ফ্রান্সের প্যারিস থেকে মোহাম্মদ মাহবুব হোসাইন
২২ নভেম্বর ২০২৪
গতকাল ২১ নভেম্বর ২০২৪ রবিবার বাংলাদেশ মিশন ফ্রান্সের উদ্যোগে সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৪ প্যারিস ১৬ এর টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের মাননীয় রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা।
ডিফেন্স এটাসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স উভয় দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ফ্রান্সে নিযুক্ত বন্ধুপ্রতীম বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও প্রতিরক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা, ফ্রান্সের সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী বিভিন্ন কোম্পানীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং ফ্রান্সে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটি নেতৃবৃন্দরা।এছাড়া ফ্রান্সে বসবাসরত বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মাননীয় রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম. তালহা এবং ডিফেন্স এটাসি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মিজানুর রহমান এনডিসি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের অভ্যর্থনা জানান।
মাননীয় রাষ্ট্রদূত এবং ডিফেন্স এটাসি তাদের বক্তব্যে তৎকালীন সময়ে ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী’ গঠনের প্রয়োজনীয়তা ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন এবং দেশমাতৃকার সেবায় সশস্ত্র বাহিনীসহ অন্যদের আত্নত্যাগের কথা গভীরভাবে স্মরণ করেন।
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন , মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতির অহংকার। ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীসহ সম্মিলিত বাহিনীর সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনী গঠন করা হয় এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহসিকতাপূর্ণ ভূমিকার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটান।যে কারনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাথা জাতি আজও গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। সম্প্রীতি দেশের ক্রান্তিলগ্নে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী জনগণের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান এবং পরবর্তী সময় বন্যাপরিস্থিতি মোকাবিলা, শিল্পকারখানায় নিরাপত্তা প্রদানসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ও অস্ত্র উদ্ধারসহ সব কার্যক্রমে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে জনগণের পাশে থেকেছে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী।