spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদকবিতাদীর্ঘ কবিতা : রিকেল বড়ুয়া

দীর্ঘ কবিতা : রিকেল বড়ুয়া

ধর্ম ও বিদায়বেলার গান

১৷ একজন মানুষের ভেতরে দেবদত্ত প্রবেশ করার বহু
পূর্বেই সেখানে ভ্রমণ করেন প্রিয় বোধিসত্ত্ব ৷

২৷ যাকে নিয়ে এ মহান উৎসব
তার ভেতরে তুমুলযুদ্ধ ;
তাকে আমি বিশ্বাস করি অধিক ৷

৩৷ যাকে পেয়ে ভয়ে কেঁপে উঠেছিলেন
সুখে হেসে উঠেছিলেন
অহংকারে কেঁদে উঠেছিলেন
তার নাম ভূত নয়— প্রেম ৷

৪৷ তুমি যখন মাথা নত করে প্রার্থনা করো সুখ
আমি দাঁড়িয়ে গান গাই মৃত্যুর;
আমি যখন মাথা নত করে প্রার্থনা করি তোমাকে
তুমি দাঁড়িয়ে করো বেদনার অহংকার।

৫৷ তিনমাস গভীর বৃষ্টির পর সন্ধ্যায় তোমাকে পেলে
ভুলে যাব সমুদ্রও ভয়ংকর৷
আমার সঙ্গে মৃত্যু দ্যাখতে যাবে ?

৬৷ তোমার পায়ের সবুজ মাটিকে দাবি করতে ভালো লাগে
তোমার চোখের নদী আকাশকে দাবি করতে ভালো লাগে
তোমার কঠিন চুলের সহজ সৌরভকে দাবি করতে ভালো লাগে ;
তাই বলে—
নির্বোধের মত তোমাকে দাবি করতে পারি না

৭৷ মানুষ মরে গেলেও
জোনাকি বেঁচে থাক
আজ বড় জ্যোৎস্নার অভাব

৮৷ চিরকাল কারো কারো শীতকাল
বরফে যারা সংগ্রহ করে বিষাদ
আমি তাহাদের গান গাই;
শীতকাল মানে আরও অধিক গভীর অসুখ নিয়ে তোমার পাশে শুয়ে থাকা
পৃথিবীটা চিরকাল শীতকাল হ’তো!

৯৷ আপনার আর আমার মধ্যে একটাই সাদৃশ্য
আমি ভেতরে লালন করি গৌতম,
আমার আর আপনার মধ্যে একটাই পার্থক্য
আপনি চর্চা করেন দেবদত্ত;
যদিও তিনি আমার অপ্রিয় নন
যেহেতু, আমি বিশ্বাস রাখি মানুষে৷

১০৷ হে প্রেম,
আমি তোমার শরীরকে এত বেশি পান করেছি যে
আমার শরীর খুব ধীরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

১১৷ এখানে এত অন্ধকার
তবু, তোমাকে এত উজ্জ্বল দেখি কেন ?
এখানে এত আলো
তবু, তোমাকে নিকটে পাই না কেন ?

১২৷ “মৃত্যু আমাকে খায় না, আমি মৃত্যুকে খাই”
এই শপথ করে জেগে উঠি সন্ধ্যায়:
লিখি— মানুষ
লিখি— শয়তান
লিখি— প্রেম
আঁকি— আত্মা

১৩৷ তোমার কাছে ঈশ্বর হতে গিয়ে
তাবৎ পৃথিবীর কাছে হয়ে উঠি এক মহান শয়তান।
হে প্রেম, তোমাকে সত্য মনে হয়
চির সুন্দর সহজ পবিত্র মনে হয়

হে প্রেম,
তোমাকে এমন শুদ্ধ মনে হয় কেন
তুমি কি তাই?
এত ঘ্রাণ
এত সুর
এ কী মধুর গান…

১৪৷ যদি দুঃখ হয়
তুমি ফিরে এসো এক সন্ধ্যায়
এ ছাদে খুব তোমার প্রিয় বৃষ্টি পড়ে;
যদি দুঃখ হয়
তুমি ফিরে এসো এক জ্যোৎস্নায়
এ ঘরে খুব তোমার প্রিয় আলো জ্বলে

