……..
থু
আবু জাফর সিকদার
………
তোমার কদর্য চেহারাটা দেখলেই
চোখে রক্ত উঠে আসে
হাতের আঙ্গুলগুলি মুষ্টিবদ্ধ হয়
অবচেতন মনেই মানুষ বলে ওঠে ঘৃণা,ঘৃণা।
মুখে উঠে আসে এক দলা থুথু–
থু!
ছিলে এক আপাদমস্তক সেবাদাসী,
রক্ত চোষা ড্রাকুলার মতো খুন পিয়াসী।
জামারাতে কঙ্কর নিক্ষেপের মতো
শয়তানের নব্য প্রতিভূ ঘিরে
অনন্তকাল ধরে চৌরাস্তার মোড়ে
প্রতিদিন পাথর ও জুতা উড়বে
তোমার পৌত্তলিক বেদীতে।
দেশবাসী তোমার নাম দিয়েছে ঘৃণাস্তম্ভ।
….
ঘুমঘর। ঢাকা
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
…………
আমি তোমাকে ঘৃণা করি পিও
রি হোসাইন
…………
১
ভালোবাসা মোছা যায়
ঘৃণা মুছে না কিছুতেই
আমি তোমাকে ঘৃণা করি পিও
গ্রাফিতির অনু পরমাণু
বাংলাদেশের রক্তপ্রবাহ জুড়েই…!!!
২
হৃদয়ে যত গুলির ক্ষত
জমা আছে তোর গ্রাফিতি তত
কতটা হৃদয় মুছবিরে তুই
দেখি আছে তোর রং-তুলি কত?
………….
গ্রাফিতি মুছে
মেজু আহমেদ খান
………….
দেয়াল গ্রাফিতি মুছে দিয়ে কি রে
মনের ঘৃণাকে যায় মুছা?
আঠারো কোটি নিগৃহীত প্রাণ
ফের দেবে তাই থুত্থু খোঁচা
ওয়াক থু ওয়াক থু
ছিঁটোয় থুথু
নতুন গ্রাফিতি এঁকে,
স্বৈরাচারের চামুন্ডা সব
পাইনি কোথাও ইতিহাস ঘেঁটে শেখে।
কেবল ঘৃণা আর কেবল থুথু
নিলাজ যত গায় মাখে না,
যতই তাদের পিটাও গিটাও
বদের হাড্ডির বদ ঢাকে না।
শেখে না শেখের দোসর যত
গুম দানবীর পান্ডা সব,
শেকড়শুদ্ধ উপড়াও এদের
উঠুক আওয়াজ ডাণ্ডা রব।
২৯/১২/২০২৪
কাব্য কুঠির
কবিতা তো সময়ের দর্পণ কিন্তু সাহিত্য সংস্কৃতির মূল চালিকা শক্তি যাদের কব্জায় তাদের আঙ্গুলি হেলনে বদলে যায় যাবতীয় হিসাব নিকেশ! দেশ বারবার এই অপশক্তির কবলে বিভিন্ন মাত্রায় ও রূপে ফিরে আসছে! সুবোধ চেতনা চালিত সমাজ বা রাষ্ট্রের প্রয়োজন এখন প্রতিদিনের অক্সিজেনের মতোই অপরিহার্য! কবিতা সেখানে অনুঘটকের মতো কাজ করুক এটাই ঐকান্তিক কামনা।