মহান জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার লক্ষ্য নিয়ে ক্রমাগত ষড়যন্ত্র করে আসছে দেশি-বিদেশি একাধিক চক্র। নিজেদের হীন রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে এরা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল দেখতে চায়। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও শান্তি বিনষ্ট করতে চায়।
গণমাধ্যম থেকে আমরা জানতে পারি, ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মহাসমাবেশ ঘিরে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট মোড়ের জিরো পয়েন্ট স্তম্ভে ও জাতীয় পতাকার ওপর ধর্মীয় গোষ্ঠী ইসকনের গেরুয়া রঙের ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। এ ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সাবেক ইসকন নেতা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে (প্রকৃত নাম চন্দন কুমার ধর) আটক করে বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু গতকাল মঙ্গলবার যথাযথ সুবিচার নিশ্চিত করার আইনি প্রক্রিয়াকে শ্রদ্ধা না করে এই চক্রের ব্যক্তিবর্গ চট্টগ্রামের আদালত প্রাঙ্গণে হাজির হয়ে উচ্ছৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। একপর্যায় সহকারী সরকারি কৌসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। এসব ঘটনা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধানোর গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এদিকে আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে হত্যা সকল ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্রদের ‘সংহতি সপ্তাহ’ ঘোষণার চক্রান্তমূলক একটা জবাব। কারণ, ‘সংহতি সপ্তাহ’ যে একটা সঠিক ও শক্তিশালী কর্মসূচি, যা গণশক্তি সংহত ও শিক্ষাঙ্গনের অস্থিরতা কমাতে পারে। আমাদের আহ্বান, ‘সংহতি সপ্তাহ’কে জাতীয় সংহতি করে তুলুন। সহিংস হবেন না।
আমরা উদ্বেগের সঙ্গে আরও লক্ষ করছি, বিভিন্ন দাবিদাওয়ার অজুহাতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ঘৃণাত্মক ও হিংসাত্মক বক্তব্য ছড়ানো হচ্ছে। গণ-অভ্যুত্থানের স্পিরিটের বিপরীতমুখী বয়ান তৈরি করা হচ্ছে কিছু মহল থেকে। আ. লীগের ঘৃণ্য রাজনীতির সংখ্যালঘু ট্রামকার্ড ব্যবহার করে ভারতীয় মিডিয়াও ক্রমাগত মিথ্যা বয়ান তৈরি করছে এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে দেশে-বিদেশে, যা আমাদের ভাবিত করছে দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে।
এমতাবস্থায় দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বাংলাদেশের সকল জনগণকে সচেতন ও সজাগ হওয়ার জন্য দৃঢ় আহ্বান করছে বাংলাদেশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের কলমযোদ্ধাদের জোট বৈষম্যবিরোধী কবি-লেখক-শিল্পী ডায়াস। জোটের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশের জনগণকে যেকোনো মূল্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করার অনুরোধ করছি। কেউ যেন ষড়যন্ত্র করে দাঙ্গা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য বিবেক, বিচক্ষণতা কাজে লাগিয়ে দেশের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় সচেতনতা জাগিয়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
