spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদগদ্যআরশি নিকেতন : ১৭

ধারাবাহিক আত্মজীবনী : তৈমুর খান

আরশি নিকেতন : ১৭

তৈমুর খান

১৭
নিজের সঙ্গে নিজেরই কত কথা হয়
——————————————————-
এমএ এবং বিএড পাস করেও কোথাও চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা দেখিনি। ১৯৯১ সালে বীরভূম জেলার পারুলিয়া হাইস্কুলে এক্সচেঞ্জ অফিস থেকে ইন্টারভিউয়ের জন্য কল্ পেয়েছিলাম। কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রথম কথাই ছিল আড়াই লাখ টাকা দিতে হবে। এত টাকা কোথায় পাব? ঘরবাড়ি সব বিক্রি করলেও এক লক্ষ টাকাই হবে না। সুতরাং সেখানে ইন্টারভিউ দিতেও যাইনি। সেই বছরই পুলিশের চাকরিতেও সুযোগ আসে। মাপজোক এবং পরীক্ষার সব ধাপগুলি পেরিয়ে গেলেও মন কিছুতেই চায়নি সেই চাকরি করি। সুতরাং একরকম বেকার জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে তখনও। কয়েক ব্যাচ টিউশনি পড়ানো এবং কবিতা লেখা ছাড়া আর কিছুই করার তেমন সামর্থ্য নেই। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত প্রায় পাঁচ বছর কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে আমাকে অতিবাহিত করতে হয়েছে। পাটনা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপিকা ললিতা সান্যাল বারবার আমাকে চিঠি লিখেছেন যেন আমি পিএইচডি শুরু করি আর তার জন্য ৩০০ নাম্বারের preliminary test অবশ্যই দিই। বারবার তাঁর কথা নাকচ করলেও শেষ পর্যন্ত আর না গিয়ে পারলাম না। ওই ১৯৯৮ সালের প্রথম দিকেই এই পরীক্ষার জন্য একটা ফর্ম ফিলাপ করি। কিছুদিন পর রেজিস্ট্রি ডাকে বাড়িতে পরীক্ষার এডমিট চলে আসে। এক সপ্তাহ পর পরীক্ষা দিতে যেতে হবে। সিট পড়েছে সাইন্স কলেজে। ইচ্ছা না থাকলেও পরীক্ষা দিতে গেছিলাম। কলেজে ঢোকার মুখে দুজন পুলিশ সমস্ত জামাকাপড় খুলে পরীক্ষা করে তারপর ভিতরে ঢুকতে দিলেন। হাতে শুধু অ্যাডমিট কার্ড আর একটি কলম। বিশাল হলঘরে পরীক্ষার্থীরা তাদের রোল সিট অনুযায়ী বসে পড়েছে। আমার সিট পড়েছে মাঝখানে। তিন ঘন্টার পরীক্ষা। ছোট-বড় সব রকম প্রশ্ন। সব কিছুরই দ্রুত উত্তর করতে হবে। তেমন কিছুই প্রস্তুতি ছিল না। কিন্তু যেসব প্রশ্ন করেছে প্রায় সবগুলোই জানা। প্রাচীন সাহিত্য থেকে আধুনিক সাহিত্য এবং বাংলা ব্যাকরণ পর্যন্ত এত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম প্রশ্ন দেখে অবাক না হয়ে পারিনি। কিন্তু এতটা প্রশ্ন তবু কোনো প্রশ্ন সেদিন বাদ যায়নি। পরীক্ষা দিয়ে ভেবেছিলাম যাতে সুযোগ না পাই সেই ভালো। মনে মনে একটা প্রশ্ন ছিল, এত ডিগ্রি নিয়ে কী হবে? চাকরি তো কখনোই পাবো না!
যাইহোক সেই পরীক্ষা দিয়ে প্রায় ভুলেই গেছিলাম। প্রায় মাস ছয়েক পর বাড়িতে আর একটা চিঠি আসে তখন বুঝতে পারি আমি পরীক্ষায় পাশ করেছি। মাত্র দুজন ছেলে পাশ করেছিলাম। আমার নামটি ছিল দু নম্বরে। অধ্যাপিকা ললিত সান্যাল আবারও তাড়া দিলেন ঠিক সময়ে ভর্তির জন্য। আমি একটা চিঠিতে লিখেছিলাম, আমার অসহায়তার কথা। এমনকি পিএইচডি করার কোনো সামর্থ্যই আমার নেই। তিনি তখন বলেছিলেন, “নিজের মেধাকে এভাবে নষ্ট করো না, দেখো একদিন কাজে লাগবেই। তখন আর এই সুযোগ পাবে না।”
“কিন্তু দিদি, এখানে এসে থাকা-খাওয়ার খরচ কিভাবে বহন করব?”
