১
“সারফারোশি কি তামান্না আব হামারে দিল মে হ্যায়,
দেখনা হ্যায় জোর কিতনা বাজু-এ-কাতিল কা হ্যায়।
— বিসমিল আজিমাবাদী
(এখন আমাদের হৃদয়জুড়ে রয়েছে আত্মত্যাগের আকাংখা,
দেখা যাক, ঘাতকের বাহুতে আর কত শক্তি অবশিষ্ট আছে।)
২
”কিসি নে মুঝসে পুছা, ‘জিন্দেগি কিয়া হ্যায়’?
ম্যায়নে হাথেলি পর থোড়ি সি ধুল লি,
আউর ফুঁক মার কর উড়া দি।”
(একজন আমাকে প্রশ্ন করলো, ‘জীবন কি’?
আমি আমার হাতে সামান্য ধুলি তুলে নিলাম,
এবং ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিলাম–)
৩
”হাম কিউ ডরে কিসি সে,
হাম তো পয়দা হি শেরো কি বস্তি মে হুয়ে হ্যায়,
ডরনা হ্যায় তো ও লোগ ডরে, জিনহে চুহোঁ নে
পয়দা কর কে শের কা নাম দে রাখ্খা হ্যায়।”
(কি কারণে আমরা কাউকে ভয় করবো?
আমাদের জন্মই তো হয়েছে বাঘের বাসায়,
ভয় তো ওরা পাবে, যাদের জন্ম ইঁদুরের গর্তে
কিন্তু ওদের নাম রেখে দিয়েছে ‘বাঘ’।)
৪
“পিয়ার সে বাত কারো তো পিয়ার হি পাওগে,
আগার দুশমনি মোল লি তো মারে যাওগে।”
(যদি ভালোবেসে কথা বলো তাহলে ভালোবাসাই পাবে,
কিন্তু শত্রুতা করো, তাহলে নির্ঘাত মারা পড়বে।)
৬
“মান লিয়া কি তু শের হ্যায়, পর জিয়াদা উছাল মাত,
হাম ভি শিকারি হ্যায়, ঠোক দেঙ্গে।”
(স্বীকার করছি, তুমি বাঘ, কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি করো না,
আমরাও তো শিকারি, একদম শেষ করে ফেলবো)
৭
“হামারে শরাফত কা ফায়দা উঠানা বন্দ কর দো,
জিস দিন বদমাশ হো গ্যয়ে কিয়ামত আ জায়েগি।”
(আমাদের ভদ্রতার সুযোগ নেয়া বন্ধ করো,
আমরা বদমায়েশি করলে ধ্বংস হয়ে যাবে।)
৮
“মেরে হিম্মত কো পরখনে কি গুস্তাখি না করনা,
পেহলে ভি কয়ি তুফান কা রুখ মোড় চুকা হুঁ।”
(আমার সাহস পরীক্ষা করার ধৃষ্টতা দেখিয়ো না,
আমি আগেও এমন ঝড়কো থামিয়ে দিয়েছি।)
৯
“খাব টুটে হ্যায় মাগার হোসলে জিন্দা হ্যায়,
হাম তো ও হ্যায় জিনহে দেখ কে মুশকিলে ভি শরমিন্দা হ্যায়।”
(স্বপ্ন ভেঙে গেলেও আমার প্রাণশক্তি এখনও অটুট,
আমরা সেই শক্তি, যাদের দেখে সমস্যাও লজ্জিত হয়।)
১০
“মুটঠিয়ো মে লিয়ে নমক লিয়ে ফিরতে হ্যায় আজকে লোগ,
আপনে জখম কো কিসি হাল দিখায়া না কারো।”
(এখন মানুষ হাতের মুঠিতে লবন নিয়ে ঘুরে,
কোনোভাবেই তুমি তোমার ক্ষত দেখিয়ো না।)
১১
“জো হো রাহা হ্যায় উসে দেখতে রাহো চুপচাপ,
ইয়েহি সুকুন সে জিনে কি এক সুরত হ্যায়।”
— গজনফর দেহলভী
(যা ঘটে চলেছে কথা না কলে তা দেখতে থাকো,
শান্তিতে বেঁচে থাকার এটাই আরেক উপায়।)
১২
“উজালে মে মিল হি জাতা হ্যায় কোঈ না কোঈ,
তালাশ করো উস শখস কো জো আন্ধেরো মে সাথ দে।”
— গুলজার
(অনুকূল সময়ে কাউকে না কাউকে পাওয়া যায়,
প্রতিকূল সময়ে সাথে থাকবে এমন মানুষ খোঁজো।)
অনুবাদ: আনোয়ার হোসেইন মঞ্জু