পরিশেষে বাংলাদেশের জনজীবনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, সমৃদ্ধি ও সংহতি কামনা করছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন—
আবদুল হাই শিকদার, কবি
কাজল শাহনেওয়াজ, কবি ও কথাসাহিত্যিক
আহমেদ স্বপন মাহমুদ, কবি
সাখাওয়াত টিপু, কবি ও অনুবাদক
আ- আল মামুন, কলামিস্ট ও গবেষক
ফারুক ওয়াসিফ, কবি ও সাংবাদিক
এনামূল হক পলাশ, কবি ও অনুবাদক
লতিফুল ইসলাম শিবলী, কবি ও গীতিকার
এহসান হাবীব, কবি ও ‘অবরুদ্ধ সময়ের কবিতা’র সম্পাদক
আলতাফ শাহনেওয়াজ, কবি
ড. খান সুবায়েল বিন রফিক, গবেষক
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, লেখক ও গবেষক
সালাহ উদ্দিন শুভ্র, লেখক ও সাংবাদিক
এহসান মাহমুদ, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক
শওকত হোসেন, কবি ও সংগঠক
ডেরিল অদ্রি রায়, চিত্রশিল্পী
সেলিম আওয়াল, গল্পকার ও সাংবাদিক
মাহবুব হাসান, কবি
সালেহীন শ্রিপা, কবি
নকিব মুকশি, কবি
রাসেল রায়হান, কবি ও কথাসাহিত্যিক
সাইয়েদ জামিল, কবি
জব্বার আল নাঈম, কবি ও কথাসাহিত্যিক
চঞ্চল বাশার, কবি
আফসানা জাকিয়া, কবি
শাদমান শাহিদ, কবি ও কথাসাহিত্যিক
শামশাম তাজিল, কবি
মুসা আল হাফিজ, কবি ও চিন্তক
আসমা সুলতানা শাপলা, কথাসাহিত্যিক
আদনান আরিফ সালিম, লেখক ও গবেষক
শান্তা মারিয়া, কবি ও সাংবাদিক
হাসান জামিল, কবি
ফেরদৌস মাহমুদ, কবি
রোমেনা আফরোজ, গল্পকার ও নারীবাদী লেখক
জগলুল আসাদ, শিক্ষাবিদ ও চিন্তক
শতাব্দী জাহিদ, চিত্রশিল্পী
কাজী নাসির মামুন, কবি
মালেকুল হক, কবি
বহ্নি কুসুম, কবি ও সম্পাদক
ওয়াহিদ রোকন, কবি
জুননু রাইন, কবি ও সাংবাদিক
সাম্য শাহ, কবি
সুফি সুফিয়ান, শিশুসাহিত্যিক ও গীতিকার
মাহমুদুর রহমান, কবি
মামুন আজাদ, কবি
শাহিন রিজভী, কবি
মাসুম মুনাওয়ার, কবি
মহসিন আহমেদ, গীতিকার
মঈন মুনতাসীর, কবি ও নাট্যাভিনেতা
মৃদুল মাহবুব, কবি
মুস্তাকিম বিল্লাহ, সংগঠক
নোমান প্রধান, অনুবাদক ও চিত্রনাট্য পরিচালক
পিন্টু রহমান, কথাসাহিত্যিক
রাজিয়া সুলতানা ঈষিতা, কবি
রিদওয়ান নোমানী, কবি ও ‘৩৬ জুলাই’ সম্পাদক
আবু সাঈদ বাহার, লেখক ও আইনজীবী
ফরিদুল ইসলাম নির্জন, কথাসাহিত্যিক
সাজ্জাদ সাঈফ, কবি ও চিকিৎসক
সানোয়ার রাসেল, কবি
সাঈদ হাফিজ, কবি ও উদ্যোক্তা
সাঈদ ইসলাম, কবি ও অনুবাদক
সাজ্জাদ বিপ্লব, কবি ও সম্পাদক
সাঈদ বারী, প্রকাশক; সূচিপত্র
তারিক ফিজার, কবি
তানভীর আহমেদ, কবি
বিপ্রতীপ মোস্তাক, কবি
ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম, কলামিস্ট ও সমাজসেবক
আকিব শিকদার, কবি ও অনুবাদক
সুলতান স্যান্নাল, কবি ও সংগঠক
আহমেদ ইসহাক, ছড়াকার ও কবি
ইস্রাফিল আখন্দ রুদ্র, কবি ও ‘জুলাইয়ের কথা’র সম্পাদক
তাহের সিদ্দিকী, গল্পকার
মাহবুব রহমান প্রকাশক, আদর্শ
কাফি কামাল, কবি ও সাংবাদিক
মনজুরুল ইসলাম মেঘ, চলচ্চিত্র পরিচালক
রাজা আবুল কালাম আজাদ, গবেষক
আবুল কালাম আল আজাদ, পরিবেশবাদী
আবু বক্কর রাজু, প্রকাশক
মাহদী আনাম, প্রকাশক; ঘাসফুল
হানিফ রাশেদীন, কবি ও প্রকাশক
পলিয়ার ওয়াহিদ, কবি।
………
নভেম্বর ২৭, ২০২৪