“অত ভাবছো কেন? প্রয়োজন হলে আমার বাড়িতে এসে থাকবে। এখানেই খাবে। ইউনিভার্সিটি যাওয়ার দরকার হলে আমার গাড়িতে করেই নিয়ে যাব।”
ডক্টর ললিতা সান্যাল অবিবাহিতা ছিলেন। ফ্ল্যাট, দুখানা গাড়ি, একজন কাজের মেয়ে ও একজন গাড়ির ড্রাইভার রাখতেন। আমি একজন ছাত্র হলেও মাতৃস্নেহের মতোই আমাকে কাছে টেনে নিয়েছিলেন। একদিন এমন কথাও বলেছিলেন, “আমার বাড়িতেই থেকে যাবে, আমি থাকি বা না থাকি এ বাড়ি তোমাকেই দিয়ে যাব।”
অনেক পরে এই কথাটি ভেবে, আমার মনে হয়েছিল—আমি কি তবে আমার এই প্রাপ্তিযোগকে নিজেই অস্বীকার করেছিলাম? না হলে সেদিন আমার এরকমই মনে হয়েছিল— কী হবে এভাবে জীবন কাটিয়ে? বরং আমার গ্রামবাংলাতেই সংগ্রাম করে বেঁচে থাকব, তবু এই প্রবাসে সুখের স্বপ্ন নিয়ে থাকতে পারবো না!
পিএইচডির বিষয় ঠিক হয়েছিল
‘পরাবাস্তববাদী জীবনানন্দ’। কাজটা কিছুদূর এগিয়েও গিয়েছিল। কিন্তু synopsis টাইপ করে জমা দিলে পরীক্ষা করে দেখা যায় এই কাজ আগেই একজন সম্পন্ন করেছে। সুতরাং আমাকে অন্য কিছু ভাবতে হবে। আর তখনই মাথায় এসেছিল, ১৯৮৮ সালে বাংলা অনার্সের যখন লাস্ট ইয়ার তখন প্রেমেন্দ্র মিত্রের মৃত্যু। মৃত্যুর সময় সুনীলবরণ ব্যানার্জি বলেছিলেন, “এই কবিকে নিয়ে পিএইচডি করিও।” ললিতা সান্যালকে সে কথা বলা মাত্রই তিনি synopsis তৈরি করতে বললেন।
পিএইচডিতে ভর্তি হতে সেদিন ৮০০ টাকা লেগেছিল। আমাকে দেওয়া জমির শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে ভর্তি হতে পেরেছিলাম। আমার গাইড ছিলেন অধ্যাপিকা ললিতা সান্যালই। প্রেমেন্দ্র মিত্রের সমস্ত কাব্যগুলি সংগ্রহ করে কাব্যের মূল বিষয়কে কেন্দ্র করে কয়েকটি পর্বে সাজিয়ে নিয়েছিলাম সেক্ষেত্রে আমাকে সাহায্য করেছিলেন ললিতা সান্যালই। তাঁর বাড়িতে থেকে সেই রূপরেখা তৈরি করেই বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। মাসে একবার অথবা দুই মাসে একবার যাওয়া-আসা করে কাজটি সম্পন্ন হয়েছিল। মাত্র তিন মাস পরিশ্রম করেই মূল বিষয়গুলি ক্রমান্বয়ে লিখে ফেলতে পেরেছিলাম। অধ্যাপিকা অবাক হয়ে বলেছিলেন, “কোনো ছাত্র এত দ্রুত কাজ করতে পারে আমার অভিজ্ঞতায় নেই!”
