সায়ীদ আবুবকর
…………..
মানুষ ও কুত্তা-খচ্চর কাহিনী
…………..
ছড়িয়ে রোদেলা হাসি সারা মুখে, আমাকে বললো তারা,
‘আসুন, দেখুন, কি-সুন্দর দেশ আমাদের!’
আমি ঘুরে ঘুরে দেখলাম নাদুস নুদুস ইউরোপ
আর অহংকারে ফেটে পড়া বিউটি কুইন আমেরিকা।
আমি বললাম, ‘সত্যিই সুন্দর, যেন কোনো
শিল্পীর তুলিতে আঁকা স্বর্গের উদ্যান।‘
খুশিতে তাদের মুখ হয়ে উঠলো জ্যোৎস্নাভেজা রাত।
তারা বললো, ‘এখানে লোকজন কত কম
অথচ দেখুন কি-বিশাল দেশ!
আর আপনারা গা ঘিনঘিন করা নোংরা বস্তিতে
গাদাগাদি করে কিভাবে থাকেন এত লোক!’
শুনে আমি চুপ করে রইলাম।
বলতে লাগলো তারা, “কিন্তু কী জানেন,
এখানে বসেই পাওয়া যায় পৃথিবীর সবই।
আমরা আতুত করলেই এশিয়ার কুকুরেরা
হরিণের দুধ নিয়ে এসে বলে, এই যে হুজুর!
আমরা আঙুল ঘোরালেই এশিয়ার শস্যের ভাণ্ডার,
আফ্রিকার হীরে ও সোনার খনি
আছড়ে আছড়ে পড়ে আমাদের পায়ের উপর।‘
আমি চুপ করে রইলাম।
তারা বলেই চললো উৎফুল্ল কণ্ঠে,
‘দেখুন কি- জাদুর জীবন আমরা যাপন করি এইখানে,
যেন অলিম্পাস পাহাড়ের উপর আমরা আনন্দ-ফুর্তিতে মত্ত
দেব-দেবী আর আপনারা দুঃখ-দারিদ্র্য-অজ্ঞতা- কূপমণ্ডুকতা-
বর্বরতা আর কলহ-বিগ্রহে নিমজ্জিত এক উচ্ছৃঙ্খল জাতি।‘
আমি তবু চুপ করে রইলাম।
তারা জানতে চাইলো, আমি কি কিছুই বলবো না?
আমি বললাম, “হায়, আমাদের অসুস্থ বস্তিতে
তবু কী স্বস্তিতে
বসবাস করে
অসংখ্য মানুষ! আর অলিম্পাস পাহাড়ের ‘পরে,
যেখানে আপনাদের সোনায় মোড়ানো ঘর,
থাকে শুধু কুত্তা ও খচ্চর।”
……………
ভদ্রমহোদয়গণ ও ভদ্রমহিলারা
……………
ভদ্রমহোদয়গণ শুট-টাই পরে
দম্ভভরে
চলে পথেঘাটে;
ঘাড় টানটান করে হাঁটে;
চোখের চশমা তুলে রাখে কপালের ’পর,
দেখে মনে হয় হরিণের শিং;
পরিচিতজনদের সাথে যদি দেখা হয়,
মিষ্টি করে কয়, গুড মরনিং।
ভদ্রমহিলারা আনকোরা শাড়ি পরে, পায়ে পরে হিল,
ব্যাটারি লাগানো পুতুলের মতো চলে
আর চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলে।
পথে যদি কেউ ‘ভালো আছেন তো?’
বলে ফ্যালে কথা হেন,
তারা বলে, “ভালো থাকবো না কেন?”
