রংপুরের যিশু
পিছনে ক্রস ছিল কি ছিল না জানা খুব জরুরী নয়
সব ক্রসই দেখা যায় না, হয়ত সে দেখেছিল
তাই দুই হাত পেতে দিয়েছিল ক্রুশ কাঠে মাটির সমান্তরাল।
হঠাত সে হয়ে গেল যিশু । আর রংপুর গলগোথা ।
ফাটা দেয়ালের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এল কালসাপ
সকাল দুপুর সন্ধ্যা একাকার হয়ে ডুবে গেল ক্ষুধার্ত নদীতে
বাংলাদেশের মানচিত্রে যিশুর দেহ মুড়িয়ে দিই ।
যে যিশু কাজ করতো কিষানের
জানতো না মা,স্কলারশিপের মানে
উইলিয়াম শেকসপিয়ার মানুষ না বস্তু!
চোরাবালিতে ডুবে গেছে পা। মাথা থেকে আকাশও উধাও।
বাতাসে এখন ঝড় ও ক্রোধ। বিভ্রান্ত বৃক্ষগণ ফ্রেমে বুনছে স্বপ্ন।
আবাবিল মেঘ উগলে দিচ্ছে পানির বদলে শিলাবৃষ্টি ।
কেউ ভুলছে না যিশুর মায়ের প্রতিবাদ —
’তুই মোর ছাওয়াক চাকরী না দিবু না দে, কিন্তু মারলু কেনে?’
রাস্তার গাছগুলো, গাছের পাতাগুলো, তারের পাখিগুলো প্রতিধ্বনি তোলে
‘মারলু কেনে? মারলু কেনে?’
দুপুরের ল্যাম্পপোস্ট চোখ মুছলো, কাকেরা কেঁদে উঠল —
এই শহরে ক্রুসবিদ্ধ হয়েছে এ কালের যিশু।
মরিয়ম সানাইয়ের সুরে গেয়ে চলেছেন ছেলে হারানোর পদাবলী —
‘যা বাবা, ভালো থাকিস। মুইও তাড়াতাড়ি তোর কাছোত আসিম’
আমি পথ চেয়ে আছি, আরেক নূরলদীনের জন্য।
২৩ জুলাই, নিউইয়র্ক