মাঈন উদ্দিন জাহেদ
আমাদের শৈশবে চল্লিশটি হাদিস মুখস্থ রাখা নিয়ে পারিবারে উৎসাহ ও প্রণোদনা থাকতো। তাই আমরা শৈশব থেকে নানা শিষ্টাচার পরিবারেই শিখেছি। হযরত মুহাম্মদ সা. এর বাণীগুলো থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছি।
আমরা যারা নব্বইয়ের দশকের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ালেখা করেছি। তারা এখন প্রৌঢ়। আমাদের সন্তানরা এখন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে।
আমরা আমাদের পরিবার থেকে যা শিখেছি– সামাজিক শিষ্টাচারগুলো– বড়দের, শিক্ষকদের সালাম দেয়া, সন্মান করা, কথা শুনা। মুরুব্বিদের পথে কোনো কষ্টকর কাজ করতে দেখলে সহযোগিতা করা। অসহায় কে সাধ্যমতো সাহায্য করা। সেটা কায়িক হোক, মানসিক হোক, আর্থিক হোক, ইত্যাদি।
আমাদের সময়েও যে স্বার্থপর মানুষ ছিলো না তা নয়। কিন্তু তা কম। এমন কেউ থাকলে, অন্যদের তৎপরতায় সে নিজেকে লুকিয়ে রাখতো। অন্ততঃ লজ্জা পেতো। কিন্তু এরা এখন অসংখ্যা, লজ্জাহীন। এখন যে দিকে তাকায় সে দিকে স্বার্থপর, শিষ্টাচারহীন, লজ্জাহীনের সংখ্যায় বেশী দেখি। শিষ্টাচার উঠে গেছে বহু আগে।
সারা দেশে রবিউল আওয়াল মাসে মিলাদুন্নবীর সা. পালন সময়ে আমাদের, এখন এ প্রজন্মকে শিষ্টাচার শেখানোর জন্য রাসুলুল্লাহ সা. এর সেই চল্লিশ হাদিস শেখার ঐতিহ্যের দিকে ফেরার চেষ্টা করা প্রয়োজন । তাহলে আমরা আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবো। সমাজে সৃষ্টি হবে সামাজিক সদাচার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ভালো প্রতিবেশী সূলভ সদাচার, প্রতিযোগিতাহীন সুহৃদ পরিবেশ।
হযরত মুহাম্মদ সা. এর বক্তৃতাগুলো কিংবা বাণীগুলো বিশ্ব সাহিত্যেরও অমূল্য সম্পদ। এ জন্য লক্ষ লক্ষ মনীষী পুরো জীবন দিয়ে দিয়েছে। এগুলো মুখস্থ করে বা এর ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে জীবন কাটিয়ে দিয়েছেন। মুসলিমার উম্মার মাঝে এ বাণী গুলোকে মুখস্থ করা বিশেষ গুরুত্ব ও ঐতিহ্য এখনও রয়েছে। তাকে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে না রেখে গনপর্যায়ে চর্চায় আনা গেলে, ক্রমান্নয়ে সমাজ থেকে কূপমন্ডুকতা, চিন্তার দৈন্য, পরমত সহিষ্ণুতা জন্ম নেবে।
হযরত মুহাম্মদ সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উম্মতের উপকারের কথা বিবেচনা করে, চল্লিশটি হাদীস মুখস্থ করবে, কিয়াতম দিবসে সে আলেম এবং শহীদের সাথে উঠবে। তাকে বলা হবে, যে দরজা দিয়ে ইচ্ছে, সে দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করুন।’ এ হাদিসটি হজরত আলী রা. হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা., হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা., হজরত আবু দারদা রা., হজরত আবু সাইদ খুদরী রা., হজরত আবু হুরাইরা রা., হজরত ইবনে আব্বাস রা., হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা., হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা., হজরত জাবের রা., ও হজরত আনাস রা., প্রমুখ বর্ণনা করেছেন। বহু হাদিসের সংকলনে এই হাদিসটি গ্রন্থিত হয়েছে।
উল্লিখিত হাদিসের সনদ নিয়ে অনেক হাদিস বিশ্লেষক সমালোচনা করেছেন। এরপরও বর্ণিত সওয়াব পাওয়ার আশায়, হাজার হাজার মুহাদ্দিস চল্লিশ হাদিস জমা করে সংকলন করেছেন।
