spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদকবিতাগুচ্ছ কবিতা : আহমদ সায়েম

গুচ্ছ কবিতা : আহমদ সায়েম

পানি লাগবে পানি ||
………..

মানুষ জন্মের একটা ইচ্ছা থাকে —ইতিহাসে টিকে থাকা
মুজিব দেশ স্বাধীন করে টিকে গেছেন, উনার মেয়ে হাসিনা চাইলেন
—বাপজি একাই অস্ত্র ধরেছেন, তা যেনো টিকে যায়
দেশটা শুধু আমাদের; —আপনাদের কিছু বলার থাকলে রক্ত দিয়ে বলবেন

শুরু হইল –বলা এবং দেওয়া, মানে –রক্ত-রক্ত খেলা
রক্ত দিয়ে কথা বলা যে —বেশি-বেশি যায় না, তা হাসিনা সরকার
ধরতেই পারেনি
উনি চাইলেন ‘রাজাকার’ শব্দটা গালি হিসেবে ইস্টাবলিস করবেন
তাই হইল— কিন্তু আবারও বুঝতে পারলেন না
–উপরের দিকে থু-থু দিলে —কী হয়…

বাবার মতো তিনিও এখন ইতিহাস; প্রকৃতি সবার ইচ্ছে পূরণে সহায়তা করে
বাবা-মেয়ের আখের গুছাতে হইল একই মাসে, ‘আগস্ট’ অন্ধকার থেকে
আরো কিছু অন্ধকারের মাত্রা পেয়ে গেলো…
এর আগে বাংলার বুকে পতন, পলায়ন একসাথে হয়নি, উনার হাতেই
জন্ম নিলো নতুন অধ্যায়, মানে —ফের ‘ইতিহাস’

পরবর্তী জেনারেশন জেনে গেলো
—রক্তের খেলা খেলে, বেশি কথা বলা যায় না, স্বপ্নগুলো সীমিত হয়ে ধরাদেয়…

পতন, পলায়ন হয়েছে; হয়েছে ছাত্রদের বিজয়
অথচ বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেছে একদল দেশ দ্রোহি বেইমানের দল —ছাত্রদের
কাঁধে সব আয়োজন রেখে অন্যান্য রক্তচুসা দল গুলো —ফের বিনাশ
আর অত্যাচারে লিপ্ত হচ্ছে…

তবে এবার আর ভয় নেই, আমাদের বাচ্চারা শিখে গেছে
সরকার-বিরোধী আন্দোলন —কতো সহজ উচ্চারণে: ‘পানি লাগবে পানি’
এই বলতে বলতে —দেশ ও ভাইবোনের জীবন বাঁচাতে
আরো কতো-শত ভাই-বোন —বন্দুকের নলের সামনে নিজেকে বিলিয়ে
দিতে হয় আর হবে…
মুগ্ধের পানি বিলিয়ে দেয়ার দৃশ্য পৃথিবীর কেউ ভুলবে না

ওরা বার বার ফিরে আসবে দেশ রক্ষায়; তখনও তারা বলতে থাকবে
—পানি, পানি। —পানি লাগবে কারো, পানি পানি…

০৮/১৮/২৪

মানুষ ||
……….

নিজেকে রক্ষার জন্য শত-শত মানুষ যে খুন করতে পারে
তারে কোনো ভাবেই খুনি বলা যাবে না!

—ও…ও! তবে কী বলা যায় তা হলে?

যাবে না মানে যাবে না, আর অন্য কোনো কথা নয়
দেশের জন্য এই সামান্য কয়জন লোক মরলে সরকারকে
—খুনি বলবে, মানে!

—স্পর্শ করার পূর্ণ অর্থ নানান ভঙ্গিতে হয়, মেজাজের উপর তা নিম্ভর করে

তাহলে দেশের সব মানুষ খুনি?
একটা ফ্যাক্টরি আর দেশ সংশোধনী কাজ —সমান দৃষ্টি রাখা ঠিক না…

—ও! —দেশে-দেশে মানুষ যদি সমান হয়, অধিকার, চাহিদা আবেগ
এই সব…
এরা সবাই যদি মানুষ হয়, তবে কেনো দেশ আর ফ্যাক্টরির
. নাম নিতে হবে এখানে?
মানুষ সবখানে সব সময় সমান, ধরেন —এখন আমি আপনাকে খুন
করলাম! কারে বলবেন খুনি?

