রক্তের মৌসুম
কৈশোরে তারুণ্যে ভাবতাম
একদিন কেটে যাবে এইসব ভয়াবহ দিন
ইতিহাসে রক্তের যে প্রবাহ তাও থেমে যাবে সময়ের এই বাঁকে
আমার ভাবনা অলীক স্বপ্নের মতো
দিনের আলোয় সূর্যতাপে মরে হারিয়েছে মৃত্তিকায়
যে মৃত্তিকায় এখন ছয় ঋতু মিলেমিশে একাকার
আদিগন্ত হাহাকার করে ওঠে শুধু রক্তঋতু!
রক্তের ফাগুন জীবনের অরণ্যে আগুন জ্বালতে জ্বালতে
ফোটায় আগ্রাসী ভয়ের কুসুম
পায়ের নিচের দূর্বাঘাস থেকে সাতটি তারার আকাশ পর্যন্ত
ভেসে যায় রক্তের মৌসুম!
হে নদী, তোমার ধারা একদিন থেমে যায় শুষ্ক নিসর্গ মরুতে
কিšদ স্বদেশের রক্তস্রোত একটি দিনও
একটি ক্ষণও থেমে নেই
আমি কিছুতেই মানতে পারিনা
মানতে চাই না এইসব রক্তের আখ্যান
বঙ্গজননীর বোবা কান্নায় তেরোশ নদী
হয়ে ওঠে ফোরাতের ঢেউ
হে জননী, তোমার মাটিতে বাঁচার বাতি জ্বালতে
আর একবার আসবে কি কেউ?
২৫.১০.২০১৯
ভোরের প্রসব বেদনায়
একটি প্রাণজ ভোরের প্রসব বেদনায় দেখো
আকাশ কেমন রক্তিম হয়ে ওঠে
যেভাবে আমার মা আমাকে নিয়ে আসেন আলোয়
আমি সেই ভোরে আকাশের দিকে
তাকিয়ে একটি পূর্ণ দিনের আশায় ছিলাম
আমার বয়স সময়ের সিঁড়ি বেয়ে জাগ্রত ও লুপ্ত
সব সভ্যতা ছেড়ে আগামীর পথে গতিমান
গ্রিক, পারস্য, মেসোপটেমিয়া, মিশর, ভারত–
সব সভ্যতা পেয়েছিলো আলোকিত ভোর
কেবল আমার গ্রাম জনপদ গঞ্জ শহর
পেলো না একটি প্রার্থিত প্রাণময়
সকালের সাক্ষাৎ!
আমি ছটফট করছি মরছি অন্ধকারের গহীন গর্ভে
ধল প্রহরের অপেক্ষা কবে শেষ হবে জানি না কেউ
জানি না আরও কতোটা শতক অনন্ত রাত্রির গহŸরে
ভাসতে থাকবো একটি ভোরের জন্য
আলোহীন প্রাণ দেখবে কি কখনও
বিপুলা পৃথিবী?
নীল যমুনার ঢেউয়ের মতো বহমান মহাকাল
একটি ভোরের কুসুম ফোটাতে আমরাই চলো তুলে দিই
সাহসের পাল।
০৬.১১.২০১৯
তবুও দোয়েলের শিস
তবুও একটি দোয়েলের শিস
প্রতিদিন ভোরে সূর্য আর স্বপ্ন ডেকে আনে
আমাকে বাজায় জীবনের গানে।
প্রতিটি সকালে আমি শিশির মাখানো সবুজাভ দূর্বাঘাসে
পা ডুবিয়ে পুবের আকাশে অনেক আলোর আশায় তাকিয়ে থাকি
মর্মাহত জীবনের মাটিতে স্বপ্ন দেখার প্রতীক্ষা সফলতা পায় না কখনো।
কেবল কাকের কণ্ঠস্বর, হতাশার মতো কালো ডানার বিস্তার
কুয়াশায় আচ্ছন্ন দিগন্তে আঁকে জয়নুলী ক্যানভাস
চল্লিশ বছরে আজো পেলাম না সম্পূর্ণ আকাশ।
আজকাল বিষণœ বিকেলে ধূমায়িত আকাশ মাথায় নিয়ে
আমার নির্জন ছাদে শুধুই দেখতে থাকি সূর্যাস্তের দৃশ্য
চোখের ভূগোলে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত হয়ে যায় যেন এই ছবি
