মুহম্মদ মতিউল্লাহ্
শৈশবে একটি নিবিড় গ্রামীণ পরিবেশে এক নিস্তরঙ্গ ভাবোচ্ছ্বাসময় একটি অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘গীতাঞ্জলি’র সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়। স্কুলের নিচু ক্লাসের সিক্স কিংবা সেভেনের ছাত্র তখন। যে স্বপ্নময় ছবির মতো ছায়া সুনিবিড় গ্রামে আমরা বড় হয়েছি, সেই গ্রামের একটি তরুণ বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। একটি গুণীজন-সংবর্ধনা সভায় অন্যান্য গুণীদের সঙ্গে সেই তরুণকেও সংবর্ধনা জানানো হবে তাঁর স্নাতকোত্তর উপাধি অর্জনের কৃতিত্বে। দেওয়া হবে ‘গীতাঞ্জলি’ গ্রন্থটি। যেহেতু সে সভার প্রধান আয়োজক আমার বাবা এবং সাহিত্যসভার কার্যালয় আমাদেরি বাড়ি, তাই তার সমূহ আয়োজনের যাবতীয় ব্যস্ততা আমাদের দৃষ্টি ছুঁয়ে যায়। সভা বসল, যতদূর মনে পড়ে, এক চৈত্রের দুপুরে। একটি নিবিড় আম-জাম-বট-পাকুড়ের ছায়া শোভিত তালা পুকুরের পাড়ে। কোনো মঞ্চ নেই, মাথায় আচ্ছাদন নেই, সভাপতি বা প্রধান অতিথির আলাদা বসার ব্যবস্থা নেই। শুধু শাদা সতরঞ্চির ওপর নানা বয়সের মানুষের পরপর এসে বসা। কোথাও রোদ, কোথাও অনালোক ছায়া, আর চৈত্রের অবিরল পাতা ঝরে পড়া। অনুষ্ঠানের নানা পর্যায়িক রকমারিতায় এক সময় এল সেই ক্ষণ। সভাপতির কণ্ঠে ঘোষিত হল গ্রামের সেবছরের বাংলায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জনকারী সেই তরুণের নাম; তুলে দেওয়া হবে বাংলা সাহিত্যের মহাগ্রন্থ ‘গীতাঞ্জলি’। নাম ঘোষিত হতেই সেই তরুণ শাদা পায়জামা আর শাদা ফুল-শার্ট পরা সেই তরুণ, এগিয়ে গেলেন সভাপতির দিকে, এবং মেঝেতে হাঁটু মুড়ে অর্ধ দণ্ডায়মান হয়ে সভাপতির হাত থেকে গ্রহণ করলেন ‘গীতাঞ্জলি’। হাঁটু মুড়ে বসে বিশিষ্ট বিনত মুদ্রায় ‘গীতাঞ্জলি’ গ্রহণের এই চিরায়ত দৃশ্যটি সেই বালক বয়স থেকে আজও আমি লালন করে চলেছি। ‘গীতাঞ্জলি’র সঙ্গে সেই শৈশবে দেখা বিনত মুদ্রাটি এক আন্তরঐক্যে কেন সামীপ্য অর্জন করেছিল, সেদিন আমার জানা ছিল না। সেই গ্রহণের ভেতর দিয়ে অদৃশ্য কোনো দাতা-গ্রহীতার সম্বন্ধসূত্রটি অরব অরচনায় এক চিরকালীনতায় বেজে উঠেছিল আমাদের শৈশবে। মনে পড়ে ততদিনে আমরা পাঠ্যপুস্তকে পড়ে ফেলেছি
‘অন্তর মম বিকশিত করো
অন্তরতর হে
নির্মল করো, উজ্জ্বল করো,
সুন্দর করো হে।’
এটাও যে ‘গীতাঞ্জলি’র কবিতা জেনেছিলাম অনেক পরে।
‘গীতাঞ্জলি’র মূল সুর ‘আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণধূলার তলে। সকল অহংকার হে আমার / ডুবাও চোখের জলে।’ বোঝা যায়, পরম ভক্তজন সমস্ত অহংকার আর আত্মগৌরব অঞ্জলি দিচ্ছেন পরমের কাছে। আত্মসমর্পণেই তার আনন্দ-অহংকার। চোখের জলে ডুবে যাক যত ব্যক্তিগত অহংবোধ, ব্যক্তির অস্মিতা। এই আত্মনিবেদন আর অশ্রুর অঞ্জলি ঈশ্বরের প্রতি। মনে হয়েছিল সেই বয়সে প্রশ্নাতীত এই আত্মনিবেদন আর অশ্রুর অঞ্জলি, এর ভেতরেই তো জীবনের সার্থকতা; একটি ভক্ত মানুষ যেমন নিয়ত পুষ্পাঞ্জলি অর্পণ করে দেবতার পায়ে কিংবা প্রতিদিন অন্তত পাঁচবার নামাজের মধ্য দিয়ে প্রণিপাতে বিশ্বপ্রভুর কাছে সর্বস্ব নিবেদন করে তো এমনই প্রার্থনা ‘তোমারি ইচ্ছা করো হে পূর্ণ/ আমার জীবন মাঝে।’
