spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
প্রচ্ছদসাম্প্রতিকটিউলিপ সিদ্দিক

লিখেছেন : আমান আবদুহু

টিউলিপ সিদ্দিক

আমান আবদুহু

……..

শেখ বংশের চোর টিউলিপ সিদ্দিকের চোরামি নিয়ে ব্রিটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট এডভাইজার অন মিনিস্টারিয়াল স্ট্যান্ডার্স এর তদন্ত প্রতিবেদনটা পড়লাম। 

চোরটা শেখ মুজিবের যোগ্য বংশধর। চক্ষুলজ্জা নাই। নিজ আত্মসম্মান থেকে, নিজ থেকে শেষপর্যন্ত পদত্যাগ করলোই না। 

এ রিপোর্টের পর বের হয়ে না গিয়ে তার আর কোন উপায় ছিলো না। সুতরাং বলা যায় তাকে জুতিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে। 

অবশ্য আওয়ামী মানীর মান না কি জুতা মারলেও যায় না। 

অনেকে বলতেছেন, মন্ত্রীসভা থেকে বের করে দিলেও এমপি তো আছে। সুতরাং ভবিষ্যতে আবার কামব্যাক করবে। 

ভবিষ্যতে কামব্যাক করার সম্ভাবনা সবারই থাকে। যেমন এরশাদেরও ছিলো। হাসিনারও আছে। কিন্তু বুঝা দরকার, মন্ত্রীসভায় নেয় সরকার। সুতরাং সেখান থেকে বের করে দেয়া সরকারের সহজ এখতিয়ার। এমপি পদে ভোট দেয় পাবলিক (যেহেতু বাংলাদেশ না)। সুতরাং ঐটা একটু কঠিন। তবে ঘটনার গতিপ্রকৃতি যা, ঐটাও হবে শেষপর্যন্ত। ওয়ান স্টেপ এট এ টাইম। 

টিউলিপের ঘাড়ধাক্কা খাওয়ার এ ঘটনা ছোট কোন ভিক্টরি না। বরং বিশাল ব্যাপার। আশা করা যায় এই চুরিচামারিকে সে দেশের পাবলিক মনে রাখবে এবং ভোটের সময় হিসেবে নেবে। 

আরেকটা জিনিস আছে। এইরকম অভিযোগের পরও সে যেভাবে নির্লজ্জ্বের মতো চেয়ার কামড়ে ধরে থাকার পারিবারিক সংস্কৃতি চর্চা করতেছে, এটাও সে দেশের পাবলিক নিরবে দেখে যাচ্ছে। 

তদন্তকারীর কাছে চোরটা স্বাভাবিকভাবেই যা ব্যাখ্যা আছে, কাগজপত্র আছে, তা দিয়েছে। সম্পত্তিগুলোকে প্রাপ্ত “উপহার” হিসেবে দেখানো হয়েছে। সুতরাং এডভাইজার লরি স্যার এসব কাগজপত্রকেই গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘ সময়সীমার কারণে কমপ্লিট এবং প্রপার রেকর্ড পাওয়া সম্ভব হয়নাই। টিউলিপের মুখের কথায় বিশ্বাস করতে হয়েছে। এই কথা বলার অর্থ হলো এ রিপোর্টকেও ভবিষ্যতে চ্যালেঞ্জ করা এবং আরো ডিটেইল ইনভেস্টিগেশন দাবী করা সহজ কাজ হিসেবে থেকে গেলো। 

কিংস ক্রস এলাকার একটা ফ্ল্যাটকে সে না কি তার বাবা মায়ের কেনা সম্পত্তি মনে করেছিলো। কিন্তু আসলে ঐটাও উপহার। রিপোর্টে বলা হয়েছে এটা টিউলিপের “ধারণা” ছিলো। সুতরাং গোঁজামিলের ইশারা এখানেও আছে। 

নিউক্লিয়ার প্লান্ট উপলক্ষে মস্কো ভিজিট নিয়ে টিউলিপের ব্যাখ্যার কথা বলা হয়েছে। তবে সে ব্যাখ্যার পর ব্রিটেনে শেখ বংশের এই চুন্নিটার ভবিষ্যত রাজনৈতিক সম্ভাবনা সীল করে দেয়া হয়েছে এই কথা বলে: “Ms Siddiq is a prominent member of one of the principal families involved in Bangladesh politics. She is in close touch with her relations and it would be unreasonable to expect otherwise. This has, however, exposed her to allegations of misconduct by association. Although rare, it is not unprecedented for a UK government minister to have a close family relationship with a prominent member or former member of a foreign government. In such circumstances, a minister may, through no deliberate action of their own, be exposed to political controversies that flow back to the UK, carrying a risk of the minister’s perceived competence and reputation being adversely impacted and, as a result, the broader reputation of the Government. 

ব্রিটিশরা একটা জাতই বটে। লাথি দেয় কিন্তু ভাব করে যে সালাম দিচ্ছে। এদের বিভিন্ন রিপোর্ট পড়ার অভিজ্ঞতা যাদের আছে, তারা জানেন সাদাদের এই শয়তানি ঢং টা। কোন কিছু রিজেক্ট করলেও এমনভাবে লিখে, মনে হয় এই বুঝি দিয়ে দিচ্ছিলো। আর এটা তো জুতাপেটা। সম্পত্তি প্রসঙ্গে কাগজপত্র, রেকর্ডের গোঁজামিলের বিষয়টা যেভাবে উল্লেখ করেছে এ রিপোর্টে, এটা টিউলিপের কপালে চিরস্থায়ী সিল। সোর্স: ট্রাস্ট মি ব্রো। এইসব রিপোর্ট নিয়ে ডিল করতে করতে আমি অকালবৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছি। একেকটা চিঠি পড়ি আর পেছনের অর্থ বের করি। এটাই আমার জীবিকা। 

সর্বোপারি, দুই গালে জুতিয়ে মন্ত্রীসভা থেকে ঘাড় ধাক্কা দেয়ার কাজটা করেছে একদম শেষে এসে।

Given the nature of Ms Siddiq’s ministerial responsibilities, which include the promotion of the UK financial services sector and the inherent probity of its regulatory framework as a core component of the UK economy and its growth, it is regrettable that she was not more alert to the potential reputational risks – both to her and the Government – arising from her close family’s association with Bangladesh. I would not advise that this shortcoming should be taken as a breach of the Ministerial Code, but you will want to consider her ongoing responsibilities in the light of this.

একদম জয় বাংলা করে দিয়েছে মামু। টুঙ্গিপাড়ার ঘরে ঘরে আজ মর্সিয়া ক্রন্দন। কাঁদো বাঙালি কাঁদো। খালা ভাগিনি জড়াজড়ি করে কাঁদো। দু’জনেই আজ সমব্যাথী। এখন বাকি আছে হু এর বাটপারটা।

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব on কবিতার স্ফুলিঙ্গ, স্ফুলিঙ্গের কবিতা