spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদকবিতামুক্তির মহাকাল ও অন্যান্য কবিতা

লিখেছেন : মামুন সুলতান

মুক্তির মহাকাল ও অন্যান্য কবিতা

মামুন সুলতান

…………
মুক্তির মহাকাল
…………

তিতুমীরের মতোন আবু সাইদ বুকের বোতাম খুলে
পদ্মার স্রোতের মতো জানিয়ে দিলো জাগতে হবে ফের
একাত্তরের মতোন খুব সাহসে দাঁড়িয়ে গেলো ভ্যানগার্ড
প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালো সৌধের মতো মুক্তির মহাকাল
জুলাই আগস্টে বৃষ্টির রঙ ছিলো লাল
রোদের চেহারা ছিলো অবিকল কৃষ্ণচূড়া
কাশবন উড়ানো বাতাসের গায়ে লেগেছিল আগুন
রাজপথে উত্তলিত হাতে মিশেছিলো নবযৌবন
নষ্ট রাজনীতি সেদিন পুলিশ হয়ে নেমেছিল
দাঙ্গা-দাইয়ুসেরা তাক করেছিল স্নাইপার
অব্যর্থ-নিশানে বুকে ছুঁড়েছিলো বিদেশি বুলেট
চেতনার মাফিয়াচক্র কোনদিন দেখেনি গোলাপ
পলাশরাঙা নদীতে কাটেনি সাঁতার
উত্তাল সাগর দেখেনি কোনদিন শুয়োরের জাত
হৃদয়ে পৌঁছেনি কোটি মানুষের আর্তনাদ
দুর্বিন চোখে কেবল গুনেছিল ব্যাংকের মহিপাল
গণতন্ত্র গিলেছিলো রাতের অন্ধকারে
অন্ধকার ছিন্ন করে ঝাঁকে ঝাঁকে নেমেছিল আবাবিল
সে দৃশ্য কেবল একাত্তরে দেখেছিল একবার
আরাফাতের মতো লক্ষ জনতার আচানক ঢেউ
অবাক সে দৃশ্য আরো আশ্চর্য সেই অনুভূতি
অবারিত স্বপ্নের মতো ব্যাকুল জুলাই আগস্ট
মানুষের কাঙ্ক্ষিত অধিকার অপরিহার্য বিপ্লব।

…………
পালিয়ে যাওয়া ডাইনি
…………

তোমার কাছে এমন কিছুই তো চাইনি
খুব বেশি কিছু তো ছিলো না একটু অধিকারমাত্র
রাষ্ট্রের লোক হিশেবে এইটুকু কি চাইতে নেই?
সামান্য দাবি আদায়ে না হয় রাজপথে নেমেছিলাম
তুমি কি করলে ধূর্ত
রাইফেল বন্দুক দিয়ে লেলিয়ে দিয়েছো সশস্ত্র-শাবক
হ্যালমেট পরিয়ে দাঁড় করিয়ে দিয়েছো পাশব-পালোয়ান
ওরা কী করেছে জানো?
ওরা ধারালো দা দিয়ে মানুষ মেরেছে
আবরারকে সাপের মতো পিটিয়ে পিটিয়ে খুন করেছে
বিশ্বজিতকে প্রকাশ্য রাজপথে দাফন করেছে
এইতো দৃশ্যমান হত্যা
গোপনে কী করেছিলো তোমার পেটুয়া-সন্তানেরা
ঘর থেকে ধরে নিয়ে শীতলক্ষ্যায় ভাসিয়ে দিয়েছিল
জ্যান্ত-মানুষকে বছরের পর বছর
সাড়ে তিনফুট অন্ধকারে রেখে দিয়েছো শাস্তির নামে
তুমি কি মানুষ ছিলে?কেন জানি মনে হয়
তুমি শেখ মুজিবের দূষিত রক্তের বিষাক্ত প্রসূন
রক্তই ছিলো তোমার তকতকে জিহ্বার আশ্চর্য স্বাদ
কত কুসুম মনের পুষ্পিত মানুষকে মেরে
নাগরিক-মিছিলে গুলি আর গ্রেনেড মেরে
ফুলের মতো জীবনকে মিশিয়ে দিয়েছো ধূলির সাথে
তুমি আসলে কী চেয়েছিলে? গণভবনের রাজহাঁস?
চিরকালীন ক্ষমতা?
মানুষকে জিম্মি করে গোলামী-শেকল পরিয়ে
বাকশক্তি হরণ করে পিশাচের মতো নির্দয়া-ঘাতিনী হয়ে
কতদিন কতকাল এখানে থাকতে পারলে?
জনতা আর জান্তা কখনো এক হয় না
চারপাশে জান্তা রেখে জনতাকে করেছো বঞ্চিত
বঞ্চিত সেই জনতা রোশে-আক্রোশে
তোমাকে করেছে পদদলিত।
মনে পড়ে? পিছনের দোর খুলে চোরের মতো
মাথা নিচু করে অপমানিত হয়ে স্বদেশ ছেড়েছো
তোমার কি খুব লজ্জা লেগেছিলো?
আমরা খুব লজ্জা পেয়েছি
এমন পালিয়ে যাওয়া আমরা মোটেও কামনা করিনি
কী চেয়েছিলাম জানো?
আমরা চেয়েছি তোমার সমস্ত শরীরে
কোটি মানুষের থুথু ছিটিয়ে তোমাকে স্নাত করি
অথচ পালিয়ে গেলে
একবারও কি মনে হলো না? এতদিন যারা তোমাকে
মা আর আপা বলে গিলে খেয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার
তাদেরকে অগ্নিগর্ভে রেখে নিজের প্রাণ বাঁচালে
তুমি আসলে একটা স্বার্থপর ডাইনি
স্বজনের রক্তচোষা নির্ভেজাল ডাইনোসর।

