spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদসাম্প্রতিকএ কোন বাংলাদেশ

লিখেছেন : আবদুল হাই শিকদার

এ কোন বাংলাদেশ


আবদুল হাই শিকদার

এক.

গত ক’দিনের ঘটনা দেখে দেখে ব্যাথায় কষ্টে কঁকিয়ে উঠেছি। মনে হচ্ছে এটা আমাদের চিরচেনা বাংলাদেশ নয়। মুক্তিযুদ্ধের আলোয় আলোকিত শ্যামল কোমল কোন মানবিক জনপদ নয়। তের শত নদীর এই পাললিক ভূমি যেন গা হিম করা কোনো বীভৎস মৃত্যুপুরী।

চারদিকে শুধু রক্ত, মৃত্যু, ধ্বংসের উৎকট বিভীষিকা। ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত আর্ত, আহত মানুষের গোঙরানী। হাসপাতালগুলো হিসশিম খাচ্ছে এই ভয়াবহতার চাপ সামলাতে। যেন নিজের মানুষের প্রাণ ও রক্তের নেশায়, এই লালন, হাসান, আব্বাসউদ্দীনের দেশে ঝাপিয়ে পড়েছে ব্রাম স্টোকারের ড্রাকুলারা। মনে হচ্ছে ইসরায়েল আক্রান্ত গাজায় বাস করছি।
মাথার উপর ঘন ঘন চক্কর দিচ্ছে হেলিকপ্টার। সমবেত জনতার উপড় ছোঁড়া হচ্ছে টিয়ার শেল, সাউন্ড গ্রেনেড, বুলেট। রাজপথে, আলিতে গলিতে, মাঠে ময়দানে যেখানেই আন্দোলনকারীরা, সেখানেই পুলিশ নির্বিচারে চালাচ্ছে গুলি। স্নাইপাররা টার্গেট করে করে হত্যা করছে মানুষ। রক্তে ভাসছে দেশ। রাজধানী ঢাকাসহ সবখানেই পড়েছে, পড়ছে লাশ। কারফিউ সর্বত্র। ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন। সরকারী বাখওয়াজী ছাড়া আর কিছুই শোনা বা জানার উপায় নাই।

আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি আজ বিস্মিত, স্তম্ভিত। বাক্যরহিত।

