spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদসাম্প্রতিকবাংলাদেশের 'জাতির পিতা' প্রশ্ন

লিখেছেন : ড. মুহাম্মাদ সাঈদুল ইসলাম

বাংলাদেশের ‘জাতির পিতা’ প্রশ্ন

ড. মুহাম্মাদ সাঈদুল ইসলাম

কয়েক দিন আগে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন যে তিনি বঙ্গবন্ধুকে “জাতির পিতা” মনে করেন না। এটা নিয়ে ইদানীং কোমল ফ্যাসিস্টরা বেশ লাফালাফি শুরু করেছেন। ১৮ই অক্টোবর ২০২৪ তারিখে ডেইলি স্টারে প্রকাশিত হয়েছে মাহফুজ আনামের “Hasina’s misrule should not affect our judgement of Bangabandhu” শীর্ষক কলাম। এখানে তিনি শেখ মুজিবকে “giant of history and the supreme leader of our independence movement” হিসাবে অভিহিত করেছেন, এবং জুলাই বিপ্লবের “ছোকরাদেরকে” তিনি শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের আয়না দিয়ে শেখ মুজিবকে না দেখার পরামর্শ দিয়েছেন। অন্যদিকে, উপদেষ্টা নাহিদের উদ্দেশে চিত্রনায়ক সোহেল রানা বলেছেন, “আপনাকে অজ্ঞ বলতে বাধ্য করবেন না।” যাইহোক, জাতির পিতা প্রশ্নের একটা সমাধান প্রয়োজন। এটা নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিস্তর আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত হওয়া দরকার। আমি আমার কিছু চিন্তাধারা শেয়ার করছি।

এক.
শেখ মুজিব বাঙালি জাতির পিতা নাকি বাংলাদেশী জাতির পিতা সেটা নিয়েই রয়েছে বড় বিতর্ক। যদি বাঙালি জাতির পিতা ধরা হয়, তাহলে সেটা হবে বাস্তবতা, ভৌগোলিক এবং ঐতিহাসিক দিক দিয়ে অবান্তর। ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের ফ্রেমে ফেলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির পিতা হিসাবে শেখ মুজিবকে যতই উপস্থাপন করুক না কেন, তা একদিকে যেমন পশ্চিম বাংলার হিন্দু বাঙালির কাছে অগ্রহণযোগ্য, অন্যদিকে বাংলাদেশে বসবাসরত অবাঙালি জাতিগোষ্ঠীর কাছেও পরিত্যাজ্য। এটা গেলো বাস্তবতা এবং ভৌগোলিক সমস্যা।

এবার আসি ঐতিহাসিক সমস্যা নিয়ে। ঐতিহাসিকভাবে যদি কাউকে “বাঙালি জাতির পিতা” হিসাবে অনুসন্ধান করি, তাহলে তিনি হবেন ”সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ”। বাঙালি একটা স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে রূপ পেয়েছে সুলতানি আমলে, ১৯৭১এ না। ১৩৫২ সালের দিকে দিল্লির কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি গঠনের প্রয়োজনীয়তা থেকেই সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ বাংলা ভাষাভাষীদের সমন্বয়ে গৌড় এবং বঙ্গ রাজ্য একত্রিত করে অখণ্ড স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। তার রাজত্বকালেই বাঙালিরা একটি জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। এ সময় থেকেই বাংলার সকল অঞ্চলের অধিবাসী বাঙালী বলে পরিচিত হয় এবং বাংলার বাইরের দেশগুলোও তাদেরকে বাঙালী বলে অভিহিত করে। ইলিয়াস শাহ-এর উপাধি ছিল “শাহ ই বাঙ্গালাহ” / “শাহ ই বাঙ্গালী”। হিন্দু রাজাদের আচরণ থেকে একটা ছিল সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম একটি কাজ। বাংলার বৃহদাংশ এসব রাজাদের রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হলেও হিন্দু ও বৌদ্ধ রাজারা নিজেদেরকে গৌড়েশ্বর বা গৌড়রাজ বলতে গর্ববোধ করতেন। কাজেই বাঙালি জাতি ও জাতীয়তাবাদের স্রষ্টা বা পিতা হিসেবে যদি কাউকে উল্লেখ করতে হয়, তবে তিনি অবশ্যই “সুলতান শামসুদ্দিন ইলিয়াস শাহ”, শেখ মুজিব নয়।