সহীহ মুসলিম শরীফের বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার ইমাম নববী রহ. চল্লিশ হাদিসের ওপর একটি সংকলন করেছেন। তার নাম ‘আল-আরবায়ীনা লিননাবাবি’।
সহীহ বুখারী ও মুসলিম থেকে এখানে চল্লিশ হাদিস উপস্থাপন করা হচ্ছে। হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সকল কথাই তো জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ভাণ্ডার। এই চল্লিশ হাদিস সদাচার , শিষ্টাচার , উত্তম চরিত্র ও সভ্যতা-সংস্কৃতির মৌলিক সূত্র হিসেবে শিশু-কিশোর মনে প্রভাব রাখবে। এ জন্য আমাদের উচিত এই চল্লিশ হাদিস জানা। যদি সম্ভব হয় মূল আরবী ও অর্থসহ মুখস্থ করা। নিজের জীবনে এর বাস্তবায়ন করা। অন্যজনকে জানানো।
চল্লিশ হাদীস–
১.রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, সমস্ত ভালো কাজের ফলাফল, নিয়তের ওপর নির্ভর করে। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) অর্থাৎ ভালো কাজ ভালো বলে গণ্য হবে, যখন তা ভালো নিয়তে করা হবে। কাজ ভালো কিন্তু নিয়ত খারাপ তাহলে তা আল্লাহর দরবারে ভালো কাজ বলে বিবেচ্য হবে না। মোটকথা, আল্লাহ তায়ালা কাজের বাহ্যিক দিক দেখার সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণ দিকটিও দেখেন।
২. কবীরা গুনাহ হলো, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরীক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। (সহীহ বুখারী)
৩. রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, সাতটি ধ্বংসাত্মক গোনাহ থেকে বেঁচে থেকো। সাহাবাগণ আরজ করলেন, সেই সাতটি ধ্বংসাত্মক গোনাহ কী কী (যা মানুষকে ধ্বংস করে দেয়)? উত্তরে তিনি বললেন, শিরক করা, জাদু করা, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, সুদ খাওয়া, ইয়াতিমের মাল গ্রাস করা, জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা ও সত্বি-সাধবা নারীর ওপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
৪. মুনাফিকের আলামত তিনটি : মিথ্যা বলা, ওয়াদা ভঙ্গ করা ও আমানতের খিয়ানত করা। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
৫. তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি যে কোরআন মজীদ শিক্ষা করে এবং শিক্ষা দেয়। (সহীহ বুখারী)
৬. আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় আমল হলো, যা নিয়মিত হয়, যদিও তা অল্প। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
৭. রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, আমি সর্বশেষ নবী, আমার পরে আর কোনো নবী জন্ম নিবে না। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
৮. পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক। (সহীহ মুসলিম) ব্যক্তির পবিত্রতা, ফেরেস্তাদের সঙ্গে সাদৃশ্য রাখে। কেননা ফেরেস্তারা সর্বক্ষণ পবিত্র অবস্থায় থাকে। আর অপবিত্রতা, শয়তানের সঙ্গ সাদৃশ্য রাখে। তাই দেখা যায, পবিত্র ব্যক্তি উর্ধ্ব জগতের অনেক কিছু লাভ করতে পারে। আর অপবিত্র ব্যক্তি শয়তানের ওসওয়াসার শিকার হয়; জুলমত তাকে চার পাশ থেকে ঘিরে ধরে। তাই ইসলামে পবিত্রতাকে এত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, মায়ারিফুল হাদীসের সূত্রে, খন্ড-৩ পৃষ্ঠা-২৫)
৯. রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় জায়গা মসজিদ। (সহীহ মুসলিম)
