মুসা আল হাফিজ
সাত.
আল্লাহর পয়গাম্বর হিসেবে হযরত মুহাম্মদ সা. কে পশ্চিমা অধ্যয়ন হাজির করেনি বললেই চলে। এ অবশ্য ঠিক যে, খ্রিস্টান অবস্থান ধরে রাখা এক পণ্ডিতের কাছে তাঁকে আল্লাহর রাসূল হিসেবে মেনে নেয়ার আশা করাটা একটু বেশি হয়ে যায়। কিন্তু মহাপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধার আশাটা তো করাই যায়। কিন্তু এ জায়গায় প্রাচ্যবাদ কখনোই নির্মোহ হতে পারেনি। যদিও একাডেমিক অধ্যয়নের জন্য নির্মোহ হওয়াটা একান্ত জরুরী। কিছু সম্মানজনক ব্যতিক্রম ছাড়া প্রাচ্যবিদরা যখনই মুহাম্মদ সা.কে উল্লেখ করেছেন, তীর্যক ভাবটা সযতনে ধরে রেখেছেন। যখন প্রশংসা করেছেন, নানামুখি নিন্দার ভেতর থেকে করেছেন। ফলত এ প্রশংসাকেও পরিহাসের মতো শুনিয়েছে। মহানবীকে একটি নকল ধর্মের প্রবর্তক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে এবং ইসলামকে ব্যক্ত করা হয়েছে নীতি ও পদ্ধতির এমন এক কাঠামো হিসেবে, যার মধ্যে রয়েছে উদ্দেশ্য ও পদ্ধতিগত বহু মন্দের সমাবেশ। ওহীর অবতরণ, বহুবিবাহ, জিহাদ, আরব সংস্কৃতির বিভিন্ন বৈশিষ্ট বিদ্রুপের সাথে ব্যক্ত হয়েছে, এর সাথে যখন কোথাও ইতিবাচক কোনো বর্ণনা এসেছে, দেখে মনে হয়েছে, করুণা দেখানো হচ্ছে মাত্র! তবে যেসব এলাকায় মুসলিম ও খ্রিস্টানদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিনিময় জারি ছিলো, সেখানে ইসলাম শ্রদ্ধা আকর্ষণ করেছে নানাভাবে। ক্রুসেডারদের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ সিরিয়া-ফিলিস্তিনে এসে ইসলামে দীক্ষিত হন। তাদের উত্তরপুরুষরা আরবে রয়ে যান। অনেকেই গ্রহণ করেন বেদুইন জীবন। যাদের উল্লেখ আমরা পাই মুহাম্মদ আসাদের ভ্রমণকাহিনীতে, রোড টু মক্কা এর শিহরণময় আখ্যানে। ক্রুসেডে অংশগ্রহণকারী কিছু জবানী এ ব্যাপারে আমাদেরকে সাহায্য করে। William of Tyre ( আনু. ১১৩০-১১৮৪) রচিত Historia Rerum in Paritbus Transmarinis Gestarum গ্রন্থটি ১০৯৪ থেকে ১১৮৪ সালের বিবরণী শোনায়। এতে তার যে পর্যবেক্ষণ, তা ছিলো তখনকার বাস্তবতায় অগ্রসর জ্ঞানকর্ম। নিকট থেকে দেখার ফলশ্রুতিতে তিনি মুসলিমদের সেই জীবন অঙ্কণ করতে চেয়েছেন, যাতে তাদের জীবনকে কিছুটা হলেও পাওয়া যায়। প্রাচ্যবাদী অনুসন্ধানে এ বই গুরুত্বপূর্ণ। যাতে রয়েছে বাস্তবভিত্তিক প্রচেষ্টার স্বাক্ষর, যা তখনকার অনেক খ্রিস্টানের মানসিকতার প্রতিফলন ঘটিয়ে থাকবে। বস্তুত, এ সময়ে মুসলিম জীবন ও সমাজ যে কোনো বিবেচনায় পশ্চিমাদের চেয়ে ছিলো বিপুলভাবে অগ্রসর। ফলত আরব দুনিয়ায় আগত খ্রিস্টানদের একটি অংশ মুসলিম সভ্যতায় মুগ্ধ ও দীক্ষিত হবে, এ ছিলো স্বাভাবিক। অতএব আমরা দেখি, ক্রুসেডার লেখকের তরফে সালাহুদ্দীন আইয়ুবীর প্রতিও শ্রদ্ধাশীল বিবরণ, যে সালাহুদ্দীন ছিলেন ক্রুসেডের প্রধান প্রতিপক্ষ। wolfram von Eschenbash এর বিখ্যাত Parzifal ও Willchalm গ্রন্থ ইসলামের সৌন্দর্যকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার প্রাচ্যবাদী স্মারক।