সুলতান ইলিয়াস শাহ এখানেই থেমে থাকেননি। তিনিই প্রথম ফার্সির পাশাপাশি বাংলা ভাষাকে “রাষ্ট্র ভাষা” করেন এবং বাঙালিদেরকে বাংলা ভাষায় সাহিত্য চর্চায় উৎসাহিত করেন। উনার আগে হিন্দুরা সংস্কৃত ভাষার চর্চা করতো এবং বাংলা ভাষাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য এবং চরম অবহেলা করতো। এমনকি হিঁদু ব্রাহ্মণরা ফতোয়া দিয়েছিল যে, “বাংলা ভাষার চর্চা করলে রৌরব নামক নরকে গমন করতে হবে।” অন্যদিকে এভাবেই একজন মুসলিম শাসকের হাত ধরে “বাঙালি জাতি” এবং “বাংলা ভাষা” বিকশিত হওয়া শুরু করে; যদিও এই যুগে দাদারা এই ক্রেডিট নিজেদের বলে দাবী করে আর নিজেদের বাঙালি পরিচয় নিয়ে বড় বড় কথা বলেন!

দুই.
একাত্তরে বাঙালি জাতির সৃষ্টি হয়নি, হয়েছে বাংলাদেশী জাতির। বাংলাদেশী জাতির পিতা যদি বলতে হয় তাহলে শেরে বাংলা, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, যোগেন মন্ডল, মুজিব, জিয়া, তাজউদ্দিনদের নাম আসতে পারে। ১৯৭১ সালে শেখ মুজিব সর্বপ্রথম পাকিস্তানের কাছে আত্মসমর্পণ করলেও মুক্তিযুদ্ধে তার অবদানের বিষয়ে ইতিহাসে একটা জায়গা আছে। কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশের শাসক হিসাবে তিনি হয়ে ওঠেন এক ফ্যাসিবাদের আইকন। তিনিই বাংলাদেশে প্রথম গুম এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার সূচনাকারী, আর্টিফিশিয়াল দুর্ভিক্ষ তৈরিকারী, এবং প্রায় ৩০ হাজার জাসদকর্মীর হত্যাকারী। এমনকি তিনি নিজ হাতেও একজনকে চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছেন বলে শ্রুতি আছে।

শেখ মুজিব ছাড়া দুনিয়ায় আর মাত্র দশটা দেশে “জাতির পিতা” আছে, তবে তাদের কারোরই জীবদ্দশায় কোন ফ্যাসিবাদের গন্ধ নেই, বরং তারা দেশগঠন এবং জাতি বিনির্মাণে অসাধারণ ভূমিকা রেখে অবিসংবাদিত নেতা হিসাবে ইতিহাসে জাজ্বল্যমান হয়ে আছেন। ঐতিহাসিকভাবে একজন ফ্যাসিবাদের আইকন কোন জাতির পিতা হবার যোগ্যতা রাখেনা। হিটলার, মুসোলিনি তো আর কোন জাতির পিতা হতে পারে না, তাই না? তাহলে সে হিসেবে শেখ মুজিবের নাম এখান থেকে বাদ যাওয়াটাই ঐতিহাসিক এবং যৌক্তিক দাবী।

এরই সাথে আরেকটি বিষয়, আওয়ামী লীগ “পিতা” শব্দটা কচলাতে কচলাতে অনেকটা বিষ্ঠা বানিয়ে ফেলেছে; “টোটেম” হিসাবে চাপিয়ে দিয়েছে জাতির ঘাড়ে, বানিয়ে ফেলেছে পূজনীয় মূর্তি। অনেকের সাথে আমি মনে করি, “যতোদিন বাংলাদেশের মানুষ মুজিবকে পূজার বেদিতে রাখবে, ততদিন বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ দূর হবে না!” তাই পিতার বদলে শেখ মুজিবকে বড়জোর বাংলাদেশের “প্রতিষ্ঠাতা” বা “স্থপতি” বলা যায়।

তিন.
এখন থেকে যায় “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি” খেতাব। বেশ কয়েক বছর আগে বি.বি.সি’র বাংলা বিভাগ তার শ্রোতাদের ভোটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্বাচিত করেছিলো বাংলাদেশের এযাবৎ কালের “শ্রেষ্ঠ বাঙালি” হিসাবে। বি.বি.সি’র এ মতামত যাচাইয়ে (opinion survey) বেশ কিছু পদ্ধতিগত ভুল (methodological error) ছিল। যে কোন বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য দুটো শর্ত অবশ্য পূরণীয়: নির্ভরযোগ্যতা (reliability) এবং বৈধতা (validity)। বি.বি.সি’র গবেষণায় যে পদ্ধতিগত ভুল ছিল, যার কারণে বৈজ্ঞানিক গবেষণার সকল পণ্ডিত যেসব নির্ভরযোগ্যতা এবং বৈধতা সংক্রান্ত নানান প্রশ্ন তুলতে বাধ্য, সেগুলো হলোঃ

