জিয়া হক
অমর একুশে বইমেলায় কবি ও কথাসাহিত্যিক রুবাইদা গুলশানের কাব্য ‘নীলমণির নীলিমায়’ প্রকাশ হয়েছে। জীবনের আলপনায় আঁকা ৪২ টি কবিতা দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি।
‘নীলমণির নীলিমা’ সম্পর্কে রুবাইদা গুলশান বলেন, ‘ঝরা পাতার ন্যায় ঝরে পড়ে আমার অভিমান। মাঝরাত্রি্তে যখন নিশ্চুপ চারপাশ, ঠিক তখন হঠাৎ দূরের কোনো ট্রেন থামে বাড়ির পাশের স্টেশনে। কান পাতি, শুনতে পাই কারো পায়ের ধ্বনি। এই বুঝি কেউ আসছে ফিরে আমার আঙ্গিনায়! আধ ঘুমে আধ জাগরণে কে যেন চুপটি করে মনঘরে উঁকি দিয়ে যায়! এদিকে কোথা হতে বারবার হৃদয়ে জাগে গভীর বেদনা। জানি আমি, একবার যে ভালোবাসতে শিখেছে; সেই জানে বিরহের ব্যথায় হৃদয় কেমনে পুড়ে! অবশেষে বেদনা ফুলের দুঃখ গায়ে মেখে, অভিমানের জলে ভেজা চোখ নিয়ে কেউ কেউ হেসে ওঠে আপনমনে, গেয়ে ওঠে গান। এরপর বোধের সৌন্দর্য বুকে ধারণ করে নিজেকে সাজায় সে; ক্ষমা করে, ভালোবেসে আর সব অভিমান ভুলে, মায়ার চাদরে জড়ানো থাকে বুকের গভীরে কবর দেয়া কোনো এক প্রিয় নাম! তাই তো বলি, তুমি আমার প্রিয় হয়ো না, প্রিয় কোনো কিছুই আমি যে আঁকড়ে রাখতে জানি না। বইটিতে পাবেন এইসব অনুভূতি।’
বইটি প্রকাশ করেছে গল্পকার। প্রচ্ছদ করেছেন শামীম আরেফিন। মেলায় পাওয়া যাচ্ছে ৭০০ নং স্টলে।
২০১৬ সালে রুবাইদা গুলশানের উপন্যাস ‘অন্তরালে বর্ণফুল’ প্রকাশ হয়। ২০১৭ সালে কবিতার বই ‘বিভ্রমে নীলাম্বরী’, ২০১৮ সালে গল্পগ্রন্থ ‘সেফটিপিন’। ২০১৯ সালে প্রকাশ হয় ছোটগল্পের বই ‘অরণ্যের গুঞ্জন’ ও প্রবন্ধের বই ‘আঁধারের আলপনা’, ২০২২ সালে মুক্তগদ্য ‘তিতা কথা’, ২০২৩ সালে ‘জোছনাময়ী’ প্রকাশিত হয়।
‘সেফটিপিন’ বইয়ের জন্য রুবাইদা গুলশান ২০১৮ সালে নজরুল একাডেমি শেখ ফজলল করীম সাহিত্য সম্মাননা পেয়েছেন। ২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘অরণ্যের গুঞ্জন’র জন্য লাভ করেন ঢাকার আসওয়াম ফাউন্ডেশন সম্মাননা।
রুবাইদার জন্ম ঠাকুরগাঁওয়ে। পৈতৃক নিবাস যশোর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর শেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংকে উপপরিচালক পদে কর্মরত।