ছড়ায় এখন যেসব তরুণের সরব উপস্থিতি তাদেরই অন্যতম শেখ বিপ্লব হোসেন। সম্প্রতি পত্রপত্রিকা লিটলম্যাগ ও ফেসবুকে ছড়ায় বিপ্লব বেশ সক্রিয়। এরমধ্যেই একটা ছড়ার বইসহ তার বেশকিছু গ্রন্থ প্রকাশ হইছে। শিগ্রি প্রকাশ হইতেছে তার ছড়ার বই ‘ হাতটা বাড়াই ‘। মানবিক শিরোনামের এই বইটার বেশ কিছু ছড়া আমার পড়া হইছে। নামের মতোই বইটার অনেক ছড়াতেই মানবিক সুর উচ্চকিত। আছে দেশের সমাজ রাজনীতি ও আধ্যাত্ম্যের ছড়াও।
বিপ্লবের ছড়া দেশের আলোচিত সমকালীন বিষয়ের শৈল্পিক ছড়াভাষ্য। আমার খুব ভাল্লাগছে যে রাজনৈতিক ছড়ায় ফিলিস্তিনিদের দুঃখবেদনা ও সংগ্রামও সংবেদনশীল এই ছড়াকারের চোখ এড়ায় নাই। তার মানবিক ছড়াগুলা মানুষের প্রতি মানুষের প্রেম ও প্রীতির ছন্দকথন।
বিপ্লবের মানবিক আহ্বান সম্বলিত ছড়ার মুগ্ধ পাঠক আমি। এই বইয়ে মোট ৬০ টা ছড়া আছে। এর মধ্যে যে ছড়াগুলা আমার পড়া হইছে সেইসবের ভিত্তিতে বলতে পারি; তার মধ্যে ছড়া-কবিতা লেখার একটা সহজাত গুণ আছে। আর সেই গুণপনায় পাঠককে আমোদিত করার দক্ষতাও আছে। বইয়ের নবী প্রেমের একটা ছড়ার কয়েকটা লাইন পড়ি–
‘জাহেলিয়াত সমাজটাকে/আলোর পথে আনতে,
জীবনটাকে দেয় বিলিয়ে/মরুর পথে প্রান্তে।
তাঁর প্রেমেরই পরশ পেয়ে/যায় ঘুচে সব ভুল,
পাথরবুকে ফোটে হাজার/রাসুল প্রেমের ফুল।’ [তাঁর দেখানো পথে]
গড়পড়তা বিষয়ের বাইরে মানবিকতার ভাষা এইভাবেই উচ্চকিত হইছে তার ছড়ায়। আমি বিপ্লবের বেশকিছু ছড়ার মধ্যেই কাঙ্ক্ষিত ছান্দিক ঝংকার পাইছি। আমার বিশ্বাস শিগ্রি প্রকাশ হইতে যাওয়া এই বইয়ের অনেক ছড়ার মধ্যে অনুভবি পাঠকও সেই ঝংকার পাইবেন।
আমি ছড়াকার শেখ বিপ্লব হোসেন ও তার ছড়ার বই ‘ হাতটা বাড়াই ‘ এর সাফল্য কামনা করি।
জগলুল হায়দার
নিউজার্সি, যুক্তরাষ্ট্র।