১. এ মতামত যাচাইটা ছিলো শুধুমাত্র বি.বি.সি’র শ্রোতাদের মাঝে সীমাবদ্ধ যাদের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ ছিলো। ফলে দেশের আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণের কোন সুযোগ ছিলো না। এটা গবেষণা পদ্ধতির (research methodology) এক মারাত্মক ত্রুটি। এই ত্রুটিকে বলা হয় পরিসংখ্যাগত ত্রুটি (sampling error)। এ ত্রুটি থাকলে গবেষণার ফলটা সাধারণীকরণ (generalize) করা যায় না। অর্থাৎ বি.বি.সি’র উক্ত মতামত যাচাই অনুসারে আমরা বলতে পারিনা যে শেখ মুজিব বাংলার জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত এযাবৎ কালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি; বরং শুধু এতটুকুই বলা যায় শেখ মুজিব শুধু বিবিসি’র শ্রোতাদের দৃষ্টিতে (যারা মতামত যাচাইয়ে অংশ নিয়েছিলো) সেরা বাঙালি। ফলে আওয়ামীলীগের যেসব নেতাকর্মী এ নিয়ে মিছিল-মিটিং শোভাযাত্রা ও দেয়াল লিখন করে প্রচার করেছিলো যে “বিএনপি এবং জামায়াত অস্বীকার করলেও বাংলার জনগণ প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুই এ যাবৎকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি”- তাদের কথা যে চরম আহাম্মুকের পরিচয় বহন করে তা বলাই বাহুল্য। মজার ব্যাপার হলো, এ মতামত যাচাইয়ে অধ্যাপক গোলাম আযমের অবস্থান ছিলো শেখ মুজিবের কাছাকাছি, এবং শেখ হাসিনার অনেক অগ্রে!

২. বি.বি.সি’তে শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী যাচাই হবে এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলছিলো প্রচার ও প্রপাগান্ডা। বিদেশের মাটিতে বসে আমি দেখেছি সে সময় আওয়ামীলীগের কর্মীরা খুব সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। এ সক্রিয়তার মধ্যে ছিলোঃ (ক) সব আওয়ামীমনা ও ধর্ম-নিরপেক্ষমনাদেরকে দিয়ে ভোট দেওয়ানো; (খ) একই ব্যক্তি বিভিন্ন নামে বিভিন্ন ইমেল একাউন্ট দিয়ে একাধিক ভোট দেয়া, যেটা ধরার ক্ষমতা বি.বি.সি’র ছিলো না; এবং (গ) বিদেশে আওয়ামীমনা পত্রপত্রিকা দিয়ে জনগণের মতামতকে প্রভাবিত করা ইত্যাদি। এ ধরনের তৎপরতা অন্য কোন বাঙালির জন্য করতে দেখা যায়নি। বলা বাহুল্য, বি.বি.সি’র এ মতামত যাচাইয়ে এক বিরাট সংখ্যক অংশগ্রহণকারী ছিলেন প্রবাসী বাঙালি।

এসব কারণে এ মতামত যাচাই (opinion survey) যে বৈজ্ঞানিক বিচারে কোন নির্ভরযোগ্য এবং বৈধপদ্ধতি (method) ছিলোনা- তা গবেষণা পদ্ধতিতে (research methodology) যাদের ন্যূনতম জ্ঞান আছে, তারা স্বীকার করতে বাধ্য। কাজেই বিবিসি’র উপর ভর করে শেখ মুজিবকে “হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি” বলাটা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।