১৫৷ “পৃথিবীতে আর কিছু পাওয়ার নেই”
এই বলে তুমি যখন চলে যাচ্ছ দক্ষিণে
পশ্চিমে মরে মরে মরে যাচ্ছে একটি প্রেমময় সূর্য

১৬৷ সন্ধ্যায় পাঠ করা হোক মানুষের হৃদয়
রাত গভীর হলে তোমাকে
মানুষের চেয়ে আরও বেশি কিছু ভাবি প্রিয় তোমাকে৷

১৭৷ প্রেম সে-ই পায়
প্রেমে যার চাহিদা থাকে;
এ অদৃশ্য ক্ষমতার যোগান দিতে কার না সাধ হয়
যদিও কঠিন ব্যথা নিয়ে মরে যেতে হয়

১৮৷ একা হবে কেন নারী?
মুখ বাড়িয়ে দ্যাখো—
কী এক চমৎকার প্রেম
তোমাকে আলিঙ্গন করছে নীরবে
আর তুমি, ধীরে ধীরে আরও ধীরে হয়ে উঠছো
পৃথিবীর নির্জনতম প্রেমিকা;
বৃষ্টিরাতে তোমাতে অধিক প্রেমে পড়া যায়

১৯৷ —এই শীতে জড়িয়ে রাখো প্রিয়
—তোমার চোখে এত আগুন কেন? ভালো লাগে মাদকতা?
—দ্যাখো, আমি বরফপথে শুয়ে আছি!
টাইটানিক ডুবে যাচ্ছে শহরে…

২০৷ তোমার কাছে এলে মনে হয়
সমগ্র পৃথিবীটা আশ্চর্য এক শরতকাল;
তবু, কেন, বারবার এই প্রতিজ্ঞ করি—
‘নভেম্বরের বৃষ্টিতে তোমাকে ভুলে যাব’

২১৷ তোমার পায়ের নখগুলো এতো মাধুর্য নিয়ে বেড়ে উঠছে
তা দেখে আমার হাতের নখগুলো বারবার কেঁপে কেঁপে উঠছে

২২৷ শীতরাতের মৃতদেহ এতো চমৎকার কফিন নিয়ে ঘুমিয়ে থাকে
মনে হয় শুয়ে আছে মৃত কাশফুল; কাশফুলের দুঃখ নেই কিংবা সুখ
তাকে ঘিরে যারা বসে থাকে তাদের চোখে ভীষণ শোক৷

২৩৷ আমি নদী— প্রেম সমুদ্র
সমুদ্রে মিশে যাওয়া ছাড়া আমার কোনো পথ নেই;
তুমি নদী— আমি সমুদ্র
সমুদ্রে মিশে যাওয়া ছাড়া তোমার কোনো গন্তব্য নেই

২৪৷ তোমার হাতের দিকে চেয়ে থাকতে নেই তোমার আঙুল কথা বলে
তাদের কথা আমি শুনতে পাই বসন্তে— তোমার বিবাহ ঋতু
তোমাকে ফিরে পাবো না আর, তবু শীত চলে যাবে শহর ফেলে;
গতরাত কাপ্তাই আজ রাঙামাটি পাহাড়গুলো তোমার মুখ আঁকে
গতরাত কাপ্তাই আজ রাঙামাটি নদীগুলো তোমার চুল আঁকে
তোমার চোখের দিকে তাকাতে নেই তোমার চোখ কথা বলে
আমি শুনতে পাই একা—

২৫৷ সত্যকে খুঁজে পাই না বহু দিন
তারা কি ঢুকে গেছে তোমার ভেতরে ?
তোমাকে খোলা হয় না বহুদিন
কেউ কি খুলে শুয়ে পড়ে দীর্ঘকাল?

