হিংস্রতার বোমাবৃন্দ
………..
আমার অস্তিত্বে আজ জনতার আনন্দ সঙ্গীত
স্বাক্ষী এই রাজপথ হারিয়েছি সহস্র স্বজন
স্বৈরিনী উম্মাদ নারী রক্ত পান নেশার মতন
ভেঙে দিয়ে গেছে আহা মানুষের সম্পর্কের ভিত।
উত্তাল জনতা দেখো জেনে গেছে তার ছলাকলা
বিভেদ দেয়াল তুলে দেশশুদ্ধ করে লুটপাট
ভীষণ নিষ্ঠুর চোখ অগ্নি ধর্মে পুড়ে ফেলে খাট
দুর্নীতি বিদায় হোক তুলে নেব ঋণমুক্ত নলা।
পা চাটা কুকুর যারা দুধ খেয়ে ফেলে যায় একা
যতোবার উদ্বেলিত টিকটিকি গিলে খায় পোকা
হিংস্রতার বোমাবৃন্দ রক্তাপ্লুত তবু দাও ধোকা
উষ্ণতার মেঠোপথে কখনো কি হবে আরো দেখা !
আমার কপোলে আজ লিখে দাও আনন্দিত গান
সেই গানে ভেসে এসো জোয়ারের মুখরিত প্রাণ।
…………
গণশত্রু ছারখার
…………
চারদিকে দাবানল মুক্তি চায় সবুজ কবিতা
দ্রোহের আগুনে আজ পুড়ে যাক কুটিল ক্ষমতা
ইতিহাসে লেখা হোক প্রতিঘাত আনন্দ বারতা
গণতন্ত্রে খুলে যাক সন্ত্রাসের অভিযুক্ত ফিতা।
ভুলিনি সে একাত্তর মুগ্ধতার মৃত্যুর চুম্বন
হানাদারি রক্ত খেয়ে তরতাজা হাতের সঙ্গীন
সাহসের বঙ্গদেশে এনেছিল আনন্দ সুদিন
আকস্মিক দূর্বিপাক ধ্বংস হয় আকাঙ্ক্ষার ধন।
বিভ্রান্তির ধুম্রজালে জাতিসত্বা করা হয় ভাগ
চেতনার কানামাছি গুম করে কতো নাগরিক
দুর্নীতির ঘোড়দৌড়ে কেউ ভাঙে বিচারিক শিক
বিরোধী হলেই কারো ভাগ্যে জোটে রাজাকারি দাগ।
কোটা নিয়ে আন্দোলনে প্রতিপক্ষ ছিল স্বৈরাচার
জনতার দ্রোহ যুদ্ধে গণশত্রু হয় ছারখার।
[আজ ৫ আগস্ট ‘২৪ একটি ঐতিহাসিক দিন। স্বৈরাচারি হাসিনা সরকারের পতন ঘটলো।লেখাটি আজ সকালে লেখা]
………….
যেই হাত রক্তরাঙা
………….
আমরাও মরে মরে বেঁচে আছি পৃথিবীর বুকে
ফেলে দেয়া খড় যদি জ্বেলে দেয় বিদ্রোহ আগুন
তখন উঠবে জেগে চোখে চোখে হাজার ফাগুন
বুক পেতে ঠেকাবেই বুলেটও যাবে দেখো রুখে।
স্মৃতিরা বিস্মৃত হয়, মৃত্যুশোক বারবার ফিরে
নড়ে ওঠে কফিনেরা তপ্তময় মিছিলের রোদে
কখনোবা রাজপথ জেগে ওঠে দীপ্ত প্রতিশোধে
বৃদ্ধি পায় জনশক্তি ছিন্নভিন্ন স্বৈরাচার ঘিরে !
শাসক বোঝে না তবু ধুলো ভেবে ছড়ায় বাতাস
পা চাটা কুকুর দল বাহবায় দেয় হাততালি
টাকার বদলে সিকি ? – চারপাশে তীব্রতর গালি
বায়ান্ন সামনে আসে প্রাণ পায় রক্তের উল্লাস।
যেই হাত রক্ত রাঙা তার মুখে ছলনার বিষ
পাখিরা পয়ার ভুলে সে কথাই করে ফিসফিস…
শাহীনবাগ, ঢাকা
০১ ০৮ ২০২৪