…………..
কেমন আছো বৃন্দাবনে
…………..

রক্তে আগুন লাগিয়ে তুমি চলে গেলে
রক্তের লালি লেগেছে এই হৃদয়ে এখনো ঝরছে
রক্তের আতঙ্কে তুমি এতটা কাতর হয়েছো
ভূত দেখার মতোন ভয় তোমাকে গ্রাস করেছে
তুমি চলে গেলে এ কেমন তোমার চলে যাওয়া
বেহুদা শাসক তুমি দুঃশাসন করা দুষ্ট কাপালিক
পাশের বাড়ির লোক যার সাথে তোমার পরকীয়া
শেষমেশ তার কাছেই চলে গেলে নষ্টবনে?
তোমাকে রোজ দেখতাম হালকা লিপস্টিক ঠোঁটে
মায়াবী রঙ মেশানো শাড়ি পরে বিনোদন-পর্দায়
শয়তানের মতো মায়া ছিলো তোমার লিপিবদ্ধ কথায়
আর এতো মিথ্যা বলা তোমাকে কে শিখিয়েছিল?
উন্নয়ন-দেহে আঁচল টেনে টেনে পার্সেন্টেজ চাইতে
গিঁটে ডলার-পার্সেন্ট নিয়ে গভীর রাতে বাড়ি আসতে
নেশায় কোনো কোনোদিন একেবারে কমলাকান্ত
অপ্রকৃতস্থ দেখে সুহাসিনী মাসি লিলি দত্ত
মোদিমিশ্রিত গাউন তুলে দিতো তোমার হাতে
মিরকি-রোগির জুতার গন্ধ শোঁকানোর মত
তোমার নেশা কমে যেতো মনে আছে তোমার?
দেশের লোকে তোমাকে নিয়ে কতো হাসাহাসি
কেউ কেউ যন্ত্রণায় অভিশাপও দেয়
তোমার আধিপত্য এতো ভুতুড়ে ছিলো
ক্রন্দনরত কোনো শিশু তোমাকে দেখলে চুপ হয়ে যেতো
শেষ পর্যন্ত তুমিও চুপচাপ চলে গেলে বৃন্দাবনে
কেমন আছো পাষাণী তোমার স্বপ্নের বৃন্দাবনে?

………….
দিশাহীন যখন এই উপত্যকা
…………..

হত্যার মহাউৎসবে কতো নিষ্ঠুর ছিলে তুমি
স্নাইপার তাক করে হত্যা করেছো তাজা তাজা প্রাণ
রক্তে ভেসে গেছে বুড়িগঙ্গা কর্ণফুলি তিস্তা ও তিতাস
নির্জীব পাখি অরণ্য রাজপথ ও লোকালয়
আইনের আড়ালে মৃত্যু নিয়ে যাপন করেছো- নবান্ন-উৎসব। পথে পথে ট্রাইবুনাল বসিয়ে
রক্তাক্ত করেছো গণতান্ত্রিক বাক-স্বাধীনতা
পাগলা কুকুরের মতো উন্মাদ ছিলে তুমি।
সেই উন্মত্ত সময় সেই রক্তপিপাসার জল্লাদীয় উল্লাস
হাতে হাতে বন্ধুক পিস্তলের হিংস্র-উৎসবে
দিশাহীন যখন এই উপত্যকা
সঘন রাত্রির অমানিশায় ডুবেছিলো অবারিত মাঠ-ঘাট
গণ-জাগ্রত জোয়ারে তিলে তিলে মরে যাওয়া মানুষের
হাড়-কঙ্কাল ও তৃণভূমি
অসংখ্য মা বোনের ইজ্জতের শপথ নিয়ে
কাল-প্রবাহে জেগেছে মহাপ্রাণ
গ্রাম গঞ্জ হাট ও জনপদ থেকে বেগবান ঝড়ের মতো
ডাকাত তাড়ানো গ্রামবাসীর মতো
নেমেছিলো রাজপথে
এই পথ অজস্র মুক্তির পথ
স্বাধীন-চেতনায় জেগে ওঠার নতুন সূর্যোদয়।
তুমি পালিয়েছো আরও পালাও পালাতে থাকো
এ ঘরে ও ঘরে এতটুকু ঠাঁই পাবে না আর।