বলে কাঁচের চূড়ির মতো হাসে খিলখিল।
সে-হাসির সাথে তবলা বাজায় যেন দু-পায়ের হিল।
ফকিরেরা বিচিত্র ভাষায়
দু-পয়সার আশায়
দাঁড়িয়ে রাস্তার মোড়ে
গান জোড়ে।
তাদেরকে দেখে
ভদ্রমহিলারা ভ্যানিটি ব্যাগের মধ্য থেকে
বের করে ঝকমকে একটি কয়েন
বিনয়ের সাথে কয়, “নেন।”
তাদের সে কণ্ঠস্বর
আছড়ে আছড়ে পড়ে ভদ্রমহোদয়দের কপালের চশমার ’পর।
তাঁরাও লজ্জায় সামনে এগিয়ে যায়; আশপাশে দেখে,
হঠাৎ পকেট থেকে
বের করে চকচকে দু-টাকার নোট,
গুঁজে দেয় ফকিরের হাতে; ভদ্রমহিলারা সিঁটকায় নাক
আর বিদ্রূপের হাসি হাসে বাঁকা করে ঠোঁট।
………
চালক
………
তারা ছাতা ধরে
চাইলো ঠেকিয়ে দিতে
বৃষ্টির পতন;
তবু সে পতিত হলো
পৃথিবীর ’পর,
ডুবালো পুকুর,
কর্দমাক্ত করলো জমিন।
সুউচ্চ দেয়াল তুলে তারা
ঠেকাতে চাইলো ঝড়ের গতিকে;
তবু ঝড় এলো,
উড়ালো টিনের চাল
আর ঝাঁকি দিয়ে ফেলে দিলো
গাছের সমস্ত আম।
পৃথিবী ঢালাই করে তারা
ঠেকাতে চাইলো ভূমিকম্প;
তবু সে হঠাৎ এসে
দুমড়ে মুচড়ে দিয়ে গেল
তাদের সাজানো সভ্যতাকে।
তারা আজ বলে,
হায়,
আমাদের পৃথিবীটা
কারা যে চালায়!
………
দুর্বিষহ
………
জীবনযন্ত্রণা আমি অষ্টযাম দেখেছি এখানে
মানুষের, পশুদের। বার্ধক্য ও অসুখবিসুখ
দুরন্ত পাঁকের মতো কিভাবে মৃত্যুর দিকে টানে;
কিভাবে বিবর্ণ হয় রূপসীর রোদভেজা মুখ;
কিভাবে কুঁচকে যায় ঝড়তোলা তুমুল তারুণ্য
পোড়া বেগুনের মতো; আর একটি রুগ্ন সারমেয়
আর্তকণ্ঠে কি-করুণ কেঁই কেঁই করে ডাকে, শূন্য
আকাশের দিকে মুখ করে! তবে মৃত্যুই কি শ্রেয়—
জানে না সে, তাই তার অচল পা হেঁচড়াতে হেঁচড়াতে
লড়ে যায় প্রতিদিন দুর্বিষহ জীবনের সাথে।
দিয়েছো জীবন যদি, কেন এত যন্ত্রণা দুঃসহ,
এত চোরাবালি, এত তুফান উত্তাল, এত দহ?
জীবন যে ভালো লাগে, ভালো লাগে এই বেঁচে থাকা
যদিও মৃত্যুর ফাঁদ রাস্তায় রাস্তায় পেতে রাখা।
……..
ভয়
……..
বাঁধা-বিঘ্নহীন জীবনের লোভে
লালায় কুত্তার মতো এরা! হায়াতের
সূর্য যদি ডোবে,
যদি ধসে পড়ে নিয়তির ঘর—
এই ভয়ে কেঁপে কেঁপে ওঠে
এদের অন্তর
এবং শরীর। কোথায় যে ছোটে
মনুষ্যবিহীন কোন্ গ্রহে এদের কল্পনা-বুদ্ধি-জ্ঞান,
যেখানে স্বর্ণের বানিয়ে নিবাস, বিশুদ্ধ বায়ুর
চিরস্থায়ী খাঁচা, আর ফেলে
নিশ্ছিদ্র নিপুণ নিরাপত্তাজাল, অনন্ত আয়ুর
ঝাড়বাতি দেবে জ্বেলে!