২৬৷ কাবিতা হয়তো তোমার কাছে কিছুই নয়
তুমি কবিতার কাছে এক মৌলিক প্রাণ৷

২৭৷ এই নাও— শেষ হৃদয় তোমাকে দিলাম— খেয়ে ঢুকে পড়ো অন্য হৃদয়ে ৷

২৭৷ যে রমণী পানশালায় নেচে কাটিয়ে দেয় রাত
আমি তার ঘরে আবিষ্কার করি নতুন প্রভাত৷

২৮৷ তুমি কার দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছ তোমার বিষণ্ণ রক্ত গোলাপ
কোন চোখে ভরে দিচ্ছ শ্রাবণের কালো মেঘ
বড় বেদনায় কাঁদে কার দুটো হাত;
গ্রীষ্মরাতে প্রচুর বৃষ্টি হ’লে সমগ্র পৃথিবী নিয়ে
ঢুকে পড়ো তার ভেতর৷

২৯৷ তোমার স্তনের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জেনেছি
কীভাবে ব্যথা লয়ে ফিরতে হয় নদী সন্ধ্যায়৷

৩০৷ আমার বন্ধুর আছে মানুষের মুখের সৌন্দর্য সৃষ্টি করবার দক্ষতা
বিশেষ করে রমণীরা ঠোঁট খুলে ধরলে তার হাত কাঁপে

৩১৷ বোকাদের যে উজ্জ্বল করুণ মেধাবী আত্মা থাকে
মেধাবীদের সে মহৎ ভালোবাসা থাকে না
তাদের আঙুলে জেগে থাকে পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম বালক;
আমি বরং মেধাহীন হই৷

৩২৷ একটা গান গাও পদ্ম
বর্ষায়
হেমন্তে
বরফে কিংবা
আগুনে
একটা ছবি আঁকো নীলচিতা
শোকে
বেদনায়
হেসে কিংবা
অহংকারে

৩৩৷ শয়তান চলে গেছে
যাকে বকছো সে মহৎ;
জল শুকিয়ে এলে চোখের আমরা ফের উচ্চারণ করবো পাখিদের শব্দ,
দু’একটা অন্ধকার উজ্জ্বল বেদনা নিয়ে ডুবে গেলে শহরে
আমরা চলে যাবো চিন্তাহরণ বাগানে—
শুনেছি, শরতে ওখানে খুব সন্ধ্যা নামে৷

৩৪৷ তোমাকে ভালোবাসতে বাসতেই যদি আমার মৃত্যু হয়
আমি কি স্বর্গে যাব, প্রেম?
তোমার দিকে ঘৃণা ছড়াতে ছড়াতেই যদি একটা জীবন নষ্ট হয়ে যায়
ধর্ম কি আমাকে নরকের আগুনে পোড়াবে?

৩৫৷ তুমি পূর্ণিমার চাঁদ দেখেছ? কী এক উজ্জ্বল আলো
পৃথিবীর রাত আর প্রেমিকদের কী চমৎকার রোমান্টিক করে তোলে

তুমি চাঁদ দেখে কখনও কেঁদেছ? আমি কাঁদি
ভীষণ! সে এক করুণ কন্ঠস্বর—
তুমি আমার কান্নারাতের সে চাঁদ৷

৩৬৷ পুরো পৃথিবীটাকে আপনি মূর্খ এক চমৎকার উপাসনালয় ভাবতেই পারেন;
যেহেতু— আপনি ধর্মযাজক৷
যেহেতু, পৃথিবীটা চমৎকার এক ধর্মশালা
এখানে গান গাওয়া পাপ
কবিতা লেখা পাপ
সঙ্গম নিষিদ্ধ;
বড় জোর আপনি চুমু খেতে পারেন ঈশ্বরের পায়ে

৩৭৷ একটা মস্ত বড় ডাস্টবিনের ভেতর বড় হচ্ছি
খেলছি
ঘুমোচ্ছি
পড়ছি ভীষণ প্রেমে;
পৃথিবীটা কি তার চেয়ে গভীর কোনো গর্ত?

৩৮৷ ভাবছি তোমাকে খুন করব; তাই ধীরে বহুকাল শান দিচ্ছি গোলাপে ৷
খুন করার পর জানলাম বিষয়টা সত্যি চমৎকার নয়;
যতটা চমৎকার রেললাইন।

৩৯৷ একবার মৃত্যুর পর মানুষের আর যেহেতু মৃত্যুর ভয় থাকে না;
ভাবছি আবার তোমাকে ভালোবাসতে যাব৷

৪০৷ বিশ্বাস এক ভয়ংকর ব্যাধি
তবু এই রোগ নিয়ে ঈশ্বর আর তোমার কাছে যাই
তিনি ফিরিয়ে নিলেও তুমি নিতে পারো না মুখ
তুমি বিধাতার চেয়ে মহৎ— মহীয়সী;
এই শোনে তুমি আমাকে ডাকো— ‘নাস্তিক’
আমি তোমাকে ডাকি— ‘প্রেম’৷

৪১৷ হে আগুন, আমার শ্মশান জুড়ে তোমার মহিমা ধীরেসুস্থে পোড়াও আমাকে
এ শরীর চোখ ঠোঁট দিলাম তোমাকে; তুমি দেখাও তোমার ঐশ্বর্য
পান কোরো হাত হাতের আঙুল আর শেষ বিকেলের গান৷

৪২৷ জীবন নিয়ে আমার যতটুকু গৌরব নেই;
আছে মৃত্যু নিয়ে তার চেয়ে অনেক বেশি অহংকার।

৪৩৷ প্রেম নিয়ে আমার কাছে এসো না, বরং দুঃখ লয়ে ফিরে যাও ঘরে।
এক বিকেলবেলায় গাইবে— কবির বুকে এতো রক্ত কেন?
কবির হাতে এতো গোলাপ! ভীষণ প্রেমিক বুঝি?

৪৪৷ প্রতিবার ভীষণ অসুখ নিয়ে তোমার কাছে যাই
চিরকাল এইরূপ অসুখে সহজ গান গাই।

৪৫৷ যখন তোমার কাছে যাই
যখন গোধূলির মুখে গান গায় সূর্যাস্ত
যখন আকাশ নিয়ে উড়ে যায় দু’একটা নীল অপরাজিতা
যখন শ্মশান পাড়ে জেগে উঠে দু’একটা আশ্চর্য সন্ধ্যা;
তখন কবিতার অমোঘ প্রেম নিয়ে তোমার কাছে যাই।
হে প্রিয় বাঁশখালী আমার, জীবনের সমস্ত সুন্দর মুহূর্তগুলো
সমস্ত সূর্যোদয়গুলো সমস্ত সূর্যাস্তগুলো তোমার পাশে বসে দেখতে চাই

৪৬। আমাকে মনে পড়ার মধ্যে একটা হলুদ দুঃখ আছে
আমাকে মনে রাখার মধ্যে থাকে কয়েক লক্ষ কালো সুখ।

৪৭৷ যারা মাঝরাতে দুঃখ পোষে আমি তাদের জন্য বানিয়েছি একটা কবিতা ঘর
দুঃখ পেলে নির্দ্বিধায় ঢুকে পড়ো— টেবিলে রয়েছে জল রয়েছে কবিতা
খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ো— ঘুম ভাঙার পর লিখতে বসো প্রেম কিংবা মদ

৪৮৷ তোমার ভেতরে যে প্রাচীন গ্রীস ঘুমিয়ে আছে
মরে যাবার আগে একবার ভ্রমণে যেতে চাই৷

৪৯৷ বিহারে রয়েছে এক চমৎকার জানলা
জানলায় তোমাকে ঝুলিয়ে রাখি
তোমার চোখে এ কোন মহান ভিক্ষুর ব্যথা?

