ছোট।এতোটাই ছোট স্কুলেও ভর্তি হইনি।বন্ধুত্ব বা পরিচয় হয়েছে আরও পরে।মজিবরের বাবার নাম আব্দুস ছোবান। চাচা আবদুর রাশিদ। আমরা ছোবানের কল বলে চিনতাম। দৌড়াদৌড়ি করে হয়রান হয়ে গেলে কলের পানি খেতে চলে যেতাম ছোবানের কলে।স্কুল মাঠেও চাপ কল ছিল। এ কলে মুসুল্লিদের ভিড় লেগেই থাকত। জয়কা ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়া হত অন্তত দশগ্রাম মানুষের। তার আগে ঈদগাহ মাঠ ছিল কান্দাইল ঈদগাহ মাঠ। আমাদের বুঝার বয়সে আমরা কান্দাইল মাঠে নামাজে যাইনি।বাপ চাচাদের জবানে শুনেছি। কান্দাইল ঈদগাহ মাঠে কেওয়াজ লেগে ভেঙে যায়।জয়গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজ শুরু। এই মাঠের মুসুল্লিরাও পরে আরও একাধিক মাঠে ছড়িয়ে পড়ে। জয়কা ঈদগাহ মাঠে নামাজ পড়াতেন সেকান্দার মুন্সি। এক ঈদে ইমাম সাহেব আসতে দেরী হচ্ছে। মুসুল্লিদের অস্থিরতার ভিতরই খবর আসে ছেমাআটির লোকেরা এই মাঠে আর আসবে না।তারা আলাদা মাঠে নামাজ পড়বে।ইমাম সাহেবকে নতুন মাঠে নামাজ পড়াতে সুপারিশ করছে।ইমাম সাহেব এ বছর বিদায়ী নামাজ পড়ানোর শর্তে চলে এলেন।সেকান্দার মুন্সি আমার দেখা সরল মানুষদের একজন সেরা মানুষ। শিল্পপতি আওলাদ,খোকনের চাচা।একবার শেখ পরিবার ও অন্য পরিবারে মারামারি হয়।সেকান্দার মুন্সি আহত হয়। একজন নির্মল পবিত্র মানুষ হিসেবে পরিচিত মানুষ আহত হন।পক্ষ বিপক্ষ উভয়ই মনে দুঃখ পান। ভাই ভাতিজারা বললেন সাক্ষ্য দিতে। তার সাফ জবাব কার ঢিল লাগছে আমি দেখিনি। সুতরাং আমি কারও নাম বলতে পারব না। বিপক্ষের নাম তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়া হল।তার এক কথা, আমি মিথ্যা বলতে পারব না।পরে মামলায় আর তাকে সাক্ষী করা হয়নি।অবশ্য সে বিবাদ শেষমেশ গ্রাম্য শালিশেই সমাধান হয়েছিল। পরের ঈদ থেকে সেকান্দার মুন্সি জয়কা মাঠের বদল ছেমাআটির ঈদগাহেই রয়ে গেলেন। জয়কা ঈদগাহে ইমামতি করতে শুরু করলেন মাওলানা মুখলেছুর রহমান।তিনি নানশ্রী হাইস্কুলের মাওলানা শিক্ষক। তিনি এখন অসুস্থ।