কখনো এমন জনপদ দেখেছে কি এরা, যেখানে মৃত্যুর
বাজেনি দুন্দুভি? কে কবে কোথায় অমর অক্ষয়?
তবু কেন জীবনকে নিয়ে এত উদ্বিগ্ন, অস্থির?
কেন এত ভয়
মরণের?
ঢের
এসেছে মানুষ পৃথিবীতে; ফের
গেছে তারা চলে; এভাবে চলেছে জগৎ-সংসার;
কেবল থাকবে যার
অনশ্বর কীর্তি, ত্যাগ আর মানবতা—
পৃথিবী বলবে তার কথা।
………….
ঈগলের ডানার আওয়াজ
………….
উপচে পড়া পানপাত্র হাতে নিয়ে যারা
দিয়ে যায় অলস চুমুক,
যাদের ঠোঁটের কোণে নেশার তুফান,
চোখেমুখে দুনিয়ার সুখ—
কোন্ পলিমাটি থেকে, হায়, এদের উদ্ভব,
উন্মত্ত এভাবে দিগম্বর হয়ে নাচে
আর করে যায় একচক্ষু দজ্জালের স্তব?
ইতিহাস বুঝি রূপকথা? তবু আজ
অতীতের ঘন অন্ধকার থেকে ভেসে আসে
ঈগলের ডানার আওয়াজ,
যে-ঈগল একদিন উড়েছিল অসীম আকাশে
আর চঞ্চু দিয়ে ছিঁড়েছিল আকাশের নীল।
সুনীল আকাশ দেখে আজ তার শাবকেরা
বটের পাতার মতো কাঁপে,
ঝড়ের গর্জন শুনে ঘরে ঢুকে মেরে দেয় খিল,
অতঃপর ডুবে যায় থইথই পৃথিবীর পাপে।
অশ্বে সওয়ার হয়ে বিদ্যুতের বেগে
অন্ধকার চিরে নিয়ে ছুটতো যে-বীর,
তাঁরই ঘরে অন্ধকার আছে আজ জেগে;
সেই অসি, সেই বর্শা আর সেই তীর
জাদুঘরে শুয়ে শুয়ে বাড়ায় যে শোভা
সভ্যতার! আন্দালুস গ্রানাডা কর্ডোভা
দিল্লি আর দাক্ষিণাত্য ফিরে গেছে, হায়,
পুরনো সে অন্ধকারে, দুঃখে, দুর্দশায়!
যখন হিংসার দুরন্ত অনলে পুড়ছে নিলয়,
যখন জীবন নিয়ে হায়েনারা হাসে ক্রুর হাসি
তখনো উল্লুকগুলো কানে কানে প্রেমকথা কয়,
তখনো নিরোর ঠোঁটে কি-সুন্দর শোভা পায় বাঁশি!
……….
হিমযুগ
……….
নেমেছে কি পৃথিবীতে হিমযুগ ফের,
পড়ছে বরফে ঢাকা সাজানো সভ্যতা!
স্বপ্নের ভিতরে আমাদের
ফিসফিস করে বলে যায় কথা
কোন্ মৃত্যুদূত? কোন্ জানোয়ার
হিম-আচ্ছাদিত সব গোরস্থান খুঁড়ে
বের করে আনে মানুষের হাড়,
অতঃপর ঊর্ধ্বাকাশে মারে ছুঁড়ে ছুঁড়ে?
হিমমৃত্যু হিমনৃত্য করে বিশ্বময়;
আমাদের আহত হৃদয়
জমে যায় বরফের মতো অবাক বিস্ময়ে
প্রাণহীন ক্ষোভ আর ভয়ে।
…………
কাল নিরবধি
…………
কত ফেরাউন এলো, বসলো মসনদে,
লংঘন করলো সীমা, সাজলো ঈশ্বর;
অসহায় মানুষেরা পড়লো বিপদে,
বইলো রক্তের নদী পৃথিবীর ‘পর;
আকাশ রইলো স্থির, নির্বাক, নিশ্চুপ-
ঝরলো কালের ফোঁটা-টুপ টুপ টুপ।
শুকালো বুকের ক্ষত,
বসন্ত উঠলো জেগে;
ছুটলো ময়ূরপঙ্খী
বসন্তের হাওয়া লেগে;
পাখিরা খুললো গলা,
ফুলেরা ছড়ালো ঘ্রাণ;
তুরীয় আনন্দে অতি,
নাচলো সমস্ত প্রাণ;
উঠলো হৃদয় নেচে,
বন আর বনস্পতি-
মনে হলো থেমে গেছে
কালের সমস্ত গতি।
তবু কাল ধায়
শম্ভুকের পায়,
পায়ে পায়ে যায়
পৌছে অনন্তের পাড়ে
যেখানে সমস্ত
সূর্য যায় অস্ত
এবং সন্ত্রস্ত
দীর্ঘশ্বাস শুধু ছাড়ে।
…………..
লাল জুলাইয়ের গান
…………..
এ যেন উত্তাল সমুদ্রের বুকে আছড়ে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের পর ঢেউ;
এ যেন উত্তপ্ত কড়াইয়ের ভেতর টগবগ করে ফুটতে থাকা তেলের বলক;
এ যেন ঝড়ের রাতে মুহূর্তে মুহূর্তে বজ্রপাত আর ছুটতে থাকা বিদ্যুতের ফেউ,
যার তীব্র আলোকচ্ছটায় হতভম্ব হয়ে যায় চোখের পলক।
রাজপথে লক্ষ লক্ষ লোক, বন্দুকের নলের সামনে পেতে দেছে যারা বক্ষ;
সিংহের মতো দাঁড়িয়েছে রুখে ফারহান, শাকিল ও আবু সাইদের রক্তে ভেজা দেশ;
বেপরোয়া লক্ষ লক্ষ লোক, একটি হৃদয় এবং তাদের একটাই শুধু লক্ষ্য:
দূর হ, হে দুঃশাসন, হে শকুন, হে দজ্জাল, হে নির্লজ্জ রামেসেস।
…………..
ঝরা পাতার নৃত্য
…………..
পুকুরের পানির মতো এ নিস্তরঙ্গ মৃত্যুর শহরে আচমকা এ-কি
জীবনের উন্মাদনা! যে ছিলো অচল, ছুটছে সে উল্কার গতিতে।
যে ছিলো নিথর, উড়ছে সে ঈগলের অধীর ডানায়। কী হলো হঠাৎ
এই ভূতের শহরে, বয়সের ভারে নুব্জ বৃদ্ধ ও বৃদ্ধারা ফিরে পেয়ে
হারানো যৌবন, ছুটছে ক্ষিপ্রবেগে যেন ষাঁড়; তরুণ ও তরুণীরা যেন ঝড়,
ভেঙেচুরে ফেলছে সব হারকিউলিসের মতো— মুখ থুবড়ে পড়ছে স্ফিংস,
কারুনের বালাখানা, ফারাওয়ের মসনদ। এভাবে হঠাৎ করে কোথা থেকে
নেমে এলো জীবনজোয়ার মরে কাঠ হয়ে পড়ে থাকা শুকনো পদ্মায়?
