spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

লিখেছেন : আবু তাহের তারেক

৩২ নম্বর

আবু তাহের তারেক

৩২ নম্বর ভাংগার বিপক্ষে তিনটা পয়েন্ট খিয়াল করলাম-

০১. হযরত ইমতিয়াজ মাহমুদ কইলেন, ভাংলে নাকি বিভেদ তৈয়ার হইব! মুরুব্বি, এই বিভেদ খুবই জরুরী একটা কাম। অন্তত, এই মুহূর্তে। মাঝে মাঝে, তফাত তৈয়ার করা, মুখোমুখি হওয়া ছাড়া, সমাধান আসে না। এখন সেই মুখোমুখি হইবার টাইম। ফলে, বিভেদ ইজ অকে, কারণ এইটা অভেদের দিকে নিয়া যাবে।

০২. হজরত ব্রাত্য রাইসু তান স্বাভাবিক ভংগিতে এইখানে প্রচুর ষড়যন্ত্র, বা প্লান পরিকল্পনার গন্ধ পাইতেছেন! এইসব প্লান-টানরে কেয়ার কইরা কিছু করা যায় না। এইভাবে জুলাই হইত না আর কি, কুন এজেন্সির কি প্লান, এইসব আগডুম-বাগডুম ভাবতেই থাকলে।

০৩. হযরত রুহুল মাহফুজ জয়, বা আরো আরো কবি-সাহিত্যিক-এক্টিভিস্ট ইত্যাদি প্রচুর মানুষই এইটার বিপক্ষে কথা বলতেছেন। অথবা, বলবেন। ওদের কারো হাতে হয়ত তেমন লজিক নাই। কারো হয়ত আছে। যেমন, ভাংগার কথা না, বলুন বিচারের কথা। অথবা, মিউজিয়াম করা দরকার। ইত্যাদি। ইত্যাদি।

আমরাও আসলে, বিচার চাই। শেমুর যাবতীয় সরঞ্জাম মিউজিয়ামে রাখা হউ, তাও চাই।

৩২ নম্বর ভাংগার পক্ষে, তারপরেও, একশো একটা যুক্তি দেওয়া সম্ভব। সবচাইতে বড় কথা, বত্রিশ নম্বর কুনু যুক্তি দিয়া ভাংগা হইতেছে না। হইতেছে, ক্ষোভ, ক্রোধ, রোনাজারি, ট্রমা ইত্যাদির ফোর্স দিয়া।

আমি বলি, এই ফোর্সরে সম্মান করুন। এই ফোর্স যদি একটা বত্রিশ ভাংগেও, তাতে ক্ষতি তেমন একটা হয় না। পৌত্তলিকতা, ভাংগারই জিনিস। কথা হইল, এরা কারা, যারা বিচার না কইরা, বত্রিশ নম্বর ভাংতে দিতে রাজী হইতেছে!

আমি বলব, বত্রিশ যখন ভাংতেই চান, সমুদ্রের বেগে আগান। স্রোতের কাছে যা আসে, তারে ছত্রখান করেন। একই স্রোত দিয়া এই ইন্টেরিমরেও ভাসাইয়া নেন।

আমাদের দরকার নয়া পলিমাটি। তার জন্য একটা প্রবল-প্রতাপ বন্যা লাগবে। চেষ্টা কইরেন, শেমুর ঘরের জিনিসপাতিরে সেইফ কোথাও সরাইয়া নিবার। এর বাইরে, স্রোত চলুক; বন্যা হউক।

বত্রিশ নম্বর যদি জনতার আক্রোশের বন্যায় তলিয়ে যায়, মোস্ট ওয়েলকাম!

আরও পড়তে পারেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

spot_imgspot_imgspot_imgspot_img

জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য সমূহ

সৈয়দ সাইফুল্লাহ শিহাব on কবিতার স্ফুলিঙ্গ, স্ফুলিঙ্গের কবিতা