spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদসাম্প্রতিকভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দায় ভারতকেই নিতে হবে

লিখেছেন : মজিদ মাহমুদ

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের দায় ভারতকেই নিতে হবে

মজিদ মাহমুদ 

সামাজিক মিডিয়ায় অনেকে লিখছেন– ‘যারা জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে সরব ছিলেন এখন তারা জাতীয় পতাকা নিয়ে নীরব– এরাই ভারতের দালাল।’ এভাবে চিত্রিতকরণ যদিও লোকরঞ্জন অগভীর রাজনৈতিক চেতনার ফল। তবু সব বিষয়ে একটি সুস্থ আলোচনা ধারা চালু থাকতে পারে।

জাতীয় সঙ্গীত ও পতাকা- এই দুটি ঘটনা একই প্রেরণা থেকে উদ্ভূত হলেও তার প্রকৃতি এক রকম নয়: জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তনের কথা দেশের অভ্যন্তরের কিছু মানুষ উত্থাপন করল তাদের অন্তর্নিহিত বোধ ও উপলব্ধি থেকে। সেটি কিছু মানুষ সমর্থন করলেন, আবার কিছু মানুষ বিরোধিতাও করলেন। বলা চলে,  একটি সুস্থ বিতর্ক দ্বারা পক্ষ-বিপক্ষ তাদের মতামত দিলেন। এ নিয়ে আরো আলোচনা হতে পারে, অবশ্য এটি সমালোচকদের ওপরে ততোটা নির্ভর করে না- যতটা রাজনৈতিক পক্ষের আকাঙ্ক্ষার ফলে হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে যারা পরিবর্তনের কথা বললেন- হতে পারে তারাই এ ক্ষেত্রে প্রগতিশীল! আর যারা জাতীয় সঙ্গীত রাখতে বললেন- তারা হয়তো এক্ষেত্রে রক্ষণশীল! 

কিন্তু পতাকা পোড়ানোর ব্যাপারটি তো ঘটল অন্যদেশে, অন্য মানুষেরা এটি ঘটাল। যাদের পতাকা নয় এটি তারা পোড়ালো। অন্যদেশের পতাকা অবমাননা করলে- বা যারা করে তাদেরই সঙ্কীর্ণতা প্রকাশ পায়; কিন্তু নিজ দেশের পতাকা তাতে তেমন অসম্মানিত হয় না, পরিবর্তনও হয় না। কিন্তু জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করলে তা আর ফিরে আসে না। জাতীয় পতাকার প্রতি সম্মান এবং জাতীয় সঙ্গীত রক্ষা উভয়ই নিজ নিজ দেশের অভ্যন্তরীণ ও রাজনৈতিক ইচ্ছের প্রতিফলন- যতক্ষণ জনগণেরর রাজনৈতিক ইচ্ছের দ্বারা পরিবর্তন না ঘটে ততক্ষণ তার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন অপরাধ– অন্য দেশের হলেও।

বাংলাদেশের পতাকা যারা পুড়িয়েছে- তারা নিশ্চয় ভালো কাজ করেনি, তারা মানুষ হিসাবে অন্য দেশের প্রতীকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল নয়। তাদের নিন্দা নিয়ে সরব থাকার অর্থ তাদের অন্তর্নিহিত ইচ্ছা বাস্তবায়নে সমর্থন ও সহযোগিতা করা। 

আজ এক খবরে জানা গেলো– কোলকাতায় পতাকা পোড়ানোওয়ালাদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেদেশে। এ ক্ষেত্রে ভারতীয় মিডিয়া বা কিছু লোকের অভিযোগ– প্রথমে  ঢাকায় কেউ ভারতের পতাকা পদদলিত করেছিল। যদি সেটি কেউ করে থাকে– সেটি কেবল তার বিকৃত রুচিরই পরিচয় নয়– অপরাধও বটে।  সে ব্যাপরে পদক্ষেপ নিতে জানা গেল– এই ছবিটি ছিল এআই নির্মিত। এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়, এমন সাজানো ঘটনা দেশের অভ্যন্তরে উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য নানা পক্ষ করে থাকে। তাছাড়া এটি কোনো সংঘবদ্ধ ঘটনা ছিলো না।

