মহসিন হাবিব
…………
দুটি পথের যাত্রী
…………
একবুক চাপা যন্ত্রনা নিয়ে
মৃত্যুকে সওদা করে ছেড়ে যেতে হবে পৃথিবীর অন্যতম আকর্ষণ
আর হয়তো কোনো শীতের দুপুরে রোদের ঝিলিক আসবেনা
হাতছানি দিয়ে ডাকছে মহাকাশের দিকে
আমি শুধু পথচেয়ে তাকিয়ে থাকি
দুটি পথের যাত্রী হয়ে।
………….
মনুষ্যত্ব
…………..
একটু জায়গা দাও শীতের চাদর মুড়ি দিয়ে কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে গিয়ে বসি।
আর যে পারিনা
খালি গায়ে না পারি তর্পণ করতে
আর ভোরের অজু সেরে লম্বা পাঞ্জাবিতে নামাজ পড়তে।
বড্ড শীতের মরশুম
বিরাজ করে ঘরে বাইরে
দরকার নেই এখন
গর্ব করে আমি মুসলমান বলার
আর সনাতন রূপ নাই বা দেখালাম।
কুকুরের ছানা গুলো ঝরে পড়া শিশিরে যেমন কষ্ট পাচ্ছে সারা রাত জুড়ে
ভোরের আলোর অপেক্ষায় ওরা কষ্ট রাত বুকে নিয়ে বেঁচে আছে
যেমন আমি বেঁচে আছি একটি শিউলি ফুলকে বাঁচাবো বলে…
…………..
প্রত্যাশার পানসি
.…………..
তপ্ত দুপুরের উষ্ণতা জুড়িয়ে যায় শীতের বিকেলে
বুকের যন্ত্রনা কালো কাপড়ের নিচে চোখ মোছে
শকুনের দল ছিঁড়ে খায় ভোগের সামগ্রী
কাকের আওয়াজে নীল আকাশ যখন
কালো ক্যানভাসে ঢেকে যায়
দোয়েল,ময়না পাখিগুলো এই এখনো নীরবে ঝরায় চোখের মুক্ত জল
তিলোত্তমার আকাশে বিবেক যদি জাগ্রত হয় কোনোদিন!
এমনি ভাবেই কালের নিয়মে দিন কেটে রাত;রাত কেটে আসবে নতুন ভোর
এই প্রত্যাশার পানসি নিয়েই বেঁচে থাকি হাহাকার তিলোত্তমার উত্তরসূরীরা।
……….
ভোগ – বাদ
………..
ঘুণ ধরা সমাজে দুর্গা এখনো ভোগের সামগ্রী
ঘটা করে রাজপথে নারী আন্দোলন
নারী স্বাধীনতা
যখন করি
তখন মনে হয় পৃথিবীটা শান্ত হয়ে যায়।
মিটিং করে ঘরে ফিরতে রাত হলে
সেই রাতই গিলে খাবার জন্য
উৎপন্ন করে লাল,নীল অসুর পথের বাঁকে বাঁকে ওঁত পেতে থাকে নরম মাংসের গন্ধে।
ভোগ – বাদ
যতই মুখে উচ্চারণ করিনা কেনো
বুকের ভিতরেই রয়ে যায় সেই আদিম নারকীয় মনস্তত্ত্ব
ভোগ – বাদ!