মীর সালমান শামিল
আমরা একটা অদ্ভুত সময়ে বাস করছি। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসা নিতে যাচ্ছেন। অনেকটা নিশ্চিন্ত লাগছে। মানে, আপতত চেতনার কসাই চট করে ঢুকতে পারবে না।
মুসলমান বঙ্গে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী পরে একমাত্র বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া আর কেউ দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে দেশের মানুষের অভিভাবক হয়ে উঠতে পারে নাই [শেখ মুজিব কিছু দিনের জন্য হয়েছিলো]।
বাংলাদেশে ভারতের আর্মি ঢোকে নাই এবং সিকিমের মত ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয় নাই তার একমাত্র কারন বাংলাদেশ এবং ভারতীয় আর্মির মাঝে হিমালয় হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়া।
এক সন্তানকে হত্যা, আরেক সন্তানকে অত্যাচার করে মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া, দীর্ঘ দিনের স্মৃতি বিজরিত বাড়ি থেকে অত্যন্ত অপমানজনক ভাবে বের করে দেওয়া, পরিত্যক্ত জেলে আটকে রাখা, এবং শেষে স্লো পয়েজিনিং; কোন কিছু করেই ভারত বেগম জিয়াকে নমনীয় করতে পারে নাই, শি ইজ মেড অব স্টিল।
দিনের পর দিন আমরা ফেইসবুক, ব্লগে লেখালিখি করেছি, রাস্তায় মিছিল করেছি, টিয়ারগ্যাস এবং ছাত্রলীগের অত্যাচার সহ্য করেছি এই দিনের জন্য। দেশ স্বাধীন হবে এবং বেগম জিয়া সম্মানের সাথে চিকিৎসা নিতে বিদেশ যাবেন।
সম্মান আল্লাহর রিজিক। হাসিনা ফেরারি হয়ে ভারতে, একটা অপমানিত জীবনে আছে। মিডিয়া দূরে থাক নিজ দলের নেতা-কর্মীদের সামনেও ভিডিও কনফারেন্সে আসতে লজ্জা পায়। রেহানা পরিবারও লন্ডনে চুড়ান্ত অপদস্ত হচ্ছে। টিউলিপ পদ-পদবি হারাতে বসেছে।
আর যারা বিএনপিকে কঠিন সমালোচনা করে দৌড়ের উপর রাখে তারাও বেগম জিয়াকে নিয়ে কথা বলছে ইন প্রফাউন্ড ডিগনিফাইড ওয়ে। এটা আসলেই আল্লাহর পক্ষে দেওয়া সম্মান।
আশাকরি দেশনেত্রী চিকিৎসা নিয়ে শীঘ্রই সুস্থ হয়ে ফেরত আসবেন এবং আরেকবার দেশের নেতৃত্ব দেবেন।
ফি- আমানিল্লাহ
…………
লেখক : গবেষক, ব্রেমেন ইউনিভার্সিটি, জার্মানি।