……………
জুলাই ২০২৪
খসরু পারভেজ
…………….
এত ভারি বোঝা মাথায় নিয়ে যাওয়া যায় আর কতদূর?
যুদ্ধ থেমে গেছে তবু এখানে এখনো রক্তে ভেজা দ্রোহপুর।
আমাদের যেতে হবে ঘৃণার কাঁটা মাড়িয়ে কপোতাক্ষ পারে;
সূর্য ওঠার আগেই খুঁজে পেতে হবে তারে, ঘোর অন্ধকারে
দুচোখ শুধুই দূরবীণ, যা দেখে অন্যেরা দেখে না কিছুই
দেখে মরা নদী, বিষাক্ত দু’তীর, শুধু ভুল বীজে বোনা ভূঁই।
মাথায় তুলে দিলে এ কোন বোঝা নিতান্ত অসহ্য অপমান!
আবার দুহাতে তুলে নিতে হবে ফেলে রাখা সেই স্টেনগান?
উজ্জ্বল উদোম গায়ে বিস্তীর্ণ শীতের চাদর সরিয়ে দিয়ে-
আবার দাঁড়াতে হবে গেরিলার মতো বিক্ষত শরীর নিয়ে?
এমন তো কথা ছিল না, অথচ আবার কেন দাঁড়াতে হলো
মৃত্যুর দামামা হাতে প্রিয় দেশ, তোমারই মুখোমুখি বলো!
লজ্জা, ঘৃণা, লোভ, পুঞ্জিভূত ক্ষোভ, হায়েনার পদধ্বনি শুনি;
দুরন্ত দুপুরে পথে পথে আজো তাই বুলেটের বীজ বুনি।।
২৫ জুলাই ২০২৪
…………..
স্বাধীনতা
সামুয়েল মল্লিক
…………..
স্বাধীনতার স্বপনগুলো মৃত নদী
নষ্ট পানির কালোছায়ায় আলো ঢাকে
আছড়ে পড়ে প্লাবন যত অন্ধকার
বুকের পরে শকুন বসে অহরহ
অধিকারের আলমারিটা পূর্ণ ফাঁকা
স্বপ্নস্বাধের ফানুস ওড়ে নীলাকাশ
দুঃখের দিন সময় ঘোরে দুর্বিপাক
রোদন বাড়ে পীড়ন নামে দুঃশাসন
প্রতিবাদের কথকমালা শূণ্যতায়
উপহারের শায়ক বেঁধে শুষ্ক দেহ
মানবপ্রেমে কৃষ্ণচাদর বদ্ধ দ্বার
হৃদয়মাঝে শিয়াল নাচে অবিরত
রক্তধারা—যাতনগুলো যা না ধুয়ে
মৃত নদীর নষ্ট পানি আয় না ছুঁয়ে।
……………….
সাঈদের মৃত্যুর দিন লেখা কবিতা
সেলিনা শেলী
……………….
যখন তুমি পেতে দিয়েছিলে ওই বুক
বাড়ির কথা কী পড়েছিলো মনে তোমার!
দারিদ্র তোমাকে মেরেছিলো যে চাবুক
তা থেকে মুক্তির পথ কী ছিলো না আর!
তুমি কী জানো না তোমার বোন ও মা
অপেক্ষায় ছিলো,বাবাও হতে নির্ভার
তুমি ছাড়া আর ছিলো না তো পুঁজি জমা
কেনো দিলে বুক,ক্ষতি হলো বলো কার?
তোমার মায়ের শূন্য ভাতের থালায়
স্বপ্ন ছিলো কী চাকরি আধুলি পেলে
কিনে দেবে মাছ,সবজি আনার ডালায়!
কেনো যে আহারে বুক পেতে গুলি খেলে!
তোমার কি কোনো প্রেমিকা ছিলো না বলো?
কোথাও সে কী কাঁদছে নিঃসহায়
তিনটি বুলেটে বুকটা ঝাঁঝরা হলো!
জাতির তাতে কী ই বা এসে যায়!
১৬/৭/২০২৪