কবিতারও থাকবার পারে পাঠকরে ইগ্নোর কোর্বার জিদ
♦
বিষয় হইতেছে এইটা আমার কবিতা
হ
এইটা লিখা ফেলবার পর
এর সক্রিয় অস্তিত্ব আমি মাইনা নিছি
আমার কবিতা তুমি পছন্দ করতে পারো নাই
আমি দুঃখিত
কিন্তু এর জন্য আমি তোমার উপ্রে ব্লেইম করতে যাই নাই
আমার চোখ আমার
তোমার চোখ
তোমার
কোন না কোনভাবে আমার কবিতার ভিত্রে আমি উইঠা ল্যাংটো হয়া
বইসা থাকি
এইটা বিশ্রী একটা ব্যাপার
পেইনফুল
কিন্তু এইটা তো আমি চাই নাই
অথবা চাইতেছি
মাঝখান থিকা তোমার লগে আমার কাইজা বাঁধি গেছে
কাইজাটা নিজের লগেও
কবিতাগুলা একসময় একত্র হয়া একটা বই হইবার পারে
সুদৃশ্য বুকস্টলের তাকে বইসা থাকবার পারে
পারে তো
বইসা থাকে না যেন পিওর প্যাশন্স নিয়া শিকারের অপেক্ষায় থাকে
বাঘ
এইটা এক মারাত্মক খেলা
ক্রেতা ভার্সেস বই
কেয়ারফুল আই কন্টাক
আই কনফ্লিক্ট
অকস্মাৎ সুযোগমতো ক্রেতার ঘাড় মটকে ফেলে বাঘ
কিন্তু আমি জানি ক্রেতা/পাঠক একইসঙ্গে হয়া উঠবার পারে শার্প
আর ভায়োলেন্ট
এইটা কবিতার জন্য চ্যালেঞ্জ
এই চ্যালেঞ্জ না নিয়া
কবিতারও বাঁইচা থাকবার উপায় নাই তো
কন্যার অসম্পূর্ণ শিক্ষা
♦
লিখুন আমার কন্যার বয়স
৫
৬
৭
৮
৯
১০
১১
১২
১৩
১৪
অথবা ১৫
অথবা
২৫
অথবা
৩৫
আমি ওকে বড় করেছি
সুখে
স্বপ্নে
ভালোবাসায়
বাড়িতে ও কতো কিছুই না করে
আঁকে
বাবাকে বকে
স্কুলে ও শিখেছে স্বাস্থ্যবিজ্ঞান
হায় আমরা তো ওকে শেখাইনি
ধর্ষণ কী
পৃথিবীতে আদমের প্রতি হাওয়া
♦
আমি যদি ভুল করে থাকি
ক্ষমা করো
নিজের সঙ্গে প্রতারণা করতে
আমি পারিনি
আমাকে ভুল বুঝো না
আমি তোমাকে পেয়েছিলাম
কিন্তু আমার নিজের কোন আকাশ ছিল না
বস্তুত আমি তো মাটিরই তৈরি
আমি চেয়েছিলাম অন্যদের ভিতর বাঁচতে
তাদের একজন হয়ে
সবচে বড় কথা
আমি তোমাকে ভালবেসেছিলাম
আমি তোমাকে দিতে চেয়েছিলাম
আমার আগুন
গণতন্ত্র
♦
আর যারা রাজনীতি করে আর যারা রাজনীতি করে না
এদের সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে
আসল ব্যাপারটা হলো
রাজনীতি কী
এটা যারা রাজনীতি করে আর যারা রাজনীতি করে না
এদের কেউই হয় তো জানে না
তাহলে জানে কে
হ্যা
এটাই আমাদের খুঁজে বের করা দরকার
আর দরকার তার সুসজ্জিত পশ্চাদ্দেশে একটা লাথি
লাথিটাও তৈরি রাখা দরকার
না হলে আমরা পস্তাতে থাকবো আর ক্রমাগত
পস্তাতেই থাকবো
চারু
♦
যদি আমি আরও কিছুদিন বেঁচে থাকতে চাই এই বিষাক্ত ইলেকট্রিকের আলোয়
তাহলে আমাকে এ-ব্যাপারে নিঃসংশয় হতে হবে
যে রবি ঠাকুরের চারুলতা না নকশালবাড়ির চারু মজুমদার
কাকে আমি বেশি অনুভব করি
অনুভব করছি
এখন
আপনারা তো চারুকে চেনেন
চারুলতা
ওর দেখাটাকে চারু মজুমদারের দেখার সঙ্গে
কিভাবে আমরা গুলিয়ে ফেলছি
তা গুলিয়ে ফেললামই বা
গুলিয়ে ফেলা মানে কি ভুল করা
ভুল করা আর যাবো যাবো করে পায়রাবন্দে না গিযে আর্টিকেল লেখা
আর রেশমগুটির ভিতর বেড়ে ওঠা মারাত্মক মথ
আর্ট জাংগল
ভুল কে করেনি
চারুলতা
চারু মজুমদার
এরা তো ভুলের সমাহার
আর সেই ভুলগুলো এরা এমনভাবে চারিয়ে দিয়েছে আমাদের ভেতর
যে আমরা অস্বস্তিতে পড়ে গেছি
আর সন্দেহ করছি নিজেদেরকে
আর আগুন খুঁজছি
আগুন
নিজেদের ভেতর
হ্যা এ-ব্যাপারে তো আমরা দ্বিধাহীন যে এরা আগুন রেখে গেছে
আমাদের ভেতর কোথাও
~~~~~~~~~~~
শিশির আজম
Shishir Azam
জন্ম : ২৭ অক্টোবর, ১৯৭৮
জন্মস্থান, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা :
এলাংগী, কোটচাঁদপুর
ঝিনাইদহ -৭৩৩০
বাংলাদেশ
মুঠোফোন ও হোয়াটসআপ নম্বর : ০১৭১৭৩৮৭৯০৭
ফেসবুক লিংক :
mail : shishir01978@gmail.com
কাব্যগ্রন্থসমূহ :
ছাই (২০০৫)
দেয়ালে লেখা কবিতা (২০০৮)
রাস্তার জোনাকি (২০১৩)
ইবলিস (২০১৭)
চুপ (২০১৭)
মারাঠা মুনমুন আগরবাতি (২০১৮)
মাতাহারি (২০২০)
টি পোয়েট্রি (২০২০)
সরকারি কবিতা (২০২১)
হংকঙের মেয়েরা (২০২২)
আগুন (২০২৪)
বিষ (২০২৪)
চা কফি আর জেনারেল কানেকটিভিটি (২০২৪)
সম্পাদিত ছোটকাগজ : শিকড় (৫ টি সংখ্যা প্রকাশিত)
সম্পাদিত কবিতার ভাঁজকাগজ : বাংলা (৩ টি সংখ্যা প্রকাশিত)
বাংলা কবিতায় Tea Poetry Movement এর উশকানিদাতা