কিছু দিনের মধ্যেই মাঠ কমিটির সাথে দ্বন্দ্বে জয়কা মাঠ ভেঙে আরও কয়েকটি মাঠ হল।খোঁজারগাও মাঠ,পারাকুল ঈদগাহ,কনিকপুরও সম্ভবত একটা মাঠ হয়েছে। পারাকুলের মাঠে আমরা নামাজ পড়েছি বহু বছর।হঠাৎ পারাকুল থেকে বেরিয়ে গেল খোঁজারগাও। বেরিয়ে গেল জয়কা বড়বন্দের বাড়ি। বড় বন্দের বাড়িতে মাঠ হয়নি।মসজিদে আদায় করে নামাজ মুসুল্লিরা।শিশুরা কিছুটা হলেও বঞ্চিত মাঠের আনন্দ থেকে। একটা মাঠ থেকে অনেকগুলো মাঠ।জনসংখ্যার বৃদ্ধির চেয়ে ব্যক্তি দ্বন্দ্বটাই এখানে মুখ্য।ঈদগাহগুলোও ভিলেজপলিটক্সের আঁচড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জয়কা স্কুল মাঠে বর্ষায় নামাজে যেতাম নৌকায়।রাস্তাঘাট তলিয়ে যেত পানিতে। ঈদের মুসুল্লিদের আনা নেওয়ার জন্য আমার বাপচাচারা নৌকা ভাড়া করতেন।আমাদের বাড়ির সাথেই ছিল নয়াবাড়ি। নয়াবাড়ির লোকজন মাছ ধরতো।তাদের ছোট বড় অনেক নৌকা ছিল। বড় একটা নৌকা ভাড়া করা হতো। রমজান যে প্রতিবছর দশ দিন করে এগিয়ে আসে। চন্দ্র মাস আর সৌর মাসের এ হিসাব বুঝার বয়স হয়নি। তাই বহু বছর ঈদ এলে বর্ষা খুঁজতাম।
রোজার মাসে রাতে আম কাঁঠালের ঘ্রাণ নাকে মুখে লেগেছিল বালক বয়স পর্যন্ত। বয়স বাড়ছে আর আম কাঁঠালহীন রোজা আসছে। মনে মনে রোজায় আম কাঁঠালও খুঁজছি। মাকে বলতাম মা এবার রোজায় আম নেই কেন? কাঁঠাল নেই কেন? মা বলতেন আবার আম কাঁঠালের মৌসুমে রোজা আসবে ছত্রিশ বছর পর। ততদিন হয়তো আমরা মরে যাব।আলহামদুলিল্লাহ আমার মা বেঁচে আছেন।বাবা বেঁচে আছেন।
আমার মা গ্রামের একজন সরল সহজ মানুষ।আমি স্কুলে ভর্তি হয়েছি। মা খুব খুশি। আমি যখন ক্লাস নাইনে পড়ি। মা,বাবা,পাড়াপড়শি সবাই খুশি।
আমাদের বাড়ি মূল সড়কের দক্ষিণ পাশে।আমার আগে দক্ষিণ পাশের কয়েক বাড়ির কেউই এস এস সি পাশ করেনি।
স্কুলগামী কোন ছেলেই ছিল না বলা যায়।
আমি তাই সবার চোখে পড়ার মতো ছেলে ছিলাম।

জয়কা ঈদগাহে নামাজ পড়তে গেছি। প্রচুর রোদ।কাতারে বসে আছি।বয়ান চলছে,বক্তব্য চলছে।এক সময় নামাজে দাঁড়াবে। আমি গরমে অস্থির।বাবাকে বললাম গরম লাগছে।স্কুলের বারান্দায় চলে যেতে বললেন। মুসুল্লিরা তাকবির বলে নিয়ত বাঁধবে।আমি চলে আসছি এতোটুকু মনে আছে।তারপর আরেকবার নিজেকে আবিষ্কার করি ছোবানের চাপ কলের নিচে আমি।পরে জানতে পারলাম আমি দাঁড়াতে গিয়েই অজ্ঞান হয়ে গেছিলাম।
একটু বড় হওয়ার পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোয়ালাকিয়া ঈদগাহে চলে যেতাম ঈদের জামাত আদায় করতে।ফিরতে ফিরতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যেত।ফিরে এসে ঈদের আনন্দ যেন ম্লান মনে হত। তাই এক দু বার গিয়ে আর যাওয়া হয়নি।আমরা শৈশবে ঈদের নামাজের পর দলে দলে বেড়িয়ে পড়তাম বড়দের সালাম করতে।আমাদের বাড়িটি বড় হাওড়ের এক কোণে বড় বন্দের বাড়ি নামে পরিচিত।সমগ্র বাড়িতে আমাদের গোষ্ঠী ছাড়াও আরও একটা গোষ্ঠী আছে।বাড়ির উত্তর ও দক্ষিণে আমরা।মাঝখানে যারা আছে তাদের আমরা মাঝের বাড়ি গোষ্ঠী বলেই ডাকি।পুরো বাড়িটি উত্তরের বাড়ি,দক্ষিণের বাড়ি, মাঝের বাড়ি হিসেবেই পরিচিত।ঈদের নামাজের পর সকল মুরুব্বিদেরই সালাম করতাম। সালাম বলতে কদমবুচি করাই ছিল রেওয়াজ।আমরা কোন সালামির আশা করতাম না,বা পেতাম না। দোয়াটাই ছিল কাম্য।নামাজ ফিরত আমরা সালাম না করলে যেন অতৃপ্তি থেকে যেত।
জীবনের এই প্রান্তে এসে আমার কদমবুসি করা লোকগুলো ক্রমশঃ নাই হয়ে যাচ্ছেন। আমার চাচী মারা গেছেন। চাচাতো বড় ভাইরা হারিয়ে যাচ্ছেন।চাচারা নাই হয়ে যাচ্ছেন। আমার আপন বড় চাচা এখনো জীবিত আছেন।

আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাঁড়িয়ে দোয়ায় অশ্রুসিক্ত হই আজও। এখন অবশ্য সবসময় বাড়িতে যাওয়া হয় না। সালামের রেওয়াজটাও আগের থেকে অনেকটা শিথিল। সালামের চেয়ে এখন সালামিটাই মুখ্য হয়ে গেছে। পোষাক দামী না কমদামী তা কোন বিষয় ছিল না।নতুন পোষাকই ছিল আনন্দের বিষয়। গ্রামের সমবয়সীদের অনেকেরই ঈদ মার্কেটের অন্যতম ছিল নতুন জামা,একটি লুঙ্গি,গেন্ডু গেঞ্জি।আমার লুঙ্গির সাথে যোগ হত পায়জামা। আতর তুলায় লাগিয়ে কানে গুঁজে দেওয়াও ছিল একটা বাড়তি ফ্যাশন।

আমার ছোট একটা ইস্ত্রি ছিল। এটা ১৯৮৮/৮৯ এর কথা। কয়লা দিয়ে গরম করতে হত।ঈদের বিকেল থেকে চাচাতো ভাই,চাচারা তাদের জামা এনে দিয়ে যেত।অনেকে কয়লা নিয়ে আসত।ইস্ত্রি করার জন্য আগে থেকেই চুলা থেকে কয়লা জমা করে রাখত। কোন কোন জামা কুঁচকে পিঠের উপর উঠে যেত।আয়রনের ডলায় সেগুলো সোজা হয়ে যেত।কুঁচকানো জামা সোজা হয়ে নতুনের রূপ ধারণ করত।তখন আশপাশে লন্ড্রির কোন দোকান ছিল না। কাপড় ডলতে ডলতে মাঝরাত হয়ে যেত। আমার রাগও হত,আনন্দও পেতাম। তখন বুঝিনি। এখন বুঝি। একটা কাপড় আয়রন করে দেয়ায় তাদের চেহারায় হাসির ঝিলিকটা আজ স্মৃতির পর্দায় ভাসে। এই স্বর্গীয় আনন্দ আজ যদি আবার সুযোগ পেতাম তাহলে রাতভর ইস্ত্রিই করতাম। এক ঈদে আমার আপন চাচী এলেন রাত প্রায় এগারটায়।চাচাতো ভাইয়ের শার্ট নিয়ে।আমি তখন আয়রন বন্ধ করব। চাচী হেসে বললেন ও বেডা এই শাটটা একটু আয়রন করে দেও। চাচীকে আমরা ঝি ডাকতাম। আমার ঝি মারা গেছেন বহু বছর।আমি প্রায়ই কল্পনায় দেখি আমার ঝি একটা শার্ট হাতে নিয়ে হাসতে হাসতে বলছেন তার ছেলের শার্টটা ইস্ত্রি করে দিতে।
আমার এই আয়রন সেবা ‘৯৪ পর্যন্ত প্রতি ঈদেই অব্যাহত ছিল।
পরে যতই বয়স বাড়ছে ঈদ আসছে বটে, আনন্দও আসছে।তবে সেই সময়ের নির্মল,পবিত্র আনন্দের পরশের মাঝে মিহি একটা পর্দার আড়াল দাঁড়িয়েছে অস্পষ্টভাবে। এখনতো কোন কোন ঈদ কেবল আনুষ্ঠানিকতায়ই রয়ে যায়।
আহ আবার যদি ফিরে পেতাম সেই রঙ করা কাগজের টুপির ঈদের দিনগুলো! কতই না সুখের হত।
এখন ঈদ আসে জীবনের জটিল ভাঁজে লুকিয়ে থাকা নানা বাস্তবতার খবর নিয়ে। অনেক হিসাব নিকাশ নিয়ে। সব হিসাব মিলাতে গিয়ে ঈদ থাকে।তবে কখনো আনন্দ হারিয়ে যায়।কখনো বাড়ে ব্যর্থতার বেদনা। তবু ঈদ আসলে মুখে মুখে সয়লাব ঈদ মুবারক।

০৯/০৪/২০২৪
ঢাকা।

আরও পড়তে পারেন

1 COMMENT

  1. এই ঈদে অনেক স্মৃতি পড়লাম।
    প্রতিটি স্মৃতিই অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