মুক্তির-নাতি ॥
……….
সব যুক্তি-প্রযুক্তির মূলে তো মানুষ, সে যারে ছুবল মারে
তার নাম নেবে বিশ্ব, না হয় স্থান হবে কবরে; কথা হচ্ছে—
এই প্রথম কোটা আন্দোলনে নির্ধারণ হলো
রাজাকার চিনার সহজ মাধ্যম: যাদের হাতে লাঠি
. —তারা মুক্তির নাতি
মাতৃভূমি আজ দুই ভাগে বিভক্ত:
—এক: রাজাকার দুই: মুক্তিযোদ্ধা; সরকারের হাতে যার
মৃত্যু নিশ্চিত হবে —সে রাজাকার; অন্য সব, অন্য সকলে
. —মুক্তির-নাতি…
যারা খাচ্ছে বাড়ি, বুক টান-টান, কেউবা ভয়ে কুঁজো
চোখ ছলছল তারা সব রাজাকার—
‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার
কে বলেছে কারা বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার,
০৭,১৮,২০২৪
একজন আবু সাঈদ ॥
……….
বুক টানটান করে আবু সাঈদ দাঁড়িয়েছিল দেশের
—দশের ও কোটা আন্দোলনের একজন হয়ে
—তারে বানানো হয়েছে রাজাকার!
একজন সাঈদ আর শতশত বাচ্চাদের ‘রক্ত’ কী
. এতোটাই সস্তা! —আহ!
সারাটা দিন ধরে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত আর কান্না দেখে
নিজের শরীরটারে মনে হচ্ছে রক্তশূন্য, অসহায় লাগছে খুব
জানি না আর কত মা’য়ের বুক খালি হলে পরে বুঝবে
—একজন দেশ কাণ্ডারিরা! খলিফা!!
—দেশের কান্না!! বুঝবে দেশপ্রেম! বুঝবে মানুষ আর ঈশ্বর
০৭,১৯,২০২৪
একজন সাঈদ ॥
…………
ভাই, বাবার মৃত্যুর প্রতিশোধ নেবার পরেও যে
সরকার জাতিকে উদ্দেশ্য করে বলে ‘ওরা রাজাকার’!
তার মানে-দাঁড়ায় —আরো-আরো-আরো অনেকের
‘রক্ত’ না দেখা পর্যন্ত এই সরকার পিছু হটবে না
মনে হচ্ছে
এখনও রক্ত দেখি নাই, লাশের সংখ্যা কী হতে পারে!
তার কোনো আন্দাজ করতে পারব না আমরা কেউ
গত বিশ বছরে যে ছেলে-মেয়ের জন্ম হয়েছে
তাদের প্রত্যেকের দাফন শেষ হলে পরে
. বুঝব —দেশ স্বাধীন কী করে করতে হয়
. — যা এখন সামান্য-কিছু চলতেছে…
একজন সাঈদ বুক টান-টান করে দেখিয়ে-দিয়েছে
শত্রুর মোকাবেলায় কি করে দাঁড়াতে হয়…
৭/২১/২৪