আরিফ আজাদ
১.
একদিন লাশেরা চিৎকার করে উঠবে;
চিহ্নিত হবে খুনীদের চেহারা।
চিহ্নিত হবে তারা
যারা পাহারা দিয়েছিলো খুনীদের অস্ত্র।
কলমের কালিতে
দারুণ নির্লজ্জতায় যারা আদায় করেছে
সেই অস্ত্রের লাইসেন্স;
তাদেরকেও দাঁড় করানো হবে কাঠগড়ায়।
সুনিপুণ শিল্পীর মতো
খুন করে শাদা রুমালে যারা
মুছে ফেলেছিলো রক্তের দাগ;
লাশ সকল একদিন চিৎকার করে
বলে দেবে তাদের নামও।
যারা আজ—
খুনীদের হয়ে লেখে
গান গায়
অভিনয় করে
কথা বলে
সাবধান
সাবধান
সাবধান
লাশেরা ভুলে না কিছুই।
২.
তোমাদেরও বুক খালি হোক, কোল খালি হোক
কেউ না ডাকুক তোমাদেরকে বাবা এবং মা;
রক্তঝরা শ্রাবণ দিনে, অশ্রুধারার এই প্লাবনে
হৃদয় থেকে এটিই আমার সফেদ প্রার্থনা।
৩.
চোখে গুলি লেগে অন্ধ হয়ে গেছে যে যুবক,
তাকে আমি কী করে দেখাই—
আজ রাতে খুব করে জোছনা হবে।
কন্যাসম পদ্মপ্রিয় পারমিতা,
তোমার বাবা যে আর কোনোদিন ফিরবে না,
আইসক্রিম খেতে খেতে
আর কোনোদিন কোনো পার্কে
বাবার হাত যে স্পর্শ করবে না তোমার আঙুল—
তুমি ঠিক কতো বড় হলে
এই কথা তোমাকে বলা যাবে নিঃসঙ্কোচে?
প্রিয় মুগ্ধ,
ঢাকার আকাশে উড়তে দেখা গেছে হেলিকপ্টার
রাস্তায় দেখা গেছে সাজোয়া যান—দফায় দফায়।
তুমি জেনে খুশি হবে,
তোমার পানির বোতল আর বিস্কুটও
দেখা গেছে পড়ে থাকতে,
রক্তে ভীষণভাবে মাখামাখি হয়ে।
খুব জানি কীরকম আছে।
তবু বেশ জিগ্যেশ করতে ইচ্ছে করে—
কেমন আছে আবু সাঈদের মা?