দেশের ভবিষ্যৎকে রাস্তায় ঠেলে দিয়ে লাশ বানানো হচ্ছে। আমাদের সন্তানদের বুক ঝাঝরা করছে বুলেট। এক শ্রেনীর দালাল মিডিয়া আন্দোলনকারী ছাত্র জনতাকে দুর্বৃত্ত, দৃষ্কৃতিকারী, বিএনপি, জামায়াতের ট্যাগ লাগিয়ে দিচ্ছে। যেন এই ট্যাগ লাগালে হত্যাকান্ড জায়েজ হয়ে যায়। তারা সম্মিলিতভাবে প্রতিক্রিয়ার উপর সকলের মনোযোগ আদায় করতে চাচ্ছে। আর ভুলিয়ে দিতে চাচ্ছে ক্রিয়ার প্রসঙ্গ। ফলে পর্দায় শুধু জ্বালাও পোড়াওয়ের কাহিনী। মানুষ খুনের কোন কথাই নেই। যেন মানুষ হত্যা খুবই মামুলি ব্যাপার।
জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট হয়েছে বেশুমার। এই ক্ষতির ধকল কাটিয়ে উঠতে কতোদিন লাগবে কে জানে। দেশের মানুষ তিনি যেই হোন , তাকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা যেমন গর্হিত পাপ, তেমনই জাতীয় সম্পদ বিনষ্ট করা মেনে নেয়া যায় না।
কিন্তু কথা হলো কেন এমন হলো? বিষয়ের শুরু কোত্থেকে? ২০১৮ সালে ‘বিরক্ত হয়ে’ কোটা প্রথা বাতিল করে নির্বাহী বিভাগ। হঠাৎ করে সেই কোটা চলে যায় হাইকোর্টে। হাইকোর্ট সরকারী প্রজ্ঞাপন বাতিল করে আবার প্রবর্তন করে কোটা প্রথা। যেখানে মেধার স্থান মাত্র ৪৪%। সঙ্গত কারনেই রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা।
মনে রাখা জরুরী, ছাত্রছাত্রীরা কিন্ত কোটা বাতিল চায়নি। তারা চেয়েছিল যুক্তিসঙ্গত সংস্কার। তাদের আন্দোলন চলছিলো সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে। তখনই তাদের সাথে কথা বলার বদলে, সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে এই ছেলেমেয়দের প্রতি দেখানো হয় অশোভন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য। তাদের গায়ে লাগিয়ে দেয়া হয় রাজাকার’এর সিল। প্রধানমন্ত্রীর ড্যাম্পকেয়ার কথাবার্তাও আন্দোলনকে প্রশমনের বিপরীতে ছাত্রছাত্রীদের ব্যথিত করে তোলে। সরকারের দু’একজন মন্ত্রীর আচরণ, উচ্চারণও ছিল দায়িত্বহীনতা দিয়ে ঠাসা। এর মধ্যে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঘোষনা দেন, এই আন্দোলন দমনে ছাত্রলীগই যথেষ্ট। ঘোষনার পরপরই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও পোষ্য গুন্ডাপান্ডারা শিক্ষাঙ্গনগুলোতে হামলার পর হামলা পরিচালনা করে। শুরু করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কন্ঠ রোধ করার কর্মকান্ড। পাশাপাশি মারমুখী অবস্থানে নামে সরকারের অনুগত বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ।
এবার যেন আগনে ঘি পড়লো। আন্দোলন আর শান্তিপূর্ণ অহিংস থাকলো না। একদিকে হামলা অন্যদিকে চললো প্রতিরোধ। স্বাভাবিকভাবেই বিএনপি, জামায়াত ও গণতন্ত্র মঞ্চসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দল এই আক্রান্ত ছাত্রছাত্রীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাও দেশের মানুষকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানায়। সে কারনে সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে পুরো আন্দোলনটা গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়।
আগাগোড়াই পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছে সরকার। খুব সহজেই যে সমস্যার সমাধান করা যেতো, তা না করে গায়ের জোরে ঠান্ডা করতে চেয়েছে আন্দোলনকে। সরকারের অনুগত বাহিনীগুলিও এ ক্ষেত্রে মমত্বশীল ও দায়িত্বশীল না থেকে বেছে নেয় বেপরোয়া পথ। তাদের কোন কোন কর্তার লাগামছাড়া শব্দাবলী শুনে অনেকের কাছে মনে হয়েছে, যেন ভারতীয় সৈন্যরা মেশিনগান উঁচিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে কাশ্মীরে। পরিস্থিতি এখন দাঁড়ালো, একদিকে সরকারের সশস্ত্র অনুগত লস্কর বাহিনী, অন্যদিকে নিরস্ত্র বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা। মাঝখান থেকে ঝরে গেল শত শত তরতাজা তরুণের প্রাণ। বিনষ্ট হলো অনেক জাতীয় সম্পত্তি। — শেষ পর্যন্ত আদালত দিয়ে সরকার তার নথ খশালো বটে কিন্তু ততোদিনে অনেক দেরী হয়ে গেছে।

দুই.