১০. যে ব্যক্তি আমার ওপর একবার দুরূদ পাঠ করবে, আল্লাহ তায়ালা তার ওপর দশটি রহমত বর্ষন করবেন। (সহীহ মুসলিম)
১১. রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, মুমিন এক গর্তে দুইবার দংশিত হয় না। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) অর্থাৎ মুমিনের বৈশিষ্ট্য হলো চালাক হওয়া, প্রতারক নয়; সহজ-সরল কিন্তু নির্বোধ নয়।
১২. রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, মল্লযুদ্ধে কেউ কাউকে হারিয়ে দেওয়া বাহাদুরি নয়। বরং প্রকৃত বাহাদুরতো হলেন ঐ ব্যক্তি যে ক্রোধের সময়ও নিজকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম) উক্ত হাদিসে রাগকে নিয়ন্ত্রনের শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
১৩. এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের পাঁচটি অধিকার রয়েছে: সালামের উত্তর দেওয়া, অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া, মারা গেলে জানাযায় শরীক হওয়া, দাওয়াত দিলে কবুল করা ও হাঁচির জবাবে ‘ইয়ারহামুকাল্লাহ’ বলা। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
১৪. যে মানুষের ওপর দয়া দেখায় না আল্লাহ তার ওপর রহম করেন না। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
১৫. মানুষের ওপর জুলুম-নির্যাতন, কিয়াতমের দিন অন্ধকার রূপ ধারণ করবে। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
১৬. নবী করীম সা. বলেন, দু’মুখো মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
১৭ .তুমি দুনিয়াত বসবাস করো মুসাফির বা পথিকের ন্যায়। (সহীহ বুখারী)
১৮. আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে যেতে পারবে না। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
১৯. রোজা রেখে, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও তার ওপর আমল না ছাড়ে, তো আল্লাহ তায়ালার কাছে, ঐ ব্যক্তির পানাহার ছাড়ার কোনো কদর নেই। (সহীহ বুখারী)
২০. কোনো ব্যক্তি মিথ্যুক হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ঠ যে, কোনো কিছু শুনে, যাচাই বাচাই না করে, তা অন্যের কাছে বলে দেয়া। (সহীহ মুসলিম)
২১. যে ব্যক্তির অনিষ্টতা থেকে প্রতিবেশি নিরাপদ নয়, সে জান্নাতে যেতে পারবে না। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
২২. রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, তোমাদের মধ্যে আমার কাছে সর্বাধিক প্রিয় ঐ ব্যক্তি, যার চরিত্র সুন্দর। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
২৩. দান-সদকা করলে সম্পদ কমবে না। যে ব্যক্তি অন্যের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করে, আল্লাহ তায়ালা তার সম্মান বাড়িয়ে দেন। আর যে ব্যক্তি আল্লার জন্য নিচু হয়, আল্লাহ তায়ালা তার মাকাম উঁচু করে দেন। (সহীহ মুসলিম)
২৪. পরিবার-পরিজনের জন্য খরচ করলেও সদকার সওয়ার লাভ হয়। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
২৫. রাসুলুল্লাহ সা. একবার যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যে যে যুবক বিবাহের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিবাহ করে নেয়। কেননা, এর মাধ্যমে দৃষ্টি এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত হয়। আর যার সামর্থ্য নেই তার কর্তব্য হলো রোজা রাখা। কারণ, রোজা নফসের কামনা কমে আসে। (সহীহ বুখারী)
