বনমালী নন্দী
……..
ঊর্মি
……..
কোনো কিছুতে মন নেই
ভালো মন্দ নেই
বাতাসে ঝরছে পাতা
ঝরা পাতাদের গানে আমাদের
আমার প্রসিদ্ধ মনখারাপ
লাটাই হাতে ঘুড়ি
বন্ধু তোমার বাড়ি অনেক দূর
চাঁদের শহর যেখানে
গোপন চিঠিতে লিখে পাঠায়
তোমাকে অশ্রুর ধানজমি
জিজ্ঞাসা করলে বলতে হয়
রোদ্দূর ঝন ঝন চুড়িহাঁসি বাজিয়ে
ভালো আছি, বেশ আছি
……….
পদ্মা গঙ্গা
……….
দাঁড়িয়ে আছি পাড়ে
সময় যতক্ষণ হাঁটা চলা করে
কথা বলে, গান গায়
ঠিক ততক্ষণ
বাতাসের গালে হাত
আকাশ নিথর
পাহাড়ের অটল হৃদয়
কেঁদে ওঠে
জলের আয়নায় ভেসে আসে
মৃত্যুর মিছিল
চাপ চাপ রক্তের বাড়িঘর
মন্দির, ঈশ্বর
চারিদিকে পোঁড়া আগুনের গন্ধ
………..
সাদা মেয়েটি
…………
অনেকটাই মরে গেছে
পানপাতার মুখ
জল উড়িয়ে উড়া রাজঁহাস স্তন
আকাশ উড়নাতে বসন্তের আগুন চাষ
কাগজ কলমের হৃদয়
পুড়তে পোড়াতে পাণ্ডুলিপি ভস্মীভূত
শরীর বৃত্তীয় আকাশে ব্যাধি বাসা বেঁধেছে
মাতৃদানিতে টিউমার
পিরিয়েড দিনগুলিতে পেঁচার যন্ত্রণা
রাতজাগা চোখে নক্ষত্র চোখের নিচে পিরামিডের শহর
বাগানে ছুটছে কালবৈশাখী
নুড়ি পাথর ছায়া ফুল
জল থৈথৈ টেবিলের প্রেম অভিধান
মন
বৃন্তচ্যুত উদাস রামধনু
আমি লক্ষ্মীর ভাড়ে ভালোবাসা যোগাই এখনো
…….
ঊর্মি-২
……..
দু চোখে কাজল দিলে
নামে রঙ্গিন সন্ধ্যা
তারপর অন্ধকার জল থেকে
উঠে আসে ঢেউ
স্মৃতির দুই পারে দুজন
দৃশ্য ও কথারা পাখি হয়ে আসে
ভালোবাসা মানেই
দুঃখের অনুবাদ
……….
সংসার
………..
ভাঙা, আর
ভাঙন
জলের স্রোতে
লিখি আর
মুছি
শূন্যের অনুবাদ
শব্দ অক্ষর
ফুরালে
নীরবতা গান
তুমি হবে ঘাস
আমি হব শিশির
এটুকু নিয়ে আমাদের
বসবাস
………….
প্রথম ভাগ
………….
ফাগুনবেলা হলে
অবসান
থাকে না বসন্ত
না থাকে নুন
শীতভোর ফুরালে
থাকে না
কুয়াশার আগুন
ছায়া ব্যথিত হয়
চলে গেলে রোদ্দুর