মুসলিম শাসনাধীন স্পেন ও সিসিলিতে এর দৃষ্ঠান্ত রয়েছে বিপুল। দ্বাদশ শতকে Godfrey Of Viterbo রচিত Universal Chronicle গ্রন্থ ব্যতিক্রমের এক উদাহরণ। ইসলাম ও মহানবী সা. প্রশ্নে এতে তার ভাষ্য হিংসাশ্রয়ী প্রচারের খপ্পরে পড়েনি। সত্যের প্রতি থাকতে চেয়েছে নিষ্ঠাবান। খ্রিস্ট্রিয় ত্রয়োদশ শতকের শুরুতে আর্চবিশপ Don Rodrigo Jimenez de Rada ছিলেন আরেক দৃষ্টান্ত। প্রাচ্যচর্চাকে তিনি সত্যচর্চার দৃষ্টিতে দেখতেন। বিশেষত ইসলামপ্রশ্নে। তার Historia Arabum গ্রন্থটি ন্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আরব ইতিবৃত্ত শুনিয়েছে। কিন্তু যেখানেই রোমান চার্চ ও প্রশাসন, ইসলামবৈরী রাজনীতি ও প্রতিষ্ঠান, পাদ্রী ও সমাজপতিদের ঘৃণাত্মক নানা মতবাদ ও দৃষ্টিভঙ্গি ইসলামবিচারকে শাসন করেছে, সেখানে সুস্থ ও ইতিবাচক ভাবধারা প্রত্যাখাত হয়েছে।
এর মধ্য দিয়ে খ্রিস্টবাদী আবেগকে ভুল পথে জোরদার করা হয় এবং এর কেন্দ্রবিন্দুতে স্থাপন করা হয় খ্রিস্টধর্মের প্রাধান্যের প্রেরণা। যা ইসলাম ও মুসলিমদের সম্পর্কে কেবল যথার্থ জ্ঞান আহরণকে বাঁধা দেয়নি, বরং এর ভেতর থেকে মাথা বের করেছে মুসলিমদের জাতিগত উচ্ছেদ, ইনকুইজিশন, দেশে দেশে নির্বিচারে মুসলিম গণহত্যা, তাদের দেশ দখল, সম্পদ ডাকাতি, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে আক্রমণ, তাদেরকে নিজেদের দ্বারা শাসিত হতে না দেয়া, তাদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-চৈন্তিক স্বাধীনতাহরণ, জ্ঞান ও মেধাসত্ত লুণ্ঠনসহ অগণিত বিপর্যয়কে বৈধকরণের Ôযুক্তিÕ!
সেই ধারা কি আধুনিক কালপর্বে গতি হারিয়েছে? মোটেও নয়। আজও সে নতুন রং, রূপ, মাত্রা ও চাতুর্যসহ পুরনো সেই মানসের চর্চা জারি রেখেছে সবলে, সদর্পে।
আট.
একজন উইলিয়াম জোন্সকে আমরা দেখবো কলকাতার সুপ্রিম কোর্টের গ্র্যান্ড জুরি কক্ষে। সময়টা ১৭৮৪ সালের ১৫ জানুয়ারি । সমবেত ইংরেজ রাজপুরুষেরা আগ্রহভরে শুনছেন লন্ডন থেকে সদ্য–আগত ইংরেজ বিচারকের সফরনামা! শাসকবর্গের প্রতি তিনি সাবধানবাণী শুনান, এভূখণ্ডকে দখল করা মানেই শাসন স্থায়ী হয়ে যাওয়া নয়। একে শাসন করতে হলে এর সবটুকু জানতে হবে। তিনি আবেদন করেন, ‘এই ভূখণ্ডের যে–সব বিষয় এখনও পাশ্চাত্যের কাছে অজ্ঞাত, সেগুলি নিয়ে চর্চা করার জন্য একাধিক মানুষের সংগঠিত প্রয়াসের প্রয়োজন।’
সাম্রাজ্য জানতো, এসব জ্ঞানকর্ম্ তাকে রক্ত জোগায়। এগুলোর উপর ভর করে এগিয়ে চলে উপনিবেশের বৈধতার চাকা। ফলত গঠিত হলো ‘দি এশিয়াটিক সোসাইটি’। প্রাচ্য বিদ্যাচর্চার এটি এক অদ্বিতীয় প্রতিষ্ঠান। এর প্রধান হলেন স্যার উইলিয়াম জোন্স।ভারতে শুরু হলো এর যাত্রা। কিন্তু জোন্সের নজর ছিলো গোটা এশিয়ার দিকে। এখানকার বস্তুগত, অবস্তুগত সকল উপাদানই সোসাইটির আলোচ্য। স্পষ্টই তিনি বলে দিলেন, ‘ভারতকে কেন্দ্রে রেখে গোটা এশিয়ার ভৌগোলিক সীমার মধ্যে যা কিছু মানুষের দ্বারা সম্পাদিত ও প্রকৃতির দ্বারা উৎপাদিত’ তার সব কিছুই হবে এই প্রতিষ্ঠানের অনুশীলনের অন্তর্ভুক্ত।