পিএইচডি চলতে চলতেই ন্যাশনাল এক্সচেঞ্জ থেকে ডাক আসে আমার গ্রামের পাশে ব্রহ্মাণী নদীর তীরে অবস্থিত হরিদাসপুর হাইস্কুলে। প্রধান শিক্ষক বদরুদ্দোজা রামপুরহাটেই থাকেন। স্কুলের কমিটিতে সবাই বামফ্রন্টের লোক। তখন রামপুরহাটের এস আই সেকেন্দার আলি আমার বহু পূর্ব পরিচিত। স্কুল ও শিক্ষা বিষয়ে কয়েকটি চিঠিপত্র আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার সুবাদে তাঁর আরও কাছাকাছি আসতে পেরেছি। এক ঈদের দিনে তিনি রামপুরহাটে সবচেয়ে ব্যয়বহুল হোটেলে আমাকে খাইয়েছিলেনও। তিনি স্কুলে কল্ পাওয়ার কথা শুনে আমাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে গেলেন হেডমাস্টারের বাড়িতে।তারপর বললেন, “এই ছেলেটাকে আপনার স্কুলে নিচ্ছেন কিনা বলুন। কী শর্ত আছে তাও বলুন,আমি সব ব্যবস্থা করে দেবো।”
হেডমাস্টার একজন স্কুল ইন্সপেক্টর এর অনুগত হবেন এটাই স্বাভাবিক। সেদিন তিনিও সবরকম আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, “যদি কাউকে চাকরিতে নিতে হয়, তবে অবশ্যই তৈমুরকে নেবো।”
সেদিন হাসিমুখে বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। ভেবে নিয়েছিলাম চাকরি হবেই। তারপর ইন্টারভিউ এর তারিখ যত কাছাকাছি এসেছে তত হেডমাস্টারের বাড়ি গেছি। তিনি মাথায় হাত বুলিয়ে, নিজের ভাতের থালা থেকে আস্ত ভাজা ডিমের অর্ধেকটা ভেঙে আমার মুখে তুলে দিয়ে যেন একেবারেই আমাকে আপন করে নিয়েছেন। স্কুল কমিটির উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন—স্কুল সেক্রেটারি সিপিআইএম পার্টির নলহাটি ১নং ব্লক সভাপতি সনৎ প্রামাণিক, পঞ্চায়েত নমিনি নলাটি হরিপ্রসাদ হাইস্কুলের প্রাক্তন হেডমাস্টার বিশ্বরূপ কাঁঠাল। সকলের দ্বারে দ্বারে আমি ঘুরেছি। শেষ মুহূর্তে একজন তৃতীয় ব্যক্তির মুখে শুনতে পেলাম, হেডমাস্টারের মেয়েকে বিয়ে না করলে চাকরি হবে না।
—কেমন মেয়ে হেডমাস্টারের?
—দুবার মাধ্যমিক ফেল। দেখতে একেবারেই ভালো নয়। বহুদিন থেকে চেষ্টা করেও বিয়ে হচ্ছে না।
—তিনি কি বিয়ে করলেই চাকরি দেবেন?
আগে তো দুটো মেয়ের তা-ই করেছেন। সুতরাং হেডমাস্টার চান বিয়েটা হোক।
—বিয়ে করলেই যদি চাকরি হয় তবে তাই করব।
সংবাদটি হেডমাস্টারের কানে গেল। তিনি যথোচিত উদ্যোগ শুরু করে দিলেন। কিন্তু অন্যদিকে সেক্রেটারি এবং পঞ্চায়েত নমিনি বেঁকে বসলেন। সেক্রেটারি বললেন, “একে তো অর্ধেক মাস্টার মুসলিম, এরপরও মুসলিম নিতে বলছেন? স্কুলটা কি পাকিস্তান করে ছাড়বেন?”
পঞ্চায়েত নমিনি বললেন, “যেমন করে হোক যে কোনো মূল্যে মুসলিম ছেলের চাকরি আটকাও!”
সত্যি সত্যিই আটকে গেল আমার চাকরি। ইন্টারভিউ বোর্ডে ভাইবার ১০ নম্বরই কমিটির হাতে। কিন্তু একাডেমিক স্ক্রোরে আমার ধারে কাছেও কেউ আসতে পারবে না। সুতরাং স্কুল কমিটির এক্সপার্ট ছাড়া সকলেই প্রায় নাম্বার দিলেন পয়েন্ট জিরো জিরো ওয়ান। হাজার ভাগের একভাগ। বহু কষ্টে কেটেকুটে প্যানেলের দ্বিতীয় স্থানে আমাকে পয়েন্ট ওয়ান-এর ব্যবধানে রাখা হলো। আমি সুবিচার পেলাম না। হেডমাস্টার বিয়ে দিতে পারলেন না, টাকাও নিতে পারলেন না। এই বিচক্ষণ মানুষটি তখন অন্য পন্থা অবলম্বন করলেন। এক্সচেঞ্জ অফিসের কল্ পাওয়া বর্ধমানের কাকলি ঘোষ নামে একজন ক্যান্ডিডেটের বাড়ি গিয়ে তাকে ডেকে আনলেন। তলে তলে তার কাছেই নিলেন ডোনেশন আর চাকরিতে জয়েন করালেন তাঁর নিজের ঘরেই গোপনে গোপনে।
