আবদুল হাই শিকদার
দেখা যাচ্ছে পতিত ফ্যাসিস্ট, রক্তপিপাসু স্বৈরশাসক হাসিনা ও তার মদদদাতা শক্তি বিপ্লব ২০২৪-কে কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। আমাদের দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে তারা অবস্থান নিয়েছে। প্রতিবিপ্লব ঘটানোর জন্য চালাচ্ছে একের পর এক ষড়যন্ত্র। চালাচ্ছে নানা চক্রান্ত। তারই ইঙ্গিত দিয়ে গেল জুডিশিয়াল ক্যু, আনসারকান্ড ও দাবিদাওয়া আদায়ের নামে বিভিন্ন শ্রেণির রাস্তা দখলের পায়তারা। সুযোগ পেলে আরও ভয়াবহ কিছু ঘটাতে যে তারা তিল পরিমাণ ইতস্তত করবে না, তা বলাই বাহুল্য।
বহু সাধনার বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রামে আমরা যদি সামান্য শৈথিল্য দেখাই, কিঞ্চিত পরিমাণ অসতর্ক হই, অসাবধান হই, ঔদার্য প্রদর্শন করি কিংবা শত্রু নির্মূলে ভুল করি, তাহলে সেই ছিদ্রপথে আমাদের ভুবনে ঢুকে পড়বে সূতানলী সাপ। মনে রাখতে হবে, আধিপত্যবাদের তাঁবেদার গণহত্যাকারী পতিত হাসিনার বিষাক্ত গোখরারা ছড়িয়ে আছে সারাদেশে, দেশের সব কটি প্রতিষ্ঠানে। এইসব আগাছা পরগাছা সমূলে উৎপাটন ব্যতিত কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করা সম্ভব নয়।
৭ নভেম্বর বিপ্লবকে বানচাল করার জন্য এই একই শক্তি শহীদ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে চালিয়েছিল ভয়াবহ সব চক্রান্ত। পাঁচ বছর সময়ের মধ্যে তারা চাপিয়ে দিয়েছিল ৩০টি সামরিক ক্যু। সর্বশেষে স্বাধীনতার এই মহান ঘোষক, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকারকে তারা নির্মমভাবে হত্যা করে চট্টগ্রামে।
৯০-এর গণঅভ্যুত্থানের পর নির্মল নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন বেগম খালেদা জিয়ার সরকারের প্রতি পতিত হাসিনার ‘বাণী’ ছিল, ‘একদিনের জন্যেও এই সরকারকে শান্তিতে থাকতে দেয়া হবে না।’ দেশ যখন ‘এশিয়ার ইমার্জিং টাইগার’ হওয়ার পথে, সেই সময় আধিপত্যবাদী শক্তি হাসিনা ও শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ঘাড়ে ভর করে মাঠে নামায় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম ভাঙ্গিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ বিপক্ষের কথা প্রচার করে, জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বিনাশ করে, দেশকে বিভেদ হানাহানি ঘৃণা ও বিদ্বেষের দোযখে পরিণত করে। তারপর তথাকথিত ‘গণ আদালত’ বসিয়ে লন্ডভন্ড করে দেয় দেশের বিচার ব্যবস্থাসহ সকল প্রতিষ্ঠান। আবার গণতন্ত্র ও উন্নয়নের মূলধারা থেকে রিংয়ের বাইরে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। ৭ নভেম্বরের পরাজিত শক্তি আবার ক্ষমতা দখল করে।
২০০১ থেকে পরবর্তী দিনগুলি এই চক্র দেশকে অস্থিতীশীল করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করার এক বীভৎস্য আয়োজনে দেশকে স্তব্ধ করে দেয়। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ‘অপরাধে’ প্রফেসর ড. ইউনূসের ওপর নেমে আসে নানামাত্রিক হয়রানি। এই সূত্রধরে মিথ্যা অজুহাতে জেনারেল মঈন-উ ও ফখরুদ্দীন আহমেদ গংরা ক্ষমতা দখল করে। সেসময় ভারতের সেনাপ্রধান দীপক কাপুর ঘোষণা করেন, ‘বাংলাদেশকে আর কোনদিন ইন্ডিয়ার রাডারের বাইরে যেতে দেওয়া হবে না।’ ২০০৮ সালে ছলচাতুরীর নির্বাচনের মাধ্যমে ভারত তার সবচেয়ে বিশ্বস্ত খাদেম শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে। সেই থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ভারতের প্রত্যক্ষ মদদে বিচারপতি খায়রুল হকের মাধ্যমে বাতিল করে দেওয়া হয় তত্ত্বাধায়ক সরকার পদ্ধতি। অথচ এটা ছিল তাদেরই আন্দোলনের ফল।
