…………..
নাম
মারুফ রায়হান
…………….
শ্রীজাতের নাম আজ দুঃখভরে দিলাম কুজাত॥
ভেতরে বিদ্বেষ এত, ছিঃ কী দম্ভ; অন্তর দিন ঝাঁট।
কী লিখেছেন কবি শ্রীজাত,
পড়ুন নিচের দুটি লাইন:
নামেই স্বাধীন তুমি। চেতনায় আজও পরাধীন।
যে-পতাকা পিষে যাচ্ছ, তারই নীচে ছিলে একদিন।
……………….
ভারতবাসী ভাবুন, ন্যায়ের পক্ষে আসুন
শিমুল আজাদ
……………….
একজন ফ্যাসিস্ট সম্পর্কে আপনাদের কী ধারণা
আমাদের বোধগম্য নয়।
তবে সত্য এই যে, জুলাই বিপ্লবে মৃতদের কেউ আপনাদের সন্তান নয়, ভাই কিংবা বোন নয়।
প্রায় হাজার মানুষকে খুন করা হয়েছে, বিকলাংগ করা হয়েছে তিন হাজার তরুণ।
আর সেই হত্যাকারীকে আপনারা সসম্মানে আশ্রয় দিয়েছেন।
যত্ন করে তার কথা শুনছেন, খাওয়াচ্ছেন, পড়াচ্ছেন
আর তার সকল ষড়যন্ত্রের দোসর হয়ে
এই ছোট দেশটির নানামুখি ক্ষতি করে চলেছেন!
আর তাতেও সন্তোষ লাভ ঘটছেনা আপনাদের!
এত কিছুর পরও দোষ চাপাচ্ছেন!
এটি মানেন নিশ্চয় কিছু উন্মাদ যা খুশি তাই করতে পারে।
কিছু বর্বর সব স্থানেই বিরাজমান।
তাদের কৃতকর্মের দায় জাতির সবাইকে কী চাপানো যায়!
সত্য এই যে, আপনাদের পতাকা মাড়ানো উচিত কাজ নয়; এটি যে কোনো দেশপ্রেমিকের কাছে প্রবল অসম্মানের।
কিন্তু এতসব দুষমোনির কাছে একটুকরো কাপড়ের
কি বা মূল্য থাকে!
আর যে কাপড় সামান্য টাকায় কেনা যায়
তার কীবা আর মর্যাদা থাকে!
পতাকার মূল্য তখন যখন তা দেশের আকাশে ওড়ে!
যেমন একটি ওড়না যখন বিপনি বিতানে থাকে- তার দাম যাই হোক না কেন!
যখন কোনো রমণী সেই ওড়না শরীরে ব্যবহার করে তখন তার মূল্য, তার ইজ্জতের সমান হয়ে যায়।
এটি স্বীকার করুন যে, আপনার সরকার বাংলাদেশ কেন্দ্রিক যা করছেন তা কতটা ন্যায় সংগত!
একদেশের জালেম, খুনিকে আশ্রয় দেওয়াটা কতটা মানবতা সম্পন্ন! জিজ্ঞাস করে দেখুন নিজ আত্মাকে!
একদেশের জাতীয় বেঈমানের কথা ভাবুন।
যদি আপনার ভ্রাতার- বোনের – সন্তানের খুনিকে আমি আশ্রয় দেই, তখন আপনার অন্তরে কী ধ্বনিত হবে?
আবার তার কথামত আমি যদি আপনার যাবতীয় অনিষ্ট একের পর এক করতে থাকি!
বন্যার প্লাবনে ভাসিয়ে দেই সব কিছু
উদ্দ্যেশ্যবাজদের মাধ্যমে দেশের ধ্বংস সাধনে উঠে পড়ে লাগি, সাম্প্রদায়িক দাংগা সৃষ্টি করি,
দেশের অভ্যন্তরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে থাকি; তখন কেমন লাগবে বন্ধু!
যদি শক্তি থাকতো আমার,
যদি সামর্থ্য থাকতো আমাদের,
তাহলে দেখতেন, আমরা প্রতিটি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কী প্রবল জাগ্রত।
যাবতীয় ষড়যন্ত্রের উত্তর দিচ্ছি বিধ্বংসী আওয়াজে।
৩০ নভেম্বর, ২০২৪।
…………..
শ্রীজাত গেরুয়া
জব্বার আল নাঈম
……………
শ্রীজাত, মানুষ লাগেনি কোনোদিন তোমাকে
আজন্ম বলছ কথা আধিপত্যবাদের ভাষায়
পরগাছা হয়ে আছো– পরাধীন কলকাতায়
দানব, লাগেনি ব্যথা! ভাবোনি বাঙালির কথা?
দিল্লির সেবাদাস তুমি, মোদিকে মানো ঈশ্বর
চণ্ডাল তুমি, সাম্প্রদায়িক তুমি, উস্কানির শহর!
তোমার ভারত দখল করেছে– হায়দ্রাবাদ, সিকিম
ধর্ষণ করছ ক্রমাগত স্বর্গখ্যাত কাশ্মীর
মুসলমান তাড়িয়ে, নারীকে ভাবছ পতিতা
সোনাগাছিতে মাল রেখে লেখো কার কবিতা!
তুমি পোশাকে গেরুয়া, জাতিতে ভারতীয়
তবু নিজেকে কোন সাহসে বাঙালি দাবি করো!
গেরুয়া কবি হলে পাঠক-আত্মায় লাগে ঘাঁ
হাতের বদলে নড়চড়ে উঠবে আমাদের পা!
…………..
শ্রী শ্রী জাত কানা
পলিয়ার ওয়াহিদ
……………
তুমি যাকে ঋণ ভাবো সেটা ছিল রক্ত দিয়ে কেনা
প্রতিবেশী কাকে বলে? জলপট্টি তো রোদের পাওনা!
তোমার পতাকা আমাদের বটে, আমারটা তোমাদের নয়
বাঙলার ভাষা-ভূমি-দেশ সেখানে তোমার পরাজয়
ভালোবাসা কখনো বিরোধ নয় সেটাও জানো না তুমি
নামেই শ্রী-জাত শুধু, এত কেন কলুষিত মনোভূমি?
ঘৃণা দ্বেষ যাই কিছু বলো আর যত পাহাড় সীমানা
আমাদের ভালোবাসা অকৃত্রিম শ্রী শ্রী জাত কানা
পুকুরে কচুরি তুমি, হতে পারো নাই আসমানি ফুল
পতাকা প্রতীক শুধু এই সত্য তোমাকে ভাঙাবে ভুল
** পুনশ্চ **
আহারে শ্রীধন হিংসা ভেবো না ভাই এ আমাদের অধিকার
তোমার উচিত ছিল কবিতার ভাষা হবে প্রেমময় তলোয়ার