শ্রবনা অধিকারী
১.
ধানক্ষেত ভরা শিশিরবিন্দু
নদীর চরে পাট ভাঙা শাড়ির আঁচল
শুন্য ক্যানভাসে রঙিন বসন্তের আনাগোনা
দূর দিগন্তের হাতছানি–
বয়ে যায়
অবেলা
আমাদের সময় আগত দ্বারে
চিকচিক করে ওঠে চোখের কাজল
পলাশের মালা গাঁথা আকাশজুড়ে।
২.
শীতের নরম আমেজ আলমোড়া ভাঙে
নিরিবিলি সংসার চুপিসারে বসে একমনে
দোতারা বাজালে মন উদাস।
ঝিম মেরে আছে অনুরাগ
পাল তুলেছে আবেগ
তবুও ,,,
কন্টকহীন হয়নি পথ
রক্ত ঝরিয়ে পাবো সুসময়
এই মন্ত্রজপে সারাদিন যাপন।
৩.
শিকড়ের টানে মন ছুটে যায়
একরাশ গোলাপ ফুলের মাঝে
খুঁজে ফেরে হৃদয়ের গান
গুনগুন করে উঠল কে যেন !
অতঃপর —
প্রেমের সাগর
উথাল পাথাল মন
ময়ূরপঙ্খী চেতনা
নতুন সূর্যোদয় ।
৪.
রাঙা মাটির গন্ধ মাখব শরীরজুড়ে
অলংকার তো তোমার কাব্যের পাণ্ডুলিপি
রোজনামচা গড়ে নেব ধীরে ধীরে
অসীম ভালোবাসার ছটায় আলোকিত
মাটির ঘরে দুটি মনের নিবিড় আলাপচারিতা।
রহস্য থাক একটুখানি
অনেকটা থাক আকাশ
দুঃখের ফুল ঝরে গেলে
সুখের আবেশ পাখা মেলে।
৫.
মুক্তর মতন হাসি ঝরে হাওয়ায়
শিল্পীর তুলিতে আঁকা অবয়ব
গ্রামের সোদা মাটির ছেলের
জ্যোতির্ময় রূপের আগুন
দিক বিদিক ঋদ্ধ করে ।
এমন পরশপাথর সযত্নে
রাখি আজীবন —
মহাকাল আসুক নেমে যদিও
পাবেনা তার আঁচ ।
৬.
মনের মানুষ বাগান সাজিয়েছে বেশ
সৌন্দর্যে ভরপুর কল্পনার বুক
উত্তরণের পথে আত্মা
স্নায়ুক্ষয় ইতি।
পুড়ে যাওয়া মনের মলম তার হাসিমুখ
কবিতার পাতাজুড়ে
আঁকিবুঁকি কাটি রোজ
একঘেয়েমি কেটে যায় ।