আমার শিরায় মস্তিষ্কের কোষে কোষে স্মৃতি হয়ে
প্রদর্শন হতে থাকে কেবল একটি দৃশ্য-
সূর্য ডুবে যাচ্ছে
সূর্য ডুবে যাচ্ছে।
তবুও একটি দোয়েলের শিস
পৃথিবীর পথে আমাকে বাজায়অহর্নিশ।
২৮.১২.২০১৯
অজ্ঞতা
আমার অজ্ঞতা আমি আবিষ্কার করলাম সেদিন দুপুরে;
বকুলের ডালে একটি দোয়েল শিস দিয়ে সুরে সুরে নিজস্ব
ভঙ্গিতে প্রাণ ছড়িয়ে যাচ্ছিলো; অন্যদিকে একদল কাক
হাঁক ডাক দিয়ে হৈচৈ ফেলে ছিলো বটের পাতায়।
পথিক, ফকির, হকারের কণ্ঠস্বরে আমি জীবনের অন্য
স্বাদ উপভোগ করলাম। এ-সময় এ-সবের মাঝে আমারই
জন্য মহামান্য কর্তৃপক্ষ কী আদেশ নিয়ে হাজির হবেন
সে-সম্পর্কে আমি সম্পূর্ণ অজ্ঞ ও বেখবর!
হায় কতো বই পড়লাম, দেশ ঘুরলাম, অভিজ্ঞতাও
অর্জন করলাম। কিšদ আমার আগামী আমি জানতে
পারিনি। এক মিনিট আগেও বুঝতে পারিনি নিয়তি কী
হতে যাচ্ছে। কোন্ কোন্ আলো অন্ধকার বাঁকে
ভাগ্যলিপি আমাকে টানছে; হায় অধীত বিদ্যা ও জ্ঞান
আমাকে সাহায্য করছে না; প্রজ্ঞা আমাকে আগাম সতর্ক
সংকেত দিচ্ছে না; আমার পেছনে বা দৃষ্টির ওপারে
আমার জন্য কী অপেক্ষা করছে তাও জানি না; হে
পথিক, হে বন্ধু, হে সুহৃদ, হে প্রিয়তমা-তুমি জানো
তোমার আগামী? ভবিষ্যৎ প্রশ্নে ঘুরপাক খেতে খেতে
আমি আমার অজ্ঞতা আবিষ্কারে সফল হলাম।
১৩.০১.২০২০
পৃথিবী ২০২০
সূর্যের সংসারে বাঁচার আশ্রয় কেবল এই পৃথিবী নামের গ্রহ
অথচ এ-আমার পাপের পাথর পাহাড় হয়ে ছুঁয়েছে আকাশ
সমস্ত নির্মল বায়ু বিষময় করে নিশ্বাসের করেছি অযোগ্য
নদী সমুদ্রের ঢেউ, জলতরঙ্গের ধ্বনি দূষণে দূষণে জীবনের শত্রু
বির্স্তীণ জমিন বীজের বিপক্ষে
বিনাশের রসায়নে অঙ্কুরের অবসান
আমরা এখন ক্রমাগত মরণরেখার কাছাকাছি !
অগণন পণ্যভোগে ডুবতে ডুবতে আমি আজ
অনিশ্চিত অতল গহ্বরে নিমজ্জিত
বস্তুর ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে আমি সেচ্ছায় গর্বিত বস্তুবন্দি
মানবিক সবকিছু এখন আমার কাছে আবর্জনা
আমি সজ্জিত বর্ণিল সভ্যতার উদ্ধত সন্তান
আমি তাই বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো একাকী ফেনিল।
অদৃশ্য ঘাতক মানুষের ফুসফুসে- মরণের বিষযাত্রা
আমার আত্মায় ঘর বেঁধেছে আরব্য রজনীর ভূতের মতন
আমাদের শরীরে শহরে গাঁয়েগঞ্জে জনপদে সবখানে
ঘামের মতন লেপ্টে আছে ভয়ঙ্কর ভাইরাস-
বিক্ষত গ্লোবের বুকে বিষাক্ত দাঁতের মরণ কামড়
অনন্ত বাঁচার ইচ্ছা আজ ডুকরে ডুকরে কাঁদে রাত্রিদিন
নূহের প্লাবনে যেনো নিঃসহায় নিরুপায়
লূতের শহরে আসন্ন মৃত্যুর অপূর্ব মহড়া !