ধ্বংস করা হলো নির্বচন ব্যবস্থা। কেড়ে নেওয়া হলো মানুষের ভোটের অধিকার। দেশবাসীকে পাঠিয়ে দেওয়া হলো গ্যালারীতে। সেখানেও হরণ করা হলো তার নিরাপত্তা। বিপর্যস্ত বিচার ব্যবস্থাকে এবার ধ্বংস করা হলো ।ধ্বংস হলো রাষ্ট্রের সকল স্তম্ভ । পুলিশ, RABসহ অন্যান্য বাহিনীকে পরিণত করা হলো দলীয় গুন্ডায়। শিক্ষা, প্রশাসন ও সংস্কৃতির জগত সবকিছুকে পরিণত করা হলো দলীয় দলদাসে। জবাবদিহিতার শেষ চিহ্নকে মুছে দেওয়া হলো গুম, খুন, ক্রশফায়ার, এনকাউন্টার ও মামলার বিভীষিকায়। পিলখানায় ঘটনা হলো হৃদয় বিদারক হত্যাকান্ড। শেয়াবাজার লুট, ঘুষ, দুর্নীতি, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচারের ভয়াবহতার সামনে বাকরুদ্ধ হয়ে গেল দেশ। আওয়ামী লীগ , যুবলীগ ও ছাত্রলীগ পরিনত হলো হিংস্র রাক্ষসে ।
বিরোধীদলগুলোর প্রতি চালানো হলো নিষ্ঠুরতম নির্যাতন। বাক্, ব্যক্তি স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হলো। ন্যায় বিচার বলতে আর কিছু অবশিষ্ট রইলো না। গণমাধ্যমকে নির্বতমূলক নানা আইন দিয়ে বানানো হলো হাসিনা, তার পুত্র ও তার পিতা বন্দনার মুখপত্রে। আয়নাঘরের মতো রক্ত হিম করা নির্যাতন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হিটলার মুসোলিনীকে হার মানিয়েছিলো। বিচার বর্হিভুত হত্যাকান্ডের লাশ ভেসে উঠছিলো বিভিন্ন জলাশয় ও নদীতে। টেলিফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে নাগরিকদের সমস্ত গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এই ফ্যাসিস্ট হাসিনা। জাতীয় সংস্কৃতিকে ফেলে দিয়ে উঁচু করা হয় বিজাতীয় অপসংস্কৃতিকে। জাতীয় ইতিহাস বিকৃত করে জাতীয় বীরদেরকে হেয়প্রতিপণ্য করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চাপিয়ে দেওয়া হয় ভারতীয় বিজেপির প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বানোয়াট ও উদ্ভট ইতিহাস।
সরকার পতনের সব প্রক্রিয়া যখন ব্যর্থ তখন কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামে ছাত্র সমাজ। আমাদের সন্তানরা । কোটা থেকে ধাপে ধাপে আন্দোলন তুঙ্গে পৌঁছে। শুরু হয় একদফার মরণপণ সংগ্রাম। শেখ হাসিনার ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশে’ এই নিরাপরাধ ছাত্রজনতার ওপর চালানো হয় নৃশংস গণহত্যা। বাংলাদেশের হাজার হাজার বছরের ইতিহাসে এই পৈশাচিকতার দ্বিতীয় কোন নজির নাই। পরের ঘটনা সবার জানা। শুধু বলি রাখি ছাত্রজনতা নিজের বুকের তাজা রক্ত ঢেলে ভারতীয় তাবেদারকে উৎখান করে উদ্ধার করে আনে হারিয়ে যাওয়া স্বাধীনতা।
এই পরাজয়কে মেনে নিতে পারছে না শেখ হাসিনা ও তার মদদদাতা। শুরু করেছে নানারকম প্রতিবিপ্লবী তৎপরতা। এটা কিন্তু চলতেই থাকবে। যদি না আমরা এই বিষবৃক্ষকে শিকড়বাকড়সহ উৎচ্ছেদ করি। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ভেতর ঘাপটি মেরে আছে ফ্যাসিবাদের দোসররা। গণমাধ্যমগুলোর নেপথ্যে এখনো তারাই। ইতোমধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালাল বুদ্ধিজীবী ও এক শ্রেণির সংস্কৃতিকর্মী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও দেখা যাচ্ছে ‘আফসোস লীগ’র উৎপাত। এরা সুযোগ পেলেই যেকোন মুহূর্তে ছোবল মারবে। ধ্বংস করে দেবে আমাদের সন্তানদের কষ্টার্জিত অর্জনকে।