তাহলে ঈশ্বর তুমি তাই যেমনটি স্থির বলে দিয়েছে শাস্ত্রগ্রন্থ? যেমনটি বর্ণনা করেছেন ধর্মগুরুরা? তাহলে তুমি কি কেবলি ছবি, বর্ণনার ফ্রেমে আঁটা? স্থির নিশ্চল? অপরিবর্তনীয়? ঈশ্বর কি এ স্বাধীনতাটুকুও দেবে না, যা নিয়ে আমি বলতে পারি ‘ঈশ্বর তোমার মতো আমিও নন্দিত।’ এবং আমি সংগোপনে এ-ও বলতে পারি:
‘বন্ধুরা বিদ্রুপ করে তোমাকে বিশ্বাস করি বলে;
তোমার চেয়েও তারা বিশ্বাসের উপযোগী হ’লে
আমি কি তোমার কাছে আসতাম ভুলেও কখনো?’ (অলোকরঞ্জন দাশগুপ্ত)
শাস্ত্রশাসিত ঈশ্বর সে স্বাধীনতা দেবে কিনা জানি না; কিন্তু মানুষের ঈশ্বর যিনি সর্বমানবিক ঈশ্বর, রবীন্দ্রনাথের ‘গীতাঞ্জলি’র ঈশ্বর সেভাবেই ভাবতে শেখায় ভক্ত বন্ধুকে। যতবার ‘গীতাঞ্জলি’ পড়েছি, মনে হয়েছে ‘গীতাঞ্জলি’র মূল সুর আত্মনিবেদন হলেও তা একমাত্র নয়। পরমেশ্বরের প্রতি ভক্তির অনতিরিক্ত আতিশয্যের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিসর্গের রকমারিতা আর প্রেমের শ্বেতশুভ্র ভুবনখানি। চরাচরব্যাপী লৌকিক জীবন এবং সেই সঙ্গে অবশ্যই এক অমৃত-লোক-উৎসব। পরমেশ্বরের কাছে ভক্তের যে আত্মসমর্পণ সে ভগবান কোনো শাস্ত্র নির্দেশিত প্রাতিষ্ঠানিক ভগবান নয়। রক্ত-মাংসের মানুষের অস্মিতার সঙ্গে সে ভগবানের অস্তিত্ব জড়িত। আমি আমার ঈশ্বরকে রচনা করতে পারি বলেই আমার জগৎ আমার ঈশ্বরের জগতের সঙ্গে একাকার হয়। আমি আমার সমস্ত অস্মিতা নিয়ে জেগে আছি, তাই জেগে আছে ঈশ্বর। তার সবটুকু প্রেমের বাণী আমাকে ঘিরে। ‘আমি নইলে ত্রিভুবনেশ্বর তোমার প্রেম হতো যে মিছে।’
জীবনের প্রান্তবেলায় এসে মংপুতে বসে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন একদিন, ‘আমি কোনো দেবতা সৃষ্টি করে প্রার্থনা করতে পারি নে, নিজের কাছ থেকে নিজের সেই দুর্লভ মুক্তির জন্য চেষ্টা করি। যে চেষ্টা প্রত্যহ করতে হয়, তা না হলে আবিল হয়ে ওঠে দিন। আর তো সময় নেই, যাবার আগে সেই বড় আমিকেই জীবনের প্রধান করে তুলতে হবে, সেইটেই আমার সাধনা।’
‘গীতাঞ্জলি’ ইংরেজি অনুবাদে যখন পশ্চিমের পাঠকের হাতে পৌঁছাল, লক্ষ করলেন তারা, বলা ভাল তারা ওপর ওপর লক্ষ করলেন এই ভক্ত-ভগবানের সম্পর্ক, আত্ম-নিবেদনের আবেশ। ওপর ওপর তা লক্ষ করেই পশ্চিমের পাঠকের কেউ কেউ দেখলেন ‘গীতাঞ্জলি’র কবির ওপর খ্রিষ্ট ধর্মের প্রভাব। ‘পাশ্চাত্য একদল ধর্ম ব্যবসায়ী বলতে প্রবৃত্ত হলেন এইসব কথা তো খ্রিষ্টধর্মের প্রভাবেই লেখা এবং আমাদের দেশের বহু লোক, সেই কথা আরো জোরে প্রতিধ্বনিত করতে প্রবৃত্ত হলেন।’ আর এ কারণেই রবীন্দ্রনাথকে ‘কবীরের অনুবাদ ক’রে দেখাতে হল এই জাতীয় ভাব ইংরেজ আমলের পূর্বে এই দেশে ছিল, কবীরের মধ্যে ছিল।’ কিন্তু কেন রবীন্দ্রনাথ এও বললেন না বহুপূর্ব থেকেই ভক্ত-ভগবানের রকমারি সম্পর্কের দ্যোতনা মাধুর্য ছিল বৈষ্ণব পদাবলিতেও। এবং সে ভক্তির রাগ রক্তিমায় লেগেছে লৌকিক প্রেমের রঙ। কী আছে কবীরের দোঁহায়? কবীর মূলত এবং প্রধানত ভক্ত। কবিত্ব তাঁর গৌণ অস্তিত্ব। ভক্তের ভক্তির নির্যাসটুকু বড় একরূপতায় ফুটে আছে কবীরের দোঁহায়। আর রবীন্দ্রনাথের ‘গীতাঞ্জলি’ প্রধানত রূপরসগন্ধঋদ্ধ এক কবির সৃষ্টি। কবীরের দোঁহায় ভক্ত আকুল-আত্ম নিবেদন করেন। একপক্ষীয় সে নিবেদন। আত্ম নিবেদনের আত্মহীনতায় তার সার্থকতা। ‘গীতাঞ্জলি’র গীতিকবিতায় আছে আত্মনিবেদনের সহজ শুভ্রতা, প্রেমের সাতসমুদ্র; প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি নিয়ে ভক্তেরও দাবি, আছে আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশা। ‘গীতাঞ্জলি’র কবি কবীরের দোঁহার মতো আত্মবিস্মৃত নন। রূপদক্ষ কবির হাতে নির্মিত হয়েছে ‘গীতাঞ্জলি’র গানের ভুবনখানি। সেই গীতায়ত ভুবনে পরমেশ্বরের কাছে আত্মনিবেদনে যুক্ত আছে প্রেমিক-প্রেমিকার অনুরাগরঞ্জিত দাবি সমূহ। ক্ষুদ্ধের চিৎকার নয়, আছে দুঃখ, অপ্রাপ্তির বেদনা। ক্রমশ পথ পেরিয়ে পেরিয়ে নিসর্গলোকের শান্ত সমাগমের মধ্য দিয়ে একাকী পথিকের মহাযাত্রার আনন্দ-বেদনা। কিন্তু কী আছে পথের শেষে? সবটুকু দেখে-শুনে পথ ও পথের বাঁক পেরিয়ে যদিও পার হতে হল ‘অন্তবিহীন পথ’ কিন্তু ‘সুধাশ্যামলিম পারে’ কি পৌঁছানো গেল? পথের শেষে কী আছে জানার চেয়ে পথ চলাতেই তো আনন্দ। দিন রাত্রি জুড়ে কেবল আছে এক অনুপম অপেক্ষা; দূরশ্রুতি ছাপিয়ে কেবল শোনা যায় তার চরণের ধ্বনি। আবহমান কাল জুড়ে কেবলই অপেক্ষা, কেন না অনন্তকাল ধরে চলে আসছে তার পথিকবৃত্তি—
‘তোরা শুনিসনি কি শুনিসনি তার পায়ের ধ্বনি,
ওই যে আসে, আসে, আসে।
যুগে যুগে পলে পলে দিন-রজনী
সে যে আসে, আসে, আসে।’
বসন্তবাণীর ভেতর দিয়ে, ফাগুনের বনপথ ধরে, কত শ্রাবণ অন্ধকারে মেঘের পরে মেঘ সাজিয়ে ‘সকল সুরে বেজেছে তার আগমনী’ অশ্রুত পদধ্বনি। সেই সঙ্গে যেন সে নিয়ে আসে দুঃখের জমাট ভার। অশ্রুর নির্বাক সংলাপ। কার সঙ্গে হবে অভিসার? সে তো শুধু এক অমূর্ত অপেক্ষা। ঝড়ঝঞ্ঝার ভেতর গহনরাত্রে, সেই অভিসারের অপেক্ষায় ‘পরানসখা’ বন্ধুর জন্য ‘দুয়ার খুলি’ সমগ্র সত্তা জুড়ে এক বিপুল কামনা নিয়ে। কিন্তু দুয়ার খুলে কিছুই তো পাওয়া যায় না। শুধু শূন্যতার ভেতর বেজে ওঠে আরও নিঃসীম শূন্যতা—
‘সুদূর কোন্ নদীর পারে,
গহন কোন বনের ধারে,
গভীর কোন অন্ধকারে
হতেছ তুমি পার।’
তোমাকে পাওয়ার জন্য অপেক্ষার শেষ নেই। বুঝি তৃষ্ণারও শেষ নেই। কিন্তু সমস্ত আয়োজনের পরেও যদি না মেলে দেখা। আয়োজনেই কি কর্তব্য তবে শেষ? অপেক্ষা তো করেছিলাম—এটুকুতেই তবে কি তৃপ্তি?