…………….
কতটা নিষ্ঠুর হলে
…………….

মনটাকে গুম করে কয়টা দিন রাখতে পেরেছো গুহায়
স্বপ্ন চুরি করে কী লাভ হলো তোমার
বন্দিখানায় কতদিন রাখতে পেরেছো আমার সুখ
তোমার জঘন্য আদালতে নির্বিঘ্নে কেঁদেছিল আইন
কত অসহায় প্রাণ নির্বিচারে করেছো হরণ
হাতকড়া পড়িয়ে উটের মতো টেনে নিয়েছো পুরোদেশ
এখন ভাবো কতটা জঘন্য তুমি
আয়নাঘরে তিলে তিলে ধ্বংস করেছো কত মহাপ্রাণ
কতটা নিষ্ঠুর হলে মানুষকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে
ক্রমান্বয়ে হাসতে পারো পিশাচের মতো
শিশুর কোমল মনে ভীতিকর হস্তি হয়ে কী লাভ হলো
সেই শিশুরাই আজকে আসিফ নাহিদ
তুমি যেখানে বসে এদের হৃদয়টা ভেঙ্গে দিয়েছো
সেখানে বসেই তারা তোমাকে শিখাবে সত্য-ইতিহাস।
গুম হওয়া সেই মন ফিরে এসেছে কয়েদ থেকে
এবার ভাবতে পারছি আমিও মানুষ।

………………
আহা কী সুন্দর এই দেশ
………………

বুকের ব্যাথাটা কমে গেছে তুমি কি বুঝতে পারছো?
অযথা চিন্তার রেশ ততটা নেই
বৃক্ষের মতো সটান দাঁড়িয়ে দেখছি সজীব পৃথিবী
আয়নাঘর থেকে বেরিয়ে আকাশ দেখার মতো
মাটিকে স্পর্শ করার মতো হঠাৎ ভালো হয়ে গেছি
শিরায় শিরায় রক্ত চলছে ঠিকঠাক মতো
এই মনে এই দেহে উচ্চরক্তচাপ ছিলো সেইকালে
এখন টের পাই না বলে বলতে পারি
বলতে পারো কিংবা ধরে নিতে পারো
নদীর মতো স্বাভাবিক হয়ে গেছি
এই দেশ ভালো থাকলে আমিও ভালো থাকি
সমাজ-বিপ্লবে বৈপ্লবিক অনুভূতি আমারও সমান
গুম নেই খুন নেই আহা কী সুন্দর এই দেশ
হে বিপ্লবী নাগরিক তোমাদের অযুত-নিযুত সালাম
শহিদের রক্তে জেগে থাকুক প্রিয় বাংলাদেশ।
এই শোনো
তোমাকে আর বলতে চাই না
বুকে ব্যথা বেড়েছে আমার বুকে মালিশ করে দাও
এই দ্যাখো আমি ভালো হয়ে গেছি
আমি আজীবন ভালো থাকতে চাই।

………………
বিপ্লব -২০২৪
……………….

একটা ঝড় চব্বিশের ছাত্রপ্লাবন মহাবিপ্লব
বিচূর্ণ করে দিয়েছে দেমাগে-দরবার
গণ-জাগরণে উলটে গেছে দাগী-কণ্ঠের গর্জন
মানুষের কোনো দিশা ছিলো না
নির্ঘুমে নিশিযাপন করে নিরবে সয়ে গেছে নিষ্পেষণ

