spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদকবিতাতোমাকে মুক্তির গান শোনাব ও অন্যান্য কবিতা

লিখেছেন : তাজ ইসলাম

তোমাকে মুক্তির গান শোনাব ও অন্যান্য কবিতা

তাজ ইসলাম

……………….
একটি একান্নবর্তী পরিবার
……………….

বাংলাদেশ সদা জাগ্রত থাকবা।
তুমি প্রতিবেশী হিসেবে পেয়েছ এশিয়ার ইসরায়েল রাষ্ট্র।
তারা চায় তোমাকে করতে ফিলিস্তিনের মতো রক্তাক্ত।

ষড়যন্ত্রের জাল তারা বিস্তার করে শত চাতুর্য্যে।
তারা ব্যর্থ হয় প্রতিবার।
স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে
দেশপ্রেমিক বাংলাদেশী জেগে থাকে সাহসিক বুক নিয়ে।
মূহুর্তে তারা দাঁড়িয়ে যায় সালাতে কাতারবন্দি মুসুল্লির মতো।
নেকড়ের হুংকারে সমস্ত ষড়যন্ত্র ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায় চতুর শেয়াল।
বাংলাদেশ জেগে থেক অতন্ত্র প্রহরী নিয়ে।
জানিয়ে দাও তাদের,
সংকটে, সংগ্রামে বাংলাদেশ একটি একান্নবর্তী পরিবার।
চানৈক্য চিৎকারে ভয় পেয়ো না।
বুকে বুকে গ্রন্থিত বাংলাদেশ নিয়ে
স্লোগানে স্লোগানে মুখর রাখো চারপাশ;

বাংলাদেশ জিন্দাবাদ,ইনকিলাব জিন্দাবাদ।

…………….
ভারত, ক্ষমা চাও
…………….

ভারত! তোমার ফোর্স কই?
তোমার আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কই?
তোমার সভ্যতা শিষ্টাচার কোথায় লুকালো?
উগ্র জানোয়ার থামালে না কেন?
এ তোমার চরম ব্যর্থতা অথবা নীরব সমর্থন।

ভারত তোমার কূটনৈতিক আচার কই?
আধুনিক রাষ্ট্রজ্ঞান কই?
তুমি কি অসভ্য উগ্রদের কাছে নতজানু?

ভারত! তুমি কি উগ্রদের ভিতর লুকিয়েছ তোমার নীতিজ্ঞান?
গেরুয়াগুণ্ডাদের হিংস্রতার
সামনে তুমি কি কাৎ হয়ে শুয়ে গেছ?

ভারত! নাকি তুমি নিজেই একটা ইতর রাষ্ট্র!

আমার সার্বভৌমত্বে যে আঘাত করে তাকে শুয়োরের বাচ্চা বলতে একটুও দ্বিধা করব না।

ভারত! তুমি ক্ষমা চাও

নতুবা তোমার মুখোশে ফুটবলের মতো লাথি মারতে ঔদ্ধত হব।
ভারত! তুমি আন্তর্জাতিক সভ্যতা মান, মানতে হবেই
নতুবা বাংলাদেশ তোমার মুখে থুতু নিক্ষেপ করবে।

আমরা রক্ত দিয়ে এই দেশ এনেছি
কোন অসভ্য শুয়োরের বাচ্চাকেই আমরা ভয় করি না।
আমিই বাংলাদেশ
বুকের রক্ত দেব,তবু মাথা নোওয়াব না।
ভারত! তুমি সভ্য হও
ক্ষমা চাও।
বাংলাদেশ মাথা নোয়াবে না।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

ভারত! তুমি ক্ষমা চাও

না হয় ডুবে যাবে ঘৃণা জলে।
এবং একদিন কাঁচের মতো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।

ভারত!

তুমি লজ্জিত হও।
তুমি লজ্জিত হও।

…………….
তোমাকে মুক্তির গান শোনাব
[ শ্রীজাত, আপনাকে ]
…………….

নবাবী বাংলার কলকাতা,মুর্শিদাবাদ আমার।
বিহার, উড়িষ্যা আমার।
তুমি গেরুয়া দাস হয়ে আছ।

আমার সাথে হাত মিলাও বোকা বাঙাল।
আমরা স্বাধীনতার পতাকা তলে আছি।
আমাদের পতাকা গানের লহরিতে সুর তুলে আনন্দের।
আমরা বহু বছর আগে থেকেই স্বাধীন।
তোমার কোন দেশ নেই,
অন্যের পেটিকোটের নিচে গিয়ে হারিয়ে গেছ কেন?
এসো মুক্তির স্বাদ পাবে।

শতশত বছর আগে থেকেই
আমার পতাকা পতপত ওড়ে।
তোমরা যখন মুঘলদের পায়ের নিচে অবনতমস্তক
আমাদের ঈশা খাঁর তলোয়ার তখনও উঁচিয়ে রেখেছে এই বাংলার স্বাধীনতার পতাকা।
এই গেরুয়া পতাকার কোন পরিচয় ছিলো না।
বল দাহিরের রাজ্য পরিধি কতটুকু ছিল?
নদীয়ার বিস্তার কতটুকু ছিল?
সুবে বাংলার সময়ও বাংলা নামে দেশ ছিল।
ভারত তো বৃটিশদের কলোনিয়াল ভূমি।
হাজি শরিয়তুল্লাহ,তিতুমীরদের হুংকারে অতিষ্ঠ হয়ে ছেড়ে যাওয়া ভূখণ্ডের কথা বলছি।
বৃটিশের পরিত্যক্ত কামানে যুক্ত হয়েছে হায়দ্রাবাদ গিলে খাওয়া হালুম।
সেই গ্রাসে হজম হয়েছ বোকা বাঙাল।
আমরা তখনও বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
হাতে হাতে ছিল স্বাধীনতার স্বপ্ন খচিত পতাকা।
বঙ্গ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ কখনো কোন গেরুয়া পতাকার অধীনে ছিল না।
তোমরা স্বাধীনতা ত্যাগ করে অন্ধের মতো যুক্ত হয়েছ বৃহৎ থাবার নিচে।
নিজেকে চেনো বাপু
এবং বীর পুরুষের মতো স্বাধীন হয়ে যাও।
একদিন টিপু সুলতান কিংবা বখতিয়ার জেগে উঠলেই
বাংলাদেশের সূর্যের সাথে হেসে ওঠবে
বাংলা ভাষার হাত ধরে পরাধীন বাংলাভাষী।

এবং সেদিন সেভেন সিস্টাররা তালে তাল মিলিয়ে গাইবে মুক্তির গান।
তখন কোন অন্ধ কবির বন্ধ চোখের বন্দনায় কাজ হবে না।

আরও পড়তে পারেন

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

খান কাওসার on দীর্ঘ কবিতা : কসম
মেজু আহমেদ খান on দীর্ঘ কবিতা : কসম