সভ্যতার সমরাস্ত্র, পুঁজির প্রতাপ, ভোগের বিলাসী সরঞ্জাম
প্রযুক্তির অহঙ্কার- সবই এখন বড্ড হাস্যকর
অর্থহীন
মূল্যহীন
মৃত্যুগন্ধময়
বিনাশের পথে ধাবমান এক করুণ কোরাস !
০৪.০৩.২০২০
আলো
ঝিনুকের মাঝে মুক্তা লুকিয়ে থাকার মতো
আমার সত্তায় আলোর একটি বীজ সুপ্ত হয়ে ছিলো
বহুকাল
হঠাৎ সেদিন প্রথম সূর্যের মুখোমুখি হতে
বজ্রপাত হয়ে যেন ঝলকানি দিয়ে গেলো সপ্ত আকাশ
পর্যন্ত
কি আশ্চর্য আমার হৃদয়ে দিগন্ত বিস্তারি সূর্যোদয়
কুয়াশার পর্দা ছিঁড়ে জ্বলে উঠলো সহসা
দুর্বা ঘাসের সবুজে গাছের পাতায় ফসলের মাঠে জনপদে
সেই আলো মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লো বিদ্যুৎ রেখার মতো
পিরামিড যুগ থেকে বহমান সময়ের সমস্ত আঁধার
আমি নিমেষেই ছুঁড়ে ফেলে দিলাম কালের ডাস্টবিনে।
অতঃপর সূর্যাস্তের শেষ আলো নদী ও আকাশের সন্ধিস্থলে
ডুবে গেলে দ্বাদশী চাঁদের আলোয় আমার প্রাণ
জোছনার জোয়ারে প্লাবিত স্নাত হয়ে গেলো মহানন্দে
কালো মেঘের ডানায় জোছনার গ্রাস হলে
হৃদয়ে আমার নক্ষত্রপুঞ্জ দীপ্তি ছড়ালো হাসিতে
আমি সত্যি বুকে পুরে নিয়েছি সাতটি তারার জ্যোতি থেকে
নিহারিকাপুঞ্জ পর্যন্ত সমগ্র আকাশ!
বঙ্গপোসাগর থেকে উঠে আসা আগ্রাসী মেঘের দৈত্য
আমার আকাশ ছেয়ে ফেলে মুহূর্তেই আমি
ডানা ঝাপটিয়ে আলোর তৃষ্ণায় সাঁঁতার দিলাম প্রাণপণ।
দেখলাম জীবনের প্রেমে গুঞ্জরিত জোনাকীর ঝাঁক
আমার হৃদয়ে দীপ জ্বেলেছে অবাক!
২০.০৮.২০২০
নক্ষত্রের মাহফিল
করোনা বিনাশে জানি
আসবে না আর আসমানী আবাবিল
এক চোখে আমার চাঁদের আলো
অন্য চোখে জ্বলে আতঙ্কের কালো
যদিও আমাকে ঘিরে আছে নক্ষত্রের মাহফিল।
২১.০৬.২০২১
ফাগুনের ভোরে
কী এক অজানা টানে কুয়াশার ঘোর ভেঙে পাতাঝরা মেঠোপথ ধরে
হেঁটে যাই পুবের দিগন্তে
আমার দু’পায়ে শিশির ভেজানো ধুলো মেখে লুটোপুটি খায়
গায়ে এসে লাগে শরীর হৃদয় জুড়ানো শান্তির মতো শীতল হাওয়া
বাতাসে জানান দিচ্ছে ঝরা পাতার উৎসব- আহ্ দুঃখ যদি
এভাবেই শ্রাবণীধারার মতো ঝরে মিশে যেতো মাটিতেই!
