…………
প তা কা
রাসেল রায়হান
…………
তোমাদের এই ঋণ কী করে ভুলতে পারি বলো
শুশ্রূষা দাও! দাও বাঁধ খুলে অতিরিক্ত জলও।
আমাদের প্রেমই ছিল, তোমরা ভেবেছ ঋণশোধ
তোমাদেরই অবহেলা, মাস্তানিতে আজ এ বিরোধ।
নামেই স্বাধীন তুমি। চেতনায় আজও পরাধীন।
ঘৃণার চর্চা করে তোমরাই হয়ে যাবে লীন।
সহজ বাংলাতে বলি, নাটক কোরো না আর, পিও
বাঙালি ছিলে না তুমি কোনো দিনই, আজও ভারতীয়।
…………
ঋণ
মাহমুদ নোমান
…………
ঋণের কথা বললে আসে সুদ
নিপীড়ন আসে শোষণের বুদ্বুদ
পতাকার তল থেকে কে মুক্ত হয় ?
একবার শুধাও তো– জানে জগৎময়
আমি তো জানি তুমি আমি
একই পতাকার তলে নমিঃ
এতই অন্ধ হলে কী নিজেতে লেখা হয় ?
অন্ধরা কী দেখবে বলো এমনই দুঃসময়
ধর্মের হাত ছাড়ো কর্মের কথায় চলি
মানুষ কোথায়! মানুষকে সংখ্যালঘু বলি
…………..
ভারতবর্ষ
[ শ্রীজাত, আপনাকে]
সাজ্জাদ বিপ্লব
…………
তুমি লিখলে পতাকা’র কথা। তুমি তুললে–দেশ।
তুমি বললে ঋণেরও কথা। তুমি ভুললে–দ্বেষ।
আমরা ভুলিনি পানির হিস্যা। ফেলানী হত্যাও ভুলিনি।
খুনিকে তুমি আশ্রয় দিয়েছো। সেটিও আমরা তুলিনি।
তুমি তো ছিলেই ‘বাঙালি’। ‘মানুষ’ হওনি কখনো।
কখনো তুমি বোঝনি, তোমার ভাই/প্রতিবেশীকে।
কখনো তুমি বন্ধু খোঁজনি। বোঝনি, ক্ষতি বেশি কে?
তুমিই নাকি ভারতবর্ষ! তুমি নাকি সেরা!!
তাহলে তোমার চারপাশ কেন– এতো শত্রু দিয়ে ঘেরা?
আমরা ছিলাম স্বাধীন। স্বাধীন আছি। আজীবন স্বাধীন থাকবো।
পারবে না, কোন ক্ষতি করতে। আমাদের স্বপ্ন– আমরাই আঁকবো।
১১.৩০.২৪
আটলান্টা, জর্জিয়া।