……….
আন্দোলন
……….
আমি মরে গেলে ,
দুঃখ করো না।
এমন মৃত্যুতেও যে শান্তি আছে–
তা বলে বুঝাতে পারবো না।
দুঃসংবাদ পেয়ে কেঁদো না–
সুখের কাঁদা কেঁদো,জড়িয়ে ধরো-
তবুও দুঃখ করো না।
মনোবল ভেঙো না।
………..
ক্লান্ত পাখি
………..
ছোটবেলা যা যা হবো ভেবেছি,যা যা করবো ভেবেছি,যেভাবে দিন রাত কাটবে ভেবেছি,যেভাবে জীবন গড়বো ভেবেছি,তা হতে না পারায় টায় আমাদের ছোট্ট জীবন।সত্য জীবন,আমাদের বাস্তবতার জীবন, যেখানে প্রতিনিয়ত আমরা কল্পনার জগতে ঘুমিয়ে পড়ি। খুব গভীরে ভোরে কিচিরমিচির শব্দ হয়,এগিয়ে গিয়ে দেখি,সেখানে আমাদের ক্লান্ত পাখিরা বসবাস করে।
–
৩১ জুলাই ২০২৪
ময়মনসিংহ
……..
জীবন ও মৃত্যু
………
তুমি বলো–
কত গান,কত কবিতা আমি আর লিখবো,
হাঁপিয়ে গেছি, সত্যি বলছি।
কত আর পাঠাবো,কত দূর,কত দিন,কত রাত।
বলতে কি পারো
কত দেখবো এ লাশ,এ পশু।
চোখ গুলো আর পারছে না নিতে।
একদম পারছে না।সত্যিই পারছে না।
উত্তরে শুনি–
অনেক ঘুমিয়েছো– এখন উঠো
হাঁপিয়ে যাচ্ছো,মনে করো লাশ গুলোর স্মৃতি।
তাদের স্বপ্ন, তাদের আশা,ভরসা।
মনে করো তাদেরও পরিবার আছে।
আছে দুঃখজননী মা।
দেশ তোমার,অধিকার তোমার।
জীবন ও তোমার, মৃত্যু ও তোমার।
……….
বীর থেকে কাপুরুষ
……….
ঘুম থেকে উঠে কপাল চাপড়াই
আর হাসি রে ভাই,কারন মাইন্যষে
নেতা হওয়ার লোভে,মানুষ হইতে ভুলে গেছে।
আর বড়ো বড়ো মাথাগরে দেখি-
সেই নেতাগরে কুত্তার মতোন ভয় পায়।
ভয় তো পাবেই মৃত্যুর একটা ভয় আছে না।
কাপুরুষ হয়লেও তো বাইচ্চা থাকতেসে।
এই ধরনীতে মানুষ বাঁচে বা কয়দিন?
……
মা
……
আমি বাড়ি থেকে বের হলেই
দুঃখজননী মা কাঁদে–
মা কয়– আমি আর আমার পেট খালি করতে পারতাম না।
তুই বাড়িত্তে যাইস না।তর বন্ধুরা যাক।
মারে কই ওরা কি তোমার সন্তান না?
ওরা গেলেই আমিও যাই–
মা আমার দিকে তাকাইয়া কাঁদে।
আকাশের দিকে তাকাই–বৃষ্টি আসে।
মাঝে মাঝে মন চায়–
দুঃখজননী মায়ের যেদিক দিয়ে আইছিলাম
ঐদিক দিয়া ঢুকে যাই।
২ আগষ্ট ২০২৪
ময়মনসিংহ