ফ্যাসিনা
কদমে কদম বাড়িয়ে এসেছি এইখানে। এই জনপদে গড়েছি নিজেদের আবাস। রক্ত আর ঘামে গড়েছি সভ্যতা।
দু:স্বপ্নের মতো দেখি হঠাৎ এক উন্মাদিনী হাজির হয়েছে হাতে রক্ত আর মানুষের খুলি নিয়ে।
আমাদের ঘরে পাঠিয়ে দিয়েছে খুনি তার নিজস্ব জল্লাদ। চাঁদের আলোয় বসে উন্মাদিনী করে প্রেতসাধনা। লোকজনকে জানায় সে সংবাদ তাহাজ্জুদ নামে।
আমাদের পথে পথে সে বিছিয়ে দিয়েছে কাঁটাতার, অবিশ্বাস বুনে দিয়েছে পিতা আর পুত্রের মাঝে। ভাইকে লেলিয়ে দিয়েছে ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
রক্তে ভেসে যাওয়া বুক আর মাথার খুলি থেকে মগজ আলগা করে দেয় তার আওয়ামী পুলিশ।
আমাদের মৃত্যুর পরোয়ানা জারি করে সে শিকার করে মৎস্য।
আমরা সম্মিলিত ভাবে খুন হতে চেয়ে এগিয়ে আসি তার দখল-করা গণভবনে। শহীদি তামান্না পৌঁছে দেয় রাজপ্রাসাদে। দেখি, সেখানে গণতন্ত্রের মানসকন্যা নাম নিয়ে বসে আছে এক রক্তখেকো ডাইনি।
অবাধ্য কবিতা
যুদ্ধে জেতে না সকলে, অনেকেই হেরে যায়;
ফিরে আসে অন্য যুবক ও যুবতী
মহাফেজখানায় সংরক্ষিত হবে ভুল ইতিহাস, সে কথা জানতেন ইবনে খালদুন।
কিছু সত্য লিখে রাখে পট ও পুঁথি!
অন্ধকারের নেপথ্য থেকে ফিরে আসে অজানা সময়
পথ ভুল করে মানুষ, তবু পথ হারায় না;
তুমিই বলেছিলে।
মৃত্যুও মাঝে মাঝে খুলে দ্যায় আলোর দুয়ার,
জেনেছি বিরহে প্রেম তুমুল হয়; সত্য হেঁটে চলে মানুষের মিছিলে।
ভয়ে মুখ খুলে না ভীতু, লোভেও বন্ধ হয় জবান;
রক্ত বৃথা যায় না, সে কথা জান তুমিও
দ্রুত কিংবা ধীরে
যুদ্ধক্ষেত্রগুলো এগিয়ে আসছে ক্রমশ
ঘুম ভেঙে গেলে দেখবে বুলেট বিদ্ধ নিজেকে আর সন্তানের বুক গেছে চিরে।
সরোয়ার
আলিফ লাম মিম –এর অর্থ জানেন মুহাম্মদ ।
খোদার কসম, তুমি তানজিম
জীবন দিয়েছ বাংলাদেশকে রাখতে নিরাপদ।
তোমাকে ভুলে যেতে মুহূর্তও দেরি হবে না।
আমাদের স্মৃতি এমন প্রতারক।
অর্থ আর কামের কাছে বন্দী বুদ্ধিজীবীরা
তোমাকে ভুলিয়ে দিতে রইবে তৎপর।
লাভের গুড়ে গলা বাড়িয়ে দিতে প্রস্তুত সাদা বক,
আমাদের পতন অনিবার্য যদি এখনি না রুখে দাঁড়াই।
তানজিম তুমি পুত্র মম, তুমিই মম ভাই।
তোমাকে ভুলে গেলে মরণ তরান্বিত হবে, এ কথা জানা-ই।
তবুও আজ তোমাকে ঘিরে আমাদের নাই কোনো মর্সিয়া-ক্রন্দন, নাই প্রতিরোধ।
বিবেকের ঘরে কে দিয়েছে তালা? কোন নমরুদ!
তোমাকে মেনে নিলাম দিশারী, তুমিই সরোয়ার।
তোমার স্মৃতিতে ঝলসে উঠুক সত্যের তলোয়ার।
ভালো কবিতা।
সময়কে ধরে রাখার কবিতা।