‘রক্তকরবী’ নাটকে একবার বিশু পাগলকে
বলতে শুনি আমরা, পৃথিবীতে এমন কিছু দুঃখ আছে যাকে ভোলার মতো দুঃখ আর নেই। ‘গীতাঞ্জলি’তেও আমরা শুনি ভক্তি প্রেম দুঃখ বিরহ একাকার হয়ে থাকা অমোঘ উচ্চারণ
‘যদি তোমার দেখা না পাই, প্রভু
এবার এ জীবনে
তবে তোমায় আমি পাইনি যেন
সে কথা রয় মনে।
যেন ভুলে না যাই, বেদনা পাই
শয়নে স্বপনে।’
এই পাঠের সূত্র ধরে কোনো পাঠকের মনে পড়ে যেতেও পারে রবীন্দ্রনাথের ‘শান্তিনিকেতন’ গ্রন্থের উপদেশমালা, ‘যতদিন সেই প্রেমের টান না ধরে ততদিন শান্তিতে কাজ নেই— ততদিন অশান্তিকে যেন অনুভব করতে পারি। ততদিন যেন বেদনাকে নিয়ে রাত্রে শুতে যাই এবং বেদনাকে নিয়ে সকালবেলায় জেগে উঠি—চোখের জলে ভাসিয়ে দাও, স্থির থাকতে দিয়ো না।’
অপেক্ষার ভেতর সক্রিয়তা যতটুকু থাকে তার অন্য নাম মনোযোগ। কিন্তু মনোযোগ শুধু কি একলা আমারই? তারও আকাঙ্ক্ষার বার্তা আকাশ কি জানিয়ে দেয় না? ‘গীতাঞ্জলি’-র ভগবান, সুতরাং, নিজে নিজে যথেষ্ট নন। ভক্তের জন্য তারও থাকে পথচলা। অপেক্ষায় অপেক্ষায় তারও চোখে ‘অশ্রু দোলে’। রবীন্দ্র-প্রেমিক আবু সয়ীদ আইয়ুবের চোখ দিয়ে আমরা দেখেছি ‘গীতাঞ্জলি’র ভগবান আপনাতে আপনি পরিপূর্ণ নন।’ তিনিও বিরহী।
‘সন্ধ্যা হল একলা আছি বলে
এই যে চোখে অশ্রু পড়ে গলে
ওগো বন্ধু, বলো দেখি
শুধু কেবল আমার একি
এর সাথে যে তোমার অশ্রু দোলে।’
‘গীতাঞ্জলি’র জগৎ যেন এক লৌকিক আর অমৃতলোকের সমীপরেখায় অবস্থিত।
সরল অনায়াস সেই বিশ্বাস আর অনুভবের জগতে আছে মর্ত মাটির লৌকিকতা, একই সঙ্গে ‘অমৃতলোকের গন্ধ’।
‘ডাকঘরের’ অমল অপেক্ষায় থাকে রাজার চিঠির। ‘রক্তকরবী’র নন্দিনী শুধু এই বার্তা ধারণ করে রঞ্জন একদিন আসবে। ‘গীতাঞ্জলি’র কবিরও সমগ্র গীতিকবিতার ভুবন জুড়ে থাকে এক অপেক্ষা। বুদ্ধদেব বসু’র ভাষায় ‘অপেক্ষাই তার ব্রত আর বৃত্তি।’ কিন্তু প্রার্থিতজন ‘অবিরামভাবে আসন্ন হয়েও অধিকাংশ সময় আগত হন না।’ শুধু শোনা যায় কিছু ইঙ্গিতধ্বনি। হতে পারে তা বীণাধ্বনি কিংবা পদধ্বনি কখনো। বাতাসে সুগন্ধের ইঙ্গিতও যে আসে না, এমন নয়। এই ইঙ্গিত ধ্বনি সমগ্র ‘গীতাঞ্জলি’ জুড়ে এক অরব অপেক্ষার বার্তায় বর্ণিল। ক্রম অগ্রসরমান এক পথিক সে শুধু চলেছে। গন্তব্যে পৌঁছানোর চেয়ে চলাাটাই বড় ব্যাপার। মিলনের প্রত্যাশায় নিরন্তর চলছে সে অপেক্ষা। এক পূজা থেকে আর এক পূজা পর্যন্ত অপেক্ষার নামই পূজা। আমার কাছে ‘গীতাঞ্জলি’ সেই বিশুদ্ধ অপেক্ষার অঞ্জলি।