এই অবস্থায় আমার সেদিন উকিলের ফি দেবারও সামর্থ্য ছিল না। হয়তো কেস করলে সুবিচার পেতাম। তা আর হলো না। হতাশায় জ্বরে হাত-পা কাঁপতে লাগল। শয্যাশায়ী হয়ে পড়লাম।
১৯৯৮ সালের শেষ দিকে নলহাটি হীরালাল ভকত কলেজের অংশকালীন অধ্যাপক চেয়ে দৈনিক খবরের কাগজে একটা বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম। তখন প্রায় হতাশাগ্রস্ত জীবন। সারাদিন চা খেয়ে, ঠোঙায় মুড়ি খেয়ে রামপুরহাট শহরের বিভিন্ন গলিখুঁচিতে আড্ডা মেরে সময় কেটে যেত। কাগজটি একটি দোকানে বসেই দেখেছিলাম দরখাস্ত জমা দেওয়ার সময়ও বেশি ছিল না। অনিচ্ছাকৃতভাবে তবু দরখাস্ত দিয়েছিলাম আর সরাসরি ডাকও পেয়েছিলাম বর্ধমান ইউনিভার্সিটিতে গিয়ে ইন্টারভিউ দেওয়ার। যারা ইন্টারভিউ নিচ্ছিলেন তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন হীরালাল ভকত কলেজের প্রিন্সিপাল ডক্টর জগন্নাথ চৌধুরীও। বহু ছেলে-মেয়ের ভিড় থাকলেও আমাকে তাঁদের পছন্দ হয়েছিল। ইন্টারভিউ এর পরের দিনই কলেজে যোগদান করতে পেরেছিলাম। সেই সময় মাসিক ভাতা ছিল মাত্র পাঁচশো টাকা। পরীক্ষার খাতা দেখে হাজার পাঁচেক টাকা আয় করতাম সারা বছরে। আর পেয়েছিলাম অনেক টিউশন পড়ানোর ছাড়পত্র।। এটাই ছিল হালে পানি পাওয়া।
গ্রাম থেকে সাইকেল ঠেলে নলহাটির কলেজে যেতাম। কলেজের ক্লাস শেষ হলে একটা ভাড়া বাড়িতে টিউশন পড়ানো শেষ করে আবার সাইকেলেই বাড়ি ফিরতাম। ছাত্রীদের মুখগুলি মনের আয়নায় বারবার ভেসে উঠত। মনে মনেই তাদের সঙ্গে কথা বলতাম।
—পাপিয়া খুব ভালো মেয়ে তো!
—অবশ্যই ভালো, কত সুন্দর পড়াশোনা করে।
—এরকম মেয়েকে কি জীবনে পাওয়া সম্ভব?
—কী করে সম্ভব হবে! ওরা তো বড় ঘরের মেয়ে! একজন পার্টটাইমার হয়ে এসব ভাবাও অন্যায়।
—কিন্তু না ভেবেও সময় কাটছে কই? আর কতদিন স্বপ্ন দেখতে হবে?
—তার থেকে ভালো হয় ফিলোসফির মেয়েটি যে পার্টাইম করতে আসে। হ্যাঁ সেও সুন্দরী বটে!
—কিন্তু ও তো ইংরেজি স্যারের সঙ্গে ফেঁসে আছে! দীঘা নাকি বেড়াতে গিয়ে একই লজে উঠেছিল। আরও কত ছেলেকে ঘায়েল করে এসেছে।
—তাহলে! এরকম মেয়েদের থেকে দূরে থাকাই ভালো। আরও অপেক্ষা করো।
অপেক্ষা অনেক করতে হয়েছে। টিউশন পড়তে আসা বিএ ক্লাসের ছাত্রীটি দুবার স্বামী পরিবর্তন করেছে। আবার একটা নতুন ছেলের সঙ্গে প্রেম করতে শুরু করেছে। এবার হয়তো তিন নম্বর স্বামী হতে চলেছে। এসব তো চোখের সামনে ঘটছে। বিচিত্র মানুষের চরিত্র। নিজের সঙ্গে নিজেরই কত কথা। কত ঝগড়াঝাঁটি। আবার কত বন্ধুত্ব। এসব করতে করতেই সাইকেল বাড়ির দরজায় এসে লাগে।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

সাদ আব্দুল ওয়ালী on ৩টি কবিতা
নয়ন আহমেদ on ৩টি কবিতা
নয়ন আহমেদ on ৩টি কবিতা
সাদ আব্দুল ওয়ালী on লজ্জাবতী ও অন্যান্য কবিতা
সাদ আব্দুল ওয়ালী on লজ্জাবতী ও অন্যান্য কবিতা
রাবেয়া আখুঞ্জী on লজ্জাবতী ও অন্যান্য কবিতা
সাদ আব্দুল ওয়ালী on লজ্জাবতী ও অন্যান্য কবিতা
সাদ আব্দুল ওয়ালী on লজ্জাবতী ও অন্যান্য কবিতা