আমি হতবাক হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখি আদনান, ফারহান, শাকিল ও
আবু সাইদের রক্তে লাল হয়ে ঈগলের মতো উড়ছে আকাশে আমাদের
প্রাণের পতাকা আর বিশ কোটি বাঙালি ছুটছে ঊর্ধ্বশ্বাসে, কে জানে কোথায়।
থরথর করে কাঁপছে স্বৈরাচার; শুকনো বোঁটায় ঝুলতে থাকা পাকা
সিঁদূরে আমের মতো দুলছে দুঃশাসন যৌবনের ঝড়ে। এ-কি জীবনের
উন্মাদনা দিকে দিকে! যে ছিলো নিষ্প্রাণ, আজ সে জীবন্ত, যে ছিলো নিশ্চল,
আজ সে ঝটিকা হয়ে ছুটছে অশ্বের মতো। তাই দেখে মৃত্তিকায় পড়ে থাকা
ঝরা পাতারাও জীবন্ত ফড়িং হয়ে নৃত্য জুড়ে দেছে একসাথে উন্মত্ত বাতাসে।
…………..
পাঁচই আগস্টনামা
…………..
সমস্ত জুলাই আমি রক্তে ডোবা গোটা বাংলাদেশ সাঁতরিয়ে
পাঁচই আগস্ট মধ্যরাতে উঠলাম এসে ভূতুড়ে শহর ঢাকার রাস্তায়।
সারা রাত একবার কাঁচপুর ব্রিজ থেকে গাবতলি, আর-একবার
গুলিস্তান থেকে উত্তরা পর্যন্ত হাঁটাহাঁটি করে ভোর করে ফেললাম
ভূতচরা রাত। কারা যেন ফিসফিস করে বলে গেল কানে কানে,
‘এ শহর আজ প্রাতে বীভৎস ভাগাড় হবে, ঝাঁকে ঝাঁকে পড়বে শকুন কাক
ব্যবচ্ছিন্ন লাশের উপর। জননীদের ক্রন্দনে ভারী হয়ে উঠবে বাতাস।‘
লা হাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লা’ পড়ে আমি ফুঁ দিতে লাগলাম
উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে।
বেরিকেড দিয়ে দাঁড়িয়ে রাস্তার মোড়ে মোড়ে ঘাতক পুলিশ-র্র্যাব
আর শত শত সশস্ত্র সৈনিক, শকুনের মতো যারা ওঁৎ পেতে আছে
ছিঁড়েখুঁড়ে খাওয়ার জন্য ছাত্র-জনতার হরিণশরীর। আমি প্রাণপণ
‘এসো না, এসো না’ বলে চীৎকার করে তুলতে লাগলাম ঢেউ
উজান বাতাসে। সে ঢেউ পৌঁছোবে কিনা আগ্নেয়গিরির মতো
ফুঁসে ওঠা আমার সন্তানদের কানে, জানা নেই।
সুবে সাদেকের আগেই ঝড়ের মতো দিগ্বিদিক ভাঙতে ভাঙতে
ছুটে আসতে লাগলো অগ্নিমিছিল, মৃত্যুর ঝাণ্ডা নিয়ে হাতে আর
বুকে বেঁধে সফেদ কফিন। তাদের বিক্ষুব্ধ চোখেমুখে রয়েল বেঙ্গল
টাইগারের ক্রোধের আগুন, হারিয়ে যাওয়া স্বাধীনতা তারা
ফিরিয়ে না নিয়ে ফিরবে না আর ঘরে। যেভাবে বানের তোড়ে
ভেসে যায় ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট বাঁধ, সেইভাবে হুড়মুড় করে
ভেঙে পড়তে লাগলো বেরিকেড-প্রতিরোধ; পালাতে লাগলো
সব জলপাই রঙের ট্যাংক, হায়েনা, শকুন, হিংস্র ভাইপার আর
দাঁত উঁচা মাংসাশী ডাইনি, যে তার বিষাক্ত থাবা ফেলেছিল
এদেশের স্বাধীনতা আর মানচিত্রের উপর।
আমি দেখলাম পাঁচই আগস্ট উড়ছে আকাশে সোনালি ঈগল,
তাকে ঘিরে নৃত্য করছে একজোড়া কপোত-কপোতী আর
বাংলাদেশের সমস্ত দোয়েল।