চার.
একজন মুসলমান হিসাবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি, কোন মুসলিম দেশে জাতীয়তা, ভাষা, বা ভৌগোলিক বিবেচনায় কোন “জাতির পিতা” থাকা উচিত নয়। নাগরিকত্ব, ভাষা, সংস্কৃতি, গোত্র, বর্ণ, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান, এমনকি পেশাগত দিক দিয়ে আমাদের নানান পরিচয় থাকতে পারে, কিন্তু জাতি হিসাবে আমরা মুসলমান। এই মুসলিম জাতিসত্ত্বা সকল ভৌগোলিক এবং সাংস্কৃতিক সীমাবদ্ধতার উর্ধ্বে উঠিয়ে এক উম্মাহ হিসাবে আমাদেরকে অনন্য এক উচ্চতায় পৌঁছে দেয়। মুসলমানদের জন্য “জাতি” হিসাবে পরিচিতি এবং “জাতির পিতা” প্রশ্নের সমাধান আল্লাহপাক সেই চৌদ্দশত বছর আগেই দিয়েছেন যে, জাতি হিসাবে আমরা মুসলমান, আর এই মুসলিম জাতির পিতার নাম ইব্রাহিম (দ্রষ্টব্য: সুরা হাজ্জ: ৭৮)। গত জুলাইয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় জাতির পিতা নিয়ে কিছু ছাত্র-ছাত্রী যথার্থই শ্লোগান দিয়েছিলো:

“শেখ মুজিব ঘোড়ার ডিম,
জাতির পিতা ইব্রাহিম।”

লেখক: এসোসিয়েট প্রফেসর, নানইয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটি, সিঙ্গাপুর

………….
সৌজন্যে : আমার দেশ

আরও পড়তে পারেন

2 COMMENTS

  1. অসাধারণ এক লেখা! নিরেট ইতিহাসের নিটোল বর্ণনা সমৃদ্ধ ছোট্ট পরিসরে বাঙালি/বাংলাদেশি (?) জাতির পিতার প্রসঙ্গকে একটি শক্ত ও যৌক্তিক ভিত্তির উপর দাঁড় করানো হয়েছে। আমার বক্তব্য হলো, ১৯৭১ সালে জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিকভাবে শেখ মুজিবুর রহমানের অবস্থান সবার উপরে। শেখ মুজিবুর রহমানের এই অতুলনীয় উচ্চতাকে যদি তাঁর শাসনকাল (১৯৭২-১৯৭৫) এবং তাঁর কন্যার দুটি শাসনকাল (১৯৯৬-২০০১ ও ২০০৯-২০২৪), যা শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত শাসনকাল হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে, এ নিরিখে নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা হিসেবে তাঁর অবস্থান খারিজ করে দেয়, তাহলে সেই লড়াইটি হবে একটি প্রজন্মব্যাপী লড়াই। এই লড়াই বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং জাতিসত্তার ভিত্তিতে করতে হবে। ক্ষমতায় থেকে শুধুমাত্র কয়েকটি দিবস বাতিল করা বা একটি ঘোষণা দিলেই বিষয়টি মীমাংসা হবে না। এ লড়াই হবে দুটি পক্ষের মধ্যে; একাত্তর বা তদপরবর্তি আওয়ামী রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবি বনাম ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাংলাদেশের স্বাধীন জাতিস্বত্ত্বায় বিশ্বাসী প্রজন্ম।
    লেখাটিতে আরেকটি বড় প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে—শেখ মুজিবুর রহমান কোন জাতির পিতা? বাঙালি, নাকি বাংলাদেশি? এখানে ‘মাহফুজ আনাম’ প্রজন্ম, বা যারা আমাদের মতো একাত্তরে শিশু ছিল, বা বিগত ১৬ বছরের সুবিধাভোগী অংশ তাদের অনেকের কাছে শেখ মুজিবুর রহমান একটি আবেগের নাম, তারা শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কোনো সত্য তথ্য বা যুক্তি মানতে নারাজ। মাহফুজ আনাম সে প্রজন্মেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন এবং “এই ছোকরাদের দল” বলে নতুন প্রজন্মের জানা-দেখা ও মতামতের অধিকারকে খারিজ করতে চান। সুতরাং, এই লড়াইটি হবে প্রজন্মব্যাপী। ইতিহাস কখনো একটি নির্দিষ্ট সময়ের ফ্রেমে বন্দী থাকে না; এটি পোক্ত হতে সময় নেয়। সুতরাং, বাঙালি জাতির পিতা প্রসঙ্গের এই নীরিক্ষা কাল চলছে, এবং ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা অনিবার্য বিষয়।

  2. অনেক যুক্তিপূর্ণ আলোচনা।
    জাতির পিতা বিষয়টির সমাধানে আরও আলোচনা প্রয়োজন।
    এ ব্যাপারে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও রাজনীতি বিজ্ঞানীদের লেখা চাই আরও।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

কাজী জহিরুল ইসলাম on কাজী জহিরুল ইসলাম এর কবিতা
এড. শাহানারা স্বপ্না on লেট ফ্যাসিজম
Adv. Shahanara on যুদ্ধশিল্প