সেই জন্য প্রতিবিপ্লব রুখতে আশু করণীয় সম্পর্কে কিছু প্রস্তাবণা তুলে ধরতে চাই।
১. চীন, কিউবা, ভিয়েতনাম, ইরান প্রভৃতি দেশ বিপ্লবের পর অত্যান্ত দ্রুততার সাথে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলো, কেন করেছিলো তা অনুধাবন করা।
২. ছাত্রজনতা ও সমমনস্ক রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে রেভ্যুলেশনারী কমান্ড কাউন্সিল গঠন করা। প্রতি সেক্টরের জন্য ‘ভ্যানগার্ড’ গড়ে তোলার ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া।
৩. একই প্রক্রিয়ায় রেভ্যুলেশনারী গার্ডিয়ান কাউন্সিল গঠন করা। এই কাউন্সিল সরকারে বাইরে থেকে সরকারের প্রতিটি কর্মকান্ড পর্যবেক্ষণ করবে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবে।
৪. ছায়ামন্ত্রীসভা গঠন করতে হবে।
৫. প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তদারকির আওতায় আনার জন্য ‘জাতীয় মনিটরিং সেল’ গঠন করতে হবে।
৬. কিউবা স্টাইলে শিঘ্র প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে।
৭. খুনী হাসিনা ও তার মাফিয়া গোষ্ঠীকে দ্রুত বিচার করতে হবে। ইরান যেভাবে করেছিলো।
এখানে উদারতার কোনো সুযোগ দেওয়া যাবে না। কারণ উদারতা হলো মূলত একটি সুবিধাবাদী অবস্থান।
৮. সংবিধান নতুনভাবে প্রণয়নের উদ্যোগ নিতে হবে। জনগণের আশা-আকাঙক্ষা এবং বিপ্লবের লক্ষ্য বাস্তবায়নে নতুনভাবে সংবিধান রচনা করতে হবে।
৯. বিপ্লবের সঙ্গে যুক্ত প্রতিটি রাজনৈতিক দলের সাথে প্রধান উপদেষ্টা প্রতিমাসে কমপক্ষে একবার মতবিনিময় সভার আয়োজন করবেন।
১০. রাষ্ট্রসংস্কারের রোডম্যাপ ও সময়সীমা ঘোষণা করা দরকার।
১১. বিপ্লবী তরুণদের সাথে প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্যান্য উপদেষ্টাদের নিয়মিত মতবিনিময়ের ব্যবস্থা রাখা উত্তম।
১২. সেনা, পুলিশ, বিজিবি, RAB , আনসার ও ভিডিপিকে নতুনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে। দরকার ব্যাপক সংস্কার।
১৩. বিচার, প্রশাসন, দুদক, নির্বাচন কমিশন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত করে স্বনির্ভর করে তুলতে হবে।
১৪. সকলশ্রেণির দুর্নীতিবাজদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় নিয়ে আসা নিশ্চিত করতে হবে।
১৫. সামন্ততান্ত্রিক ‘জাতির পিতা’ ধারণা বাতিল করে ‘ফাউন্ডার’স অফ দ্য নেশন’ প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা নিতে হবে। চিরকালের জন্য ফ্যাসিবাদ ধ্বংসে এইটা হতে পারে একটা উপযুক্ত প্রক্রিয়া।
১৬. দেশ ও জাতির স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষিত করার জন্য প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিটি তরুণ-তরুণীকে কমপক্ষে একবছর সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
১৭. রাষ্ট্রের সেবাপ্রদানকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধান্দাবাজ, দলবাজ ও তেলবাজদের খপ্পর থেকে উদ্ধার করে যুগোপযোগী করতে হবে।
১৮. সাধারণ মানুষের বাক্, ব্যক্তি স্বাধীনতা, খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ সকল নাগরিক অধিকার, ভোটাধিকার, মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
১৯. পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরী। দেশের সম্পদ লুণ্ঠনকারীদের দিতে হবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি।