নাকে এসে লাগে নবীন পাতার মন মাতানো ঝাঁঝালো ঘ্রাণ
যেন চেতনার সরোবরে পদ্মকুঁড়ি ফুটে উঠলো হঠাৎ।
সবুজ ঘাসের বুকে রক্তরাঙা পলাশের উজ্জ্বলতা যেন
পতাকার প্রতিচ্ছবি।
বুক পকেটে পলাশ পুরে হাঁটতে থাকলামপূর্ণিমা চাঁদের মতো নতুন সূর্যের দিকে!
যে দিগন্ত থেকে আবেগের মতো সঞ্জীবনী আলো ছড়িয়ে পড়ছে
গগনশিরিষ মেহগনি আমের মুকুল দেবদারু শিমুল এবং
সোনালি গমের উর্ধ্বমুখী শিষেউৎসাহের মতো জীবন উঠছে জেগে- প্রাণখোলা আনন্দের মতো
হাসিতে দুলছে ভাঁটফুল।
একদিকে স্বপ্নভঙ্গের মতন ঝরাপাতার নির্ঝর
অন্যদিকে আশার মতন নতুন পাতা ও কুঁড়ির জাগরণ
সৃজন ও পতনের মাঝপথ দিয়ে আমি হেঁটে চলি পুবের দিগন্তে
সূর্যকে করতে আলিঙ্গন।
১৭.০৩.২০২২
কুকুরের কান্না
একটানা কান্না
কান্নার তরঙ্গ
ধ্বনি প্রতিধ্বনি তুলে ছড়িয়ে পড়ছে
পৃথিবীর প্রতিটি দিগন্তে
সাতটি আকাশে
সাতটি তারার রাতে
দিনের সবুজ ঘাসে।
মাঝে মাঝে থেমে যাচ্ছে কান্নার শব্দরা
থেকে থেকে ফুঁপিয়ে উঠছে
কেঁপে উঠছে আবার
নিরন্ন বিরতি দিয়ে দম নিয়ে বাতাস কাঁপিয়ে
জনপদ থেকে রাজপথে সেই ধাবমান আওয়াজ
অঘ্রাণের কুয়াশার মতো আচ্ছন্ন করেছে মানুষের আহত অন্তর।
সারারাত ধরে মর্মছেঁড়া গগনবিদারি কান্না
কোন্ উৎস থেকে আছড়ে পড়ছে?
বুঝি না গভীর এই কান্নার ভেতর
কী এমন আছে যার চূড়ান্ত আঘাতে
ভেঙে পড়ছে রঙিন সভ্যতার সমস্ত খিলান!
বিপন্ন মা কুকুরের একটানা এই কান্না কী তবে
শোকাহত অগণন
মানব মায়ের লুকানো জামানো
বোবা কান্নার মিলিত প্রতিধ্বনি?
যা এখন আগ্নেয়গিরির লাভার মতন উদগীরণে
করোনার মতো ছড়িয়ে পড়ছে
এক প্রান্তর থেকে অন্য প্রান্তর!
জানি না কীভাবে বেঁচে উঠবে বারুদে রক্তে ভাসমান কম্পমান এই চরাচর!
০৭.০৩.২০২১
অঘ্রাণের ভেজা ভোরে
অঘ্রাণের ভেজা ভোরে রহস্যের কুয়াশাচাদর গায়ে
হেঁটে চলি পুবের দিগন্তে
শিশিরের শিহরণে রোদের আশায় প্রতীক্ষিত দুর্বাঘাসে
পা ডুবিয়ে মাড়িয়ে একাকী হেঁটে চলি ধল প্রহরের দিকে।
দিগন্তে ঝাপসা গাছপালা ঘুমন্ত দৈত্যের মতো ভয় ধরায় হৃদয়ে
ঘরবাড়ি ডুবে আছে কুয়াশার জালে
বিদ্যুতের তারে কাক মাঝে মাঝে ডেকে ওঠে জীবন তৃষ্ণায়
খেজুরের নাড়ি হাতে গাছি ছোটে খালি পায়ে রসের আশায়
সবুজের ভাঁজ খুলে আদিগন্ত মেঠোপথ ধরে
আমি হাঁটতেই থাকি
আমি হাঁটতেই থাকি।
আমার দু’পায়ে রক্ত ঝরে
আমার শরীর ক্লান্তশ্রান্ত
তীব্র শীতের কাঁপন ধরিয়ে দেয় হাড়ে
তবুও আমার পতচলা থামে না কখনো
আমি পথে প্রান্তরে গাছের নিচে
গাঁয়ে গঞ্জে জনপথে
যে-সব ক্ষোভের পাতা আর গোপন কান্নার ডাল জমে আছে