লন্ডনের অভিজাত জোন্স পরিবারের সন্তান উইলিয়াম জোন্স মা মেরি নিক্সের কাছ থেকে পেয়েছিলেন প্রেরণা।তার জন্ম হয়েছিলো ১৭৪৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর, যখন ঔপনিবেশিক আবেগে ইউরোপ থরথর করে কাঁপছে । বাল্যে বাবাকে হারানো জোন্স ‘হ্যারো’র বিখ্যাত স্কুলেও পেয়েছিলেন সাম্রাজ্যবিস্তার ও সে জন্য জ্ঞানকে কাজে লাগানোর প্রেরণা। ফলত স্কুল জীবনেই নিয়মিত পাঠ্যঅধ্যয়নের পাশাপাশি গ্রিক, ল্যাটিন এবং আধুনিক ইউরোপীয় ভাষাগুলিতে লাভ করেন যথেষ্ট ব্যুৎপত্তি। ১৭৬৪ সালে যখন তিনি উচ্চশিক্ষার জন্য অক্সফোর্ডে আসেন এবং ‘সাইমন বেনেট ফাউন্ডেশনে’র বৃত্তিও লাভ করেন, তখনই অতিক্রম করেছেন আরবি ও ফারসি ভাষায় দক্ষতা লাভের প্রাথমিক স্তর। ১৭৬৮ সালে যখন অক্সফোর্ডে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করলেন, ইউরোপের রাজশক্তি তাকে সবচে সেরা জায়গায় কাজে লাগাতে চাইলো। সেটা হচ্ছে, প্রাচ্য তথা মুসলিম দুনিয়াকে জানা। ডেনমার্কের রাজা অনুরোধ করলেন। যেন তিনি প্রাচ্যের রাজনীতি বুঝার জন্য ফারসী ভাষায় রচিত ‘নাদির শাহের জীবনী’র অনুবাদ করে দেন ফরাসি ভাষায়। জোন্সের আত্মনির্মান এখানে থামবার ছিলো না। ‘মাস্টার ডিগ্রি’ লাভের পর তিনি মিডল টেম্পলে আইন অধ্যয়ন শেষ করে গ্রহণ করলেন আইনজীবীর পেশা। ১৭৭২ সালে যখন তার বয়স মাত্র ২৬ বছর, তখন পণ্ডিতদের ভোটে তিনি হন লন্ডনের ‘রয়্যাল সোসাইটি’র ফেলো । জোন্সকে কোথায় প্রয়োজন, জানতো ব্রিটিশ সরকার। পশ্চিমা সরকারগুলো তখন মেধাবিনিয়োগ করছে প্রাচ্যপাঠে, প্রাচ্যখননে। জোন্সকে সে জন্য প্রাচ্যে অবস্থান নিতে হবে। নতুন কাজের ময়দান তাকে আমন্ত্রণ করছে। তিনি স্থির করে নিলেন, সামনে তাকে কী কী কাজ করতে হবে। । ১৭৮৩ সালে তিনি এলেন ভারতে। তার জন্য কলকাতায় সুপ্রিমকোর্টের অন্যতম বিচারকের চেয়ার অপেক্ষমান। ক্রোকোডল নামের জাহাজে সওয়ার হয়ে আনা মারিয়াকে সাথে নিয়ে ভারতে তিনি এলেন। জাহাজে বসেই তালিকা করে নেন প্রাচ্যতত্ত্বের পরিসরকে সম্প্রসারিত চোখে দেখবেন এবং সে পথে কাজ করে নেটিভদের জ্ঞানে শাসন নিশ্চিত করবেন। সেসব কাজের একটি সূচিও সাজিয়ে নিলেন তিনি।
১৭৮৪ সালের ১৫ জানুয়ারির সভায় প্রথম ভাষণের মধ্য দিয়ে তাঁর উদ্দেশ্য সার্থকতা লাভ করল। গঠিত হলো দি এশিয়াটিক সোসাইটি।