নির্মম নির্দয়ের মতো আকণ্ঠ গিলে খেয়েছে প্রাণ
ক্ষুধার্ত রাক্ষুসে ছেটে খেয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগার
মানুষের প্রাণহারী সে
গণমানুষের বুকে বসেছিলো পাথরের মতো
রক্তপিপাসায় পাগলের মতো বিদিশা সেই চোখ
অকারণে ঘর থেকে নিয়ে যেতো গুমের আয়নাঘরে
রাতদিন অন্ধকার যেখানে কোনও পৃথিবী ছিলো না
এমন নিষ্ঠুর নির্যাতন খুব ভালো লাগতো তার
একদিন ভৈরবী রূপে রূদ্র-প্রতাপে নামলো ছাত্রপ্লাবন
সেই মহাপ্লাবনে নামলো জনতার ঢেউ
নব-উদ্দীপন নব-যৌবনে সাগরে উত্তাল ঝড়
চতুর্দিক থেকে নামলো কালবৈশাখ
তারপর বিচূর্ণ সব অহংকার
ধ্বংসস্তুপের মাঝে দাঁড়িয়ে লজ্জায় ঘৃণায় অপমানে
একদিন দেশছাড়া হলো দুর্দান্ত শাসক।

………………
শহিদ আলিফ
………………

আলিফ শহিদ হলো
হলুদ পেষার মত সারা শরীর থেতলে দিয়েছিল
ত্রিশূলের দাঁত দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলেছে পিঠের চামড়া
কী নিষ্ঠুর কী নির্মম অনাচার
আইনের পোশাক পরা আলিফ বাঁচতে চেয়েছিল
বাঁচাতে চেয়েছিল স্বদেশ
দাঙ্গাহীন সম্প্রীতির মহাসুন্দরে আলিফের মন-মঞ্জিল
বৈষম্যহীন ভূখণ্ড আঁকতে চাওয়া কিংবা
ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র কিংবা সম-অধিকার নিশ্চিত আন্দোলন
আলিফের হাত উত্তলিত হয়েছে জনতার মিছিলে
ইহকালীন ইনসাফ রক্তপাতহীন হৃদয়-সম দেশ
প্রতিটি মানুষের জন্যে আলিফ ন্যায়দণ্ডের দাবিদার
মুষ্টিবদ্ধ দুটিহাত সাহসের প্রতীক হয়ে উচ্চারিত সত্য
প্রতিধ্বনিত শ্লোগানে ডাহুকের মতো আলিফের কণ্ঠ
সাম্প্রদায়িক গেরুয়া চাদরতলে লুকিয়ে রাখে ত্রিশূল
জটাচুলের খোঁপায় বেঁধে রাখে চাকু
কপালে অঙ্কন করে প্রতিহিংসার ট্যাটু কিংবা তিলক
কৃষ্ণের নামে চালিয়ে দেয় মুখোশরাজ্য
এরাই আমার ভাই আলিফের খুনি
দেশদ্রোহী ঘাতক হয়ে এই দেশে আস্তানা গড়ে
ভিনদেশী দালাল হয়ে আমার দেশের সর্বনাশে
দিনরাত জপে যায় রহস্যময় জপধ্বনি
আলিফ আজ শহিদ
ওদের হাতেই খুন হলো আমার ভাই
আলিফের নামে গড়ে উঠুক ঐক্যের মানবপ্রাচীর
ধর্ম-বিদ্বেষ দূর হোক ফেসিস্টমুক্ত বাংলাদেশে।
ত্রাস নয় শান্তি চাই বিদ্বেষ নয় ঐক্য চাই
রাজনীতিতে রহস্যময় আর দ্বন্দ্ব নয়
বহুমত হয়ে যাক দেশপ্রেমের নামে একআত্মা
একটি মাত্র ধারা শহিদ আলিফিয় মুসলমান।

………………
মামুন সুলতান (১৯৭৮-)
স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখি করলেও মুসলিম সাহিত্য সংসদের সাহিত্য আসরে তাঁর কলম শানিত হয়। ইতোমধ্যে তাঁর সাতটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
ছয়টি গ্রন্থের মধ্যে চারটি কাব্য, একটি সাহিত্য সমালোচনা এবং অপরটি ছন্দ বিষয়ক গ্রন্থ।
প্রথম গ্রন্থ জলভাঙা স্বপ্নসিঁড়ি ২০১৫( কবিতা) চৈতন্য প্রকাশন
এরপর বাতাসের ঘুড়ি ২০১৬ (কবিতা) নাগরী প্রকাশন
বাংলা কবিতার ছন্দকলা ২০১৭( প্রবন্ধ) চৈতন্য
মেঘরাখালের বাঁশি ২০১৮ ( কবিতা) প্রাকৃত প্রকাশ
বৃত্তহীন বেদনার জাদুকর ২০১৯ (কবিতা) প্রাকৃত
গ্রন্থের গহীন গল্প ২০১৯ (সমালোচনা) প্রাকৃত
মেঘের কাজল (২০২৪) বুনন কবিতাগ্রন্থ।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব on কবিতার স্ফুলিঙ্গ, স্ফুলিঙ্গের কবিতা