পথ
………
যার মৃত্যু নাই
অমরত্বে বাঁচে তার নাম পথ
সবার আগে জাগে
ভাত-কাপড় লাগে না
উদাস হাওয়ার শরীর
টুপ টাপ গন্ধ ঝরে
তার হাত ধরে
পৃথিবী বাঁচে, হাঁটতে শেখে
…………
নিত্য
…………
সংসার ঘোর মায়াময়
নেই তেমন কিছু
বা,অনেক কিছুই থাকে
ঘড়ি বন্ধ হয়ে গেলে
সময় থেমে থাকে না
সে অখণ্ড চৈতন্যময়
যন্ত্র মানে যন্ত্রণা
সেও মোক্ষ চায়
জন্ম
মৃত্যু
রূপ
চক্রাবর্তনই দুঃখের কারণ
………….
ডাস্টবিন
………….
লিখছি কাটছি
কাকে লিখছি,কি লিখছি
বলতে পারবো না
জানালাতে
ঠেস দেয় টুকরো রোদ্দুর
মেঘ নুপূর রামধনু
অন্ধকারের আয়না জ্যোৎস্না
সকলেই একা একা
ক্ষয় যত বাড়ছে
সময় কমছে
মনকে কুচি কুচি করে
ভর্তি করছি শূন্যতা
……………
কোঠা বাড়ি
…………….
শরীর তিন দরজার কোঠা
আমাদের প্রতি মহুর্ত
আকাশ দরজা চেনায়
জানালা ও ভিন্ন
সিলেবাস,পাটিগণিত
জ্যামিতি,ছেদবিন্দু ব্যাসার্ধ
আত্মার স্কেল ক্যাম্পপাশে মাপা
আশ্চর্য ভাবে
গন্তব্য সেই মহাপ্রস্থানের দিকে
কেন তবে
মানুষে মানুষে এত ভিন্নতা
…………….
পাখি
…………….
ঠিক একদিন
উড়ে যাবে
মায়া ফেলে,ছায়া ও
খাঁচা ফেলে
দূরে,বহুদুর যতটা বলে
চিনিয়ে ছিল
আকাশ বাতাস পৃথিবী
মা মাতৃভূমি
শাশ্বত পাখি কেই
জানতে চাইনি
………
বৃষ্টি
……….
খেত খামার
প্রান্তর ধানমাঠ গুলো চাতক বুক চেয়ে থাকে
আষাঢ় প্রায় শেষ
কোথাও দু,একটি কৃষক বেঁচে আছে
বুকের ভেতর,স্নায়ুর ভেতর
হাল,লাঙ্গল চলছে
অদ্ভূত তাদের কান্নার শব্দ
আকাশের চোখের জল
বাতাস মুছিয়ে দেয়
চাষির হৃদয় বীজ ধানের মাঠ হলেই
পৃথিবী সোজা হয়ে দাঁড়ায়
…………….
প্রতিবেদন
…………….
একদিন মৃত্যুময় হবে পৃথিবী
বাড়ছে ঋণ,
বাড়ছে
দুঃখের মনোবাসনা
মনখারপের সৌন্দর্য্য
অসুখ হচ্ছে স্বাস্থ্যবান
অনেক দিন হল
ঘড়িটা বন্ধ হয়ে পড়ে আছে
সময় ঠিক পা দুলাছে
বনে প্রতিধ্বনি হচ্ছে ঘন্টাগুলো
আকাশের প্রতিটি পৃষ্ঠায় ছাপা হচ্ছে
সময়ের হৃদয়
কিংবা অন্ধকার ফুসফুস
…………
বৃদ্ধাশ্রম
…………
নিমাই পণ্ডিতের টোল চণ্ডীমণ্ডপ
আমার পাঠশালা দূর্গামন্দির
আমার শিক্ষক
তার নতুন ঠিকানা বৃদ্ধাশ্রম
সমস্ত জীবন জুড়ে ছিল
চক,পেনসিল সিলেটের যজ্ঞভুমির বিভূতি নিয়ে একেঁ দিয়েছিলেন ভাগ্যের বিজয় তিলক
ছিল মস্ত বাড়ি চারটে পুত্র সন্তান
এখন মাথার ছাদের নাম বৃদ্ধাশ্রম
অবাক পৃথিবী, অপূর্ব পরীক্ষার্থী অবসরপ্রাপ্ত অঙ্কের দিনগুলোতে
শিক্ষক মানিয়ে চলতে পারেন
নিজেকে ভেঙে,অনেকগুলো একা জড়ো
করছেন
অসংখ্য নিঃসঙ্গতা নিয়ে চলছে হৃদয় পাঠশালা
লম্বা ইটের দেওয়াল
বরগা,কড়ি ঝুলে ভর্তি ঈশ্বরের ক্যালেণ্ডার
ভাঙচুর জানালা,দরজাগুলো
বিনয়ী ছাত্রছাত্রী
শেষ কটা দিন
শিক্ষকতা আর পেনশন সমান ব্যস্তজীবন
………
ঈদ
……….
নদীতে শুকা নেমেছে
ফুটো কড়ি নেই
নৌকার সংসার সুরদাস
পথ,পথেরা হাঁটাহাঁটি করতে পারে না
পারাপারা বন্ধ হয়েছে কবেই
নদী আমাদের মা,বাপ
আল্লাহ্ মিঞা চুপ
মেয়েটির ডুমুর ফুলের বয়স শেষ
কিনে দিতে হবে পায়েল
নদীচর গুমরে কেঁদে ওঠে বাপের বুক
ঈদের চাঁদ বেচে কিনে দিতে হবে