……………
ময়মনসিংহের বৃষ্টি
……………
আমরা ময়মনসিংহ গিয়েছিলাম।
অবরুদ্ধ সময়ে সরব কণ্ঠদের সাথে সুর মিলাতে।
ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের
করে আসতে সতর্ক।
তার আগেই পলাতক পাখায়
ভর করে আত্মগোপনে চলে গেছে মেয়র।
তবে সিটি কর্পোরেশনের নামফলকে তখনও খোদাই করা ফ্যাসিস্টের দোসরের নাম।
সিঁড়ি বেয়ে যখন উপরে উঠছি
নামটা তখন ভাসছিল মরা গরুর চোখের মতো।
আমরা ময়মনসিংহ যাচ্ছি।
বৃষ্টি আমাদের অভ্যর্থনা জানাতে এলো
ঝাঁকে ঝাঁকে শাদা কবুতর বৃষ্টি।
আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী কবি ও কবিতারা আসছি ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহের আকাশ তার মেঘকন্যাদের নামিয়ে দিল আমাদের চলার পথে।
সর্বাঙ্গে ছিটিয়ে দিল বৃষ্টির পাপড়ি।
অটোতেও ভিজছিলাম সে ভালোবাসার ছোঁয়ায় ।
তারপর প্রেম রোগে বিছানায় কাতরায়।
ময়মনসিংহের বৃষ্টি এখন আমার বউয়ের সতিন।
জ্বরে যখন প্রলাপ বকি
বউ বলে বৃষ্টির ছোঁয়ায় তুমি অন্ধ হয়ে গেছ।
ময়মনসিংহের বৃষ্টি আমি আবার গেলে তুমি মহুয়া,মলুয়াকে সাথে নিয়ে এসো।
আর তুমি হাওয়ায় হাওয়ায় উড়ে বলে দিও
ফ্যাসিবাদের আত্মারা যেখানেই আছে আমরা সেখানেই তাদের থাবড়াতে যাব।
……………
সম্ভাবনালীগ
…………….
বাপের বার্ধক্যে পোলা যৌবনে পৌঁছে।
যেমন আওয়ামীলীগ।
মুসলিমলীগের যৌবন শেষ। আওয়ামীলীগের যৌবন শুরু।
বেতমিজি করলে এই পোলাকে সমাজ বাঁকা চোখে দেখে।খারাপ শব্দে ডাকে।যেমন বাকশাল।
আওয়ামীলীগের কুখ্যাত নাম বাকশাল।
আচ্ছা আওয়ামীলীগের লোকজন কি বাকশালের কথা ভুইল্লে গেছে? নাকি ভুইল্লে থাকে?
তাইলে আওয়ামীলীগের বাপের নাম কী?
মুসলীমলীগ।
তারপর আওয়ামীলীগ কয় প্রকার?
দুই প্রকার
আওয়ামীলীগ ও বাকশাল।
বাকশাল মারা যাওয়ার পর আওয়ামীলীগ আবার হাঁটতে লাগল।
তারপর আওয়ামীলীগ আবার দুইভাগে ভাগ হল।
তারা দুইজনের নাম মুজিবলীগ ও হাসিনালীগ।
সর্বশেষে মুজিবলীগ আত্মগোপনে আর হাসিনালীগ পলাতক।
চব্বিশে এসে ছাত্রলীগ,যুবলীগ সবাই স্বৈরাচার লীগে মিশে তারা পরিচিত হল চব্বিশের রাজাকার লীগ হিসেব। এই নামেই তারা এখন বেঁচে আছেন।
ওরা আবার সকলে দৌড়াইতাছে সম্ভাবনালীগের পিছে।
………….
তিনি পদত্যাগ করেননি
………….
তিনি বললেন বা তারা বললেন তিনি পদত্যাগ করেননি।অমনি উতলা হলেন তার পদত্যাগপত্র সামনে আনার। কোন দরকার নাই।তাকে জনতা পদচ্যুত করেছে।টেনে হিঁচড়ে নামিয়েছে। পদত্যাগে যদি তিনি সই না করেও থাকেন তবু তিনি পতিত। তারপর রাষ্ট্রপতি তাকে পদচ্যুত করেছেন।
তিনি যদি পদত্যাগ করেও থাকেন, আর আগামীকাল ক্ষমতায় আসেন তাহলে পয়লা এসেই তিনি ফাঁসির রশিতে তেল মাখাবেন আপনাদের বহুজনের জন্য।
তিনি যদি পদত্যাগ না করে থাকেন আর ক্ষমতায় আসতে পারেন তবু রশি শান দিবেন।
সুতরাং পদত্যাগ করা না করা উভয়ই আপনার জন্য সমান।
তিনি আইন বাতলিয়ে ক্ষমতায় আসবেন এই আশা তার মনেও নাই।তিনি তা স্বপ্নে দেখেনও না।স্বপ্ন দেখেন চট করে এসে ক্ষমতার মসনদে বসে যাবেন।এরপর কচু কাটবেন।
আইন আপনাদের হাতে। বহুত সুযোগ আছে আইনের ফাঁক বন্ধ করে দেবার। গণঅভ্যূত্থানে তাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছেন। পদত্যাগের সই না খুঁজে আইনের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দেন। ছাত্র জনতা জেগে থাকলে তিনি আসতে পারবেন না।স্বপ্ন দেখতে পারবেন।স্বপ্ন দেখতে দেন, আর সকলে সজাগ থাকুন। তার বিষয়ে একটাই আলাপ তিনি পরিত্যক্ত, তিনি পলাতিকা। পলাইলে মানুষের লুঙ্গিই ঠিক থাকে না! আর উনারতো সাইন! নতুন আইন করেন। আইনে উল্লেখ করে দেন লক্ষণ সেন হলে কারও পদত্যাগপত্রে সই করা লাগে না।