একই ভুল করেছিল পাকিস্তান সরকার। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন যে এ দেশের মানুষের আত্মার দাবী ছিল তা অনুধাবনে অপারগ হয় তারা। গোয়ার্তুমী, দম্ভ, অহমিকা ও ঔদ্ধত্য দিয়ে পিষে ফেলতে চেয়েছিল সবকিছু। ১৯৫২ এর ২১ ফেব্রুয়ারী মায়ের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে ঝরে গেল অনেকগুলো নিষ্প্রাণ নিরাপরাধ প্রাণ। আর এর ফলে ধ্বংস হয়ে গেল নূরুল আমিনের রাজনৈতিক জীবন। চিরকালের জন্য কবরে ঠাঁই নিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার কৃতিত্বের দাবীদার মুসলিম লীগ। অন্তর থেকে ভেঙ্গে গেল জিন্নাহর সাধের পাকিস্তান।
১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের মোকাবেলায়ও একই ভুল করেছিল পাকিস্তানী শাসকরা।
১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের প্রধান কারণ ছিল গণতন্ত্রহীনতা, বৈষম্য, নির্যাতন এবং আইযুব খানের হামবড়া অহংকার। ছাত্রনেতা আসাদের রক্তে ভেসে গিয়েছিল আইয়ুব খানের তখ্ত তাউস। তিনি নিক্ষিপ্ত হন ইতিহাসের ডাস্টবিনে।
শঠতা, ধূর্ততা, প্রতারণা, অনুগত বাহিনী ও রাজনীতিবিদদের কেনাবেচা করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছিলেন স্বৈরাচারী শাসক এরশাদ। কিন্ত পরিণামে ফুঁসে উঠে জনগণ। ৯০ এর গণ অভ্যুত্থান তাকে উৎখাত করে ক্ষমতা থেকে। আর নূর হোসের হয়ে ওঠেন গণঅভ্যুত্থানের মানব পোস্টার।
গণ আন্দোলনের সেই ধারাবাহিকতা মনে রাখলে আওয়ামী লীগ সরকার সেই একই পথে পা বাড়াতো না। আসলেই গায়ের জোরে কোন কিছুর সমাধান হয় না। হলেও তা হয় অত্যন্ত সাময়িক। যেমন ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানের পর ইয়াহিয়া খান সামরিক আইন জারী করে আন্দোলনকে থমকাতে পারলেও, মাত্র বছর খানিক টিকিয়ে রাখতে পেরেছিলেন পাকিস্তানকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৯৭১ সালে সংঘটিত হয় আমাদের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ। আর বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

তিন.

‘কুকুরটিকে একনি খারাপ নাম দাও’ এই বিশ্ববিশ্রুত প্রবাদের পথে হেঁটে, সরকার এত কিছুর পরও ‘উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপিয়ে মহাসমারোহে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতিকারী, দুর্বৃত্ত, জঙ্গী আখ্যা দিয়ে, নিজেদের অন্যায় অত্যাচারকে আড়াল করার বিপজ্জনক ও হাস্যকর প্রয়াস চালাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত ও অনুগত মিডিয়া পালন করছে দুর্ভাগ্যজনক ভূমিকা। যা বিদ্বেষ, বিভেদ ও হানাহানিকেই শুধু বৃদ্ধি করবে। সংঘাতকেই রশদ জোগাবে।

ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্টে দাঁড়িয়ে, সরকারসহ সবার কাছেই জাতি দায়িত্বশীল, দূরদর্শী ও বিচক্ষণ আরচণ প্রত্যাশা করে। আশা করে নিখাদ দেশপ্রেমিকের অবস্থান। সকল প্রকার অহমিকা, ক্রোধ ও ঘৃণাবিদ্বেষকে সম্বরণ করে বাস্তবতা উপলব্ধির জন্য পরিষ্কার চোখ মেলে তাকান। দেখুন কী ভয়ানক সর্বনাশ হয়ে গেছে। গোরস্থানে গোরস্থানে আমাদের সন্তানদের লাশ। ঘরে ঘরে সন্তানহারা পিতামাতা, ভাইবোনদের বক্ষ ফাটা আহাজারী। হাজার হাজার আহত মানুষের কাৎরানীতে ভারী হয়ে গেছে বাতাস।
এই রকম ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও কী সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে শুভবুদ্ধি, শ্রেয়বোধ, মানবতা, দেশপ্রেম, কর্তব্যজ্ঞান জেগে উঠবে না? নাকি সেই অতি ব্যবহারে জীর্ণ হয়ে যাওয়া চেনা কৌশল, ‘যত দোষ নন্দ ঘোষে’ এর ঘাড়ে গছিয়ে, নিজেরা সাধু সেজে কেষ্ট বেটাকেই চোর সাব্যস্ত করে কেল্লা ফতে করবেন? আবারও বিরোধীদল সমূহের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দিতে থকবেন মামলার পর মামলা? শুরু করবেন গ্রেফতার বাণিজ্য। এতে সরকারের গায়ের ঝাল হয়তো কিছুটা কমবে। কিন্তু উপসংহারে প্রাপ্তির কোঠায় থাকবে কেবলই গ্লানি। আত্মপ্রতারণার পাপ।
তাহলে রাজধর্মের কী হবে? যে রাজধর্মের কথা গুজরাটের কসাই নরেন্দ্র মোদীকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। মোদি রাজধর্ম মানেননি। সে জন্যই এখনো গুজরাটের রক্ত তাকে প্রতাত্মার মতো তাড়া করে ফেরে। আমাদের শাসকরা কি সেই রাজধর্ম মানবেন? এ মাটি কিন্তু বাংলার মাটি।
হাইস্কুলের ছাত্র হয়েও ৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানে ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধেও দেশের জন্য যৎকিঞ্চিৎ কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। ৯০ এর ঘটনা তো এই সেদিনের। — তো অভিজ্ঞতা থেকে হলফ করে বলতে পারি (মুক্তযুদ্ধ ছাড়া) এ রকম ভয়ঙ্কর অবস্থা আমি আর কোনোদিন দেখিনি।
আমার কেবলই মনে হচ্ছে এই রক্তস্নাত, এই অশ্রুধারা বৃথা যেতে পারে না। বৃথা যায়নি কোথাও। এর ভিতর দিয়েই হয়তো ভিত্তি প্রস্তর স্থাপিত হবে বিদ্বেষ, বিভেদ, ঘৃণা, জিঘাংসা, গণতন্ত্রহীনতা, নীতি নৈতিকতাহীনতা, আইনের শাসনহীনতার বিষ মুক্ত, প্রীতি ও প্রেমের পূণ্য বাঁধনের উজ্জীবিত সঞ্জীবিত এক নতুন বাংলাদেশের।

যারা ন্যায়ের পক্ষে, কল্যানের পক্ষে, যারা সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সিনা টান করে দাাঁড়ায়, তাদের জন্যই তো জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের অমিয় বাণী,
“সত্য পথের তীর্থ-পথিক ভয় নাই, নাহি ভয়,
শান্তি যাদের লক্ষ, তাদের নাই নাই পরাজয়।
অশান্তিকামী ছলনার রূপে জয় পায় মাঝে মাঝে,
অবশেষে চির-লাঞ্ছিত হয় অপমানে আর লাজে।”

২১ এর রক্ত চিরকালের জন্য জেগে আছে শহীদ মিনারে। ৬৯ কে অমর করেছে আসাদ। ৯০ মানেই তো নূর হোসেন। আর ২০২৪ এর আবু সাইদ ইতোমধ্যেই তো হয়ে উঠেছেন লাঞ্ছিত অপমানিত মানবতার প্রাণের পতাকা। হাজার বছরের ইতিহাসে গুলির সামনে বুক বাড়িয়ে দেয়া দু:সাহসী আবু সাইদের মতো কাউকে তো আর পাওয়া যায়নি।
অত্যন্ত স্পর্শকাতর, অগ্নিগর্ভ সময়ে বাংলাদেশের সামান্য একজন কবিতা কর্মী হিসেবে, সবাইকে বলবো আর কোন হত্যা নয়, গণ হত্যা নয়, রক্ত নয়। লাখো শহীদের রক্তে ভেজা দেশে আর এক ফোটা রক্তও কেউ ঝরাবেন না। বাংলাদেশ এতো রক্ত সহ্য করতে পারছে না।

সবাই স্থির হোন। প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ পরায়ণতা পরিহার করুন। দেশ মানে শুধু মাটি, নদী, গাছপালা, খালবিল নয়, দেশ মানে দেশের মানুষ। সেই মানুষ আজ বিপন্ন। আসুন, বসুন, কথা বলুন, দেশটাকে বাঁচান।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

নয়ন আহমেদ on কবিতাগুচ্ছ
সাজ্জাদ সাঈফ on বাছাই কবিতা
নয়ন আহমেদ on বাছাই কবিতা
নয়ন আহমেদ on ১০ টি কবিতা
নয়ন আহমেদ on কবিতাগুচ্ছ