৮/১৮/২৫

জনসাধারণের উদ্দেশে
…………

আপনারা অযথাই কান্নাকাটি করছেন বাচ্চাদের জন্য
যার হায়াত শেষ হয়! কে পারে তারে ধরে রাখতে? পেরেছে কেউ?
আর এই বাচ্চাদের কেউতো আমার আপনার ভাই বাবা বা আত্মীয়তার
. মধ্যে পড়ে না, তাই না!
আপনি বড় কোনো মেশিন চালালে দেখবেন — ফোটা হয়ে
মবিল, তেল পড়তেছে, এগুলোর হিসাব রাখলে — আপনাকে তা
বন্ধ করে দিতে লাগবে, তাই— আপনাদের বলছি
—মনে রাখবেন — মেশিন চালায় মেশিন-ম্যান, আর দেশপ্রেম!
—যাঁদের আছে, তারাই চালায় দেশ — আমি পূর্ণ একটা দেশ পরিচালনা করছি
আমার দায়িত্ব-জ্ঞান আপনার কাছ থেকে নিতে লাগবে না…

— একটু বেশি-বেশি বলে ফেললাম মনে হচ্ছে, কিছু মনে করবেন না…

— কী করব বলেন! ওরা আন্দোলনের নামে যে ভাবে সবকিছু লণ্ডভণ্ড
করেছে; মাথা ঠিক থাকে? বলেন…

সামান্য একটা দাবি নিয়ে এদের অবস্থা দেখেছেন? তারা রাস্তায়
নামার আগেইত আমি পূর্ণ করে দিয়েছিলাম তাদের আকাশ সমান স্বপ্ন
অথচ তারা আকাশে ওড়ার স্বপ্নে বিভোর…
— এতে আমার কী দায় থাকে বলেন? আমারও তো ভাই বাবাকে হারিয়ে
আপনাদের অবস্থা যাতে আরেকটু ভালো হয়… আমিওতো মানুষ…
— সব চক্রান্ত ঐ দেশদ্রোহীদের; তা আজ
আমার কাছে বা আপনাদের কাছেও জলের মতো জ্বল-জ্বল করছে…

বাচ্চারাত মরে গিয়ে তাদের একটা ব্যবস্থা করে নিয়েছে, কিন্তু
আমরা যারা আছি তাদের এখন কী হবে? এই যে দামি-দামি হাতি ঘোড়া, গাড়ি
আর বাসগুলো পুড়িয়ে দিলো, ওদের মা বোন নেই?
ওদের পরিবারের কেউ কী পারবে —হাজার-কোটি টাকায় দেশের স্বপ্ন পূণ করতে?
অথবা ঘোড়াকে কী ভাবে হাতি বানাতে হয় ওরা জীবনে ভাবতে পেরেছে, না পারবে?
অন্তত আমাদের মতো করে…
এই সব কিছু আমরা মাত্র পনের বছরে দেখিয়ে দিয়েছি বিশ্ববাসীকে
কী করিনি আমরা?– সব ধরণের খাদ্য, বিদ্যুৎ চিকিৎসা, রাস্তা, পুল, ব্রিজ
প্রতিটা নিশ্বাসে আমাদের চিহ্নগুলো স্পষ্ট, মেট্রোরেলের সাথে
যারা জড়িত ছিলো তারা আজ মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে
আমরাত ভাবতেই পারিছি-না এই জনগণ কী করে আমাদের হইল না! এই বিশ বছরেও
আপনারা আমাদের দৃষ্টি সীমা ধরতে পারেনি! আমার মনে হয় আর পারবেন ও না
আগামী দিন গুলো হবে… মানে আমি জীবন যাত্রার কথা বলছি —আগের চেয়ে
অনেক অনেক গুন স্পিডি হবে
—ফাইভ-জি স্পিড হবে সব কিছুতে…
এর জন্য আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, আপনাদের চেহারা নতুন করে আমাকে
ভাবতে শিখিয়েছে; —আপনারা, আপনাদের কাছে আমি বিচার চাই
এর শেষ দেখে ঘরে ফিরবেন, প্লিজ…

০৭,২৭,২০২৪

চরিত্র ।।
……..

দিনে দিনে অন্যয় গলো কী ভাবে আমাদের হয়ে গেলো
আহ্!
দেখলেই বুঝা যায়
এইটা আমারই অংশ
আমার ভায়ের গল্প, তার হাতের শক্তি, তারই সব ক্ষমতা

নিঃশ্বাসের ভয়ে, তার অন্যায় চরিত্রকে বলতে হচ্ছে
—ঠিক আছে…

০৭,২৯,২৪

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

সাদ আব্দুল ওয়ালী on ৩টি কবিতা
নয়ন আহমেদ on ৩টি কবিতা
নয়ন আহমেদ on ৩টি কবিতা
সাদ আব্দুল ওয়ালী on লজ্জাবতী ও অন্যান্য কবিতা
সাদ আব্দুল ওয়ালী on লজ্জাবতী ও অন্যান্য কবিতা
রাবেয়া আখুঞ্জী on লজ্জাবতী ও অন্যান্য কবিতা
সাদ আব্দুল ওয়ালী on লজ্জাবতী ও অন্যান্য কবিতা
সাদ আব্দুল ওয়ালী on লজ্জাবতী ও অন্যান্য কবিতা