১৭৯৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘দি এশিয়াটিক সোসাইটি’র প্রতিটি বার্ষিক সভায় স্যার উইলিয়াম জোন্স আরও যে দশটি ভাষণ দেন, সেগুলির মধ্য দিয়ে এশীয় জ্ঞানবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে তাঁর প্রজ্ঞার গভীরতা স্পষ্ট। সংস্কৃত শিখেছিলেন ভারতে এসে। অনুবাদ করেছিলেন কবি জয়দেবের ‘গীতগোবিন্দ কাব্য’ এবং ‘হিতোপদেশ’, ‘মনুসংহিতা’ ইত্যাদি গ্রন্থ। তার সবচে’ প্রভাবশালী কাজ মহাকবি কালিদাসের ‘শকুন্তলা’ নাটকের ইংরেজি ও ল্যাতিন অনুবাদ। ১৭৯৪ সালের ২৭ এপ্রিল কলকাতাতেই মৃত্যু হয়েছিলো। মাত্র দশ বছর ভারতে অবস্থান করে তিনি প্রাচ্যচর্চার এমন এক দ্বার উদঘাটন করলেন, যা সংস্কৃত ভাষাকে গ্রিকের চেয়েও মহিমান্বিত বলে দাবি করে। এর সাথে সম্পৃক্ত সবকিছুতে ঐশ্বর্য্ আরোপ করে। কিন্তু ভারতের অপরাপর জাতি, বিশেষত মুসলমানের থাকাটাই চোখে পড়ে না। তাদের অস্তিত্ব ও অবদান তার জ্ঞানমার্গে নাই হয়ে যায়। এই নাই হতে থাকা স্থানীয়দের বার্তা দেয়। আসলেই মুসলিমরা তো নাই? মহিমায় যেহেতু নাই, তাহলে সংস্কৃতিতে তাদের কী থাকে? রাজনীতিতে তাদের কী থাকে? কেন থাকে?
ভারতীয় সংস্কৃতি বলতে কেবলই হিন্দু সংস্কৃতিকে প্রতিষ্ঠা দেয়ার একটি অলিখিত, অস্পষ্ট কিন্তু প্রভাবশালী প্রচেষ্টার নমুনা হাজির হতে থাকে একে একে। হেনরি টমাস (১৭৬৫-১৮৩৬) এর প্রচেষ্টায় এ দিকটি ধরা পড়ে মোটাদাগে। তিনি ছিলেন জোন্স পরবর্তী এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর একজন সিভিলিয়ান এবং কোম্পানী প্রধান স্যার জর্জ্ কোলব্রুকের পুত্র হিসেবে তিনি কোম্পানির লক্ষ্য ও পলিসির যথার্থ্ ধারক ছিলেন বটে। তার প্রাচ্যতত্ত্ব চর্চা সেই স্বার্থের নির্দেশে হচ্ছিলো পরিচালিত। ১৮১৫ সালে লন্ডনে তিনি রয়্যাল সোসাইটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। ১৮৩২ সালে তা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তিনি হন এর সভাপতি। এর আগে এশিয়াটিক সোসাইটিকে তিনি স্থায়ী জমিতে প্রতিষ্ঠা শুধু দেননি, একে দেন স্থায়ী কর্মধারা। সরকারী নিভিউ কালেক্টর থাকাবস্থায় তিনি সংস্কৃত ভাষায় আগ্রহী হন এবং ঐকান্তিকভাবে তা শিখে নিতে বিলম্ব হয়নি। Digest of Hindu Laws সংস্কৃতে তার পাণ্ডিত্যের জানান দেয়। ১৮০১ সালে তিনি ছিলেন সদর দেওয়ানী আদালতের বিচারক, ১৮০৪ সালে হন বিচারপতি। ১৮০৭ থেকে ১৮১২ অবধি ছিলেন গভর্ন্র জেনারেলের কাউন্সিলের সদস্য। ১৮১৫ এর পরে তাকে আমরা দেখি ফোর্ট্ উইলিয়াম কলেজে বিনাবেতনে হিন্দু আইন পড়াচ্ছেন, সংস্কৃত ভাষা শেখাচ্ছেন। অমরকোষ নামে রচনা করেন সংস্কৃত অভিধান। Algebra of the Hindus (১৮১৭)গ্রন্থে জোর দিয়ে বলেন, ভারতে যখন বিজ্ঞানের বিশেষ উন্নতি ছিলো, তখন ইংল্যান্ড ছিলো পাথরযুগে পতিত। অনুবাদ করেন হিন্দু উত্তরাধিকার আইনগ্রন্থ দায়ভাগ ও মিতাক্ষর। সংকলন করেন, Hindu Law of Inheritance।
তার ভারত ছিলো একটি হিন্দুভারত। ভারতের বিজ্ঞান, ভারতের অতীত, ভারতের গৌরব বলতে হিন্দু বিজ্ঞান, হিন্দু অতীত ও হিন্দু গৌরবকে তিনি নিরবে ব্যক্ত করেছেন।
[ চলবে…]