পতাকা ইস্যুকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে আরো দুটি মারাত্মক ঘটনা সংঘবদ্ধভাবে সংঘটিত হয়েছে– পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের দ্বারা– নিশ্চয় তাদের রাজনৈতিক স্বার্থে। (১). তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী শুরুতে বাংলাদেশর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে হত্যাকাণ্ডে কিছু ব্যথিত  মনে হলেও তিনি আহ্বান জানালেন– বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিবাহিনি পাঠাতে; সেই সঙ্গে বিজেপির শুভেন্দু বাবু পশ্চিমবঙ্গে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলেছেন। আর সংঘবদ্ধভাবে সেদেশের কিছু উচ্ছৃখল জনগণ আগরতলায় বাংলাদেশর উপ-হাইকমিশন অফিস আগুন ধরিয়ে দিয়েছে, ভাংচুর করেছে। 

এটি এমন একটি ঘটনা- যার নিন্দা ও প্রতিবাদের চেয়েও রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বের কাছে তাদের আঞ্চলিক সঙ্কীর্ণতার পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। যদিও জনগণের সব কাজের সঙ্গে সব সময় রাষ্ট্রর মদদ থাকে না– কিন্তু এখানে সেদেশের ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে সে-সব করা হচ্ছে । এটা তো জলের মতো পরিষ্কার– শুভেন্দু বাবু এবং মমতা ব্যানার্জী এখন একই ভাষায় কথা বললেও তাদের ফলের আকাঙ্ক্ষা ভিন্ন। দুপক্ষই বৈতরণী পার হতে চায়।

এই ঘটনায় বাংলাদেশের যারাই প্রতিক্রিয়া দিয়ে থাকুক না কেন সামাজিক মিডিয়ায় তাদের সতর্ক থাকা জরুরি, কেননা  দেশের ভেতরে এবং বাইরে যে কেউ এ সময়ে প্রলুব্ধ করতে পারে  পাতানো ফাঁদে। যে কোনো প্রতিক্রিয়া রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়াই যুক্তিযুক্ত- তারাই তো জনগণের প্রতিনিধি। সামাজিক যোগাযোগে যারা বহির্বিশ্বের কূটনীতিক সম্পর্কের মুখোমুখী দাঁড় করাতে চায়- নিশ্চয় তারা মতলববাজ অথবা অগভীর।

পতাকা পোড়ানো খারাপ, পতাকায় পদদলিত করাও খারাপ, দেশের মধ্য থেকেও তো অনেকে দেশের পতাকা পদদলিত করছে তার বেলাতেও অনেকে কথা বলছেন; কিন্তু যারা বিদেশের ব্যাপারে বলছে তারা অধিকাংশ দেশের ব্যাপারে নীরব থেকছে। এসবই রাজনীতি ও উপলব্ধির ভিন্নতা।

বাংলাদেশ স্বাধীন এবং স্বার্বভৌম– তার মর্যাদা ও ইচ্ছের প্রতি কোনো দেশ তার ইচ্ছেকে চাপিয়ে দিতে পারে না। তবে একটি বিষয় আমাদের মনে না রাখলে চলে না, আমরা ভারতের সঙ্গে জল ও স্থল দ্বারা সংযুক্ত– তাই যে কোনো ঘটনার বিক্ষুব্ধ তরঙ্গ দুদেশের মধ্যে সমানভাবে আছড়ে পড়ে। দুদেশের অভিন্ন নদীগুলোর উজানে বাঁধ দিয়ে সেই ঢেউ ঠেকানো যায়নি, ভাটির দেশ হিসাবে সারা বছর এ দেশের লোক নদীর পানি আর চোখের পানি এক করে বেঁচে থাকে। তবু একই সঙ্গে একই ভাষাভাষীর এবং একই ধর্ম সংস্কৃতির লোক নানা সম্পর্কের দ্বারা আবদ্ধ। অতএব তাদের উদ্বেগ ও আশঙ্কাও কম নয়। 