আমরা যখন ভালোবেসেছিলাম পরস্পর
পৃথিবীতে তখন বর্ষাকাল
ক্যালেন্ডার ভর্তি পূর্ণিমা— উৎসব
আর বিহারের জানলায় ভণ্ডদের প্রার্থনা৷
আমার দেবদত্তকে মনে পড়ে

৫০৷ জীবনের শেষ শরত বৃক্ষের কাছে কাটাতে চাই ৷
গাছ কি তোমার চেয়ে বেশি ভালোবাসবে?
শহরটাকে বড় কোলাহল এক শ্মশান মনে হয়

৫১৷ কবরটিতে এখনো ঢাকনা দেওয়া হয়নি
চলুন, আমরা ঢুকে পড়ি
শেষ গাছটি ধ্বংস হবার আগে

৫২।৷ পৃথিবী উজ্জ্বল কোরে যেদিন চলে
যাব কবিতার মোহ ছেড়ে
তুমি সমুদ্রকে প্রশ্ন কোরো না—
কবির প্রিয়তম প্রেমিকার কী নাম
সমুদ্র জানে রোজ শীতের বিকেলে
এক মানবীর নাম লিখে আসতাম তার জলে
জলের গায়ে নাম লেখা যায়?

সমুদ্রের দিকে যখন ছুঁড়ে দিতাম
কবিতা ও দীর্ঘশ্বাস
স্রোতে ভেসে যেত তোমার নাম
আমি ফের কুড়িয়ে আনতাম

৫৩৷ আমার বিদায়বেলায় তোমার মলিন মুখ
ভেবে সুখ পাই
আমার অবর্তমানে তোমার ব্যথা
ভেবে সুখ পাই
আমার মৃত মুখে তোমার উজ্জ্বল স্মৃতি
ভেবে সুখ পাই
৫৪৷ একজন কবি এক জীবনে কতবার
তোমার নাম উচ্চারণ করেছেন
সে কেবল কবি ও তার কবিতা জানেন

৫৫৷ বিদায়কালে কী মহৎ শব্দ দিয়ে তোমাকে সম্বোধন করি?
কোন আভিজাত্য হৃদয়ে সম্মান জানাই তোমাকে?
আমি না হয় একটা বাস্তব মূহুর্ত দেখাতে পারি—
মানুষ যাকে নরক বলে, আমি বলি শিল্প

৫৬৷ তোর বিদায়ের পর আমি দুঃখ
খেয়ে কাটিয়ে দেই আমার জীবন।
তোর ঠোঁটে অন্য কেউ মাতাল হোক
তোর স্তনে অন্য কারও চিহ্ন পড়ুক;
আমি ভাবতে পারি না

৫৭৷ আমি বিশ্বাস করে তোমার মুখ আঁকলাম
তুমি ভুল করে আমার নাম লিখো
আমি ভালোবেসে মরে যাই আজ?
তুমি ঘর কোরে বেঁচে থেকো অনন্তকাল

৫৮৷ তুমি আমার আঙুল ধরে হাঁটো
আমি তোমার অন্তর ছুঁয়ে হাঁটি,
তুমি আমার মুখে মুখ করে বসো
তোমার মুখ থেকে কুড়িয়ে আনি শব্দ,
তুমি আমার পাশে প্রেমিকার মতো শোও
আমি জন্ম দেই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কবিতা৷

৫৯৷ একটা হৃদয়কে যিশুর নৈশভোজের
পর যা থাকে তা মানুষের
আমি সে পবিত্র হৃদয় দিয়ে তোমাকে ভালোবাসলাম
ভালোবাসা বোঝার সে মহৎ হৃদয় তোমার হয়নি
তুমি বরং চর্চা কোরো ঘৃণা

৬০৷ তোমার কাছে একটা বেদনা রেখে গেলাম
যার নাম প্রেম
তোমার কাছে একটা হৃদয় রেখে গেলাম
যার নাম গোলাপ
তোমার ওষ্ঠ্যে রেখে গেলাম নরম একটি নদী
যাকে আমি চুম্বন নামে ডাকি

৬১৷ তোমার শরীরে একগুচ্ছ কবিতা বিছিয়ে দিলাম
যার বিনিময়ে পৃথিবী তোমাকে আমার বলে জানে
তুমি বসন খুলে পড়ো সমস্ত মূহুর্ত
জেনে যাবে তুমি শুধু আমার

৬২৷ যারা এই বিচ্ছেদের রাতে মদের দিকে যায়— যাক; আমি বরং কবিতার দিকে যাই
আমাদের মধ্যে যারা স্বর্গে যেতে চায় যাক; আমি বরং তোমার দিকে যাই।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