২৬. চার বিষয় দেখে সাধারণত বিবাহ করা হয়- সম্পদ, বংশ, সুন্দর্য ও ধার্মীকতা। তোমরা ধার্মীকতাকে প্রাধান্য দিও। (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
২৭. রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, আমি তোমাদের দারিদ্রতা নিয়ে শংকিত নই । আমার আশংকা তোমাদের ধনাঢ্যতা নিয়ে। কারণ, সম্পদের প্রবাহ শুরু হলে আর তোমরা এর পিছনে পড়ে যাবে। তারপর এই সম্পদ পূর্ববর্তীদের যেমন ধ্বংস করেছিলো, তেমনিভাবে তোমাদেরও ধ্বংস করে দিবে। (সহীহ মুসলিম)
২৮. যখন আমানতের খেয়ানত শুরু হবে তখন কেয়ামতের অপেক্ষা করতে থেকো। (সহীহ মুসলিম)
২৯. যে ব্যক্তি হারাম ভক্ষণ করে, পরিধান করে, তার দো’য়া কিভাবে কবুল হবে? ( সহীহ মুসলিম)
৩০.বিধবা ও ইয়াতীমকে সাহায্যকারী, আল্লাহর রাস্তায় মুজাহিদের ন্যায় সওয়াব লাভ করবে।(সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
৩১. দুর্বলদের বদৌলতে তোমাদেরকে রিজিক দেওয়া হয়, সাহায্য আসে। (সহীহ বুখারী)
৩২.খাও, পান করো, পরিধান করো, সদকা করো কিন্তু অপচয় ও অহংকার করো না। (সহীহ বুখারী)
৩৩. দুই ব্যক্তির ওপর ঈর্ষা করা যাবে। ১. যে ব্যক্তি সম্পদের মালিক হয়ে, তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করার তাওফীক পায়। ২. যাকে আল্লাহ তায়ালা জ্ঞান দিয়েছেন, আর সে তা দিয়ে বিবাদ মিটায় ও অন্যকে শিক্ষা দেয়। (সহীহ বুখারী)
৩৪. পরস্পর হৃদ্যতা আর ভালোবাসায়, মুমিনের দৃষ্টান্ত এক দেহের ন্যায়। দেহের কোনো অঙ্গ অসুস্থ হলে, সমবেদনায় অন্য সকল অঙ্গ জ্বর ও ব্যথায় রাত জাগে। (সহীহ মুসলিম)
৩৫. প্রকৃত মুসলমান ওই ব্যক্তি, যার হাত ও জবান থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে। (সহীহ বুখারী)
৩৬. প্রত্যেকটি কাজ সুন্দরভাবে সমাধান করা উচিত। অতএব কাউকে (শরয়ী দণ্ডবিধির কারণে) হত্যা করতে হলে সুন্দরভাবে করো। কোনো প্রাণী জবাই করতে হলে সুন্দরভাবে করো। তোমাদের উচিত জবাহের আগে ছুরি ধার করা এবং পশুকে অত্যাধিক কষ্ট থেকে রেহাই দেয়া। (সহীহ মুসলিম)
৩৭. তোমাদের কেউ মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না, নিজের জন্য যা পছন্দ করো, অন্যের জন্য তা পছন্দ করো। (বুখারী)
৩৮. লজ্জা ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ শাখা। (বুখারী)
৩৯. মুসলমানকে গালি দেওয়া কবীরা গুনাহ আর তাকে হত্যা করা কুফুরী। (বুখারী)
৪০. যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে সাতটি ‘আজওয়া খেজুর’ খাবে ওই দিন বিষ বা জাদু তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। (বুখারী)
আসুন চল্লিশ হাদিসের সাথে সাথে প্রত্যহ দু’একটা হাদিস পড়ি। রাসুলুল্লাহ সা. এর মহান আদর্শ নিজের জীবনে চর্চা করি। সমাজে রাসুলুল্লাহ সা. এর মহত্তর আদর্শে বাস্তবতা দেখায়। নতুবা এসব বাণী গ্রন্থে মৃতের মত নিথর থাকবে আর সমাজে নৈরাজ্য চলবে। কেউ উপকৃত হবে না। না সমাজ, না ব্যাক্তি।
আসুন হযরত মুহাম্মদ সা. সম্পর্কে মহান আল্লাহ’র বাণী, ‘ আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি’ এর বাস্তবতা তুলে ধরি। নিজের জীবনকে সার্থক করি, সমাজকে করে তুলি পরম আনন্দের।