দিল্লি হয়তো দীর্ঘদিন থেকে বাংলাদেশর রাজনীতিতে তাদের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটিয়ে আসছে। এমনকি তাদের ক্ষমতাসীন দলের দৃশ্যত নানা সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ঢেউ এখানেও এসে লেগেছে। এই দায় কার ওপরে চাপানো যাবে! যদি গুজরাট হত্যাকাণ্ড ও বাবরি মসজিদের সংঘাতে এখানকার কিছু মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখায়– তাহলে সেটির দায়ও তো তারা এড়াতে পারে না । বিজিপির মতো হিন্দু প্রধান রাজনৈতিক দল দীর্ঘকাল সাম্প্রদায়িক ইস্যুকে জনপ্রিয় করলেও বাংলাদেশে কিন্তু বিগত পঞ্চাশ বছরে ধর্মীয় রাজনৈতিক ভোটের পরিমান খুব হেরফের হয়নি। এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়– ভারত পাকিস্তানের মতো এ দেশের মানুষ ধর্মীয় সম্প্রদায়গত রাজনীতিতে বাস্তবে তেমন উৎসাহী নয়। যদিও আমরা ভালো তোমরা খারাপ এ ধরনের সরলীকরণ সমাধানের কোনো ভালো উপায় নয়। 

বাংলাদেশ স্বাধীনতায় ভারতের অবদান নিরঙ্কুশ স্বীকার করলেও তো তাদের এই অবদানের মূল্য হিসাবে তারা দাবি করতে পারে না– এদেশে স্বৈরশাসন প্রতিষ্ঠা। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিন তিনটি নির্বচনে দেশের জনগণকে বাইরে রাখা হয়েছে। শেখ হাসিনাকে একচ্ছত্র স্বৈরশাসকে পরিণত করা এবং তার পতনের পথ তৈরির  করার দায়ও দিল্লি এড়াতে পারে না। ৫ আগস্টে এভাবে হাসিনার পতন ভিন্ন তার রাজনৈতিক প্রস্থানের আর কোনো পথও তো তারা খোলা রাখেনি।  অতীতেও এ দেশে এরশাদের স্বৈর সামরিকতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ভারতের সমর্থন ছিল- প্রায় খোলাখুলি। অথচ এ ধরনের অনুগত সরকারের পক্ষে তাদের অবস্থান না হয়ে পরস্পর মর্যদার ভিত্তিতে দুই পক্ষের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক স্বার্থে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে সহজেই। তাতে দুপক্ষই লাভবান হবে। কোনো দেশে ভোটই গণতন্ত্রের একমাত্র মাপকাঠি নয়, পুঁজির ক্ষেত্রে সমতা বিন্যাস এবং প্রতিবেশির গণতন্ত্র উত্তরণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার দায়ও থেকে যায়।

ভারত কিংবা বাংলাদেশের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব এবং এ দেশের হিন্দুদের প্রতি তাদের অতিরিক্ত সহানুভূতি প্রদর্শন মূলত রাজনৈতিক ও নাগরিক হিসাবে তাদের মর্যাদার প্রতিও হানিকর।  দুদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে রয়েছ একটি চমৎকার অভিন্ন সম্পর্ক– যার প্রমাণ আমরা অতীতেও দেখেছি। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের বাংলাভাষী জনগণ এবং কবি সাহিত্যিক অসম্প্রদায়িক চেতনার দ্বারা উদ্বুদ্ধ। যখন এ দেশে জামায়াত সমর্থনের দায়ে কবি হিসাবে আল মাহমুদ দেশের বধ্যে বলয়বন্দী ছিলেন, তখনো পশ্চিমবঙ্গের কবি সাহিত্যিকগণ তাকে কবি হিসাবে সর্বাধিক মর্যাদা দিয়েছেন। কেবল আল মাহমুদকে দেখার জন্য অনেকে এদেশে এসেছেন, আল মাহমুদকে নিয়ে সংখ্যা করেছেন; এমনকি তাঁর মৃত্যুর পরে কোলকাতাতে ওই দিনেই শোকসভা হয়েছে। অতএব শুধু রাজনৈতিক সম্পর্ক দ্বারা জনগণের সার্বিক ইচ্ছাকে চিহ্নত করা যায় না।  

বর্তমানের সব বিষয়ই তো বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ তাহলে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি প্রধান শুভেন্দু বাবুদের এতোটা প্রতিক্রিয়া দেখানোর কারণ কি! বাংলাদেশের কথা না ভাবলেও বলা যায়, তাদের এসব প্রতিক্রিয়ার ফলে তাদের নিজ দেশের ব্যবসায়ীরাও প্রত্যক্ষভাবে ক্ষিতগ্রস্ত হচ্ছে।