২০. গণতন্ত্রের স্বার্থেই ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদ প্রতিরোধে জনগনের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় রচনা পাঠ্যভুক্ত করতে হবে।
২১. দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নিতে হবে। চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ ও দখলবাজদের উৎখাত করে সমুচিত শাস্তি দিতে হবে।
২২. পাঠ্যক্রমকে দূষণমুক্ত করে জাতীয় চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে নতুনভাবে পাঠ্যবই রচনা উদ্যোগ নিতে হবে।
জাতির আত্মপ্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ানোর জন্য জাতীয় ইতিহাস , সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সত্যিকার চিত্র পাঠ্যবইয়ে আনতে হবে।
২৩. শেখ হাসিনা ও তার পরিবার পরিজনের নামে রাষ্ট্রের টাকায় যে শতশত প্রতিষ্ঠান খাড়া করা হয়েছে, সেগুলোর নাম পাল্টিয়ে শহীদদের নামে নামকরণ করতে হবে।
২৪. হাসিনার দুঃশাসন সম্পর্কে অবিলম্বে বস্তুনিষ্ঠ শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
২৫. দেশে দেশে ছড়িয়ে থাকা আমাদের দূতাবাসগুলোকে তোষন ও তেলবাজ মুক্ত করে ফ্যাসিবাদী শাসনের স্বরূপ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকার ও জনগণকে ওয়াকিফহাল করার জন্য সক্রিয় করা। প্রচার করতে হবে বিপ্লবের তাৎপর্য্য ও গুরুত্ব ।
২৬. শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা করতে হবে । বিপ্লব ২০২৪-এর কারণ ও লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে ও শহীদদের উপর প্রণয়ন করতে হবে প্রামাণ্য গ্রন্থ। এক্ষেত্রে হাসিনার পনেরো বছরে দুঃশাসনে বিভিন্ন সময়ে যারা প্রাণদান করেছেন তাদের নামও এই তালিকাভুক্ত করা সঙ্গত।
২৭. আহতদের সুচিকিৎসার পাশাপাশি সকল শহীদ ও আহতদের পরিবারগুলোকে পুর্নবাসনের পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী।
২৮. জেনারেল এডুকেশন ও মোরাল এডুকেশনের সমন্বয়ে জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করে শিক্ষাব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।
২৯. জাতীয় সংস্কৃতির বিকাশ ও লালন এবং বিজাতীয় অপসংস্কৃতি প্রতিরোধে অবিলম্বে ‘জাতীয় সংস্কৃতি নীতিমালা’ প্রণয়ন করতে হবে।
৩০. আন্তধর্ম সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত সংলাপের আয়োজন করতে হবে।
৩১. ১৫ আগস্টের ট্র্যাজিক পরিণতির পর আধিপত্যবাদ তাদের এদেশীয় তাবেদার রাজনীতিবিদ, দালাল বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিক বরকন্দাজদের দ্বারা কীভাবে অভ্যুত্থানকারীদের মূল সমাজ থেকে আলাদা করে ফেলেছিলো, সেই অভিজ্ঞতাটা এখন কাজে দিতে পারে।
সুবিধান্বেষী মাছিদের ব্যাপারে সর্তক থাকা অপরিহার্য।
আমি একজন সামান্য কবি ।কিন্তু এই আন্দোলন সংগ্রামে আমারও কিছু ভূমিকা ছিল । আছে দুর্বিসহ নানা ক্ষতচিহ্ন ।সেই অধিকার থেকে আমার যা ভাবনা তা আমি এখানে লিপিবদ্ধ করলাম ।জানি , আরও অনেক কথা বলা হলো না । প্রয়োজনে সেসব পরে পেশ করা যাবে।
তবে আমার কথার গুরুত্ব দেয়া না দেয়া বিপ্লবী ছাত্রজনতা , সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর ইচ্ছা অনিচ্ছার বিষয় । কারণ , রাজনীতি , রাষ্ট্র ও জনগণের জগৎটি শেষ পর্যন্ত তাদেরই এক্তিয়ারভুক্ত।
২৬ আগস্ট, ২০২৪