চব্বিশের কবিতা
মোশাররফ হোসেন খান
……..
কাঁপিয়ে পথ ঝাঁপিয়ে চলে
চব্বিশের ভাই-ভগ্নি
রাস্তায় রাস্তায় বারুদ জ্বলে
প্রতিরোধের অগ্নি।
এক সাঈদের বক্ষ থেকে
লক্ষ সাঈদ জাগলো
এই বুঝিবা ক্ষোভের তোড়ে
স্বৈরাচারী ভাগলো।
ক্ষোভের বেলুন ফাটলে দেখি
স্বৈরাচারী কাঁপছে–
‘উল্টে গেল প্রাসাদ নাকি
মরণ এলো’– ভাবছে।
রক্ত স্রোতে সাঁতার কাটে
রক্ত খেকো রঙ্গনা
ভাবখানা তার–‘এই যে মানুষ
বঙ্গদেশের অঙ্গ না।’
মর্মপীড়ায় যায় না দেখা
রক্তমাখা ধুলি
সূর্য যেন লক্ষ সাঈদ
বুলেট বিদ্ধ খুলি।
ছাই দিয়ে তো যায় না ঢাকা
অগ্নিগিরির অগ্নি
সকল ঘরে ঐ জেগেছে
চব্বিশের ভাই-ভগ্নি।
ক্ষোভের মিছিল দ্বিগুণ হলো
ভাঙলো অধীনতা
রক্ত সাগর পেরিয়ে তারা
আনলো স্বাধীনতা।
বুকের ভেতর বারুদ জ্বলে
চোখের ভেতর অগ্নি
ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ বীর
চব্বিশের ভাই-ভগ্নি।
…………
সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ
জিয়া হক
…………..
ফ্যাসিবাদের দোসর ছিলেন, ছিলেন খুনে চুপ করে
হঠাৎ করে গর্ত থেকে উঠেন ডেকে খুব করে
সময় বুঝে, বিজয় দেখে ভেটকি মারেন সেলফিতে
ষোলো বছর দুধে-ভাতে বেঁচেছেন অঢেল ফি-তে।
অমুক ভাতা তমুক ভাতা জমুক ভাতা ব্যাংকেও
ফুল পাখি মেঘ লতা পাতা লিখেই ছিলেন র্যাংকেও
প্রতিবাদের প’ও ছিল না, ছিলেন পুরাই মিনমিনে
আজকে কেন পাল্টে গেলেন স্বাধীনতার তিন দিনে?
আপনি ভিসি-ডিজি হবেন, হবেন আরো কত কী
একাডেমির পদক পেতে চাটার সাথে নত কী
জীবন বাজি রেখে যারা মাঠে ছিলেন সক্রিয়
তারা এখন বিবেচিত যেন ছাগল-বকরি ও!
সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ আর চাটুকারের বাম্পারে
রাজা উজির মারতে পটু সকল কাজির কাম পারে
আজকে ওরাই রাজার হালে, ত্যাগীরা সব বঞ্চিত
কলিকালেই বাঁশের চেয়ে মূল্য বেশি কঞ্চি তো।
নষ্ট-পচা বিষাক্ত কীট করে রাখো একঘরে
দেখবে ওরাই জ্বলে পুড়ে পচে মরে সব ঘরে।
………
পিরিতি
মাসুদ কামাল
………
দেড় দশকের পিরিতি আজ টা টা
চাইলে ইলিশ পাবে না তার কাটা
যাও ভুলে যাও সেই সুমধুর দিন
আমাদের কাছে তোমাদের আছে পাহাড়সম ঋণ।
সেই ঋণ আগে করতে হবে শোধ
এভাবেই শুরু এখন থেকে মধুর প্রতিশোধ।