………
ফ্ল্যাপ ১
………
শান্তা মারিয়ার লেখা গল্প মানেই বাস্তব ও পরাবাস্তবের সীমারেখায় এক অন্য ভুবনে অভিযাত্রা। তার গদ্যভাষা অনায়াসে কাব্যের মাধুর্য নিয়ে পাঠকের কাছে অনন্য পাঠ অভিজ্ঞতা উপহার দেয়। তিনি মূলত নাগরিক জীবনের গল্প বলেন। আধুনিক মানুষের নিঃসঙ্গতা, প্রেম, আনন্দ বেদনার কাব্য যেমন তিনি লেখেন তেমনি অতিপ্রাকৃত ও জাদুবাস্তবতা তার গল্পগুলোকে ভিন্ন মাত্রা দেয়। অসম্ভব গতিশীল ও শক্তিশালী গদ্যপাঠের অনুভূতি পাঠককে মুগ্ধ করে। তার গল্পের সবচেয়ে বড় শক্তি হলো একবার পড়া শুরু করলে শেষ না করে থামার উপায় নেই। বাংলাদেশে বর্তমানে যারা লেখালেখির জগতে আছেন তাদের মধ্যে অন্যতম প্রধান লেখক শান্তা মারিয়া’র ‘কবোষ্ণ পূর্ণিমা’ নিঃসন্দেহে সংগ্রহে রাখার মতো বই।
………
ফ্ল্যাপ ২
………
শান্তা মারিয়া বাংলাদেশের একজন উল্লেখযোগ্য লেখক, কবি, প্রবন্ধকার এবং সাংবাদিক। তিন বছর বয়স থেকে মুখে মুখে কবিতা লেখা শুরু। নয় বছর বয়সে প্রথম কিশোর কবিতার বই ‘মাধ্যাকর্ষণ’ প্রকাশিত হয়। এ পর্যন্ত ৬টি কবিতার বইসহ ১৮টি বই প্রকাশিত হয়েছে। গল্প এবং প্রবন্ধলেখক হিসেবে তিনি খ্যাতি পেয়েছেন এবং দেশের ও বিদেশের অনেক পত্রিকায় তার লেখা প্রকাশিত হয়েছে। দেশ বিদেশের বিভিন্ন সাহিত্য উৎসবে অংশ নিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। ইউনিভারসিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজে পড়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্পে ছিলেন।
বর্তমানে চীনের ইয়ুননান বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক। এর আগে চীনের কুনমিংয়ে ইউননান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় কাজ করেছেন। চীন আন্তর্জাতিক বেতারের ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশে সর্বশেষ চায়না মিডিয়া গ্রুপের বার্তা সম্পাদক পদে ছিলেন।
সাহিত্যের ছোটকাগজ ঋগ্বেদ এবং আবহমানের সম্পাদক। বাংলাদেশে চীন বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত।
যুক্তরাষ্ট্র, নেদারল্যান্ডস, চীন, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকায় ভ্রমণ করেছেন। মিথোলজি ও ইতিহাসপাঠ শান্তা মারিয়ার প্রিয় নেশা। বহুভাষাবিদ জ্ঞানতাপস ড.মুহম্মদ শহীদুল্লাহর পৌত্রী এবং ভাষাসৈনিক ও পঞ্চাশের দশকে কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতা কমরেড মুহম্মদ তকীয়ূল্লাহর কন্যা শান্তা মারিয়া।
তার জীবনসঙ্গী শাহিন রিজভি একজন কবি ও মঞ্চঅভিনেতা। এই দম্পতির একমাত্র সন্তান জুলকার সৈয়দ সামির অর্ণ চীনের ইউননান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সফট ওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক।