আমান আবদুহু
শেখ হাসিনার যে ছবিটা মুছে ফেলা হয়েছে, ঐটা ছিলো তার হুবহু ছবি। সত্যের চেয়ে বড় শক্তি আর কিছু নেই। মাথায় ঘোমটা দিয়ে স্নেহের মুচকি হেসে মাতৃরুপের ভান করতে চাওয়া এবং স্বজন হারানোর বেদনা বুঝার দাবীদার এই সাইকোপ্যাথটা যে হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করা একটা ডাইনি ছিলো, এই সত্যি ছবিতে হাজার হাজার মানুষর ময়লা নিক্ষেপ ছিলো তার প্রমাণ। চব্বিশে বাংলাদেশ নির্জলা সত্য দিয়ে সত্যের সাথে বুঝাপড়া করেছিলো।
পাশাপাশি এই ছবি ছিলো বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের শিল্পচিন্তার প্রতীক। এভাবেই গ্রাম বাংলায় মানুষের চেহারার ছবি আঁকা হয়। রিকশার পেছনে দেখা যায় এই ঘরানার প্রতিকৃতি।
ঐটা বদলে ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে এখন ডাইনিটার যে ছবি আঁকা হয়েছে, কামরুল হাসানের ‘এই জানোয়ারদের হতা করতে হবে’ ক্যারিকেচারের স্টাইলে, ঐটা সত্যি ছবি না। বরং ক্যারিকেচার। সত্যি ছবিকে বিকৃত করে ভীতি, ঘৃণা ইত্যাদি আবেগকে উসকে দেয়ার চেষ্টা। ‘প্রথম আলো’ যেই দর্শন থেকে খালেদা জিয়া বা গোলাম আজমদের কার্টুন আঁকতো। এটা জাফর ইকবালীয় পদ্ধতিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস করার ঘরানা। একাত্তর ব্যাবসায়ীদের সিগনেচার স্টাইল।
পাশাপাশি নতুন এই ছবি বাংলাদেশের এলিট শ্রেণীর স্টাইলও বটে। তারা এইরকম বিদঘুটে জিনিসকেই শিল্প মনে করে। এবস্ট্রাক্ট বা ইত্যাদি হাবিজাবি নাম দিয়ে নিজেদেরকে জাতে ওঠা প্রমাণের আকূল চেষ্টা করে।
দেখবেন গ্রাম বাংলায় একটা প্রবাদ আছে যেখানে বলে, কুকুরের পেটে ঘি-ভাত সয় না। আমার মনে হয় চব্বিশের দুর্দম ও অলৌকিক ঘটনাবলী এই দেশের মানুষের অনেকের সহ্যের সীমানার বাইরের বিষয়। তাই তারা গুতিয়ে-গাতিয়ে মুচড়ামুচড়ি করে নানা কায়দাকানুন করে বারবার একাত্তরে আশ্রয় নিতে চায়।