সে-গুলো দিয়ে মজ্জায় মেরুদণ্ডে শিরা ও উপশিরায়
জ্বেলে দিয়েছি আগুন।
তাই ঠাণ্ডা এখন পালিয়ে যাচ্ছে দূরে
সকল আতঙ্ক মুখ লুকাচ্ছে ক্ষণিক কুয়াশার সুরে।
আমি অবিরাম হেঁটে চলি সূর্যোদয়ে
কাল থেকে মহাকাল যাচ্ছে ক্ষয়ে ক্ষয়ে।
০৯.১১.২০২১
ফজলুল হক তুহিন
কবি, গবেষক ও সম্পাদক ড. ফজলুল হক তুহিন ১৫ জানুয়ারি
১৯৭৮ সালে বাংলাদেশের রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব,
কৈশোর ও যৌবন পদ্মাতীরবর্তী রাজশাহী শহরের মতিহার চত্বরে
বিকশিত ও পূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও
সাহিত্যে স্নাতক (২০০১), স্নাতকোত্তর (২০০২) ও পিএইচডি
(২০১১) ডিগ্রী অর্জন করেন । কৈশোরে ছড়া দিয়ে সাহিত্যে
হাতেখড়ি। তারুণ্যে কবিতা ও প্রবন্ধ/গবেষণায় মনোনিবেশ করেন।
প্রথমে রাজশাহী থেকে প্রকাশিত জাতীয় পত্রিকা ‘দৈনিক বার্তা’,
পরে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক ও
লিটল ম্যাগাজিনে তাঁর কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশ হতে থাকে।
কবি বর্তমানে বাংলাদেশের অন্যতম প্রতিনিধিত্বশীল সাহিত্যপত্র
‘নতুন এক মাত্রা’র নির্বাহী সম্পদক। ২০০০ ও ২০০২ সালে তিনি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘আন্তঃহল কবিতা প্রতিযোগিতা’য় প্রথম স্থান
অধিকার করেন। সাহিত্যে অবদানের জন্য ইতোমধ্যে পেয়েছেন
বেশ কিছু সাহিত্য পুরস্কার।প্রকাশিত হয়েছে- কবিতা: ‘ফেরা না ফেরা’ (২০০৩), ‘তুমি
প্রকৃতির প্রতিদ্ব›দ্বী’ (২০০৯), ‘সরাও তোমার বিজ্ঞাপন’ (২০১৪),
‘বিহঙ্গ পিঞ্জর’ (২০১৫); ‘বাজাও আপন সুর’ (২০১৫); ‘সুন্দরের
সপ্তপদী’ (২০১৬); ‘দীর্ঘ দুপুরের দাগ’ (২০১৬) ও ‘উজানে উৎস’
(২০১৯)। গবেষণা: ‘বাংলাদেশের কবিতায় লোকসংস্কৃতি’
(২০০৬) ও ‘আল মাহমুদের কবিতা : বিষয় ও শিল্পরূপ’ (২০১৪)।
ছড়া: ‘রঙিন মেঘের ঘুড়ি’ (২০১৭) ও ‘নীল নীল রোদ্দুর’ (২০২১)।
সম্পাদনা: ‘পদ্মাপাড়ের ছড়া’ (যৌথ: ২০০৬), ‘পদ্মাপাড়ের গল্প’
(যৌথ: ২০০৭) ও ‘আল মাহমুদের রাজনৈতিক কবিতা’ (২০১৮)।
প্রথম থেকেই বাংলার ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির আবহে
সমকালীন জীবনের স্পন্দন ধারণ করায় তাঁর কবিতা অর্জন করে
স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর। শিল্পসজাগ ও উত্তর-ঔপনিবেশিক ভাবনালালিত
কাব্যধারার নিষ্ঠা একুশ শতকের সূচনা দশকে তাঁর মৌলিকতা ও
কাব্যশক্তিকে নিশ্চিত করে।
মুঠোফোন: ০১৭৮৮-১৩৩০৮৪
ইমেইল: dr.fhtuhin@gmail.com