বাংলাদেশ এবং ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মর্যাদাপূর্ণ হওয়া উচিত। পরস্পরের সর্বভৌমত্ব ও রাজনৈতিক ইচ্ছাকে সম্মান করতে হবে। কোনো দেশের পছন্দ মতো সরকারের ধারণাকে ভুলে যেতে হবে। কারো সরকার পরিবর্তনে গোয়েন্দাগিরি করা ভূমিকা রাখা থেকে সরে যেতে হবে। বাংলাদেশের হিন্দু মুসলিম বা সংখ্যালঘু বলে কেউ নেই– এখানে সবাই নাগরিক। ধর্মের ভিত্তিতে কোনো প্রাপ্তি বা বঞ্চনার ধারণা থাকার সুযোগ কম। ধর্মের স্ব স্ব ক্ষেত্রে সংখ্যানুপাতিক সুযোগই কেবল আলাদাভাবে হওয়া সম্ভব। পরিবর্তিত পরিস্থিতি এই মূল্যবোধ কেবল বাংলাদেশ দেখালে সমস্যার সমাধান হবে না, ভারতকেও দেখাতে হবে।

কেবল একটি মাত্র দল ও ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আবর্তিত হতে পারে না। ভারত পাকিস্তান বাংলাদেশের কাছে দূর নয়, স্বপ্ন নয়, অবাস্তব নয়; মাত্র সাতাত্তর বছর আগে এই তিনটি রাষ্ট্র প্রধানত একটি রাষ্ট্রের পরিচয়ে ছিল; এবং মাত্র একশ বছর আগে তাদের সবারই অভিন্ন শত্রু ছিল প্রধানত একটি- ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদ। হিন্দু মুসলিম যে দ্বিজাতিত্ত্বের ভিত্তিতে যেসব নেতাদের কারণে ভারত পাকিস্তান নামে যে দুটি স্বাধীন দেশের উদ্ভব হয়েছিল তারা দীর্ঘকাল– অন্তত উনিশ শতকের শেষ থেকে একই আকাক্সক্ষা নিয়ে ব্রিটিশের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন– এমনকি কংগ্রেস, খেলাফত আন্দোলন ও মুসলিম লীগ প্রায় অভিন্ন নেতৃত্বের দ্বারা পরিচালিত হয়েছে। স্বাধীনতার দ্বার প্রান্তে এসে ইংরেজের নানা কূটকৌশল এবং পরপর কয়েকটি ভয়াবহ দাঙ্গা সংঘটিত হওয়ায় উভয়পক্ষের নেতৃবৃন্দে অনেকাংশের মনে হয়েছিল ব্রিটিশ চলে যাওয়ার পরে হিন্দু-মুসলমান সংঘাত আরো প্রবল হয়ে উঠবে। যদিও হিন্দু মুসলমানের একত্রে থাকার অভিজ্ঞতা অনেক পুরনো এবং তাদের সংঘাতের ইতিহাস খুবই সামান্য। তবু এটি এখন আর আলোচনার বিষয় নয়। উভয় পক্ষের অধিকাংশ নেতা ভেবেছিলেন হিন্দু মুসলিমের সংখ্যাধিক্যের ভিত্তিতে দেশ বিভাগই হতে পারে ভবিষ্যৎ সংঘাত এড়ানোর উত্তম উপায়। অথচ তারা সংঘাতের পথে চলতেই যেন বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। ১৯৪৭ সালের প্রাণহানি ও সম্পদের ক্ষতি বাদ দিলেও ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সংঘাত এবং দ্বিপাক্ষিক দ্বন্দ্বের অনেকটা ভারত বিভাগেরই ফল। এমনকি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার জন্য রক্তক্ষয়ী সংঘাতের কারণও লুকিয়ে আছে তাতে। কিন্তু এসবই আজ ইতিহাস; কিন্তু এর ক্ষতিপূরণ হতে পারে শুধু ভারত পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্য বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কে মাধ্যমে। ভারত সুমতি দেখালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশসমূহ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের চেয়ে শক্তিশালী অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তোলা সম্ভব।

আরও পড়তে পারেন

1 COMMENT

  1. খুবই গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা! সত্যিকার অর্থেই ভারতের নেতৃত্বের কারণেই এই অঞ্চলের রাজনৈতিক ও আত্ম-সামাজিক পরিস্থিতি দিনদিন অবনতিশীল হচ্ছে, ভারতীয় নেতৃত্ব ইসরায়েলের পথে হাঁটছে তারা সাম্প্রদায়িক একটি ভারতবর্ষ তৈরি করতে চায় যা সংঘাতকেই অনিবার্য করে তুলবে! তারা ঠিক হলেই সব ঠিক!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