………….
পৃথিবীর বাঁক বদল
মোশাররফ হোসেন খান
………….
পছন্দ হোক আর নাই হোক
পৃথিবী বদলে যাবে—
হয়তো সম্পূর্ণ অন্ধকার
হয়তো সম্পূর্ণ আলোকময়
হয়তো আধো আঁধার
হয়তো আধো আলো।
যাই হোক না কেন পৃথিবী বদলে যাবে।
হয়তো কোনো গোলার্ধই
আমূল পরিবর্তন হবে না—
সূর্য,গ্রহ, নক্ষত্র অপরিবর্তনীয়
পশু, পাখি, কীট পতঙ্গ ঠিকই থাকবে।
তাহলে কি নিয়ে বদলে যাবে পৃথিবী?
সেটা বলে দেবে ভবিতব্য।
পছন্দ হোক আর না হোক
পৃথিবী বদলে যাবে।
আমার প্রত্যাশা এই—
কেউ না কেউ আলোর আধার হয়ে ঘুরে দাঁড়াক।
দীপ্তিময় আলোর দিকেই হোক
পৃথিবীর বাঁক বদল।
………
হাসান নসরুল্লাহর মতো
নয়ন আহমেদ
………..
মনে করো, ঘুড়ি উড়ছে আকাশে;
যেনো অনেক পাখি —
প্রত্যাশার মতো আড়ম্বর।
উচ্ছ্বাসের সমগোত্রীয়।
তুমি এইসব লম্বা ও উচ্চাঙ্গ নিঃশ্বাস দেখেছো।
হাসান নসরুল্লাহ হয়ে যাচ্ছে সব ঠোঁট ও মুখমণ্ডল।
ঘুড়ি যেনো উচ্চাশার সহোদরা;
মানুষের অনুভূতি।
বহুরঙা দিন।
চোখ মেলে তাকালে দেখবে —
মানুষ মূলত শ্বাস নিতে চায়। শ্বাস।
হাসান নসরুল্লাহর মতো পাখি হতে চায়।
হে পাখি
ওহে বর্ধিত নিঃশ্বাস
ইহুদিদের জানিয়ে দাও — শত্রুতা আর হত্যা ভুলতে ভুলতে —
পুষ্প ও পৌরুষ ছিটাতে ছিটাতে আমরা এখানে এসেছি।
আমরা ভালোবাসা হয়ে গেছি।
জীবনকে বিলিয়ে দিয়েছি বারবার।
এই দৃশ্যে কেউ হয়তো মানুষ হয়ে যাবে। মানুষ।
কেবলই মানুষ।
৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
…………….
তাসনীম মাহমুদ
রক্তাক্ত পাখি
………………
একটা শাদা পাখি, উড়ে যাচ্ছে— পালক রক্তাক্ত…
সেই কবে; রাশান বিপ্লবের যুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়েছে!
গন্তব্যের পথে, একটা পাহাড়ী অরণ্য অপেক্ষায়—
জন্ম অবধি কুচো শামুক, পোকামাকড় যার খাদ্য
যে ছিনিয়ে নেয়নি মানুষের ব্রেকফাস্ট কিংবা লাঞ্চ।
একটা শাদা পাখি, যার পালক বেয়ে রক্ত ঝরছে—
যার ওমে ঘুমিয়ে পড়ে নতুন দম্পতি, আলুথালু
পৃথিবীর ডিনার— যার সুরের শত্রু আব্রাহার হস্তী;
তাঁর জন্যে; ভোরের আলোড়নে মিছিলের ঠোঁট
গেয়ে উঠবে কী সমন্বিত দাউদের (আ.) যবুর…!
আহা মানুষ— স্রষ্টার মানুষ! কেন রাঙাও হাত
ক্ষমতার খঞ্জরে? আস্তিন গুটায়ে চেয়ে দেখো
বিপ্লব ছিঁড়ে টুকরো টুকরো… মতবাদের ফাঙ্গাস
পাহাড়, অরণ্য, জলাশয়, লোকালয়— কোথাও নেই
অথচ নিশঙ্ক উড়ে যাচ্ছে; পালক রক্তাক্ত একটা শাদা পাখি।
২৪.০৯.২০২৪